SEBA / SMEBA Class 10 Geography (Social Sciences) Chapter 4 in Bangla সেবা (আসাম) দশম শ্রেণী ভূগোল (সমাজবিজ্ঞান) চতুর্থ অধ্যায় : অসমের ভূগোল বাংলায় সংক্ষিপ্তসার / সারাংশ


Class : 10
Warm Welcome,

SEBA / SMEBA Class 10 Geography (Social Sciences)
Chapter 4 in Bangla
সেবা (আসাম) দশম  শ্রেণী ভূগোল  (সমাজবিজ্ঞান)
চতুর্থ অধ্যায় :  অসমের ভূগোল
বাংলায় সংক্ষিপ্তসার / সারাংশ


চতুর্থ অধ্যায় :  অসমের ভূগোল

 



1. অসমের চারিসীমা:  উত্তরে অরুণাচল প্রদেশ ভুটান, দক্ষিনে ত্রিপুরা মিজোরাম, পূর্বে অরুণাচল এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ
2. ভারতের সঙ্গে সমগ্র উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি অসমের পশ্চিম দিকে 50 কিলোমিটার সংকীর্ণ ভূখণ্ড দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে বলে উত্তর পূর্ব ভারতের দুয়ার বলা হয়
3. অসমের অবস্থান:  24 ডিগ্রি 09 মিনিট উত্তর অক্ষাংশ থেকে 27 ডিগ্রী 58 মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং 89 ডিগ্রী 82 মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে 96 ডিগ্রী 01 মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত
4. অসমের আয়তন: অসমের আয়তন প্রায় 78,438  বর্গ কিলোমিটার ভারতের মোট আয়তন এর 2.4 % শতাংশ
5. অসমের জনসংখ্যা:  2011 সাল মতে অসমের মোট জনসংখ্যা 312.05 লাখ, যাহার 159.39 লাখ পুরুষ এবং 152.66  লাখ মহিলা,  শিক্ষিতের হার 72.19%, লিঙ্গের অনুপাত- 1000:958, গ্রামে বাস করে- 85.90%, শহরে বাস করে- 14.09% অনুসূচিত জাতির সংখ্যা- 7.15% অনুসূচিত জনজাতির সংখ্যা - 12.45%
6. অসমের নগর বা শহর:  2011 সাল মতে অসমে সাতটি প্রথম শ্রেণীর নগর এবং ছয়টি দ্বিতীয় শ্রেণীর নগর রয়েছে জনবহুল নগর গোয়াহাটি যার জনসংখ্যা 9,68,549 জন দ্বিতীয় নগর শিলচর তৃতীয় নগর ডিব্রুগড়
7. লোকগণনায় 100000 (এক লাখ) বা তার অধিক জনসংখ্যা থাকা নগরকে প্রথম শ্রেণীর নগর  এবং 50 হাজার থেকে 100000 (এক লাখ) এর মধ্যে থাকা জনসংখ্যার নগর কে দ্বিতীয় শ্রেণীর নগর গণ্য করা হয়
8. অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা:
a)    জন্মের হার, মৃত্যুর হার এবং প্রব্রজন এই তিন প্রকারে জনসংখ্যা কম-বেশি   পরিবর্তন হয়
b)    1901 সালে অসমের মোট জনসংখ্যা ছিল 3,2,89,680 জন
c)    1941 সালে অসমের জনসংখ্যা 6,6,98,790 জন ছিল
d)    1991 সালে ছিল 2,24,14,322 জন
e)    2011 সালে ছিল 31,2,05,576 জন
f)     দশকীয় বৃদ্ধির হার:  
1931-1941 = 20.40%; 1941-1951 = 19.93%; 1951-1961 = 34.98%; 1961-1971 = 23.36%; 1981-1991 = 24.24%; 1991-2001 = 18.92; এবং 2001-2011 = 17.07%
g)    1951 থেকে 1971 এই দুই দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচাইতে বেশি ছিল
h)   1901 সালে জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল মাত্র 42 জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে যাহা বেড়ে 2011 সালে হয়েছে 398 জন এই ঘনত্ব 2001 সালে ছিল 340 জন
9. অসমের জনসংখ্যার বিতরণ:
a)     অসমান বিতরণ সকল স্থানে সমান নয়
b)     ব্রহ্মপুত্র বরাক উপত্যকার সমতল ভূমি, উর্বর মাটি, সুচল কৃষিকার্য যাতায়াতের জন্য জনবসতি ঘন
c)    ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার উজান অসম 21% ( ঘনত্ব 371), মধ্য অসমে 27% ( ঘনত্ব 500), এবং নিম্ন অসমে 36% ( ঘনত্ব 631) লোক 2011 সালের   লোকগণনা মতে বাস করে
d)    2011 সাল মতে বরাক উপত্যকায় অসমের 11%  লোক বাস করে এবং ঘনত্ব 545 জন
e)    কার্বি ডিমা হাসাও পার্বত্য অঞ্চলে অসমের 3.75% লোক বাস করে এবং ঘনত্ব 68 জন
f)     2011 সাল মতে 2,826,006  জন জনসংখ্যা নিয়ে নগাঁও সর্বাধিক জনসংখ্যার জিলা এবং 2.13.529  জন জনসংখ্যা  নিয়ে ডিমা হাসাও সবচাইতে কম জনসংখ্যার জিলা
g)    2011 সাল মতেনগাওএর জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল 583 জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এবংডিমা হাসাওএর ঘনত্ব ছিল মাত্র 38 জন
h)   জনসংখ্যার ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে 2011 সালে কামরূপ মেট্রো সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ জেলা (ঘনত্ব 2010 জন) এবং ডিমাহাসাও সবচাইতে কম জনবসতিপূর্ণ জেলা ( ঘনত্ব 44 জন)
i)     রাজ্যের গড় ঘনত্ব 397 জন এর অধীক থাকা জেলাগুলি হল- লক্ষীমপুর, শিবসাগর, মরিগাও, নগাও, দরং, উদালগুরি, ধুবড়ি, বঙাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, বরপেটা, নলবারী, বাকসা, কামরূপ, কামরূপ মেট্রো, কাছাড়, করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি
j)      রাজ্যের গড় ঘনত্বের কম থাকা জেলাগুলি হল- তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, জোরহাট, গোলাঘাট, ধেমাজি, শোণিতপুর, চিরাং,  কোকরাঝাড়, কার্বি আংলং ডিমা হাসাও
10. অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ:
a)    প্রাকৃতিক বৃদ্ধি-  ভারতের জন্মহার, মৃত্যুহার ইত্যাদির সঙ্গে অসমের বৃদ্ধির হারও প্রায় সমান
b)    প্রব্রজন:  1947 সালের পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রব্রজন কৃত হিন্দু শরণার্থী, 1951-2001 সালের মধ্যে অবাধ গতিতে বাংলাদেশ, ন্যাপ ভুটান থেকে হওয়া অনুপ্রবেশ, 1951-2001 সালে ভারতের জনসংখ্যা যখন 185% বৃদ্ধি হয়, তখন অসমের বৃদ্ধি হয় 232%
c)     আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে অসমের মৃত্যুর হারও কমেছে
d)    এখনও অসমের প্রায় 28% লোক নিরক্ষর, অশিক্ষিত অজ্ঞ এবং সচেতনতার অভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে
11. অসমের জনগোষ্ঠীয় এবং ভাষিক বৈচিত্র:
a)    অসাম এর মনোমোহা প্রাকৃতিক পরিবেশ, প্রাচুর্যপূর্ণ সম্পদ, নদী উপত্যকা তার উর্বর ভূমি, প্রচুর বৃষ্টিপাত, নানা প্রজাতির জীবজন্তু উদ্ভিদ প্রভৃতির আকর্ষনে সুদূর প্রাচীনকাল থেকে অসমে নানা জনগোষ্ঠী ভাষাভাষীর লোকের আগমন ঘটে
b)    অসমের জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন বলে বহুরঙি কৃষ্টি, সংস্কৃতি, জাতি, জনগোষ্ঠী, ভাষা ধর্মের ভিন্নতা বৈচিত্রতা এবং পুণ্য মিলনক্ষেত্র যা অসমের এক অপূর্ব বৈশিষ্ট্য
c)    অসমে  আগত প্রথম জনস্রোত ছিল- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আসা অস্ট্রিক জনগোষ্ঠীর মেঘালয়,  কার্বি আংলং ডিমাহাসাও বসবাস করা খাসিয়া এবং জয়ন্তীয়ারা এই গোষ্ঠীর লোক
d)    দ্বিতীয় জলস্রোতটি হলো-  তিব্বতীয়-বর্মী ভাষি মঙ্গোলীয় গুষ্টি এরা মধ্য এশিয়া থেকে এসেছিল বড়ো, মিচিং, রাভা, তিওয়া, দেউরি, সোনোয়াল, কচারি, মেচ, বর্মন, কার্বি, ডিমাসা, গারো, কুকি, মার, হাজং, রেংমা, জেমি ইত্যাদিরা মঙ্গোলীয় গোষ্ঠীর
e)    জনসংখ্যার দিক থেকে বড়োরা অসমের বৃহৎ জনজাতি, দ্বিতীয় মিসিং এবং তৃতীয় কার্বি জনগোষ্ঠী
f)     বড়োরা অসমের কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাও, চিরাং, বাদশা, উদালগুরি, দরং শোণিতপুরে বাস করে
g)    মিচিংরা অসমের লক্ষ্মীমপুর, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট শোণিতপুরে বাস করে
h)   রাভা জনগোষ্ঠীরা অসমের গোয়ালপাড়া, কামরূপ দরং জেলায় বাস করে
i)     তিওয়া বা লালোং জনগোষ্ঠীরা মরিগাও, নগাও, কামরূপ   দরং জেলায় বাস করে
j)      দেউরিরা লাখিমপুর, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট মরিগাও জেলায় বাস করে
k)    সোনোয়াল, কচারিরা ডিব্রুগড়, লক্ষ্মীমপুর, ধেমাজি, তিনসুকিয়া, জোরহাট গোলাঘাট জেলায় বাস করে
l)     মেচরা  গোয়ালপাড়া, ডিব্রুগড় কার্বি আংলং জেলায় বাস করে
m)   বর্মনরা বরাক উপত্যকা, ডিমাহাসাও কার্বি আংলং জেলায় বাস করে
n)   কার্বিরা কার্বি আংলং, ডিমাহাসাও, কামরূপ, নগাওঁ শোণিতপুর জিলায় বসবাস করে
o)    গারোরা গারো পাহাড়, গোয়ালপাড়া, ধুবুরী এবং কামরূপ জেলায় বাস করে
p)    কুকি মার  জনগোষ্ঠী'রা ডিমাহাছাও বাস করে
q)    হাজংরা কার্বি আংলং, ডিমা হাছাও এবং গোয়ালপাড়া জেলায় বাস করে
r)     রেংমা নাগারা কার্বি আংলং জেলায় বাস করে
s)    জেমি নাগারা ডিমা হাছাও জেলায় বাস করে
t)     আসামে আগত তৃতীয় জনস্রোতটি সিন্ধু-আর্যমূলের ককেশীয় জনগোষ্ঠীর লোক কলিতা, কায়স্থ, ব্রাহ্মণ আদি এই জনগোষ্ঠীর লোক ককেশীয়রাই অসমে বৈদিক সভ্যতা সংস্কৃতির ভিত্তি স্থাপন করেছে
u)   অসমে আগত চতুর্থ জনস্রোতটি সিন্ধু- আর্য মূলের ইসলাম ধর্মাবলম্বী কুতুব উদ্দিনের সেনাপতি মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর নেতৃত্বে আসে এরাই অসমে মুসলমান সম্প্রদায়ের সমাজ সংস্কৃতি গড়ে তুলে
v)    1228 খ্রিস্টাব্দে চুকাফার  নেতৃত্বে মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী  আহোমরা পাটকাই পর্বত পার হয়ে মিয়ানমার থেকে অসমে আসে এরাই পঞ্চম জনস্রোত
w)   আহোমরা অসমের তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়,  শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট, লক্ষীমপুর, ধেমাজি, নগাঁও, মরিগাঁও, শোণিতপুর জেলায় বাস করে
x)    ষষ্ঠ জনস্রোতটি ইংরেজরা বঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উড়িষ্যা, রাজস্থান নেপাল থেকে এনেছিল চা জনজাতি মুন্ডারী ভাষি জনগোষ্ঠীরা মূলত অস্ট্রিক জনগোষ্ঠীর লোক
y)    সপ্তম জনস্রোতটি আহোম রাজত্বকাল থেকে ভারত স্বাধীন হবার পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গদেশ থেকে আগত ভূমিহীন কৃষকরা
z)    অষ্টম জনস্রোতটি  দেশ বিভাজনের সময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীরা
aa) নবম জনস্রোতটি  বিশেষ করে সামাজিক, অর্থনৈতিক শৈক্ষিক কারণে রাজস্থান,  পাঞ্জাব, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মনিপুর ইত্যাদি থেকে আগমন ঘটেছে
bb)  অসমের জনজাতীয় ভাষা গুলি হল = বড়ো, মিসিং, কার্বি, ডিমাসা, গারো,  তিওয়া, রাধা, দেউড়ি কছারি,
12 . অসমের পরিবহন ব্যবস্থা বা পথ পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা গুলি:
a)    সচল, বেগবতী নির্ভরযোগ্য
b)    সংকীর্ণ দুর্গম স্থানের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ
c)    পাহাড়, মালভূমি সমভূমি সবখানেতেই সুন্দর সুবিধা
d)    কৃষি শিল্প জাত সামগ্রী পরিবহনের সুবিধা
e)    মেরামতি নির্মাণ ইত্যাদিতে খরচ কম
f)     বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, উদ্যোগ  উপভোক্তার মধ্যেকার সংযোগকারী মাধ্যম
13. অসমের পথ পরিবহনের প্রকার:
 অসমীয়া (7) সাত প্রকারের পথ পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে-
a)    পাকা পথ 22,700  কিলোমিটার
b)    কাঁচা পথ 22800  কিলোমিটার
c)    রাষ্ট্রীয় রাজপথ 3069.22  কিলোমিটার
d)    রাজ্য সড়ক 3134  কিলোমিটার
e)    জেলার প্রধান পথ 4413  কিলোমিটার
f)     গ্রামীণ পথ 36544  কিলোমিটার এবং
g)    নগরের পথ 1409  কিলোমিটার
14.  অসমের অন্তর্গত রাষ্ট্রীয় রাজপথের সংখ্যা 28 টি
15.  রেল পরিবহন এর সুবিধা গুলি:
a)    দীর্ঘ দূরত্বের ক্ষেত্রে যাত্রী মালপত্র বহনের  জন্য নির্ভরযোগ্য
b)    পরিকাঠামো শিল্পীয় উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
c)    শহস্র নিয়োগ ব্যবস্থা সৃষ্টির উপকরণ
d)    দূর-দূরান্তের সঙ্গে যোগাযোগের  মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে
e)    পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির সহায়ক
f)     পরিবহনের  ব্যয়মূল্য তুলনামূলকভাবে কম
16. উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল মন্ডলের মুখ্য কার্যালয় গুয়াহাটির মালিগাঁও অবস্থিত
17. 2012-13 সাল মতে অসমে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য 2458.93 কিলোমিটার, এর মধ্যে ব্রডগেজ = 1470. 06 কিলোমিটার, এবং  মিটারগেজ = 988.87  কিলোমিটার
18. ভারতের মোট জল সম্পদের 32 শতাংশ অসমে অবস্থিত
19. অসমে শদিয়া থেকে ধুবুরী পর্যন্ত ব্রম্মপুত্রের 891 কিলোমিটার নাব্য জলপথ এবং বরাকের 121 কিলোমিটার নাব্য জলপথ আছে
20. 1988 সালে ব্রহ্মপুত্রকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় এবং 2013 সালে বরাককে রাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রীয় জলপথ রূপে ঘোষণা করা হয়
21. অসমের জল পরিবহনের উন্নতির লক্ষ্যে দুটো সরকারি সংস্থা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এরা হলো-
a)    কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন নিয়ম এবং
b)    আভ্যন্তরীণ জল পরিবহন সঞ্চালকালয়
এই সংস্থার দুটির প্রধান দায়িত্ব গুলি হল:-
a)     জল পরিবহনের ক্ষেত্রে জল সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার করা
b)     সস্তা দরে যাত্রী দ্রব্য আনা নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং
c)     ব্যবসায়িক ভিত্তিতে জলপথগুলির ব্যবহার করা
22. পান্ডু অসমের প্রধান নদী বন্দর
23.  অসমীয়া অন্তরীণ  বা আভ্যন্তরীণ জল পরিবহন এর সুবিধা গুলি:
a)    জল পরিবহনের প্রসারের অনেক সুযোগ সুবিধা আছে
b)    অন্য পরিবহনের তুলনায় ইন্ধনের খরচ কম, ফলে যাত্রী মাল পরিবহনেও খরচ কম
c)    রাজ্যের প্রত্যন্ত আভ্যন্তরীণ অঞ্চলে পরিবহনের সুবিধা
d)     ভারী বিশাল মালপত্র পরিবহনের উপযোগী
e)     বায়ু প্রদূষণ এর সমস্যা অতি কম
f)      পথ রেল পরিবহনকে প্রান্তিক ভাবে সাহায্য করে
g)     প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে
h)    মেরামতি, পথ নির্মাণ প্রভৃতির সমস্যা নাই
24. অসমের গোয়াহাটি, তেজপুর, জোরহাট, ডিব্রুগড়, উত্তর লক্ষ্মীমপুর, শিলচর ধুবুরীর  রূপসীতে বিমানবন্দর আছে ( রূপসী বর্তমান অচল)
25. গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তরাষ্ট্রীয় বিমানবন্দর
26.  অসমের পরিবহন ব্যবস্থা গুলোর গুরুত্ব:
a)     প্রান্তীয় এলাকাগুলির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে ফলে অসমের আভ্যন্তরীণ বৃদ্ধির সহায়ক
b)     গ্রামগুলোতে শহরের সঙ্গে এবং অনুন্নত অঞ্চলকে উন্নত অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে
c)     উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক উন্নতির মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে
d)     নিয়োগ সৃষ্টি এবং বেকারত্ব দূরীকরণের একটি প্রধান উপায়
27.  অসমের পরিবহন ব্যবস্থার সমস্যা গুলি:
a)     অসমের ভিন্ন ভূপ্রকৃতির জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার সম্প্রসারণ যথেষ্ঠ অসুবিধাজনক
b)     একটি মাত্র সংকীর্ণ ভূখণ্ড দ্বারা অসম ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত
c)     অনুপযুক্ত মাটির গুনাগুন এবং অধিক বৃষ্টিপাত প্লাবনের ফলে পথঘাট সহজে নষ্ট হয় মেরামত খরচ অধিক
d)     শিল্পীয় বিকাশ ধীর ফলে পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত নয় এবং সরকারি মনোযোগও কম
e)     পর্যতন বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব কম ফলে পরিবহন ব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব কম
f)     আন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অসমে ব্যবসা বাণিজ্য এবং বৃহৎ বাজারের অভাব ফলে পরিবহনের গুরুত্ব কম
g)    গোষ্ঠীগত, সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থী সমস্যায় সৃষ্ট সামাজিক রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দেশি বিদেশি বিনিয়োগ সম্প্রসারণ সীমিত
h)   পরিবহন ব্যবস্থায় কার্যক্ষমতা কারিগরি দক্ষতার অভাব পরিলক্ষিত হয়
i)      পরিবহন ব্যবস্থাসমূহের মধ্যে উপযুক্ত পরিবহন সমন্বয়ের অভাব
j)       সরকারি পরিকল্পনা সঠিক সময়মতে রূপায়িত হয়নি
28. অসমের প্রাকৃতিক সম্পদ:
a.     অসমের ভূমি চার প্রকারের মৃত্তিকায় গঠিত:
i) নদী সমভূমির পলিযুক্ত মৃত্তিকা
ii) গিরিপদ মৃত্তিকা
iii) পাহাড়িয়া মৃত্তিকা এবং
iv) কঙ্কর মৃত্তিকা
b.     পলি যুক্ত মাটি দুই প্রকারের:-
i) নতুন পলিমাটি-  ব্রহ্মপুত্র বরাক নদীর প্লাবনভূমিতে পাওয়া যায়
ii) পুরনো পলিমাটি-  ব্রহ্মপুত্র বরাক নদীর তুলনামূলকভাবে উঁচু অঞ্চলে পাওয়া যায়
c.    আসামের মোট আয়তনের 35 শতাংশ জমিতে চাষ করা হয়
d.     অসমের অরন্যকে 5 প্রকারে ভাগ করা যায়-
i)  ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্য
ii) ক্রান্তীয় অর্ধ চিরসবুজ অরণ্য
iii) নদী পার্শ্ববতী অরণ্য
iv) ক্রান্তীয় আদ্র পর্ণমোচী অরণ্য এবং
v)  ক্রান্তীয় শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য
e.    অসমের প্রধান বনজ সম্পদ:
i) উদ্ভিদ = হুলং, শলখ, মেকাই, নাহর, গামারি নানা ধরনের লতা, বাঁশ-বেত, কপৌফুল,বনচুম, শিরীষ, চালতা, অগরু, পমা, ঢেঁকি শাক, শাল,, আমলকি, ভোমোরা, খোকন, শিমুল, সোম, সোনারু, উড়িয়াম, আজার, নলখাগড়া, তরা, ঝাউ, কাশফুল, শিশু, ভেলকর, খইরা, কূল, বিরিনা, উলুবন, কাশবন, খাগ ইত্যাদি
ii) বন্য জন্তু = হাতি, গন্ডার, বাঘ, ভালুক, হরিন, বুনো মোষ, বান্দর, সরীসৃপ ইত্যাদি
iii) সম্পদ =  ফলমূল, ঔষধি গাছ, মৌ, রাবার, শাকসবজি, কাঠ, খড়ি, বাঁশ-বেত ইত্যাদি
f.     2011 সাল মতে অসমে 16832 বর্গ কিলোমিটার অর্থাৎ আয়তনের 34% বনাঞ্চলে আবৃত ছিল এই বনাঞ্চলের 72 শতাংশই সংরক্ষিত বনাঞ্চল
g.    দুইটি প্রস্তাবিত অভয়ারন্য সহ মোট 20টি অভায়ারণ্য এবং 5টি (পাঁচ) রাষ্ট্রীয় উদ্যান আছে
h.    খনিজ সম্পদ =  তরল সোনা অর্থাৎ খনিজ তেল, কয়লা, চুনাপাথর এবং প্রাকৃতিক গ্যাস
i.      অসমের তৈল ক্ষেত্র = ডিগবৈ (পৃথিবীর সবচাইতে পুরানা), নাহারকাটিয়া মরান-হুগ্রীজান,  দুলিয়াজান, রুদ্রসাগর, লাকুয়া, গেলেকি,বরহুলা, আমগুড়ি ইত্যাদি
j.      প্রাকৃতিক গ্যাস:  নাহারকাটিয়া, মরান-হুগ্রীজান, দুলিয়াজান, রুদ্রসাগর, ইত্যাদি স্থানে পাওয়া যায় ভারতের মোট উৎপাদনের 25 শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস অসমে উৎপাদিত হয়
k.    কয়লা = ডিব্রুগড় এর মাকুম, শিবসাগরের ডিলি-জয়পুর অঞ্চল, তিনসুকিয়ার তরাইজান- চরাইপুং অঞ্চল, কার্বিআংলং এর কলিয়াজান শীলভেটা অঞ্চল,এবং ডিমাহাছাও এর উমরাংসো গরমপানিতে কয়লা পাওয়া যায়
l.      চুনাপাথর =  কার্বি আংলং ডিমা হাছাও জেলায় পাওয়া যায়
m.    লোহার আকর =  গোয়ালপাড়া জেলার চান্দরডিঙ্গা, ডেঙ্গুপাড়া কুমরিতে লুহার আকর পাওয়া যায়
n.    ফেলস্পার = কামরূপ জেলার হাঁহিমে পাওয়া যায়
o.    স্ফটিক বা কোয়ার্টজ = নগাঁও কার্বি আংলং জেলায় পাওয়া যায়
p.    চিনামাটি =  কার্বি আংলং এর শীলভেটা, চিলনিজান দেওপানিতে চীনা মাটি পাওয়া যায়
q.    সাজিমাটি বা ফুলার ক্লে (Fuller’s Clay) =  নলবাড়ির সুয়নখাটা ভুটানখুঁটি অঞ্চলে সাজিমাটি পাওয়া যায়
r.     পৃষ্ঠ জল =  ব্রহ্মপুত্র, বরাক নদীসহ অসংখ্য নদী-খাল-বিল-হ্রদ দ্বারা সমৃদ্ধ এবং ভূতল জলেরও প্রাচুর্য অসমে দেখা যায়
29. অসমের মানব সম্পদ:
a)    2011 সাল মতে অসমের জনসংখ্যা প্রায় 31নিযুত যাহা ভারতের মোট জনসংখ্যার 2.58%
b)    73 শতাংশ লোক শিক্ষিত যার মধ্যে পুরুষ 78 শতাংশ এবং মহিলা 67%
c)    নগরে শিক্ষিতের হার পুরুষের 88 শতাংশ এবং মহিলার 70%
d)    15 থেকে 34 বছরের বয়সের মধ্যে মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার 35 শতাংশ অর্থাৎ অফুরন্ত সম্ভাবনা পূর্ণ
30. অসমের প্রাকৃতিক সম্পদের সংকট বা সমস্যাসমূহ:-
a)    সম্পদ প্রদূষিত এবং নষ্ট হয়
b)    সম্পদের অভাব দেখা যায়
c)    গুরুতর পারিপার্শ্বিক আর্থসামাজিক সমস্যার উদ্ভব হয়
d)    মানবজনিত অবৈধ কার্যকলাপের ফলে সম্পদরাজি সুরক্ষিত নয়
e)    জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বাসস্থানের বিস্তার, কৃষিভূমির প্রসার, বনাঞ্চল-জলাশয় প্রভৃতির বিনষ্ট সাধন সচরাচর দেখা যায়
f)     ভূমিক্ষয়, উর্বরতা হ্রাস, প্রদূষণের সমস্যা সৃষ্টি সম্পদের অনুপযুক্ত ব্যবহারের ফল
g)    সম্পদ আহরণ, ব্যবহার সংরক্ষণে অজ্ঞতা এবং সম্পদ পরিকল্পনার কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার সম্পদ বিনষ্টের জন্য ভাবুকি স্বরূপ
31. অসমের কৃষি অর্থনীতি:
a)     অসমের 53 শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি খন্ডে নিয়োজিত
b)     2011 সাল মতে অসমে মোট 28.11 লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়
c)    রাজ্যের 85% চাষী ক্ষুদ্র উপান্ত শ্রেণীর
d)   অসমের কৃষি জলবায়ুবীয় অঞ্চল সমূহ:
i) নিম্ন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অঞ্চল
ii) উত্তরপারের  সমভূমি অঞ্চল
iii)মধ্য ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অঞ্চল
iv) উজান ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অঞ্চল
v) বরাক উপত্যকার সমভূমি অঞ্চল এবং
vi) পার্বত্য অঞ্চল
e.    নিম্ন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অঞ্চলে সর্বাধিক ভূমি চাষ এবং পার্বত্য অঞ্চলে সর্বনিম্ন ভূমি চাষ করা হয়
f.   2011 সাল মতে, অসমে 12.88 লাখ হেক্টর ভূমিতে একাধিক শস্য চাষ করা হয়
g.  অসমে আউশ ধান, শালি ধান এবং বড়ো ধান এই তিন প্রকারের ধান চাষ করা হয়
h.  2011 সাল মতে 25.45 লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করে 50.45 লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়েছিল
i.    অসমের প্রধান খাদ্যশস্য:- ধান, গম, মকই, সরিষা, নানাবিদ ডাল, তিল, তিসি, ইখ, পাট, ফলমূল, মশলা, আলু, শাকসবজিই প্রধান
j.    অসমের কার্বি আংলং জেলায় 5452 বর্গ কিলোমিটার এবং ডিমা হাছাও জিলায় 2597 বর্গ কিলোমিটার ভূমিতে জুম / ঝুম চাষ হয়
k.  জুম / ঝুম চাষের ক্ষতিকারক দিকগুলো হলো:-
            i) বন-অরণ্য বহু মূল্যবান উদ্ভিদ ধ্বংস হয়
ii) ভূমিক্ষয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়
iii) মাটির উর্বরতা গুণ নষ্ট হয় এবং
iv) মিশ্রিত কৃষি পদ্ধতি হলেও ভালো উৎপাদন পাওয়া যায় না
l.      জুম / ঝুম চাষের পরিবর্তে বেদিকা কৃষি (Terrace Cultivation) পদ্ধতি প্রচলনের উপর আজকাল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে
32. 2007 সালে ভারত সরকার উত্তর-পূর্ব শিল্পীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি নীতি ঘোষণা করে
33. 2008 সালে অসম সরকার রাজ্য শিল্পনীতি ঘোষণা করে
34. 2007 2008 সালের শিল্প নীতি অনুসারে অসমে 64 টি বাণিজ্যিক খামার, 50 টি শিল্প খামার, তিনটি শিল্প বিকাশ কেন্দ্র, 11 টি সংহত পরিকাঠামো উন্নয়ন কেন্দ্র, দুইটি শিল্প বিকাশ কেন্দ্র এবং 21টিরও বেশী শিল্প পার্ক স্থাপন করা হয়েছে (কিছু এখনও নির্মাণরত)
35. অসম শিল্প বিনিয়োগ নীতি  : লক্ষ্য উদ্দেশ্য
 অসমে শিল্প বিনিয়োগ নীতি 2014 সালে ঘোষণা করা হয় এই নীতির প্রধান লক্ষ্য গুলি হল:
a)    পণ্য উৎপাদনকারী সেবাখন্ডের সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়ে মোট ঘরুয়া উৎপাদন বৃদ্ধি করা
b)    গ্রামাঞ্চলে মাথাপিছু আয়  নিয়োগের সুবিধা বৃদ্ধি করা
c)     ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র মধ্যম শ্রেণীর শিল্পের বিকাশের জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা
d)     বৃহৎ সংখ্যক দক্ষ লোক সৃষ্টি করা
36.  অসমের শিল্প-কারখানা গুলির প্রকার:
a)    খনি শিল্প- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা  ইত্যাদি
b)     হস্তশিল্প -   হস্ত তাঁত, বস্ত্র, বাঁশ বেতের শিল্প
c)     কৃষিভিত্তিক শিল্প -  চা শিল্প, পশু পালন, রেশম, রাবার ইত্যাদি
d)     শক্তি শিল্প -  জলবিদ্যুৎ, গ্যাস ক্রেকার, তাপবিদ্যুৎ ইত্যাদি
e)     পরিষেবা খন্ডের শিল্প -  ব্যবসা, পরিবহন, হোটেল, বীমা ইত্যাদি
37.  অসমের কৃষিভিত্তিক শিল্প:
a)     প্রধান কৃষিভিত্তিক শিল্প-  বন শিল্প, চা শিল্প, রাবার শিল্প, রেশম শিল্প ( এরি মুগা পাট শিল্প), কাগজ শিল্প এবং খাদ্য প্রস্তুত করণ শিল্প
b)     ভারতের 65 শতাংশ এরি অসমে উৎপাদিত হয়
c)     ভারতের 97% মুগা সুতা অর্থাৎ সোনালী সুতা অসমে উৎপাদন হয়
d)     এরি মুগা পাট অর্থাৎ রেশম উৎপাদনের ভিত্তিতে অসমে হস্ততাঁত শিল্প গড়ে উঠেছে এবং বর্তমানে 13 লাখেরও অধিক তারশাল অসমে আছে
e)    চা শিল্প সবচাইতে বৃহৎ কৃষিভিত্তিক শিল্প 2011-12 সাল মতে অসমে 765 টি চা বাগান এবং 78091 টি ক্ষুদ্র চা বাগান আছেমোট 318 হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ করা হয় 2012 সালের উৎপাদন ছিল 590 হাজার টন 6.86 লাখেরও অধিক লোক চা শিল্পে নিয়োজিত ভারতের মোট চা এর 51-53% চা অসমে উৎপাদিত হয়
38.  অসমের মিন শিল্প:
a)     নদ নদী, খাল-বিল জলাশয় সমৃদ্ধ  অসম মিন শিল্পের উপযোগী
b)    অসমে 60 হাজার হেক্টরের মোট আয়তনের মোট 430 টি সরকারি পঞ্জিকৃত বিল আছে অপঞ্জিকৃত বিলের সংখ্যা 767 টি যার মোট আয়তন 40 হাজার হেক্টর
a)    2012 সালে 4490 নিযুত মাছের পোনা সহ মোট 2.88 লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে
b)     অসমে বছরে 0.22 লাখ টন মাছ বহি:রাজ্য থেকে আসে কিন্তু এখনো অভাব 0.52 লাখ টনের তাই মাছের দাম সবসময়ই বেশি
39.অসমের তৈল কারখানা বা তৈল শিল্প:
a)    অসমের প্রথম তৈল খনন কার্য আরম্ভ হয় 1889 সালে ডিগবৈয়ে
b)    1954 সাল থেকে নাহারকাটিয়া তৈলক্ষেত্র থেকে তৈল উৎপাদন শুরু হয়
c)    1956 সালে মরান-হুগ্রীজান তৈল ক্ষেত্র থেকে তৈল উৎপাদন শুরু হয়
d)    এছাড়া অন্যান্য প্রধান তৈলক্ষেত্র সমূহ হলো রুদ্রসাগর, লাকুয়া, গেলেকি, বরহুলা, আমগুড়ি ইত্যাদি
e)    অসমের চারটি তৈল শোধনাগার-  ডিগবৈ, গোয়াহাটি, বঙাইগাঁও এবং নুমালিগড়
f)     অসমে 2012-13 সালে 4.86 নিযুত মেট্রিক টন খনিজ তৈল এবং 2681 নিযুত ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন হয়
40. অসমের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমস্যা:
a)     প্রায় 75 শতাংশ লোক কৃষিখন্ডে নিয়োজিত যদিও কৃষিখন্ডের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংহত পরিকল্পনার অভাব
b)    শিল্পীয় বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিকাশের প্রক্রিয়া মন্থর
c)    ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে
d)    কারিগরি দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ক্ষমতা থাকা সত্বেও উদ্যোগী স্পৃহা মানসিকতার অভাব
e)    প্রব্রজন, জন্মের হার বৃদ্ধি প্রভৃতির দ্বারা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত চাহিদা অনুসারে উৎপাদন কম
f)     প্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত বলে সুরক্ষার দিক চিন্তা করে লগ্নির পরিমাণও কম
g)     পরিবহন  যোগাযোগের অনুন্নত অবস্থা উন্নয়নের প্রধান বাধা
41. অসমের কৃষিখন্ডের সমস্যা গুলি:
a)    পরম্পরাগত কৃষি জুম চাষ এখনও পুরনো পদ্ধতিতে করা হয়
b)    চাষের জমিগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত, ফলে আধুনিক সরঞ্জাম কৌশল প্রয়োগ করতে অসুবিধা
c)    অনুন্নত অপর্যাপ্ত জলসিঞ্চন ব্যবস্থা
d)    ধানচাষে আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়নি
e)    বন্যা ভূমিস্খলন প্রতিবছর অসমের কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত করে
f)     ক্ষতিগ্রস্ত  কৃষকের জন্য উপযুক্ত কৃষি পরিকল্পনার অভাব
g)    খাদ্যশস্যের সুরক্ষা সংরক্ষণ ব্যবস্থা অনুন্নত
h)   খাদ্য শস্য সংরক্ষণের সুবিধা অতি সীমিত
i)     কৃষকরা উৎপাদিত শস্যের উচিত মূল্য লাভ করে না
j)      উন্নত মানের বীজ, সার, সরঞ্জাম ইত্যাদি রেহাই মূল্যে লাভ করার সুযোগ সীমিত
k)    কৃষিক্ষেত্র বাজারের মধ্যে উন্নত যাতায়াত যোগাযোগের অভাব
l)     কৃষিখন্ড কৃষিভিত্তিক শিল্পখন্ড সমান্তরালভাবে অগ্রসর নয়
m)  কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের জোগান নাই
n)    রাজ্যে কৃষিখন্ডের জন্য সামগ্রিক পরিকাঠামোর অভাব
42.  অসমে উৎপাদিত অর্থকরী শস্য (Cash Crop):- চা, পাট, আখ তামাক
43. অসমের শিল্পীয় বিকাশের অন্তরায় বা সমস্যা বা মন্থর হওয়ার কারনগুলি:
a)    প্রাকৃতিক সম্পদের সুসংহত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাব
b)    কৃষিখন্ড, সম্পদ আহরণ তথা শিল্পখন্ডের সীমিত এবং ধীর বিকাশ
c)    অনুন্নত পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা
d)    মূলধন তার বিনিয়োগের অভাব
e)    চাহিদা অনুসারে রাজ্যে শক্তির যোগান বিতরণ অনিয়মিত এবং অপর্যাপ্ত
f)     স্থানীয় লোকের মধ্যে উদ্যোগী স্পৃহা সচেতনতার অভাব
g)    শিল্প স্থাপনের জন্য সরল শিথিল উদ্যোগ নীতির অভাব
h)   বিদ্রোহী সমস্যার জন্য বাইরের বিনিয়োগকারীরা লগ্নি করতে আগ্রহী নয়
i)     সহজে পচনশীল কৃষিজাত দ্রব্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাই
j)      শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব
44. অসমের পর্যটন শিল্পের সমস্যা:
a)    পর্যটন খন্ডে অপর্যাপ্ত মূলধন বিনিয়োগ
b)    পর্যটন কেন্দ্রসমূহের মধ্যে অনুন্নত পরিবহন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা
c)    বিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করার মতো পরিবেশের অভাব
d)    পর্যটন কেন্দ্রসমূহের পরিকাঠামো দুর্বল এবং আকর্ষণীয় নয়
e)    সুসংহত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব
f)     পর্যটনের উপকরণগুলির সঠিক জরিপ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো প্রচেষ্টা নাই
45. অসমের বর্তমান শিল্প গুলি:-
তৈল শোধনাগার, সার কারখানা, পেট্রো-রাসায়নিক শিল্প, কাগজ কল, সিমেন্ট কারখানা, চিনি কল, কার্পাস পাটকল শিল্প, জলবিদ্যুৎ শিল্প, তাপবিদ্যুৎ শিল্প, কাঠ-প্লাইউড শিল্প, দেয়াশলাই শিল্প, হস্ত-তাত এরি-মুগা বয়ন শিল্প, বাঁশ-বেতের শিল্প, কাঁসা-পিতলের শিল্প,ঔষধ নির্মাণ শিল্প ইত্যাদি
46. অসমের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা গুলি:
a)    অসমে খনিজ, বনজ, জলজ প্রভৃতি সম্পদের প্রাচুর্যতা আছে
b)    উপযুক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পদ সমূহের সুপরিকল্পিত ব্যবহার করার সম্ভাবনা আছে
c)    মানব সম্পদকে ব্যক্তিগত কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক খন্ডগুলিতে নিয়োজিত করা যেতে পারে
d)    দুর্বল মহিলা শ্রেণীকে সরলীকরণ করেও উন্নয়ন সম্ভব
e)    অর্থনৈতিক খন্ডগুলির মধ্যে সু-সমন্বয় স্থাপন করে অগ্রসর হওয়া সম্ভব
f)     সমস্ত বিষয়ের উপর সঠিক জরিপ করে সু-সংহত কার্যকরী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব
g)    শিল্পক্ষেত্রে উদ্ভুদ্ধ সমস্যাগুলির সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া উচিত


**************************

Post a Comment

0 Comments