SEBA/SMEBA CLASS 9 HISTORY CHAPTER -4 BURMESE INVASION OF ASSAM QUESTIONS & ANSWERS

SEBA/SMEBA CLASS 9 HISTORY CHAPTER -4

BURMESE INVASION OF ASSAM

 

QUESTIONS & ANSWERS


 

ইতিহাস (সমাজবিজ্ঞান) নবম শ্রেণী

অধ্যায় 4 : মানের অসম আক্রমণ

প্রশ্ন এবং উত্তর


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর

 

Q.1. মান মান রাজা কাকে বলা হত?

ANS:- ব্রহ্মদেশের প্রজাকে মান রাজাকে মান রাজা বলা হত (Burmese of Myanmar)

Q.2. “চারিঙ্গীয়া ফুকনের আসল নাম কি ছিল?

ANS:- সৎরাম

Q.3. মানের রাজা কে ছিলেন?

ANS:- মানের রাজা ছিলেন বদৌপায়া

Q.4. বদন চন্দ্র বরফুকন কে ছিলেন?

ANS:- বদন চন্দ্র বরফুকন ছিলেন নিম্ন অসমের আহোম শাসক অর্থাৎ বরফুকন

Q.5. হরদত্ত বীরদত্ত কারা ছিলেন?

ANS:- হরদত্ত বীরদত্তকে কলিয়াভমরা দন্দুয়াদ্রোহে  পরাস্ত করেন আহোম রাজা  কলিয়াভোমরা  প্রতাপবল্লভ উপাধি দেন

Q.6. কলিয়াভোমরা সেতু কখন তৈরি করা হয়?

ANS:- কলিয়াভোমরার স্মৃতি রক্ষার জন্য শিলঘাট এর কাছে ব্রম্মপুত্রের উপর নগাওঁ জিলাকে সংযোগ করে 1987 সালে 3015 মিটার দৈর্ঘ্যের বিখ্যাত কলিয়াভোমরা সেতু তৈরি করা হয়

Q.7. বদন চন্দ্র বরফুকনের কন্যা পিযৌ গাভরুকে কে বিয়া করেছিলেন?

ANS:- পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর পুত্র ওরেষাঁডনাথ বদন চন্দ্র বরফুকনের কন্যা পিযৌ গাভরুকে বিয়া করেছিলেন

Q.8. ওরেষাঁডনাথ কার পুত্র ছিলেন?

ANS:- পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর পুত্র ছিলেন

Q.9. পিযৌ গাভরু কার পুত্রী/কন্যা ছিলেন?

ANS:- বদন চন্দ্র বরফুকনের কন্যা ছিলেন

Q.10. লরারজা কে ছিলেন?

ANS:- 1810 সালে চন্দ্রকান্ত সিংহ অসমের আহোম রাজা হন অতি অল্প বয়সে রাজা হওয়ার জন্য উনাকে লরারজাও বলে

Q.11. পানিমোয়া বিদ্রোহ কাকে বলে?

ANS:- পানিমোয়া নামে এক বিদ্রোহী নেতা পূর্ণানন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিদ্রোহ রচনা করেন একে পানিমোয়া  বিদ্রোহ  বলে

Q.12. বদন চন্দ্র কোথায় গিয়ে মান রাজার সাক্ষাৎ করেছিলেন?

ANS:- বদন চন্দ্র  ব্রহ্মদেশর আমরাপুর গিয়ে মান রাজার সাক্ষাৎ করেন

Q.13. কার আমলে কোন স্থান/জায়গা মান সেনা প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়?

ANS:- মান রাজা বদৌপায়ার আমলে আরাকান দখল করার পর মারপুঁই দ্বীপপুঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর উপকূল রেখায় মান সেনা প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়

Q.14. কখন বদন চন্দ্র বরফুকন পাটকাই হয়ে অসমে প্রবেশ করেন?

ANS:- 1817 সালে 16 হাজার মান সৈন্য নিয়ে বদন চন্দ্র বরফুকন পাটকাই হয়ে অসমে প্রবেশ করেন

Q.15. মানের প্রথম আক্রমণের পর মান সৈন্য অসমে কয়মাস ছিলেন?

ANS:- মানের প্রথম আক্রমণের(1817)পর মান সৈন্য অসমে মাত্র এক মাস ছিলেন

Q.16. কোন সালে মানের প্রথম আক্রমণের হয়েছিল?

ANS:- 1817 সালে মানের প্রথম আক্রমণ হয়েছিল

Q.17. কোন যুদ্ধকে অসমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের শেষ যুদ্ধ বলা হয়?

ANS:- মান সেনার সঙ্গে চন্দ্রকান্ত সিংহের মহাগড়ের যুদ্ধই অসমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের শেষ যুদ্ধ বলা হয়

Q.18. কোন সময়কে মানের দিন বলা হয়?

ANS:- 1821 সাল থেকে 1825 সাল পর্যন্ত এই সময়সীমাকে মানের দিন বলা হয়

Q.19. গোয়াহাটি থেকে গোয়ালপাড়া পর্যন্ত অধিকৃত অসমের নিম্নঅঞ্চলের ইংরেজ শাসনকর্তা কে ছিলেন?

ANS:- গোয়াহাটি থেকে গোয়ালপাড়া পর্যন্ত অধিকৃত অসমের এই নিম্নঅঞ্চলের শাসনকর্তা ছিলেন কর্নেল রিচার্ডসন

Q.20. কোন সালে লেফটেন্যান্ট নিউভিলের নেতৃত্বে আসা ইংরেজি ফৌজ জোরহাট দখল করে?

ANS:-  লেফটেন্যান্ট নিউভিলের নেতৃত্বে আসা ইংরেজি ফৌজ 1825 সালের 17 জানুয়ারি জোরহাট দখল করে

Q.21. কখন এবং কার কার মধ্যে ইয়াণ্ডাবু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

ANS:- 1826 সালের 24 ফেব্রুয়ারি ইংরেজ কোম্পানি ব্রহ্মদেশের রাজার মধ্যে বিখ্যাত ইয়াণ্ডাবু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

Q.22. ইয়াণ্ডাবু চুক্তির কোন অনুচ্ছেদের সুবাদে ইংরেজ অসম অধিকার করেছিল?

ANS:- ইয়াণ্ডাবু চুক্তির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ অসম সম্পর্কে ছিল যার সুবাদে ইংরেজ অসমে অধিকার করেছিল

 

ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর

 

Q.1. বদন মান সেনার সঙ্গে কয় লিপিকার এসেছিলেন? তাদের লেখা দুইটি টিকা কি কি?

ANS:- বদন মান সেনার সঙ্গে দুইজন লিপিকার এসেছিলেন তাদের লেখা দুইটি টিকা হল বৈশালী হুকং  এবং বৈশালী মংদুন -  চুন - খাম

Q.2. 1817 সালের মানদের সামরিক অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল?

ANS:- 1817 সালের মানদের সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বদনবরফুকন এবং স্বর্গদেও চন্দ্রকান্ত সিংহকে রক্ষা করা

Q.3. সৎরাম বা চারিঙ্গীয়া ফুকন কে ছিলেন?

ANS:- সৎরাম নামের এক যুবক ছিল স্বর্গ দেও চন্দ্রকান্ত সিংহের বন্ধু তিনি সৎরামকেচারিঙ্গীয়া ফুকনখেতাব দিয়ে নিজের পাশে বসার আসন দিয়েছিলেন

Q.4. কিভাবে বদনের হত্যা করা হয়েছিল?

ANS:- বদনের হত্যা:-

1819 সালে বদনের কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে নুমালি  রাজমাও এবং কয়েকজন  রাজন্যবর্গ ষড়যন্ত্র করে রূপসিং নামে একজন সুবেদার কে দিয়ে বদন চন্দ্র বরফুকন কে হত্যা করানো হয় 

Q.5. যোগেশ্বর সিংহ কে ছিলেন?

ANS:- যোগেশ্বর সিংহ:- চন্দ্রকান্ত সিংহ মানের নির্দেশ অমান্য করলে মানরা যোগেশ্বর সিংহ কে রাজা বানায় 1821 সালে তিনি 1825 সাল পর্যন্ত মানের অধীন রাজা ছিলেন

Q.6. মান ভগনের দিন বলতে কি বোঝ?

ANS:- মান ভগনের দিন:- মানের দিনে মান সেনার লুটপাট, নির্যাতন, পাশবিক অত্যাচারে টিকতে না পেয়ে অসমীয়ারা নানা দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন একে মান ভগনের দিন বলা হয়

Q.7. দোয়নিয়া বলতে কি বোঝ?

ANS:- দোয়নিয়া:-মান  ভগনের  দিনে মানের ভূষণ ধরে অন্য কিছু লোক অসমীয়া দের উপর অত্যাচার করছিল তাদের কে বিদেশী ভেকধারী বা দোয়ানিয়া বলা হয়

Q.8. মানের আক্রমণের জন্য দায়ী দুইটি কারণ লেখ

ANS:- মানের আক্রমণের জন্য দায়ী:-

a) বদন চন্দ্র পূর্ণানন্দের মধ্যে থাকা গৃহবিবাদ পূর্ণানন্দের স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটাতে বদন চন্দ্র মানের সহায়তা নিয়েছিলেন

b) বদন চন্দ্র মানকে নিমন্ত্রণ করে আনায় তাকে প্রধান দায়ি বলা হয়

Q.9. কখন কিভাবে মানের বিরুদ্ধে ইংরেজের যুদ্ধের শুরুয়াত হয়?

ANS:- 1824 সালের 5 মার্চ গভর্নর জেনারেল লর্ড আমহার্স্ট বঙ্গদেশের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিন দিক থেকে আক্রমণ শুরু করেন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন  লর্ড ম্যাকমোরেইন, ডেভিড স্কট এবং স্যার আর্চিবেল ক্যাম্পবেল

Q.10. কোন সালে ইংরেজ সেনা গৌহাটি দখল করে?

ANS:- 1824 সালের 28 মার্চ ইংরেজ সেনা গৌহাটি দখল করে

 

বড় প্রশ্ন এবং উত্তর

 

Q.1. মানের অসম আক্রমণের রাজনৈতিক পটভূমি কি ছিল উল্লেখ কর।

ANS:- মানের  অসম আক্রমণের রাজনৈতিক পটভূমি:-

চিংফৌ মানরা উজান অসমের ব্যাঙমারায় (বর্তমানের তিনসুকিয়া) মোয়ারিয়াদের সাহায্য করেছিল কিন্তু পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর তৎপরতায় তাহা সম্ভব হয় নাই মরানদেরকে মটক রাজ্য প্রদান করেন চিংফৌ এবং খামতিদের নেতা বিচনাকে  রঙ্গীলি নামের আহোম যুবতীকে উপহার দিয়ে সদ্ভাব এর চেষ্টা করে বিছানা রঙ্গীলিকে মানের রাজা বদৌপায়াকে উপহার দেন কামরূপের হরদত্ত বীরদত্ত চৌধুরী বড়কান্দাজ সেনার সহায়তায় আহোম রাজার বিরুদ্ধে আক্রমণ করার জন্য নিম্ন অসমের আহোম শাসক বদনচন্দ্র বরফুকনকে দায়ী করে কলিয়াভোমরা কে দায়িত্ব দেন এতে তিনি অপমানিত হন এবং রঙ্গীলির সহায়তায় মান সেনা নিয়ে অসম আক্রমণ করেন   

Q.2. মানের অসম আক্রমণের কারণ সমূহ কি ছিল উল্লেখ কর।

ANS:- মানের অসম আক্রমণের কারণ:-

a).পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর দাম্ভিকতা প্রাধান্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রজার আর্থিক অবস্থা দুর্বল আমলাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে

b). 1810 সালে কমলেশ্বর সিংহের মৃত্যুর পর পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁই এক বালক চন্দ্রকান্ত সিংহকে রাজা বানিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ দিলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় পানিমোয়ার নেতৃত্বে

c). মোয়ামরিয়াদের বিদ্রোহ মান রাজাকে অসমের রাজনীতিতে প্রবেশের দোয়ার উন্মুক্ত করে

d). বদন   পূর্ণানন্দ বুঢ়াগোহাঁইর মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল কিন্তু ক্রমে বেড়ে যাওয়া বদনের অত্যাচার ষড়যন্ত্রের ফলে বদনকে ক্ষমতাচ্যুত করেন অবশেষে বদন চন্দ্র বঙ্গদেশে গিয়ে মান রাজার সহায়তা নিয়ে আহোম রাজ্য আক্রমণ করেন

Q.3. মান রাজা বদনকে সহায়তা করার কারণসমূহ উল্লেখ কর।

ANS:- মান রাজা বদনকে সহায়তা করার কারণ:-

a). মান রাজা আলং  পায়ারের আমল থেকেই ব্রহ্মদেশ রাজ্য সম্প্রসারণের জন্য আগ্রহী ছিল

b). মান রাজা রাজ্যের পশ্চিম দিকে রাজ্য বিস্তারের নীতি গ্রহণ করেছিলেন

c). মান রাজা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অসমকে প্রধান সেনা শিবির হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন

d). 40000 আর্কানি মানুষ ইংরেজের অধীন বঙ্গ দেশে শরণার্থী ছিল তাদেরকে নিয়ে মান ব্রিটিশ এর মধ্যে মনোমালিন্য ঘটে

e). রঙ্গীলি বদন চন্দ্রের পিসি ছিলেন তিনি মান রাজাকে সহায়তার অনুরোধ করলে মান রাজা সম্মত হয়ে বদন কে সাহায্য করতে রাজি হন

Q.4. ঘিলাধারির যুদ্ধের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

ANS:- 1817 সালের মানের প্রথম আক্রমণ ঘিলাধারির যুদ্ধ

16 হাজার মান সৈন্য নিয়ে পাটকাই হয় 1817 সালে বদন অসমে প্রবেশ করেন তাকে রুখতে পূর্ণানন্দ দামান গোহাই হাওবড়ার নেতৃত্বে  সৈন্য পাঠান তাদের মধ্যে ঘিলাধারিতে যুদ্ধ হয় যুদ্ধে মান সেনা জয়ী হয় দুঃখে  পূর্ণানন্দর মৃত্যু হয় তার পুত্র রুচিনাথ বুঢ়াগোহাঁই দিহিংএর পূর্বে কাঁঠাল বাড়িতে সৈন্য পাঠান এতেও তারা পরাস্ত হয় বদনকে রাজমাও প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রী  বরফুকন বানান

Q.5. 1819 সালের মানের দ্বিতীয় আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

ANS:- মানের দ্বিতীয় আক্রমণ 1819 সাল:-

বদন চন্দ্র রাজ্যে সর্বেসর্বা হইয়া পূর্ণানন্দ সমর্থকদের উপর অত্যাচার শুরু করেন রাজন্যবর্গরা ষড়যন্ত্র করে বদনকে হত্যা করা হয় রুচিনাথ বুঢ়াগোহাঁই চন্দ্রকান্ত সিংহকে নির্যাতন করে পুরন্দর কে রাজা বানান এর প্রতিশোধ নিতে আলুমিঙ্গীর নেতৃত্বে ব্রাহ্ম সেনা জাজির ফুলপানিতে আহোম সেনার সঙ্গে 1819 সালে যুদ্ধ হয় রুচি নাথ পুরন্দর পালিয়ে যায় মানরা পুনরায়  পুরন্দর সিংহকে রাজা বানায় রুচি নাথ পুরন্দর বঙ্গদেশে গিয়ে ইংরেজের আশ্রয় নেয় মিঙ্গীমাহা তিলোয়ারের নেতৃত্বে একদল মান সেনা  চন্দ্রকান্ত  এর সহায়তার জন্য রেখে আলুমিঙ্গি দেশে ফিরে যান 

Q.6. 1821 সালের মানের তৃতীয় আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

ANS:- মানের তৃতীয় আক্রমণ (1821 সাল):-

মিঙ্গীমাহা ফিরে যাওয়ার পর পুনরায় যাতে মান সেনা অসমের ঢুকতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে প্রবেশ পথ জয়পুরে চন্দ্রকান্ত সিংহ একটি গড় নির্মাণের আয়োজন করে এর দায়িত্ব দেওয়া হয় পাতাল বরবড়ুয়াকে অন্যদিকে বদৌপায়ার মৃত্যু হলে তার নাতি বাগদাও রাজা হন তিনি গড় নির্মাণের খবর পেয়ে সেনাপতি মিঙ্গীমাহা তিলোয়ারের নেতৃত্বে অসমে সেনাবাহিনী পাঠায় 1821 সালে মানসেনা আক্রমণ করে পাতাল বড়ুয়াকে হত্যা করে চন্দ্রকান্ত সিংহ প্রথমে গোয়াহাটি এবং পরে ইংরেজের আশ্রয় নেন 

Q.7. মানের অসম আক্রমণের ফলাফলগুলি বর্ণনা কর

ANS:- মানের অসম আক্রমণের ফলাফল:-

a). 600 বছরের  আহোম রাজত্বের অবসানের পথ প্রশস্ত হয়

b). আহোম রাজারা নাম মাত্র রাজা ছিলেন রাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজতন্ত্রে ষড়যন্ত্রের সৃষ্টি করে

c). আহোম স্বর্গদেও বা রাজারা ব্রহ্মদেশ এর রাজার অধীনস্থ হন

d). অর্থনৈতিক অবস্থার বিপর্যস্ত হয় উৎপাদন কমে যায় বাণিজ্য কমে যায় বণিকরা ব্যবসা করে না

e). সামাজিক জীবন ছিন্নভিন্ন হয় গ্রামগুলি শূন্য হয়ে যায় বহু প্রজা পালিয়ে যায় চাষাবাদ ব্যাহত হয় বনাঞ্চলে পরিণত হয়

f). 1824 থেকে 1826 সালে ইঙ্গ-বার্মার প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়

g). ইঙ্গ-বার্মার যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে 1826 সালের ইয়াণ্ডাবু সন্ধির মাধ্যমে এবং অসম সম্পূর্ণরূপে ইংরেজের হাতে যায় 

Q.8. প্রথম ইঙ্গ-বার্মার যুদ্ধ কয়টি রণাঙ্গনে সংঘটিত হয় ও কি কি?

ANS:- প্রথম ইঙ্গ-বার্মার যুদ্ধ চারটি রণাঙ্গনে সংঘটিত হয়:-

a)           ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা তথা আহোম রাজ্য

b)           কাছাড়

c)  মনিপুর এবং

d)           ব্রহ্মদেশ

Q.9. ইয়াণ্ডাবু সন্ধির শর্তসমূহ উল্লেখ কর  

ANS:- ইয়াণ্ডাবু সন্ধির শর্তসমূহ:

Ø যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বাবদ কোম্পানিকে মান রাজা এক কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়

Ø  আরাকান এবং  তেনাসেরিম প্রদেশ ব্রিটিশদের হাতে যায়

Ø  অসম কাছাড় এবং জৈন্তিয়ারাজ্যে মান এরা কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না

Ø  মানরা মনিপুরের রাজা গম্ভীর সিংহ কে রাজা মানতে বাধ্য হয়

Ø  আভায় একজন ব্রিটিশ রেসিডেন্ট থাকবে এবং কলকাতায় একজন মান আধিকারিক থাকবে

Q.10. টীকা লেখ – ইয়াণ্ডাবু সন্ধি

ANS:- ইয়াণ্ডাবু সন্ধি:-

1826 সালের 24 ফেব্রুয়ারি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মান রাজার মধ্যে ইয়াণ্ডাবু নামক স্থানে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে একটি সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয় যাকে  ইয়াণ্ডাবু সন্ধি বলে  সন্ধির শর্তসমূহ ব্রিটিশের অনুকূলে গিয়েছিল অসমে মানের ক্ষমতার অবসান ঘটে এবং ব্রিটিশ এর হাতে সম্পূর্ণরূপে অসম চলে যায় মানের শাসনে অতিষ্ঠ অসমের রাজা, প্রজা, বিশিষ্টজনেরা  টেরই পাননি কিভাবে ইংরেজ শাসন অসমে শুরু হল এই সন্ধি অসম তার নিকটবর্তী রাজ্যসমূহের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে 


****************************


Post a Comment

2 Comments

HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.