ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হবো-কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে;
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে;
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে;
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙা বায়; রাঙা
মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে।
পাঠের উদ্দেশ্য:
শিক্ষার্থীরা বাংলার
প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে। তাদের মনে নিজের দেশের প্রতি
মমত্ববোধের জাগরণ ঘটবে।
পাঠ-পরিচিতি:
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি কবির ‘রূপসী
বাংলা’ কাব্য থেকে নেয়া হয়েছে।
কবি এ কবিতায় দেখিয়েছেন যে, তিনি নিজের দেশকে খুবই
ভালোবাসেন। প্রিয় জন্মভূমির অত্যমত তুচ্ছ জিনিসগুলো তাঁর দৃষ্টিতে সুন্দর হয়ে ধরা
পড়েছে। কবি মনে করেন, যখন তাঁর মৃত্যু হবে তখন
দেশের সঙ্গে তাঁর মমতার বাঁধন শেষ হবে না। তিনি বাংলার নদী, মাঠ, ফসলের
খেতকে ভালোবেসে শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে এদেশে ফিরে আসবেন। আবার কখনও বা ভোরের কাক
হয়ে কুয়াশায় মিশে যাবেন। এমনও হতে পারে, তিনি
হাঁস হয়ে সারাদিন কলমির গন্ধে ভরা বিলের পানিতে ভেসে বেড়াবেন। এমনকি দিনের শেষে যে
সাদা বকের দল মেঘের কোল ঘেঁষে নীড়ে ফিরে আসে তাদের মাঝেও কবিকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
এভাবে তিনি বাংলাদেশের রূপময় প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাবেন।
কবি পরিচিতি:
জীবনানন্দ দাশকে বাংলা
সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি বলা হয়। তিনি পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) বরিশাল
শহরে ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সত্যানন্দ দাশ এবং
মাতার নাম কসম কুমারী দেবী। তিনি ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে
এম.এ. পাশ করেন। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় এবং
তিনি বিভিন্ন সময়ে কলকাতা সিটি কলেজ, দিল্লি
রামযশ কলেজ, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ, খড়গপুর কলেজ, বরিষা
কলেজ ও হাওড়া কলেজে অধ্যাপনা করেন। এক সময় তিনি সাংবাদিকতা পেশাও অবলম্বন করেছিলেন।
জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতির রং ও রূপের বিচিত্র প্রকাশ ঘটেছে।
অনেক অজানা গাছ, পশু-পাখি ও লতাপাতা তাঁর
কবিতায় নতুন পরিচয়ে ধরা পড়েছে। প্রকৃতিপ্রেমিক এই কবি প্রকৃতি থেকেই তাঁর কবিতার
রূপরস সংগ্রহ করেছেন। কবিতা ছাড়াও তিনি গল্প, উপন্যাস
ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
আধুনিক কবিদের মধ্যে তিনি
ছিলেন স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। তার কবিতায় যেমন, ইতিহাস
চেতনা, বিপন্ন মানবতার ব্যথায়
বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতা আছে, তেমনি আছে
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপ-রস-গন্ধের উপলব্ধি এবং জগতের প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি গভীর প্রেম। জীবনানন্দ দাশ অল্প বয়সেই
কাব্যচর্চা শুরু করেন। তবে তার প্রথম কবিতা ‘আবাহন’ প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে। তাঁর প্রথম
কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ঝরাপালক’। তার রচিত ‘বনলতা সেন’ আধুনিক
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য। তার রচিত অন্যান্য কাব্যের মধ্যে ‘রূপসী বাংলা’, ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘সাতটি তারার তিমির’ ও
‘মহাপৃথিবী’ বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টেবর এক ট্রাম দূর্ঘটনায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
শব্দার্থ :
শব্দার্থ
|
|
শঙ্খচিল
– |
এক ধরনের সাদা চিল। |
ঘুঙুর
– |
নূপুর, পায়ের অলংকার। |
ডাঙা
– |
শুকনো
জায়গা, স্থলভূমি। |
সুদর্শন
– |
এক
ধরনের গুবরে পোকা। |
লক্ষ্মীপেঁচা
– |
সুলক্ষণযুক্ত
পেঁচা। |
ডিঙা
– |
ছোট
নৌকা। |
নীড়ে
– |
পাখির
বাসায়। |
ধবল
– |
সাদা। |
নবান্ন
– |
নতুন ধানকাটার পর আমাদের
দেশে এ উৎসব হয়। এ উৎসবে দুধ, গুড়, নারকেলের সঙ্গে মিশিয়ে নতুন আতপ চালের ভাত খাওয়া হয়। |
ধানসিড়ি
– |
ঝালকাঠি জেলায় ধানসিড়ি
নামে একটি নদী ছিল। এখন নদীটি মরে গেছে। কবি তাঁর কবিতায় এ নদীটির নাম ব্যবহার
করেছেন। |
রূপসা
– |
খুলনা শহরের পাশ দিয়ে
প্রবাহিত একটি নদীর নাম। এ নামে ঝালকাঠি জেলায়ও একটি ছোট নদী আছে। |
জলাঙ্গী
– |
কবি এখানে নদীকে জলাঙ্গী
(অর্থাৎ জল যার অঙ্গে) নামে অভিহিত করেছেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে কবি জলাঙ্গীর
ঢেউয়ে ভেজা বাংলা বলেছেন। |
কার্তিকের
নবান্নের দেশে – |
কবি নিজের জন্মভূমি
বাংলাদেশকে নবান্নের দেশ বলেছেন। নবান্ন অর্থ নতুন ভাত। কার্তিক মাসে ঘরে নতুন
ধান তুলে কৃষকেরা নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে। |
কুয়াশা কুটিকা
|
শিশির |
বাংলায় |
বঙ্গদেশে |
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 ‘আবার আসিব
ফিরে’ কবিতার কবি কে?
Ans:- জীবনানন্দ
দাশ।
Q.2 কবির কবিতার
বিশেষ লক্ষণ কী?
Ans:- চিত্র
রুপময়তা।
Q.3 কবি জীবনানন্দ
দাশ রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থটির নাম কী?
Ans:- ‘বনলতা সেন’ ।
Q.4 কবি জীবনানন্দ
দাশ কর্মজীবনে কী করতেন?
Ans:- বিভিন্ন কলেজে
অধ্যাপনা।
Q.5 ‘আবার মাসিব
ফিরে’ কবিতাটি কবির কোন
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Ans:- রুপসী
বাংলা কাব্যগ্রন্থের।
Q.6 কবির মৃত্য
কীভাবে ঘটেছিল?
Ans:- ট্রাম
দুটিনায়।
Q.7 কবির জন্ম কোন্
নদীর ধারে হয়েছিল?
Ans:- ধান সিড়ি
নদীর ধারে।
Q.8 কবির কোন জন্মে
‘পায়ে ঘুঙুর থাকবে’ বলে বলেছেন?
Ans:- হাঁসরুপে
জন্ম।
Q.9 লক্ষ্মীপেঁচা কোন গাছের ডালে থাকে?
Ans:- শিমুল
গাছের ডালে।
Q.10 কবি কোন জন্মে ‘কুয়াশার বুকে কাঁঠাল-ছায়ায় আসিবেন’ বলে আশা করেন?
Ans:- ভোরের কাক
রূপে জন্মে।
Q.11 কবি জীবনানন্দ
দাশ কবে জন্মগ্রহণ করেন?
Ans:- ১৮৯৯ সালের
১৯ ফেব্রুয়ারি।
Q.12 ‘আবার আসিব
ফিরে’ কবিতায় কবি পরজন্মে কোন্ নদীর
ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করেছেন?
Ans:- জলাঙ্গী
নদীর ঢেউয়ের কথা।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 কবি জীবনানন্দ
দাশ রচিত চারটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
Ans:- ‘বনলতা সেন’, ‘সাতটি তারার তিমির’, ‘রূপসী বাংলা’ ও ‘মহাপৃথিবী’।
Q.2 কবির কাব্যগুলোতে
বিশেষত কী কী ভাবের আকর্ষণ বেশি দেখা যায়?
Ans:- কবির
কাব্যগুলোতে ইতিহাস-চেতনা,
বিপন্ন
মানবতার ব্যথা, বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতা, প্রকৃতি
চেতনা প্রভৃতি ভাবের আকর্ষণ বেশি দেখা যায়।
Q.3 ‘আবার আসিব
ফিরে’ কবিতায় কবি কোন্ কোন্ রূপে
পুনরায় জন্ম নিয়ে ফিরে আসতে চান?
Ans:- কবি ভোরের
কাক, শঙ্খচিল, শালিক, হাঁস, বক, কিশোর, লক্ষ্মীপেঁচা, সুদর্শন
এর মধ্যে যে কোনো একটি রূপে পুনরায় জন্ম নিয়ে ফিরে আসতে চান।
Q.4 কবি যখন হাঁস
হবেন তখন তিনি কী করবেন?
Ans:- কবি যখন
হাঁস রূপে জন্ম নেবেন তখন তিনি সারাদিন বাংলার কোন কলমি ঘেরা পুকুরের জলে সাঁতার
কেটে ভেসে বেড়াবেন।
Q.5 কবির জন্ম ও
মৃত্যু বিষয়ে লেখো।
Ans:- কবি
জীবনানন্দ দাশ পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) বরিশাল শহরে ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি
জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর ট্রাম দুর্ঘটনায় কলকাতায় মৃত্যু হয়।
Q.6 টীকা লেখো –
সুদর্শন, নবান্ন।
Ans:-
সুদর্শন - একপ্রকার পাখি দেখতে
খুব সুন্দর অথবা আকাশে উড়ন্ট ঘড়ি, ফড়িং
বা কাঁচপোকা জাতীয় একপ্রকার পতঙ্গ।
নবান্ন - পূর্ববঙ্গের (বর্তমান
বাংলাদেশ। গ্রামের মানুষদের পালন করা এক উৎসব। হেমন্তকালে বাংলার কৃষকরা শালিধান
কাটার পর নতুন ধানের নতুন চাল গ্রহণ করা উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক প্রকার বিশেষ উৎসব।
এ উৎসবের নাম নবান্ন উৎসব। এ সময় বাংলার ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার আসে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 কবি পুনঃজন্মে
বিশ্বাস করেন কী? এ বিষয়ে যা জান বর্ণনা করো।
Ans:- কবি পূনঃ
জন্মে বিশ্বাস করেন। আলোচ্য কবিতায় আমরা দেখতে পাই কবি তার উন্মভূমি রূপসী বাংলাকে
মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। তিনি বাংলার নদী, মাঠঘাটি, পশু-পাখি, গাছ-পালার প্রতি দুর্বার
আকর্ষণ অনুভব করেন। তিনি বাংলার নিসর্গ সৌন্দর্যে বিভোর। তাই
পরজন্মে মানুষ হয়ে জন্মাতে না পারলেও বিভিন্ন পশু পাখির মধ্যে নিজেকে ফিরে পাবার
আশা রাখেন।
Q.2 কবি হাঁস হয়ে
পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে চান কেন?
Ans:- কবি
জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। তিনি বাংলার মাঠ, ঘাট, পশু-পাখি, গাছলা
সব কিছুর প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। বাংলার সজল শ্যামল প্রকৃতি ও তার বুকে
লালিত পালিত মানুষ ও প্রাণীদের দেখে তার আশ মেটে না। তিনি বার বার এই রূপসী
বাংলায় ফিরে আসতে চান। তাই তিনি কলমির গন্ধ ভরা পুকুরের জলে ভাসমান হাঁসরূপে
পরজন্মে এই বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান।
Q.3 নবান্ন উৎসব কী? এ বিষয়ে কী জান লেখো।
Ans:- গ্রাম
বাংলায় নতুন ধান কাটার পর বাঙালির ঘরে ঘরে যে উৎসব পালিত হয়, তাকে নবান্ন উৎসব বলা হয়। হেমন্তকালে
বাংলাদেশে শালিধান কাটার পর কৃষকরা নতুন ধান থেকে নতুন চালের অন্ন গ্রহণ করা
উপলক্ষে এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবই নবান্ন উৎসব। তাই প্রতি বছর শালিধান
কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এই উৎসব পালিত হয়।
Q.4 টীকা লেখো –
জলাঙ্গী, ধানসিড়ি।
Ans:-
জলাঙ্গী - জলাঙ্গী পূর্ববঙ্গ তথা
বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য নদী। এটি একটি ছোট নদী। কিন্তু বর্ষায় এই নদী বেশ
খরস্রোতা হয়ে ভীষণরূপ ধারণ করে। নদীটি মেঘালয়ের শিলং থেকে অসমের উপর দিয়ে
প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বাংলার কৃষিকাজে এই নদীর জল অত্যন্ত সহায়ক
হয়।
ধানসিড়ি - ধানগিড়ি
বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি ছোট্ট নদী। এই নদীতে বছরের বেশিরভাগ সময়
জাল থাকে না। এই নদীর স্রোত শান্ত ও ধীর প্রকৃতির। এই নদীর জলে হাঁস, বক খেলা করে মাছ ধরে। এই নদীটি বাংলাদেশের
শীহট্ট, বরিশালের উপর দিয়ে
প্রবাহিত। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় এই নদীটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
Q.5 “ভোরের কাক
হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে” - উদ্ধৃতাংশটির
অন্তর্নিহিত অর্থ কি?
Ans:- ‘কার্তিকের
নবান্নের দেশে’ বলতে কবি জীবনানন্দ দাশ এখানে রূপসী
বাংলাদেশের কথা বলেছেন। এই বাংলার মাটিতে মানুষ, পশু, পাখি
যে কোনো রূপে কবি বার বার ফিরে আসতে চেয়েছেন। তার বিশ্বাস মৃত্যুর পর হয়তো বা
তিনি কোন এক কাক রূপে এই বাংলায় ফিরে আসতে পারেন। তাই উদ্ধৃতাংশটিতে রূপসী
বাংলাদেশে কবির ফিরে আসার আকুতি বার বার ধ্বনিত হয়েছে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.6 ‘আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’ - এই উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করো।
Ans:- ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ মানুষের রূপে না
হলেও অন্য যে কোনো রূপে ফিরে আসতে চান। তিনি ফিরে আসতে চান ধানসিড়ি নদীর তীরে শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে।
কুয়াশার ভোরের কাক হয়ে ফিরে আসতে চান। হয়তো বা তিনি কলমির গন্ধে ভরা পুকুরে
সারাদিন সাঁতার কেটে ভেসে বেড়ানো হাঁস হয়ে আসবেন। সন্ধ্যার আকাশে তিনি সুদর্শন
হয়ে উড়বেন। শিমুলের ডালে কোনো এক লক্ষ্মীপেঁচা হয়ে ডাকতে পারেন। আবার সাদা পালতোলা
ডিঙা বাইতে থাকা কিশোরের মধ্যেও কবিকে দেখা যেতে পারে। এদের ভিড়ে আমরা অবশ্যই
কবিকে খোজে পাব বলে কবির দৃঢ় বিশ্বাস।
Q.7 কবি জীবনানন্দ
দাশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
Ans:- কবি
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি পূর্ববঙ্গের
(বর্তমান বাংলাদেশ) বরিশাল শহরে ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রবীন্দ্র
পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন। তার রচনায় ইতিহাস চেতনা, বিপন্ন মানবতার ব্যথায় বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতা, ইনিয় গ্রাহ্য রূপ রস গন্ধ স্পর্শের উপলব্ধি, জগতের প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি গভীর আকর্ষণের
ভাবধারা পরিলক্ষিত হয়। তার রচিত ‘বনলতা
সেন’ 'আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ
কাবাগ্রন্থ। কবি জীবনানন্দ দাশের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ঝারাপালক’। তার রচিত অন্নান্য
কাব্যগ্রন্থগুলি হল রুপসী বাংলা, ধূসর পাণ্ডুলিপি ও সাতটি তারার তিমির।
১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর
ট্রাম দুর্ঘটনায় কলকাতায় মৃত্যু হয়।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.1 “এই কার্তিকের
নবান্নের দেশে” - এর অর্নহিত ভাব প্রকাশ করো।
Ans:- কবি
জীবনানন্দ দাশ গ্রাম বাংলার নিসর্গ সৌন্দর্যে বিভোর। তাই তিনি মৃত্যুর পরও পুনরায়
এর বুকেই ফিরে আসতে চান। আলোচ্য কবিতায় তার সেই দৃঢ় বিশ্বাসই ফুটে উঠেছে। ‘কার্তিকের
নবান্নের দেশে’ বলতে কবি এখানে রূপসী বাংলাদেশের কথা বলেছেন। এই রূপসী বাংলায় জন্মে
তিনি গর্বিত। কার্তিক মাসে শালিধান কেটে ফসল ঘরে তোলার পর বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয়
নবান্নের উৎসব। প্রতিটি বাঙালির ঘরে আসে খুশির জোয়ার। তাই তিনি তার জন্মভূমি
বাংলাদেশকে ‘কার্তিকের নবান্নের দেশ’ বলেছেন এবং পরজন্মে ভোরের কাক হয়ে এই
নবান্নের দেশে অর্থাৎ রূপসী বাংলায় ফিরে আসতে চান।
Q.2 ‘আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’ - কবি পুনরায় জন্মগ্রহণ করে কাদের ভিড়ে ফিরে আসতে
চান, বর্ণনা করো।
Ans:- কবি
জীবননান্দ দাশ বাংলার নদী-মাঠ-খেতকে মনে প্রাণে ভালোবেসেছেন। তাই তিনি যে-কোনো
রূপে এই বাংলার বুকে ফিরে আসতে চেয়েছেন। মানুষ রূপে না হলেও অন্য কোনোরূপে কবি এই
বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান পরজন্মে। তিনি বলেছেন ধানসিড়ি নদীর তীরে নিজ গ্রামে
একদিন ফিরে আসবেন শঙ্খচিল বা শালিকরূপে। হয়তো বা কলমির গন্ধে ভরা পুকুরের নির্মল
জলে হাঁস হয়ে সাঁতার কাটবেন। হয়তো বা সন্ধ্যার আকাশে সুদর্শন হয়ে উড়বেন। শিমুলের
ডালে বসে ডাকতে থাকা কোনো এক লক্ষ্মীপেঁচা হয়েও ফিরে আসতে পারেন। আবার উঠোনের
ঘাসে বসে ধান ছড়াতে থাকা কোনোও এক শিশুরূপে ফিরে আসতে পারেন। রূপসার ঘোলা জলে
সাদা ছেড়া পাল তোলা ডিঙা বাইতে থাকা কোনও এক কিশোরের বেশেও তিনি এই বাংলায় ফিরে
আসতে পাবেন। হয়তো বা সন্ধ্যায় রাঙা মেঘ সাঁতরে নীড়ে ফিরে আসা একঝাক সাদা বকের
মধ্যে তাকে দেখা যেতে পারে। তাই কবি বলেছেন পরজন্মে তাকে এদের ভিড়েই খোজে পাওয়া
যাবে।
Q.3 কবিতাটির
সারাংশ সংক্ষেপে ব্যক্ত করো।
Ans:- সারাংশ :
কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার
মাটি, নদী, প্রকৃতি ও মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। তাই
জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী কবি আবার এই বাংলায় ফিরে আসতে চান। তিনি ধান সিড়ি নদীর
তীরে কোথাও জন্ম নিতে চান! হয়তো তিনি মনুষ্যরূপে জনু নাও নিতে পারেন, তবে শঙ্খচিল, শালিক
বা ভোরের কাক হয়েও জন্ম নিতে পারেন। কার্তিক মাসে ফসল ঘরে তোলার পর বাংলার ঘরে
ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব। মেতে উঠা এই নবান্ন উৎসবে কুয়াশায় কবি ভেসে আসবেন
একদিন কাঠাল ছায়ায়। হয়তো বা হাঁস হবেন। সারাদিন তার কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা
বাংলার খাল-বিলের জলের উপর ভেসে ভেসে। তিনি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেতকে গভীরভাবে
ভালোবাসেন। তাই কবি হয়তো বাংলার মাঠে, ঘাটে, ক্ষেতে, জলাঙ্গীর
ডাঙায় কোন প্রাণীর মধ্যে মিশে থাকতে পারেন । হয়তো তিনি হতে পারেন শিমুল গাছের
ডালে বসে ডাকতে থাকা এক শ'স্পেশ্চাও। আবার তাকে দেখা
যেতে পারে উঠোনের ঘাসে ধান ছড়াতে থাকা এক শিশুর মধ্যে কিংবা বুপসা নদীর ঘোলা জলে
সাদা ছেড়া পাল তুলে ডিঙা বাইতে থাকা কোন এক কিশোরের মধ্যে। তিনি ফিরে আসতে পারেন রাঙা মেঘের ভেতর
দিয়ে সন্ধ্যার আকাশে নীড়ে ফিরে আসা কোন সাদা বকের প্রতি ছিবির মধ্যে। পরনে এদের
সবার ভিড়ে কবি নিজেকে ফিরে পেতে চান। কবির এ বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে কবিতায় ফুটে
উঠেছে।
Q.4 ‘আবার আসিব
ফিরে’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা
বিচার করো। Ans:- নামকরণঃ
কৰি বাংলার নিসর্গ
সৌন্দর্যে বিভোর। কবি জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। পরজন্মে তিনি এই বাংলার বুকেই
জন্মগ্রহণ করতে চান। হয়তো ব্য তিনি মানুষ না হয়েও জন্মাতে পারেন। তবে বাংলার
প্রকৃতির পটে বিচরণশীল পশু, পাখি ও মানুষের ভিড় কোনো
না কোন রুপে থাকবেনই। তিনি পুনরায় বাংলার বুকে
জন্ম নেবেন। তিনি ফিরে আসবেন
ধানসিড়িটির তীরে, হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে। কবির ধারণা তিনি হয়তো ভোরের কাক, হয়তো বা সাদা বক হয়ে জন্ম নিয়ে ফিরে
যাবেন। অথবা পরনে শিমুল গাছে বসে ডাকতে থাকা কোন লক্ষ্মীপেঁচা হয়ে আসবেন। তিনি
হয়তো হাঁস হয়ে কলমির গন্ধভরা বাংলার খাল বিলের জলের উপর ভেসে সারাদিন কাটিয়ে
দিতে পারেন। আবার তিনি থাকতে পারেন উঠোনের ঘাসে ধান ছড়াতে থাকা কোন এক শিশুর
মধ্যে কিংবা থাকতে পারেন রূপসানদীর ঘোলা জলে সাদা ছেড়া পাল তুলে ডিঙা বাইতে যাওয়া
কোন এক কিশোরের মধ্যে। তিনি ফিরে আসতে পারেন রাঙা মেঘ সাঁতরে সন্ধ্যার আকাশে নীড়ে
ফিরে আসা কোন ধবল বকের প্রতিচ্ছবির মধ্যে। কবি আবার এদের ভিড়ে নিজেকে ফিরে পেতে
চান পরজন্মে। কবির এ বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে তার কবিতায় ফুটে। উঠেছে। তাই আলোচ্য কবিতার
নামকরণ ‘আবার আসিব ফিরে’ সার্থক হয়েছে।
Q.5 ব্যাখ্যা লেখো - ‘ভোরের কাক হয়ে এই নবান্নের
দেশে’।
Ans:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটি কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আবার
আসিব ফিরে’ শীর্ষক কবিতা হতে গৃহীত
হয়েছে। কবি এখানে পরজন্মে মানুষ রুপে না হলেও অন্য যে কোন রুপে ফিরে আসতে চেয়েছেন।
কবি গ্রাম বাংলার অনন্ত
সৌন্দর্যে বিভোর। এই বাংলার বুকে তিনি মানুষ রূপে না হলেও অন্য যে কোনো কালে যে
কোন রুপে ফিরে আসতে চেয়েছেন। হয়তো ভোরের কাক হয়ে ফিরে আসতে পারেন। এখানে
নবান্নের দশ বলতে বাংলাদেশের সব ঘরে কার্তিক মাসের শেষে শালিধান কেটে ঘরে তোলার পর
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়।তাই কবি বাংলাকে ‘নবান্নের
দেশ’ বলেছেন এবং পরজন্মে কবি এই নবান্নের দেশে ভোরের কাক
হয়ে ফিরে আসতে চেয়েছেন।
Q.6 ব্যাখ্যা লেখো
- “বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে”।
Ans:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটি কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আবার
আসিব ফিরে’ কবিতার অংশ বিশেষ। উদ্ধৃত
অংশে কবির সমস্ত মনের বাসনা,
সমস্ত
অনুভূতি গ্রাম বাংলাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।
কবি জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী।
তিনি পরজন্মে তার জন্মভূমি রূপসী বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান। কারণ বাংলার নদী, মাঠ, খেত
সবকিছুকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসেন। বাংলার চিরন্তন রূপ দেখে
তার আশা মেটে না। তিনি বার বার বাংলার নিসর্গ সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করতে চান। বাংলার
নদী-মাঠ-খেতের সঙ্গে কবির গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক। তাই পরজন্মেও এই বাংলার বুকে
জন্ম নিতে চান। কারণ তিনি এই বাংলার নদী মাঠ, খেত
সবকিছুকেই মনে প্রাণে ভালোবাসেন।
Q.7 ব্যাখ্যা লেখো
- ‘আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’।
Ans:- উদ্ধৃতাংশটি
কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার অন্তর্গত। কবি এখানে যে কোন রূপে
বাংলার বুকে ফিরে আসতে চেয়েছেন।
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ মানুষের রূপে না
হলেও অন্য যে কোনো রূপে ফিরে আসতে চান। তিনি ফিরে আসতে চান ধানসিড়ি নদীর তীরে শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে।
কুয়াশার ভোরের কাক হয়ে ফিরে আসতে চান। হয়তো বা তিনি কলমির গন্ধে ভরা পুকুরে
সারাদিন সাঁতার কেটে ভেসে বেড়ানো হাঁস হয়ে আসবেন। সন্ধ্যার আকাশে তিনি সুদর্শন
হয়ে উড়বেন। শিমুলের ডালে কোনো এক লক্ষ্মীপেঁচা হয়ে ডাকতে পারেন। আবার সাদা
পালতোলা ডিঙা বাইতে থাকা কিশোরের মধ্যেও কবিকে দেখা যেতে পারে। এদের ভিড়ে আমরা
অবশ্যই কবিকে খোজে পাব বলে কবির দৃঢ় বিশ্বাস।
Q.8 ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি কোথায় এবং কেন ফিরে আসতে চেয়েছেন?
Ans:- কবি
জীবনানন্দ দাশ বাংলার মাটি, নদী, প্রকৃতি ও মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। তাই
জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী কবি আবার এই বাংলায় ফিরে আসতে চান। তিনি ধান সিড়ি নদীর
তীরে কোথাও জন্ম নিতে চান! হয়তো তিনি মনুষ্যরূপে জনু নাও নিতে পারেন, তবে শঙ্খচিল, শালিক
বা ভোরের কাক হয়েও জন্ম নিতে পারেন। কার্তিক মাসে ফসল ঘরে তোলার পর বাংলার ঘরে
ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব। মেতে উঠা এই নবান্ন উৎসবে কুয়াশায় কবি ভেসে আসবেন
একদিন কাঠাল ছায়ায়। হয়তো বা হাঁস হবেন। সারাদিন তার কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা
বাংলার খাল-বিলের জলের উপর ভেসে ভেসে। তিনি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেতকে গভীরভাবে
ভালোবাসেন। তাই কবি হয়তো বাংলার মাঠে, ঘাটে, ক্ষেতে, জলাঙ্গীর
ডাঙায় কোন প্রাণীর মধ্যে মিশে থাকতে পারেন । হয়তো তিনি হতে পারেন শিমুল গাছের
ডালে বসে ডাকতে থাকা এক শ'স্পেশ্চাও। আবার তাকে দেখা
যেতে পারে উঠোনের ঘাসে ধান ছড়াতে থাকা এক শিশুর মধ্যে কিংবা বুপসা নদীর ঘোলা জলে
সাদা ছেড়া পাল তুলে ডিঙা বাইতে থাকা কোন এক কিশোরের মধ্যে। তিনি ফিরে আসতে পারেন রাঙা মেঘের ভেতর
দিয়ে সন্ধ্যার আকাশে নীড়ে ফিরে আসা কোন সাদা বকের প্রতি ছিবির মধ্যে। পরনে এদের
সবার ভিড়ে কবি নিজেকে ফিরে পেতে চান। কবির এ বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে কবিতায় ফুটে
উঠেছে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
পাঠ অনুসরণে
Q.1 শূন্যস্থান
পূর্ণ করো :
(ক) রূপসার ___ জলে হয়তো ___ এক শাদা ছেঁড়া পালে ___ বায়;
Ans:- রূপসার ঘোলা
জলে হয়তো কিশোর এক শাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়;
(ক) শুনিবে এক ___ ডাকিতেছে ___ ডালে,
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে
শিশু
এক উঠানের ঘাসে।
Ans:- শুনিবে এক লক্ষ্মী পেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের
ডালে,
হয়তো খইয়োর পান ছড়াতেছে শিশু
এক উঠানের পাসে।
(গ) আবার আসিব ফিরে আমি ___ নদী মাঠ খেত
___, ___
ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ ___ সবুজ করুণ ___।
Ans:- আবার আসিব
ফিরে আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে, জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ
সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
পাঠনির্ভর ব্যাকরণ
Q.2 (ক) পদ
পরিবর্তন করো।
করুণ, সন্ধ্যা, মানুষ, মাঠ, জল, শিশু, রাঙা, সাদা, কিশোর, নাশ, অন্তর, আদি, সময়, সম।
Ans:- করুণ -
কারুণ্য। সন্ধ্যা - সান্ধ্য। মানুষ - মনুষ্যত্ব। মাঠ - মেঠো। জল - জলীয়।
শিশু - শৈশব। রাঙা - রঙিন। সাদা -
সাদাটে। কিশোর - কৈশোর। নাশ - নাশকতা। অন্তর -
আন্তরিক। আদি - আদ্য। সময় - সাময়িক। সম - সমতা।
Q.3 সরল, যৌগিক ও জটিল বাক্য কাকে বলে উদাহরণসহ লেখো।
Ans:- সরল, যৌগিক ও জটিল বাক্য|
সরল বাক্য : যে সকল বাক্যে
একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি বিধেয় নিয়ে গঠিত হয় তাদের বলা হয় সরল বাক্য। যেমন
- আমি ভাত খেয়েছি। বাবা দিল্লী গিয়েছেন। মিথ্যাবাদী রামকে সকলে ঘৃণা করে।
জটিল বাক্য : যে বাক্যে
পরস্পরের উপর একাধিক নির্ভরশীল উপাদান বাক্য থাকে তাকে জটিল বাক্য বলে।
যেমন –
১। আমি স্বপ্নেও কল্পনা
করতে পারিনি যে তুমি এমন একটি আকাট মিথ্যে কথা বলবে।
২। যদিও লোকটি যথেষ্ট
বিদ্বান তবুও সে ভীরু।
৩। যে ব্যক্তি পরের উপকার
করে সে কখনও প্রতিদান আশা করে না। যৌগিক
বাক্য : একাধিক সরলবাক্য যখন অব্যয় পদ দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণ বাক্য গঠন
করে তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যেমন –
১। বিধান এখানে এসেছিল
কিন্তু আমি তাকে দেখিনি।
২; সে কোনো দোষ করেনি তবু তার শাস্তি হল।
৩। অভয় যখন পেয়েছি অতএব
সত্য কথাটাই বলব।
Q.4 সরল, যৌগিক ও জটিল বাক্যের আরও তিনটি করে নিজে বাক্য তৈরি করো।
Ans:-
সরল বাক্য :
(১) তিনি এখন অফিসে যাবেন।
(২) কাল আমি স্কুলে যেতে
পারিনি।
(৩) তাকে আমি চিনি।।
জটিল বাক্য :
(১) আমি জানি সে কোথায় থাকে।
(১) যে ছেলেটি কাজ এসেছিল
তাকে আমি চিন।
(৩) মে কলামটি হেরেছে তা
আমার বাবা দিয়েছিলেন।
বৌগিক বাক্য:
(১) তিনি এলে তলে আমি যাবো।।
(১) পড়তে শসা এশং স্কুলের
পড়া শেখা।
Q.5 এক কথায়
প্রকাশ করো। (বাক্য সংকোচন)।
যা জানার যোগ্য বা জানতে
হবে =
জ্ঞাতব্য।
যা কখনও ভাবা যায় না = অভাবনীয়।
পতিপূত্রহীনা নারী = অবীরা।
যিনি কম কথা বলেন = মিতভাষী, স্বল্পবাক।
পক্ষীর কলরব = কূজন।।
ময়ূরের ডাক = কেকা।
একই মায়ের পূত্র = সহোদর।
মানুষের হাড় = অস্থি।
যিনি দ্বার পরিগ্রহ করেন
নাই = অকৃতদ্বার।
ভোজন করিবার ইচ্ছা = বুভুক্ষা।
যে নারীর সম্প্রতি বিবাহ
হয়েছে = নবোঢ়া।
যাহার দুই হাত সমান চলে = সব্যসাচী।
বিচলিত মন যার = বিমনা।
যে বস্তু পেতে ইচ্ছা করা
যায় = ইঙ্গিত।
রাত্রিকালীন যুদ্ধ = সৌপ্তিক।
রক্তবর্ণ-পদ্ম = কোকনদ।
কুমারীর পুত্র =
কৌমারীকেয়।
বিফর গদা = কৌমুদকী।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খ =
পাঞ্চজন্য।
হস্তীর শাবক = কড়ভ
হাতী বাধার স্থান = বারী।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
অতিরিক্ত কর্ম-অনুশীলন
নমুনা প্রশ্ন
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
Q.1 ধানসিঁড়ি কিসের
নাম?
ক. নদীর
খ. শহরের
গ. ধানের
ঘ. গ্রামের
Q.2 ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি
কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
ক. ধূসর পান্ডুলিপি
খ. রূপসী বাংলা
গ. ঝরাপালক
ঘ. বনলতা সেন
Q.3 ‘সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে’-এখানে সারাদিন কেটে যাবে কার?
ক. হাঁসের
খ. কিশোরীর
গ. কাকের
ঘ. কবির
Ans:- নিজে
চেষ্টা করো।
Q.4 ভালোভাবে পড়ে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও।
বাংলার হাওয়া বাংলার জল
হৃদয় আমার করে সুশীতল
এত সুখ শান্তি এত পরিমল
কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া।
ক. ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি কোন কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে?
Ans:- ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি ‘রূপসী
বাংলা’ কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
খ. ‘আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’ - বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
Ans:- ‘আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’- এই উক্তি দ্বারা কবি বুঝাতে চেয়েছেন যে মৃত্যুর পরও বাংলার
প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে কবির উপস্থিতি থাকবে।
কবি এদেশের প্রকৃতি ও জীবনধারাকে এত
ভালোবেসেছেন যে, তাঁর বিশ্বাস মৃত্যুর পরও এই সম্পর্ক অটুট
থাকবে। মৃত্যুর পর কবি অন্যরূপে শঙ্খচিল, শালিক বা লক্ষ্মীপেঁচা হয়ে এই বাংলার প্রকৃতির কাছাকাছি
বসবাস করবেন। বাংলার প্রকৃতির এই সব সত্তার মধ্যেও কবিকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
গ. উদ্দীপক অবলম্বনে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দাও।
Ans:- উদ্দীপকের কবিতাংশ এবং ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার।
যুগের পর যুগ কবিরা এদেশের প্রেমে মুগ্ধ হয়ে কাব্য রচনা করেছেন। প্রকৃতির
সৌন্দর্যের নানা দিক বাণীরূপ দিয়েছেন তাঁদের কবিতায়।
উদ্দীপকে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা
বলতে গিয়ে কবি বলেন, বাংলার বাতাস কবির হৃদয় সুশীতল করে। কবির হৃদয়ে
প্রশান্তির ছোঁয়া বুলিয়ে দেয়। এছাড়া বাংলার জলে তৃপ্ত হয় তৃষ্ণার্ত আত্মা। এত সুখ
এ বাংলা ছাড়া আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। কবিতাটিতেও বাংলার অপরূপ এ রূপের বা
সৌন্দর্যের প্রকাশ দেখা যায়। কবি বলেছেন- ‘কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়, হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়।’
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায়ও কবি বাংলার প্রকৃতির বিভিন্ন দিককে তাঁর কবিতায়
তুলে ধরেছেন। এদেশের নদী, পাখি, মাঠ-ঘাট সবকিছুর মধ্যেই তিনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। বাংলার
ভোরের কাক থেকে শুরু করে শালিক, শঙ্খচিল, এমনকি সন্ধ্যার আকাশে উড়ন্ত সুদর্শনও কবিকে মুগ্ধ করেছে।
বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি প্রকৃতির মধ্যেই মিলেমিশে একাকার হয়েছেন।
উভয় কবির অনুভবেই বাংলার প্রকৃতির তুলনা প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. ‘কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া’- কথাটির সঙ্গে
কবি জীবনানন্দ দাশের বাংলায় ফিরে আসার আকাক্সক্ষা কীভাবে সম্পর্কিত- আলোচনা কর।
Ans:- উদ্দীপকের ‘কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া’ কথাটি কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতির অনুষঙ্গ হয়ে আবার
বাংলায় ফিরে আসার আকাক্সক্ষার সাথে সম্পর্কিত।
বাংলাদেশ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার।
যুগের পর যুগ কবিরা এদেশের প্রেমে মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের কাছে মনে হয়েছে এত সুন্দর
দেশ আর কোথাও নেই।
বাংলার নদী, মাঠ, ক্ষেত, সকালের কুয়াশা, কলমির গন্ধভরা জল, সাদা বক হয়ে মেঘের কোলে ঘুরে বেড়ানো সবই কবিকে দেশের
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নেশায় মাতাল করেছে। কবি বাংলার এই অপরূপ রূপ কখনো ভুলতে
পারবেন না। তাই কবি জীবনানন্দ দাশ মৃত্যুর পরও আবার বাংলায়ই ফিরে আসতে চান। মানুষ
না হয়ে শালিক, শঙ্খচিল বা কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে পারলেও
কবি খুশি। তেমনি উদ্দীপকের কবিও বাংলার রূপে মুগ্ধ। বাংলার জল, হাওয়া কবির হৃদয়কে সুশীতল করে। কবির দেহ ও মনে ছড়িয়ে দেয়
প্রশান্তির অনুভূতি। বাংলা ছাড়া আর কোথাও এমন সুখ-শান্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি
বিশ্বাস করেন।
তাই এ কথা বলা যায় যে, গভীর দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি অপরিসীম আবেগের দিক দিয়ে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার কবি এবং উদ্দীপকের কবির আকাক্সক্ষা ও অনুরাগ
সাদৃশ্যপূর্ণ।
Q.5 ভালোভাবে পড়ে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও।
এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই যমুনা, সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়।
এ আমার দেশ এ আমার প্রেম,
কত আনন্দ বেদনা মিলন বিরহ সংকটে।
এই মধুমতী ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে।
ক. শিমুলের ডালে কী ডাকছে?
Ans:- শিমুলের ডালে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকছে।
খ. ‘রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে দেখিবে ধবল বক’ চরণটি বুঝিয়ে দাও।
Ans:- ‘রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে দেখিবে ধবল বক’ চরণটিতে কবির দেশের বুকে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত
হয়েছে।
ধবল বক দিন শেষে গোধূলিবেলায় রাঙা মেঘ
সাঁতরায়ে নীড়ে ফিরে আসে। কবিও সেভাবে দেশের বুকে ফিরে আসতে চান। মৃত্যুর পরেও
তিনি প্রকৃতির মধ্যেই ফিরে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। বক হয়ে তিনিও যেন রাঙা মেঘ
সাঁতরায়ে নীড়ে ফিরে আসবেন।
গ. উদ্দীপকের বর্ণনা যেন ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলারই চিত্র—ব্যাখ্যা করো।
Ans:- উদ্দীপকে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বর্ণনায় ‘আবার আফিস ফিরে’ কবিতার জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার চিত্র অত্যন্ত
নিখুঁতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
উদ্দীপকে বাংলার একটি চমত্কার ছবি ফুটে
উঠেছে। যেখানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, মধুমতী, ধানসিঁড়ি
নদীর উল্লেখ করা হয়েছে। নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে কবির রাখালমন গান গেয়ে
ওঠে। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায়ও বাংলার নদী-মাঠ-খেত ভালোবেসে কবি মৃত্যুর পরে আবার
এই বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছেন। কবি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে, কিশোর হয়ে রূপসার ঘোলা জলে ডিঙা বাইতেও চেয়েছেন। কবি
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা, অর্থাত্ নদীমাতৃক এই বাংলার সবুজ ডাঙায় ফিরে
আসতে চেয়েছেন। উদ্দীপকের বর্ণনায়ও যেন জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার রূপটিই ফুটে
উঠেছে।
ঘ. ‘এ আমার দেশ এ আমার প্রেম’—এ প্রেমই কবি
জীবনানন্দকে আবার বাংলায় ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত করেছে। মন্তব্যটির যথার্থতা লেখো।
Ans:- উদ্দীপকে দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই প্রেমের জন্য অর্থাত্ দেশের প্রকৃতি, মানুষ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির
প্রতি গভীর মমত্ববোধের কারণেই কবি জীবনানন্দ দাশ আবার বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছেন।
উদ্দীপকের কবি বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমার তীরে কবির রাখালমন গান গেয়ে দেশপ্রেমের কথা প্রকাশ
করেছে। আনন্দ-বেদনা, মিলন-বিরহের সংকটেও কবি দেশের প্রতি ভালোবাসা
অনুভব করেন। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার জীবনানন্দ দাশও এ দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসেন।
‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ দেশকে গভীরভাবে ভালোবেসে এ দেশের
বুকে ফিরে আসতে চেয়েছেন। উদ্দীপকে বাংলাদেশের নদীর তীরে মন হারিয়ে কবি বুঝতে
পেরেছেন, এ দেশই তাঁর প্রেম। মৃত্যুর পরেও যেন দেশের
সঙ্গে মমতার বন্ধন অটুট থাকে, এ
জন্য কবি আবার জন্মগ্রহণ করতে চেয়েছেন। যদি মানুষ হয়ে না ফিরতে পারেন প্রকৃতির
যেকোনো তুচ্ছ উপাদানের মধ্যেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে চেয়েছেন। মৃত্যুর পরও
তিনি এই দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন, যা
উদ্দীপকে যে দেশপ্রেমের কথা বলা হয়েছে তারই প্রতিফলন।
স্বদেশপ্রেম প্রত্যেক মানুষের কাছেই একটি
মহত্ গুণ। স্বদেশের প্রেমের মাধ্যমে একজন মানুষের মুল বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি বাংলার নদী, মাঠ, খেত ভালোবেসে, শঙ্খচিল শালিকের বেশে, ভোরের কাক হয়ে ফিরে আসতে চান। দেশের প্রকৃতির সঙ্গে মিশে
যেতে চান। তিনি এই বাংলায় যে সুখ পেয়েছেন, তা আর কোথাও পাবেন না। দেশের প্রতি এই গভীর প্রেমই কবি
জীবনানন্দ দাশকে আবার বাংলায় ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত করেছে। উদ্দীপকেও এই দেশপ্রেম
নিবিড়ভাবে ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার মূল আদর্শই এই দেশের প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে
দেশের প্রতি গভীর অনুরাগ বা দেশপ্রেম ফুটিয়ে তোলা।
সৃজনশীল প্রশ্ন:
Q.1 পল্লীর সন্তান অমিত
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষার্থে ফ্রান্স যায়। সেখানকার
সুপ্রস্ত রাজপথ, উদ্যান, নির্মল প্রকৃতি তার খুব ভালো লাগে। রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন, বাস-স্টপেজ
সব জায়গায় দেশি-বিদেশি স্মরণীয় ব্যক্তিবর্গের মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে ফরাসিদের
দেশপ্রেম দেখে সে বিস্মিত হয়। ওদের ক্যাপে মিউজিয়াম সবকিছুই তাকে আকৃষ্ট করে।
উচ্চশিক্ষা শেষ করে অমিত স্থায়ীভাবে সেখানে থেকে যায়। ফরাসি সৌন্দর্যের প্রাবল্যে
ক্রমশ ধূসর হয়ে যায় তার অতীতস্মৃতি।
ক. উঠানে খইয়ের ধান ছড়ায় কে ?
খ. মানুষ না হয়ে শঙ্খচিল, শালিকের বেশে জীবনানন্দ দাশ এদেশে ফিরতে চান কেন ?
গ. উদ্দীপকটি ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার
কোন দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করে ? বর্ণনা কর।
ঘ. অমিতের অনুভুতি আর
জীবননান্দ দাশের অনুভুতি সম্পূর্ণ ভিন্ন-উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
ঙ. ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি
কোন কাব্য থেকে নেয়া হয়েছে?
চ. বাংলার সবুজ করুণ ডাঙা বলতে
কী বোঝানো হয়েছে?
ছ. উদ্দীপক অবলম্বনে আবার আসিব
ফিরে কবিতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দাও।
জ. ‘কোথা পাব আর বাংলা ছাড়া’ -কথাটির সঙ্গে কবি জীবনানন্দ দাশের বাংলায় ফিরে
আসার আকাঙ্খা কীভাবে সম্পর্কিত-অলোচনা কর।
Ans:- নিজে
চেষ্টা করো।
************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.