ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS
& ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৯০৩)
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
জীবন সঙ্গীত
বলো না কাতর স্বরে বৃথা জন্ম এ সংসারে
এ
জীবন নিশার স্বপন;
দারাপুত্র
পরিবার তুমি কার কে তোমার
বলে
জীব করো না ক্রন্দন।
মানব-জনম
সার এমন পাবে না আর
বাহ্য
দৃশ্যে ভুলো না রে মন।
কর
যত্ন হবে জয় জীবাত্মা অনিত্য নয়
অহে
জীব কর আকিঞ্চন।
করোনা
সুখের অাশ পরো না দুখের ফাঁস
জীবনের
উদ্দেশ তা নয়;
সংসারে
সংসারী সাজ করো নিত্য নিজ কাজ
ভবের
উন্নতি যাতে হয়।
দিন
যায় ক্ষণ যায় সময় কাহারো নয়
বেগে
ধায় নাহি রয় স্থির;
হয়
সম্পদ বল্ সকলি ঘুচায় কাল
আয়ু
যেন শৈবালের নীর।
সংসার
সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ় পণে
ভয়ে
ভীত হইও না মানব;
কর যুদ্ধ বীর্য্যবান যায় যাবে যাক্ প্রাণ
মহিমাই
জগতে দুর্ল্লভ।
মনোহর
মূর্ত্তি হেরে অহে জীব অন্ধকারে
ভবিষ্যতে
করো না নির্ভর;
অতীত
সুখের দিনে পুনঃ আর ডেকে এনে
চিন্তা
করে হইও না কাতর।
সাধিতে
আপন ব্রত স্বীয় কার্য্যে হও রত
এক
মনে ডাক ভগবান;
সঙ্কল্প
সাধন হবে ধরাতলে কীর্ত্তি রবে
সময়ের
সার বর্ত্তমান।
মহাজ্ঞানী
মহাজন যে পথে করে গমন
হয়েছেন
প্রাতঃ স্মরণীয়,
সেই
পথ লক্ষ্য করে স্বীয় কীর্ত্তি ধ্বজা ধরে
আমরাও
হবো বরণীয়।
সময়-সাগর
তীরে পদাঙ্ক অঙ্কিত করে
আমরাও
হব হে অমর;
সেই
চিহ্ন লক্ষ্য করে অন্য কোন জন পরে
যশোদ্বারে
আসিবে সত্বর।
করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় এ জীবন
সংসার-সমরাঙ্গন
মাঝে;
সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা
রত
হয়ে নিজ নিজ কাজে।
|
|
|
|
|
খণ্ড :: এক
জীবন-সংগীত
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
শব্দার্থ:
পদাঙ্ক - পায়ের
চিহ্ন। সমরাঙ্গন - যুদ্ধক্ষেত্র। আকিঞ্চন - ইচ্ছা, আকাঙক্ষা।
স্বীয় - আপন, নিজের। সংকল্প -
অভিপ্রায়। লক্ষ্য -
উদ্দেশ্য। বরণীয় - বরণের যোগ্য। মহাজন - মহৎব্যক্তি।
দুর্লভ -
বিরল, দুপ্রাপ্য। মনোহর -
আপাতসুন্দর। অনিত্য -
অস্থায়ী। তধরালে - পৃথিবীতে। নির্ভর - ভরসা।
বীর্যবান - সাহসী। কীতি - যশ। দারা - স্ত্রী।
শৈল -
শেওলা। মহিমা - গৌরব। সংকল্প - পণ, প্রতিজ্ঞা। নীর - জল।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান কোথায়?
ANS:- হুগলি
জেলার বল্লভহাট গ্রামে।
Q.2 তিনি কোন বিখ্যাত সাহিত্যিকের
সমসাময়িক ছিলেন?
ANS:- সাহিত্য-সম্রাট
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের।
Q.3 ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের
রচয়িতা কে?
ANS:- মাইকেল
মধুসূদন দত্ত।
Q.4 হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
রচিত যে কোন একটি কাব্যের নাম লেখো। ANS:- ‘চিন্তা তরঙ্গিনী’।
Q.5 ‘জীবন-সংগীত' কবিতার
কবি কে?
ANS:- হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়।
Q.6 কবি মানুষের আয়ুকে কীসের
সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ANS:- শৈবাল
নীরের সঙ্গে।
Q.7 এ পৃথিবীতে কোন বস্তু দুর্লভ?
ANS:- মহিমা।
Q.8 জীবন সঙ্গীত কবিতাটি কোন কবির
কোন কবিতার বঙ্গানুবাদ?
ANS:- ANS:- ইংরেজি কবি লংফেলোর "The
Psalm of Life" কবিতার বঙ্গানুবাদ।
Q.9 কবি সংসারকে কীসের সঙ্গে
তুলনা করেছেন?
ANS:- সমরাঙ্গনের
সঙ্গে।
Q.10 কবির মতে যশোদ্বারে আসার
উপায় কী?
ANS:- মহাজ্ঞানী-মহাজনদের
পদাঙ্ক অনুসরণ করে।
Q.11 কবির মতে পৃথিবীতে মানুষের
জীবন কয়বার হয়?
ANS:- একবারই।
Q.12 সময়ের সার কী?
ANS:- বর্তমান।
Q.13 আত্মার স্বরূপ কী?
ANS:- নিত্য ও
স্থায়ী।
Q.14 কবির মতে কী করে দুঃখের ফাস
গলায় পরে?
ANS:- নিরবচ্ছিন্ন
সুখের আশা করে।
Q.15 সময়ের ধর্ম কী?
ANS:- দ্রুতগতিতে
বয়ে চলা।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 পৃথিবীতে যশোলাভের প্রকৃষ্ট
উপায় কী?
ANS:- কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার জীবন সংগীত কবিতায় বলেছেন ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে, একাগ্ৰত্য
সহকারে নিজের নিজের কাজে রত থেকে অগ্রসর হতে পারলেই অবশ্যই কৃত সংকল্প সার্থক
হবে। তার মতে, এই পৃথিবীতে যশোলাভের
প্রকৃষ্ট উপায় হল মহাজ্ঞানী মহাজনদের পক্ষাঙ্ক অনুসরণ করে নিজ নিজ কর্তব্যকর্ম
সম্পাদন করে এগিয়ে চলা।
Q.2 কবি দারা-পুত্র-পরিবার
পরিবেষ্টিত সংসার নিয়ে মানুষকে ক্রন্দন করতে নিষেধ করেছেন কেন?
ANS:- কবি তাঁর ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায় বলেছেন, মানুষ
যেন দারা পুত্র পরিবার পরিবেষ্টিত হয়ে কান্নাকাটি না করে। কারণ, এ
জীবন রাতের স্বপ্নের মতো অসার, অলীক এবং ব্যর্থ নয়। মানব
জীবন বহু সাধনার ফলে লাভ হয়েছে। স্ত্রী-সন্তান আপন না - পর তা নিয়ে ভেবে কোনো
লাভ নেই। তাই অযথা বাহ্যদৃশ্যে ভুলে গিয়ে অবহেলায় অনাদরে এই মানবজীবন নষ্ট না
করে মানব জন্মের গুরুত্ব মাথায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে এগিয়ে চলতে হবে।
Q.3 ‘জীবাত্মা
অনিত্য নয়’ – কথাটির বিস্তারিত আলোচনা করো।
অথবা, জীবাত্মা
সম্পর্কে কবির অভিমত কী?
ANS:- কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায়
‘জীবাত্মা’ সম্পর্কে তার অভিমত প্রকাশ
করেছেন। তার মতে ‘জীবাত্মা অনিত্য নয়’ অর্থাৎ জীবাত্মা
নিত্যবস্তু এবং এর ধ্বংস নেই। মানুষের আত্মা অক্ষয়, অব্যয়, নিত্য
এবং তার মৃত্যু নেই। মানব দেহ নিয় গর্ব করার মতো কিছুই নেই কারণ দেহের বিনাশ আছে।
আত্মা এক দেহ হতে আর এক দেহে চলে যায়। তাই মানুষ সৎকর্মে প্রবৃত্ত হয়ে দেশ ও
দশের মঙ্গল সাধনে ব্রতী হতে হবে।
Q.4 কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায় আপন ব্রত সাধনে মানুষকে
কী করতে বলেছেন? অথবা, কবি
আপন ব্রত সাধনে মানুষকে কী করতে বলেছেন?
ANS:- কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘জীবন সংগীত’ কবিতায়
মানুষকে আপন ব্রত সাধনে কিছু উপায় সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মানুষ
আপন ব্রত সাধন করতে চাইলে তাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে একাগ্রতা সহকারে নিজ কাজে অবিচল
থেকে এগিয়ে যেতে হবে। এরপ ভাবে কর্তব্য করে এগিয়ে যেতে পারলেই অবশ্যই তার কৃত
সঙ্গে সাপিত হবে।
Q.5 মানুষের জীবনে বরণীয় হবার পথ
কীভাবে প্রশস্ত হওয়া সম্ভব?
ANS:- কবি তার ‘জীবন সংগীত’ কবিতায় বলেছেন, মানুষকে
ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে একাগ চিত্তে নিজ কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করে এগিয়ে যেতে হবে।
সময়ের সার বর্তমান। আর জীবনের সারবত্তা জেনেছেন জ্ঞানীরাই। তাই মহাজ্ঞানী
মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজের কর্তব্যকর্মে নিযুক্ত থেকে চলতে পারলে মানুষ
নিজেই জীবঢ়ে বরণীয় হবার পথ প্রশস্ত করতে পারবে।
Q.6 বিশ্বের মানবজাতিকে কবি
ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করতে নিষেধ করছেন কেন? অথবা, কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘জীবন সংগীত’ কবিতায়
বিশ্বের মানবজাতিকে ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করতে নিষেধ করেছেন কেন?
ANS:- কবি ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় বিশ্বের
মানবজাতিকে ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষকে
অন্ধকারাবৃত ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করতে নিষেধ করেছেন। কারণ ভবিষ্যৎ অদৃশ্য ও
অজানা। তাই কোনো মানুষ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে না। একটি
কল্পনার উপর ভিত্তি করে কখনো মানবজাতির কল্যাণ হতে পারে না। তাই ভবিষ্যতের উপর
নির্ভর বা সুখের অতীতকে পুনরায় ডেকে আনার প্রয়াস অত্যন্ত মূখতার পরিচয়। সহায়
সম্পদ, আয়ুষ্কাল সকলই কালগর্ভে
বিলীন হয়ে যাবে। সময়ের সার হল বর্তমান। তাই কবি বিশ্বের মানব জাতিকে ভবিষতের উপর
নির্ভর করতে নিষেধ করেছেন।
Q.7 নিহিতার্থ লেখো।
(ক) সময়ের সার বর্তমান।
(খ)
মহিমাই জগতে দুর্লভ।
ANS:- (ক) সময়
বেগবান এবং ক্ষণস্থায়ী। সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে না। সময়ের সার
বর্তমান। কারণ বর্তমান মানুষের নিজের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। অতীত সময় কালগর্ভে
বিলীন। সুখের অতীতকে পুনরায় ডেকে এনে মনের দুঃখকে বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। ভবিষ্যৎ
মানুষের কাছে অদৃশ্য, অজানা। তাই ভবিষ্যতের উপর
নির্ভর করা মূখতারই পরিচয়। এমতাবস্থায় বর্তমান মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। জীবনের
এই সার জ্ঞানীরাই উপলদ্ধি করেছেন। তারা বর্তমান নিয়েই মাথা ঘামিয়েছেন। কারণ
বর্তমানই ঠিক করে দেয় মানুষের ভবিষ্যৎ পথ এবং তার প্রাপ্তিলাভের মাত্রা।
(খ)
মহিমা জগতের দুর্লভ বস্তু। ধনদৌলত, টাকাপয়সা ইত্যাদি দিয়ে
সংসারের প্রায় সব জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু মহিমা বা যশ লাভ অর্থের দ্বারা সম্ভব
হয় না। মহিমা বা যশ প্রাপ্ত করার জন্য এমন কাজ করতে হয় যাতে দেশ ও দশের মঙ্গল
সাধন হয় এর দণ্য নিজের স্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে দেশের কথা ভাবতে হয়। যাঁরা তা
করেছেন তারাই হলেন মহাজ্ঞানী মহাজন। ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে একাগ্রতা সহকাৱে নিজের
কর্তব্যকর্মে রত থেকে মহাজ্ঞানী মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে পারলে মহিমা লাভ করা
সম্ভব। জগতে মহাজ্ঞানী, মহামানবেরাই এই দুর্লভ
বসুর অধিকারী।
Q.8 নিহিতার্থ লেখো।
(ক) আর যেন শৈবালের নীর।
(খ)
ভবিষ্যতে করো না নির্ভর।
ANS:-
(ক) ধন-সম্পদ, আয়ু
সকলই ক্ষণস্থায়ী এক এক মায়া মাত্র। তা অচিরেই কালগর্ভে বিলীন
হয়ে যাবে। মানুষের আয়ু ক্ষণস্থায়ী যেন শৈবালের নীর। শৈবালের উপর জলবিন্দু
টলটলায়মান অবস্থায় থাকে। সামান্য নাড়া খেলেই মূহুর্তে ওই জলবিন্দু পড়ে যায়। মানব
দেহ হল শৈবালের মতো আর মানুষের প্রাণ বা আয়ু হল শৈবালের উপর পতিত জলবিন্দুর মতো। এই
দেহ থেকে প্রাণ যে কোন সময়েই চলে যেতে পারে। তাই এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে স্মরণীয় ও
বরণীর করে রাখার জন্য পদে দৃঢপনে কর্তব্যকর্ম সম্পাদন করে যাওয়া উচিত।
(খ) ভবিষ্যৎ হল অন্ধকার।
ভবিষ্যৎ গর্ভে কি আছে তা কেউই জানে না। তাই ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করে কাজ করা
মূর্খরতারই নামান্তর। সময়ের সার বর্তমান। বর্তমান মানুষের আয়ত্তের মধ্যে। তাই
বর্তমান হলো প্রকৃষ্ট সময়কাল। বর্তমানই ভবিষ্যৎ জীবনের পথ ঠিক করে দেয়। অবশ্য
ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়িত হবে এমন কেন নিশ্চয়তা নেই। ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করে
থাকলে কৃত সংকল্প সার্থক হবে না।
Q.9টাকা লেখো : লংফেলো।
ANS:- লংফেলো:
একজন
প্রখ্যাত আমেব্লিকান কবি। তাঁর সম্পূর্ণ নাম হল হেরি ওয়ার্ডসওয়ার্থ লংফেলো। তার
সর্বজনবিদিত কবিতাটির নাম The Psalm of Life দ্য সান অব লাইফ। কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন-সংগীত’ লংফেলোর
এই বিখ্যাত কবিতাটি সার্থক বাংলা ভাবানুবাদ।
Q.10 নিহিতার্থ লেখো – ‘সংসার
সমরাঙ্গন’।
ANS:- আলোচ্য
অংশটি কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন সংগীত’ কবিতা
থেকে সওয়া হরেছে। আলোচ্য কবিতার কবি সংসারকে সমরাঙ্গন বলে আখ্যায়িত করেছে।
তার মতে, এই বিশ্বসংসারে বেচে থাকতে হলে অবরত যুদ্ধ
করতে হয়। এই সংসারে অমূল্য় মানব জীবন বৃথা নষ্ট না করে ভগবানে বিশ্বাস রেখে বীর
বিক্রমে যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে, যাহাতে দেশ ও দশের মঙ্গল হয়।
এভাবেই মহা গুনীরা এই সংসারে কীর্তি
স্থাপন করে গেছেন।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
Q.1 (ক) মানব-জনম সার এমন
পাবে না আর
বাহ্য
দৃশ্যে ভুলো না রে মন।
(খ)করোনা সুখের আশ পরো না দুখের ফাঁস
জীবনের
উদ্দেশ তা নয়;
ANS:-
(ক) আলোচ্য অংশ কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত জীবন সংগীত কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি এখানে
মানব জীবনের প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেছেন। মানব জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন। বহু সাধনার ফলে
এই মানব জীবন লাভ হয়েছে। এমন জীবন একবারই পাওয়া যায়। পুনরায় এ জীবন হয়তো
পাওয়া যাবে না। তাই এই জীবনকে সার্থক ও অর্থপূর্ণ করা প্রতিটি মানুষের প্রধান
কর্তব্য। অযথা বাহ দৃশ্যে ভুলে গিয়ে অবহেলায় অনাদরে এ দুর্লভ জীবনকে নষ্ট করা
উচিত নয়। জীবন যেহেতু একটাই, তাই এই জীবনে সৎ কর্ম ও
মহৎ কর্ম করে যেতে হবে যাতে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন হয়।
(খ)
আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন-সংগীত’ কবিতা
থেকে গৃহীত হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় কবি মানব জন্মকে সার্থক ও অর্থপূর্ণ করে তোলার
জন্য কয়েকটি উপদেশ প্রদান করেছেন।
এই জগৎ সংসারে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না
আছে। কিন্তু মানুষ সুখের আশায় কাতর। এই সুখ সুখ করে সে যতই কাতর হয় ততই তার দুঃখ
বাড়তে থাকে। এর ফলে সে কিঞ্চিৎ সুখ পেলেও তা দুঃখে পর্যবেশিত হয়। জীবনের প্রকৃত
উদ্দেশ্য কেবল সুখ লাভ করা নয়। বরং দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন করে মানব জীবনকে সার্থক
ও সুন্দর করে তোলা প্রধান কর্তব্য। মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী। মানুষের সহায় সম্পদ ও
আয় থাকা উচিত নয়।
Q.2 ব্যাখ্যা লেখো : ‘‘সাধিতে
আপন ব্রত স্বীয় কার্যে হও বত
একমনে ডাক ভগবান।"
ANS:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটি কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন
সংগীত’ কবিতা
থেকে গৃহীত হয়েছে। কবিতাটি ইংরেজ কবি লংফেলোর "The Psalm of Life" এর সার্থক বাংলা ভাবানুবাদ। আলোচ্য অংশে কবি
মানুষকে নিজ কর্তব্য কর্মে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঈশ্বর পৃথিবীতে মানব
সৃষ্টি করেছেন। এই মহান সৃষ্টির মধ্যে তার এক সুমহান উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। জীবনে
প্রতিটি মানুষের কোন না কোন সংকল্প আছে। এই সংক সাধন করে মানুষ তার জীবনকে সার্থক
করতে চায়। মানুষ তার সুমহান উদ্দেশ্য কার্যে পরিণত করতে চাইলে তাকে তার ব্রত পালন
করতে হবে। মানুষকে তার সংকল্প সাধন ও ব্রত পালনের জন্য কর্তব্য কর্ম করে যেতে হবে।
তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে একাগ্রতা সহকারে নিজের কাজে রত থেকে অগ্রসর হতে পারলে
অবশ্যই সংকল্প সার্থক হবে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.1 কবিতায় কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে মানব জীবনের প্রকৃত সত্য প্রকাশ করেছেন, তা আলোচনা
করো।
অথবা, ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায়
কবি কীভাবে মানব জীবনের প্রকৃত সত্য প্রকাশ করেছেন, তা আলোচনা করো।
ANS:- জীবন-সংগীত' কবিতায়
কবি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। কবির মতে মানব সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের এক সুমহান
উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। মানব জীবন বহুসাধনার ফল।এমন জন্ম একবারই লাভ করা যায়।
এই জীবন রাতের স্বপ্নের মতো অসার, অলীক ও ব্যর্থ নয়।
মানুষের আত্মা অক্ষয়, অব্যয়, নিত্য
এবং যার ধ্বংস নেই। তাই অযথা বাহ্যদৃশ্যে ভুলে গিয়ে অকারণে অবহেলায় অনাদরে এই
দুর্লভ জীবন নষ্ট করা কোনোভাবেই উচিত নয়। জীবনে ফেল নিরবচ্ছিন্ন সুখের আশা করে
দুঃখের ফাস গলায় প'রে নেবার মধ্যে জীবনের কোনো
অর্থ নেই। সময় বেগবান ও ক্ষণস্থায়ী। তা কারও জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে না।
ধন-সম্পদ, আয়ু সকলই ক্ষণস্থায়ী।
একদিন সকলই কালগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই মানুষের উচিত এই সংসাররূপ সমরাঙ্গনে
ভয়ে ভীত না হয়ে মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে দৃঢ়পণে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে এগিয়ে
যাওয়া। কারণ যুদ্ধ করে প্রাণ দিলে তার মধ্যে মহিমা থাকে। মহিমাই জগতে দুর্লভ
বস্তু। সময়ের সার বর্তমান। তাই ভবিষ্যতের উপর নির্ভর
করা ও সুখের অতীতকে ডেকে আনার প্রয়াস মূখতারই পরিচায়ক। জীবনের সারবত্তা কেবল
জ্ঞানীরাই জেনেছেন। তাই মহাজ্ঞানী-মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে পারলে নিজ নিজ
কর্তব্য কর্মে জীবনকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে তোলা সম্ভব। এটাই মানব জীবনের প্রকৃত
সত্য।
Q.2 মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং
সমরাঙ্গন তুল্য - কীভাবে এজীবন সার্থক হতে পারে তার এক যুক্তিসংগত আলোচনা করো।
ANS:- কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায়
জীবন সম্পর্কে এক দার্শনিক অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। মানব জীবন বহু সাধনার ফল।
এ পৃথিবীতে মনুষ্যরূপে জীবনলাভ হয়তো একবারই হয়েছে। পুনঃরায় এ জীবন হয়তো পাওয়া
যাবে না। তাই অযথা বাহ্যদৃশ্যে ভূরে গিয়ে অবহেলায় অনাদরে এ দুর্লভ জীবন নষ্ট করা
যুক্তি সংগত হবে না। কারণ মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী। শৈবালের উপর টলটলায়মান
জলবিন্দুর অস্তিত্ব ক্ষণকালের। সামান্য আঘাতেই সেই জলবিন্দু পড়ে যায়। অনুরূপভাবে
মানবদেহ শৈবালের মতো এবং নানয়ের প্রাণ শৈবালের উপর থাকা জলকির মতো। প্রাণ
যে কোনো সময় চলে যেতে পারে। | তাই এই পপস্থায়ী জীবনে
মানুষকে নিজের কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করতে হয়। যাতে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন হয়।
কোনো কোনো মানুষ এই
ক্ষণস্থায়ী জীবনে সুখ সুখ করে দুঃখের ফাস গলায় প'রে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ
হয়ে পড়ে। তাদের এই আক্ষেপের কোনো মূল্য নেই। সময় বেগবান ও ক্ষণস্থায়ী। ধন
সম্পদ, আয়ু সকলই একদিন কাল গর্ভে
বিলীন হয়ে যাবে। তাই কবির মতে সংসার রূপ সমরাঙ্গনে ভীত না হয়ে মৃত্যুকে তুচ্ছ
জ্ঞান করে দৃঢ়পণে বার বিক্রমে যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংসার জীবনে চলার পথ
যুদ্ধক্ষেত্র স্বরূপ। তাই জীবনকে সার্থক ও অর্থপূর্ণ করতে হলে বীর বিক্রমে যুদ্ধ
করে যেতে হবে। যাতে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন হয়। কবি
এই যুদ্ধে জয়লাভের সম্ভাব্য পথও নির্দেশ করছেন। তিনি বলেছেন, মহাজ্ঞানী-মহাজনদের
প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে নিজ নিজ কর্তব্য কর্ম সম্পাদন করতে পারলে জীবনকে
প্রাতঃস্মরণীয় ও বরণীয় করে তোলা যাবে।
Q.3 ‘জীবাত্মা
অনিত্য নয়’ - কথাটির বিস্তারিত আলোচনা করো।
ANS:- কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘জীবন-সংগীত’ কবিতায়
বলেছেন যে, ‘জীবাত্মা অনিত্য নয়’ অর্থাৎ
জীবাত্মা নিত্য। মানুষের আত্মা অক্ষয়, অব্যয়, নিত্য
এবং তার ধ্বংস নেই। মানুষের দেহ অনিত্য। দেহের বিনাশ আছে কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই।
আত্ম শাশ্বত। মানব সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বররের এক মহান উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। তাই
আমাদের উচিত সেই আত্মার উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করে তোলা। আমাদের এমন কাজ করতে হবে
যাতে দেশ ও সমাজের মঙ্গল সাধন হয়। তাই মানব জীবনকে অনাদর ও অবহেলায় নষ্ট করা
উচিত নয়। মহাজ্ঞানী-মহাজনেরা এই পরম সত্য উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন বলে তারা
প্রাতঃস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন।
Q.4 ব্যাখ্যা লেখো : “‘সেই চিহ্ন লক্ষ্য করে অন্য কোন
জন পরে
যশোদ্বারে আসিবে সত্বর।”
ANS:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশ কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন-সংগীত’ কবিতা
থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে কবি মানুষের কীর্তি স্থাপন ও যশোদ্বারে
পৌছার উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।
কবি মনে করেন এই পৃথিবীতে
মানব জন্মকে সার্থক করে তোলার জন্য প্রতিটি মানুষের যশোদ্বারে পৌঁছা উচিত। এই যশোলাভের
প্রকৃষ্ট উপায় সম্পর্কেও কবি আলোচনা করেছেন। এই পৃথিবীতে যে সব মানুষ মহিমা অর্জন
করে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের আমরা ‘মহাজ্ঞানী মহাজন’ বলি।
কবির মতে ওই মহাজ্ঞানী মহাজনদের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে চললে আমরাও একদিন বরণীয়
হয়ে উঠতে পারব। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সেই একইন্যালে যশোদারে এসে উপস্থিত হবে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
Q.5 ‘জীবন সংগীত’ কবিতাটির
সারাংশ লেখো।
ANS:- সারাংশ :
ইংরেজি কবি লংফেলো রচিত 'The Psalm of Life' কবিতাটির একটি সার্থক বাংলা ভাবানুবাদ হল কবি
হেমচন্দ্রের ‘জীবন সংগীত’ কবিতাটি।
কবি আলোচ্য কবিতায় বলেছেন যে, মানুষ যেন কাতর স্বরে
নিজের জীবন ও জন্মকে বৃথা বলে আক্ষেপ না করে। কবির মতে এই জীবন রাতের স্বপ্নের মতো
অসার, অলীক এবং ব্যথ নয়। এই
মানব জীবন বহু সাধনার ফল। স্ত্রী সন্তান আপন ন পর তা নিয়ে ভেবে কোনো লাভ নেই।
মানব জীবন বার বার আসে না। তাই এই এক জন্মেই মানুষকে তার নিজের যাবতীয় কাজ করে
কৃতকার্য হতে হবে। অথ। বাহ্য দৃশ্যে ভুলে গিয়ে অবহেলায় অনাদরে এই দুর্লভ মানব
জীবন নষ্ট করা উচিত নয়। মানুষের অর্থ অক্ষয় অব্যয় নিত্য এবং এর ধ্বংস নেই। তাই
বৃথা দুঃখ করে অযথা ক্রন্দনে ব্যাপৃত থেকে কোনো লাভ নেই। কবির মতে দুঃখে হা-হুতাশ
না কল্লে মানুষ নিজ নিজ কাজে যত্নবান হতে পারলেই জীবনের সার্থকতা সম্ভব। এর ফলে
দেশের ও দশের মঙ্গল সাধন হবে। নিরবচ্ছিন্ন সুখের আশায় শুধুমাত্র ফাসির দড়ি গলায়
প'রে নেবার মধ্যে জীবনের কোন
অর্থ নেই। সময় বেগবান ও ক্ষণস্থায়ী বলে তা কারও জনা অপেক্ষা করে বসে থাকে না।
ধন-সম্পদ, আয় সকলই ক্ষণস্থায়ী ও
মায়ামাত্র! তাই তা অচিরেই কাল গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। কবির মতে এই সংসারকে সমহাজন
মনে করে ভীত না হয়ে মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে যেতে হবে।
কারণ যুদ্ধ করে প্রাণ দিলেও তার মধ্যে একটা মহিমা থাকে। যা এই সংসারে দুর্লভ।
ভবিষ্যতের উপর নির্ভরতা ও সুখের অতীতকে পুনর্বার ডেকে আনার প্রয়াস মৃঙ্খতার
নামান্তর। তাই ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে দৃঢ় সংকল্প চিত্তে কাজ করে যেতে হবে। এমন কাজ
করতে হবে যাতে জগতে কীর্তি স্থাপন করে রাখা যায়। জীবনের সারসত্তা কেবল জ্ঞানীরাই
জেনেছেন। তাই মহাজ্ঞানী-মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে পারলে যে-কোনো কাজেই
কৃতকার্য হওয়া সম্ভব এবং যার ফলে জীবনকে প্রাতঃস্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখা যাবে।
Q.6 ‘জীবন-সংগীত' কবিতার
নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
ANS:- নামকরণ :
কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘জীবন-সংগীত' কবিতাটি
ইংরেজ কবি লংফেলোর The Psalm of Life' কবিতাটির সার্থক বাংলা
ভাবানুবাদ। নামকরণটি কবিতার ভাবানুযায়ী সার্থক। কবি আলোচ্য কবিতায় মানব জীবনের
জয়গান গেয়েছেন। কবি জানিয়েছেন মানবজীবন জগতে শ্রেষ্ঠ জীবন। বহু সাধনার ফলে এই
মানব জীবন লাভ হয়েছে। আর এই জীবনকে সার্থকতার দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার আকাঙক্ষা
থেকে কবিতাটির সৃষ্টি হয়েছে। কবির মতে, মানব জীবন অকারণে অবহেলায়
অনাদরে নষ্ট করার জন্য নয়, বরং মহৎ কাজে নিজেকে
নিযুক্ত রেখে দেশ ও দশের মঙ্গল করাই মানব জীবনের মূল উদ্দেশ্য। এর জন্য অতীতের
মহাজ্ঞানী ও মহৎ ব্যক্তিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে। এমন কীর্তি স্থাপন করতে হবে
যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তা অনুসরণ করে কৃতকার্য হতে পারে। কবি আলোচ্য কবিতায় জীবনের
মহিমা কীর্তন করেছেন। তাই কবিতার জীবন-সংগীত' নামটি যথার্থ সার্থক
হয়েছে।
Q.7 কবি হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
ANS:- কবি পরিচিতি :
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি ছিলেন। ১৮৩৮ সালের ১৭প্রিল তিনি পশ্চিমবঙ্গের
হুগলি জেলার বল্লভহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কৈলাসচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি হেমচন্দ্রের কর্মজীবন ছিল যথেষ্ট বৈচিত্রপূর্ণ। তিনি ছিলেন
বি. এ. বি. এল। প্রথম জীবনে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি
মুন্সেফিও করেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করে তিনি বেশ পসার জমিয়েছিলেন। এতে
তার যথেষ্ট অর্থোপার্জন হয়েছিল। কিন্তু কাব্য রচনার নেশা তাঁকে অর্থোপার্জনের
দিকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি। তিনি সাহিত্য-সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক ছিলেন।
তিনি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিজের গুরু বলে মনে করতেন। কবি হেমচন্দ্র মাইকেলের
‘মেঘনাধ বধ’ (১৮৬১) কাব্যের দ্বিতীয় সংস্করণ সম্পাদনা করতে গিয়ে কবির
প্রতিভার প্রতি আকৃষ্ট হন। অতি অল্প বয়সেই তিনি কবি হিসেবে সুখ্যাতি লাভ
করেছিলেন। তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল ‘চিন্তাতরঙ্গিনী’। কবি হেমচন্দ্রের রচিত
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে 'বৃত্রসংহার', ছায়াময়ী’, ‘দশমহাবিদ্যা’ বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। লংফেলোর ইংরেজি কবিতা The
Psalm of Life-এর
বাংলা ভাবানুবাদ হল কবির এই “জীবন-সংগীত" কবিতা। কবিতাটি একদা
মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হত। ১৯০৩ সালের ২৫ মে এই স্বনামধন্য কবির জীবনাবসান
ঘটে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
Q.8. উদ্দীপক:
“বলো না কাতর স্বরে বৃথা জন্ম এ সংসারে
এ জীবন নিশার স্বপন;
দারাপুত্র পরিবার তুমি কার কে তোমার
বলে জীব করো না ক্রন্দন।
মানব-জনম সার এমন পাবে না আর
বাহ্য দৃশ্যে ভুলো না রে মন।
……….”
ক. “নিশার স্বপন' অর্থ কী?
খ. ‘ভবের উন্নতি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতার কবির
জীবন ভাবনাকে কীভাবে প্রতিফলিত করে? -আলোচনা করুন।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতার কেবল
একটি বিশেষ দিককে তুলে ধরেছে।” -বিশ্লেষণ
করুন।
ANS:- ক. ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় ব্যবহৃত ‘নিশার স্বপন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে রাতের স্বপ্ন।
খ. ‘জীবন সঙ্গীত' কবিতায় ভবের উন্নতি বলতে সংসার তথা পৃথিবীর উন্নতিকে
বোঝানো হয়েছে।
প্রচলিত অর্থে সংসার বলতে দারা-পুত্র-পরিজনের
সমবায়কে বোঝায়। কিন্তু
ব্যাপক অর্থে সংসার মানে মানুষের বসবাসের ক্ষেত্র তথা পৃথিবী। ভব মানে এই পৃথিবীই।
ব্যক্তি মানুষ যদি নিজ কর্ম সম্পর্কে সচেতন হয়, তার কর্ম সম্পর্কে দায়িত্বশীল হয় এবং সে তা সুষ্ঠুরূপে
পালন করে তবেই ভবের উন্নতি হবে। মূলত কাজকে প্রাধান্য দিলে শুধু পৃথিবীর উন্নতিই
নয়, বরং ব্যাক্তি মানুষেরও উন্নতি সাধন হয়।
ব্যক্তি তার মহিমা লাভ করে এবং সে জীবনের প্রকৃত স্বাদও পায়। বস্তুত ‘জীবন সঙ্গীত' কবিতায় ‘ভবের
উন্নতি’ উন্নতি বলতে কবি এটিকেই বুঝিয়েছেন।
গ. উদ্দীপকে বর্তমানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আর এদিকটিই ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় বর্ণিত কবির জীবন ভাবনায়
প্রতিফলিত হয়েছে। বুদ্ধিমানেরা বর্তমানের
ভাবনাই ভাবেন। কেননা অতীত নিয়ে পড়ে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং তা মানুষের
জীবনকে স্থবির ও জড় করে দেয়। তাছাড়া কেবল অতীত নিয়ে ভাবলে অনেক সময় ভবিষ্যতের
পাথেয়ও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। একজন মানুষকে বর্তমানের সর্বোত্তম ব্যবহারই সফল করে
তুলতে পারে। ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন পৃথিবীতে মানব জন্ম অত্যন্ত মূল্যবান।
অতীত জীবনের সুখ-স্মৃতি রোমন্থন করে কারোর কাতর হওয়া উচিত নয়। সুখের প্রতিমা
গড়ে অজানা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করাও বোকামি। উদ্দীপকেও দেখা যায় বর্তমানের
কাজ বর্তমানেই করতে বলা হয়েছে। বিষয়টিকে নানা উদাহরণের মাধ্যমে উদ্দীপকে বোঝানো
হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সময় অর্থাৎ বর্তমান পার হয়ে গেলে সাধন হবে না। সুতরাং
উদ্দীপক ও ‘জীবন সঙ্গীত' কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলো বর্তমানকে যথাসম্ভব গুরুত্ব
দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক
কাজটি করা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের জীবন ভাবনা ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত, ‘জীবন সঙ্গীত কবিতার এই বিশেষ ভাবটিই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
ভবের সংসারে মানব জীবন অত্যন্ত মূল্যবান।
এখানে মিথ্যা সুখের প্রতিমা গড়ে কোনো লাভ নেই। অবশ্য মানব জীবনের উদ্দেশ্যও তা
নয়। সংসারে বাস করতে হলে সংসারের দায়িত্ব সূচারুরূপে পালন করতে হবে। কেননা
বৈরাগ্য সাধনে মানুষের মুক্তি নেই। ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় বলা হয়েছে মানুষের জীবন কেবল নিছক স্বপ্ন নয়। আর
এ পৃথিবীকে কেবল স্বপ্ন ও মায়ার জগৎ বলা চলে না। অতীত সুখের দিন ও অনাগত
ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানকে বাদ দিলে চলবে না। বর্তমানেই বর্তমানের কাজ করে যেতে
হবে। অন্যদিকে উদ্দীপকে বেশ কয়েকটি উপমা ও চিত্রকল্প ব্যবহার করা হয়েছে। বলা
হয়েছে নদীতে জল শুকালে যেমন মাছ থাকে না, তেমনি অসময়ে কৃষিকাজ করলে কোনো ফল আসে না। উদ্দীপকের কবির
ভাষায় বলা যায়, সময় গেলে সাধন হয় না। ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতায় মানব জীবনের অনেকগুলো প্রসঙ্গ এসেছে। কিন্তু
উদ্দীপকে বার বার এসেছে একটি প্রসঙ্গ। আর এই বিষয়টি হচ্ছে সময়ের যথাযোগ্য
ব্যবহার। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘জীবন সঙ্গীত’ কবিতার একটি বিশেষ দিককে তুলে ধরেছে, কবিতার সমগ্র ভাবকে নয়।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ক্রিয়াকলাপ
Q.1 শূন্যস্থান পূরণ করো।
(ক) কর যুদ্ধ __________ যায় যাবে যাক প্রাণ
_____ জগতে দুর্লভ।
(খ) সংকল্প সাধন হবে _____ কীর্তি
রবে।
সময়ের সার _____।
(গ)_____ মহাজন যে পথে গমন করেন।
হয়েছেন _____
(ঘ) করো না _____ বৃথা
ক্ষয় এ জীবন
সংসার _____ মাঝে;
ANS:- (ক) কর যুদ্ধ বীর্যবান
যায় যাবে যাক প্রাণ।
মহিমাই জগতে দুর্লভ।
(খ) সংকল্প সাধন হবে ধরাতলে কীর্তি
রবে
সময়ের সার বর্তমান।
(গ) মহাজ্ঞানী মজাহন যে পথে করে গমন।
হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়।
(ঘ) করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় এ জীবন
সংসার সমরাঙ্গন মাঝে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI
QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা
প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : জীবন-সংগীত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঠনির্ভর ব্যাকরণ
Q.2 (ক) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম
লেখো।
ANS:-
মহাজন - মহান যে জন (উপপদ
তৎপুরুষ সমাস)
সমরাঙ্গন - সমর রূপ
অঙ্গন (রুপক কর্মধারায় সমাস)
অনিত্য - ন নিত্য (নঞ তৎপুরুষ
সমাস)
ধরাতল - ধরার তল (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)
যশোদ্বারে - যশঃরূপ দ্বারে
(রূপক কর্মধারয় সমাস)
প্রাতঃস্মরণীয় - প্রাতঃ
কালের স্মরণের যোগ্য (অব্যয়ীভাব সমাস)
কীর্তিধজ্জা - কির্তির
ধ্বজা (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)
বরণীয় - বরণের যোগ্য
(অব্যয়ীভাব সমাস)
জীবাত্মা - জীবের আত্মা
(ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস)
Q.1 (খ) বিপরীত শব্দে পরিবর্তন করো।
ANS:- গমন - আগমন।
মহাজন - নীচজন। স্থির - অস্থির।
অনিত্য - নিত্য। জীবন - মরণ। লক্ষ্য -
অলক্ষ্য। ভয় - নির্ভয়। জন্ম - মৃত্যু। সময় - অসময়। সুখ - দুঃখ। যত্ন - অযত্ন। কাতর - অকাতর। বর্তমান - অতীত/ভবিষ্যৎ। রত - বিরত।
দৃঢ় - শিথিল। সুরি - অসার।
Q.2 (গ) পদ পরিবর্তন করো।
ANS:- নির্ভর - নির্ভরতা।
সমর - সামরিক। চিন্তা - চিন্তনীয়।
চিহ্ন - চিহ্নিত। জীব - জৈব। দুঃখ –
দুঃখিত। বীর্যবান - বীর্যতা। ভয় - ভীত। লক্ষ্য - লক্ষ্যণীয়। ব্রত - বার্তা। সময় - সাময়িক। সাধন - সাধনা।
কাতর - কাতরতা। সার - সারবত্তা। বৃথা - ব্যর্থ।
Q.2 (ঘ) বিশেষ্যপদের বিশিষ্টার্থক
প্রয়োগ।
ANS:-
‘হাত’
হাত করা (আয়ত্ত করা) - লোকটি
টাকা দিয়ে সাক্ষীকে হাত করেছে।
হাত ছাড়া বেহাত হওয়া) - সুযোগটা
আমার হাত ছাড়া হয়ে গেছে।
হাত টান (চুরির অভ্যাস) -
চাকরটির হাত টানের দোষ আছে।
হাত খালি (রিক্ত হস্ত) -
বর্তমানে আমার হাত খালি।
হাত দেওয়া (শুরু করা) - কাল থেকেই
আমি ঘরের কাজে হাত দেব।
‘মাথা’
মাথা খাওয়া (নষ্ট করা) -
আদর বেশি দিয়েই মা-বাবারা ছেলের মাথা খেয়েছেন।
মাথা ঘামান (চিন্তা) - এ
ব্যাপারে বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।
মাথা ঠাণ্ডা করা (শান্ত
হওয়া) - মাথা ঠাণ্ডা করেই বড় কাজ করতে হয়, তবেই ফল পাওয়া যায়।
মাথায় ঢোকা (বোধগম্য) - এ
সহজ অঙ্কটিও তোমার মাথায় ঢুকছে না দেখি।
Q.2 (ঙ)বিশেষণ পদের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগ
ANS:-
‘কাঁচা’
কাঁচা পয়সা (সহজ লভ্য) -
বইয়ের ব্যবসায় লোকটি কাঁচা পয়সা কামিয়েছে।
কাঁচা হাত (অদক্ষ) - এ
কাজটি কাঁচা হাতের বলে মনে হয়।
কাঁচা ঘুম (অপূর্ণ) - কাঁচা
ঘুমে শরীর খারাপ করে।
কাঁচা পথ (মেঠো পথ) - কাঁচা
পথে চলাফেরা করতে বড়ই কষ্ট হয়।
‘ছোট’
ছোট করা (হীনজ্ঞান করা) -
কাউকে কখনও ছোট করে দেখতে নেই। ছোট নজর (নিন্দিত) - লোকটির নজর খুব
ছোট, তাকে কেউ সম্মান দেয় না।
ছোট লোক (অভদ্র) -
ছোট লোকেরার মতো গালাগাল করছ কেন?
‘মুখ’, ‘কান’, ‘চোখ’, ‘গা’, ‘বড়ো’,
‘কড়া’, ‘নরম’, ‘মুখ’,
‘কান’ ‘চোখ’ ‘গা’।
মুখরাখা
(সম্মান) - এ যাত্রায় পাশ করে মা-বাবার মুখ রেখেছে।
মুখ করা (বকুনি দেওয়া) - ছেলেটিকে
তার প্রভাবে মুখ করা উচিত হয়নি। মুখ দেখানো -(দায়সার) - ওখানে মুখ
দেখানো বাজে কাজ।
গা দেওয়া (গুরুত্ব
দেওয়া) - আমার কোনো কথাতেই গা না দিয়ে সে সরে পড়ল!
গা ঘেষে (পাশ) – তার
দুড় গুলিটি আমার গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেল।
পাকা কথা (শেষ কথা) - তার
বিয়ের পাকা কথা হয়ে গেছে, এখন কেবল বিয়ের দিন স্থির
করা বাকি।
পাকা বাড়ি (ইটের তৈরি) – দাদুর পাকা বাড়ি আছে।
বড়ো মুখ (গর্ব করা) - আমি
বড়ো মুখ করে বলে এসেছি যাব, এখন না গেলে আমার সম্মান
থাকবে না।
বড় সড় (আকারে বড়) -
গরুটি বেশ বড় সড়।
বড় মন (দয়ালু) - আমার
দাদু বড় মনের মানুষ ছিলেন।
কড়া কথা (কঠিন কথা) - সে
প্রায়ই অকারণে আমাকে কড়া কথা শোনায়।
কড়া মন (নিষ্ঠুর) - অধিকাংশ
জমিদাররাই কড়া মনের মানুষ ছিলেন।
কড়া নাড়া (ইঙ্গিত দান) - পরীক্ষা
শিয়রে এসে কড়া নাড়ছে।
নরম মন (দয়ালু) -আমার
বাবা একেবারেই নরম মনের মানুষ ছিলেন।
নরম হওয়া (শান্ত হওয়া) -
ক্রুদ্ধ মাস্টার মশাই হঠাৎ নরম হয়ে গেলেন।
মুখ পুড়ে যাওয়া
(নিন্দিত) - ছেলের জন্য বাবা-মায়ের মুখ পুড়েছে।
কান কাটা (লজ্জাহীন) -
বিনয়বাবুর দু'কান কাটা।
কানে খাটো (কালা) - লোকটি
কানে খাটো।
কান পাতলা (সহজে বিশ্বাস
করে) - রামের মতো কান পাতলা মানুষের কাছে মিথ্যে বলা অত্যন্ত সহজ ব্যাপার।
কান খাড়া (উদগ্রীব) - সে
সব কোথা কান খাড়া করে শোনে।
কান দোওয়া (মনোযোগ) -
ছেলেটা কারো কথায় কান দেয় না।
চোখ বুজে থাকা (দেখেও না
দেখা) - করণীকর ঘুষ খেলেও তাদের ওপরওয়ালারা চোখ বুঞ্জে থাকেন।
চোখ পড়েছে (নজর পড়া) -
রামদয়ালের উর্বর জমির উপর জমিদারের চোখ পড়েছে।
চোখ পাকানো (ভয় দেখানো) - ছেলেটির
দিকে একটু চোখ পাকাও না।
চোখ কপালে তোলা - (বিশিত
হওয়া) সে আমার কথা শুনে পালে চোখ তুলল।
গা গাঢ়ো (খেয়াল করা) - চেস্যরি
স্কুলের কোনো ব্যাপারেই গা লাগাচ্ছেন না।
*************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.