ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC DEVELOPMENT : VARIOUS QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE
FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT www.smartlearningservice.com
সঠিক
উত্তরটি বেছে বের কর: MCQ
Q. ১।
১৯৯৯-২০০০ সালে ভারতের প্রকৃত রাষ্ট্রীয় আয়বৃদ্ধির হার ছিল –
(ক) ৬.২ শতংশ
(খ) ৫.২ শতংশ (গ) ৪.২ শতাংশ
উত্তর:- (ক)
৬.২ শতংশ
Q. ২।
ভারতে ১৯৯৪ সালের হিসাবমত মানুষের গড় আয়ু ছিল –
(ক) ৫০ বছর (খ) ৬০ বছর (গ) ৬০.৩ বছর
উত্তর:- (গ)
৬০.৩ বছর
Q. ৩
ভারতের পরিকল্পনা আয়োগ —
সালে
গঠন করা হইয়াছিল।
(ক) ১৯৫০ (খ) ১৯৪৮ (গ) ১৯৫১
(ক) ১৯৫০
Q. ৪।
পরিকল্পনা আয়োগের সভাপতি হইলেন –
(ক) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (খ) প্রধানমন্ত্রী (গ) রাষ্ট্রপতি
উত্তর:- (খ)
প্রধানমন্ত্রী
Q. ৫।
ভারতের প্রথম পরিকল্পনা আরম্ভ হয় –
(ক) ১৯৫০ সালে
(খ) ১৯৫১ সালে (গ) ১৯৫২ সালে |
উত্তর:- (খ) ১৯৫১
সালে
Q. ৬।
ভারতে মোট - টি পরিকল্পনা সমাপ্ত হইয়াছে।
(ক) ৮ (খ) ৯. (গ) ১০
উত্তর:- (খ)
৯
Q. ৭।
ভারতের নবম পরিকল্পনা আরম্ভ হয়
(ক) ১৯৯৭ (খ), ১৯৯২ (গ) ২০০২
উত্তর:- (ক)
১৯৯৭
Q. ৮।
ভারতের নবম পরিকল্পনা শেষ হয় —
(ক) ২০০০ সালে (খ) ২০০১ সালে (গ) ২০০২ সালে
উত্তর:- (গ)
২০০২ সালে
Q. ৯।
ভারতের দশম পরিকল্পনা আরম্ভ হয় –
(ক) ২০০০ সালে
(খ) ২০০১ সালে (গ) ২০০২ সালে
উত্তর:- (গ)
২০০২ সালে
Q. ১০।
আসামে দশম পরিকল্পনা আরম্ভ হয় ।
(ক)২০০২ সালের ১ এপ্রিল (খ)২০০৭ সালের ৩১ মার্চ
(গ)(খ)২০০২ সালের ৩১ মার্চ
উত্তর:-
(ক) ২০০২ সালের
১ এপ্রিল
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
অতি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
নিম্নলিখিত
প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
Q. ১।
আর্থিক উন্নয়ন কি?
উত্তর:- দীর্ঘকাল
ব্যাপিয়া মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি।
Q. ২।
১৯৯৯-২০০০ সালে ভারতের প্রকৃত রাষ্ট্রীয় আয়বৃদ্ধির হার কত ছিল?
উত্তর:- ৬.২
শতাংশ।
Q. ৩।
১৯৯৯-২০০০ সালে ভারতের প্রকৃত মাথাপিছু আয়বৃদ্ধির হার কত ছিল?
উত্তর:- ৪.৪
শতাংশ।
Q. ৪।
ভারতে ১৯৯৪ সালে মানুষের গড় আয়ু কত ছিল?
উত্তর:- ৬০.৩
বছর।
Q. ৫।
ভারতে ১৯৭৩ সালে মানুষের গড় আয়ু কত ছিল?
উত্তর:- ৪৫৬
বছর।
Q. ৬।
ভারতের পরিকল্পনা আয়োগ কখন গঠন করা হইয়াছিল ?
উত্তর:- ১৯৫০
সালে।
Q. ৭।
ভারতের পরিকল্পনা আয়োগের সভাপতি কে?
উত্তর:- প্রধানমন্ত্রী।
Q. ৮।
পরিকল্পনা আয়োগের সহসভাপতি কে?
উত্তর:- মনটেক
সিং আলুলিয়া।
Q. ৯।
ভারতে আর্থিক পরিকল্পনার রূপরেখা কে তৈরী করে?
উত্তর:- পরিকল্পনা
আয়োগ।
Q. ১০।
ভারতে পরিকল্পনার রূপরেখা কে অনুমোদন করে?
উত্তর:- রাষ্ট্রীয়
উন্নয়ন পরিষদ।
Q. ১১।
ভারতের আর্থিক পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য কি?
উত্তর:- আর্থিক
উন্নয়ন।
Q. ১২।
ভারতের প্রথম আর্থিক পরিকল্পনা কখন আরম্ভ হইয়াছিল?
উত্তর:- ১৯৫১
সালের ১লা এপ্রিল হইতে।
Q. ১৩।
এখন পর্যন্ত কতটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সমাপ্ত হইয়াছে?
উত্তর:- নয়টি।
Q. ১৪।
দশম পরিকল্পনা কখন হইতে আরম্ভ হইয়াছে?
উত্তর:- ২০০২
সালের ১লা এপ্রিল হইতে।
Q. ১৫।
দশম পরিকল্পনা কখন শেষ হইবে?
উত্তর:- ২০০৭
সালের ৩১শে মার্চ।
Q. ১৬।
ভারতীয় পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীলতার অর্থ কি?
উত্তর:- বৈদেশিক
সাহায্য ব্যতীত পরিকল্পনা রূপায়ণ।
Q. ১৭।
বিকেন্দ্রীকৃত পরিকল্পনা কি?
উত্তর:- জিলা
ও মহাকুমা পর্যায়ে পরিকল্পনা।
Q. ১৮।
ভারতের কোন পরিকল্পনায় উদ্যোগীকরণের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হইয়াছিল ?
উত্তর:- দ্বিতীয়
পরিকল্পনায়।
Q. ১৯।
আসামে আর্থিক পরিকল্পনা কখন আরম্ভ হইয়াছিল।
উত্তর:- ১৯৫১
সালের ১লা এপ্রিল হইতে।
Q. ২০।
ভারতের নবম পরিকল্পনা কখন হইতে আরম্ভ হয় ?
উত্তর:- ১৯৯৭
সালের ১লা এপ্রিল হইতে।
Q. ২১।
ভারতে নবম পরিকল্পনার সময়সীমা কি?
উত্তর:- ১৯৯৭
সালের ১লা এপ্রিল হইতে ২০০২ সালের ৩১শে মার্চ।
Q. ২২।
ভারতের নবম পরিকল্পনার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ কত?
উত্তর:- ২১,৭১,০০০ কোটি টাকা।
Q. ২৩। ভারতে
নবম পরিকল্পনায় সরকারী খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ কত?
উত্তর:- ৭,২৬,০০০ কোটি টাকা।
Q. ২৪।
১৯৯৯-২০০০ সালের হিসাবমত ভারতে কত শতাংশ লোক দারিদ্রসীমার নীচে বাস
করে?
উত্তর:- গ্রামাঞ্চলে
২৭.১ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ২৩.৬ শতাংশ।
Q. ২৫।
ভারতের দশম পরিকল্পনায় মোট বিনিয়োগের পরিমাণ কত?
উত্তর:- ৪০,৮১,৭০০ কোটি টাকা।
Q. ২৬।
ভারতে দশম পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার গড়ে কত হইবে বলিয়া
অনুমান করা হইয়াছে?
উত্তর:- ৮
শতাংশ।
Q. ২৭।
ভারতে দশম পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় উৎপাদন কত শতাংশ বৃদ্ধি হইবে?
উত্তর:- ২৯.৪১
শতাংশ।
Q. ২৮।
ভারতে দশম পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় উৎপাদন কত বৃদ্ধি হইবে?
উত্তর:- ২৮.৪১
শতাংশ।
Q. ২৯।
আসামে দশম পরিকল্পনা কখন আরম্ভ হইয়াছে?
উত্তর:- ২০০২
সালের ১লা এপ্রিল।
Q. ৩০।
আসামের দশম পরিকল্পনায় মোট বিনিয়োগের পরিমাণ কত?
উত্তর:- ১৩,৩৫১.৯৩ কোটি টাকা।
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
সংক্ষিপ্ত
প্রশ্নোত্তর
Q. ১।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন কি?
উত্তর:- দেশের
প্রাকৃতিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন
করিয়া জীবনের সাধারণ মানদণ্ড উন্নত করাকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে।।
Q. ২।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- একটি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের সকল প্রকার সম্পদের সদ্ব্যবহার করিয়া নির্দিষ্ট
পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি করাকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলে।
Q. ৩।
মাথা পিছু আয় কি?
উত্তর:- মাথা
পিছু আয় বলিতে সংক্ষেপে প্রত্যেক ব্যক্তির আয় বলে।
Q. ৪।
ঋতুভিত্তিক বেকারত্ব কি?
উত্তর:- জলসেচের
অভাবে বা ঋতুজ কারণে সারাবৎসর ব্যাপিয়া কৃষকরা কাজের সুযোগ পায় না। অবস্থার
পরিপ্রেক্ষিতে বৎসরের মধ্যে অনেকদিন বেকার থাকিতে হয়। ইহাকে ঋতুভিত্তিক বেকার
সমস্যা বলে।
Q. ৫
বাজার অর্থনীতি বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- যে
অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অবাধ বাণিজ্যের সুযোগ থাকে ইহাকে বাজার অর্থনীতি বলে।
Q. ৬
বাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের ভূমিকা কোন ধরনের?
উত্তর:- বাজার
অর্থনীতিতে সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
Q. ৭৷
দারিদ্রচক্রের মূল কারণ কি?
উত্তর:- দারিদ্রচক্রের
মূল কারণ হইল স্বল্প মাথাপিছু আয় ও সীমিত উৎপাদন।
Q. ৮।
মিশ্র অর্থনীতি কি?
উত্তর:- যে
অর্থব্যবস্থায় সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ পাশাপাশি থাকে ইহাকে মিশ্র অর্থনীতি বলে।
Q. ৯।
অনুন্নত রাষ্ট্রের নিম্নমূলধন গঠনের একটি কারণে অঙ্গুলি নির্দেশ। কর।
উত্তর:- জনগণের
স্বল্প আয় ও সঞ্চয়।
Q. ১০।
ভারতের পরিকল্পনা আয়োগ কোন সালে গঠন করা হইয়াছিল?
উত্তর:- ১৯৫০
সালে।
Q. ১১।
ভারতের দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন সালে আরম্ভ হয়?
উত্তর:- ২০০২
সালে।
Q. ১২।
ভারতের একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন সালে সমাপ্ত হয়?
উত্তর:- ২০০৭
সালে।
Q. ১৩।
ভারতের দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন সালে আরম্ভ হয় ?
উত্তর:- ২০০৭
সালে।
Q. ১৪।
ভারতের কোন পরিকল্পনায় দারিদ্র দূরীকরণের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইয়াছিল ?
উত্তর:- পঞ্চম
পরিকল্পনায়।
Q. ১৫।
সরকারী খণ্ড বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- সরকার
পরিচালিত খণ্ডকে সরকারি খণ্ড বলে।
Q. ১৬।
উত্তর-পূর্ব পরিষদ কোন সালে গঠন করা হইয়াছিল ?
উত্তর:- ১৯৭২
সালে।
Q. ১৭।
উত্তর পূর্ব পরিষদের সচিবালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর:- শিলং-এ।
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
ছোট প্রশ্নোত্তর
Q. ১।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- উন্নয়নশীল
রাষ্ট্র বলিতে সেই সকল রাষ্ট্রই বুঝায় যেগুলি ইতিপূর্বে নানাপ্রকার উন্নয়নমূলক
প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে দ্রুত অগ্রসর হইতেছে।
Q. ২।
উন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দুইটি পার্থক্য লিখ।
উত্তর:- উন্নত
ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির পার্থক্য হইল :-
(ক) উন্নত অর্থনীতিসমূহের
মাথাপিছু প্রকৃত আয় উচুমানের কিন্তু উন্নয়নশীল অর্থনীতির মাথাপিছু প্রকৃত আয়
অতি নিম্নমানের।
(খ) উন্নত
অর্থনীতি মূলধন সমৃদ্ধ কিন্তু উন্নয়নশীল অর্থনীতি মূলধনের ক্ষেত্রে দুর্বল।
Q. ৩।
মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে কিভাবে ভাগ করা হইয়াছে?
উত্তর:- মাথাপিছু
আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে নিম্ন আয়, মধ্যম
আয় এবং উচ্চ আয় এই তিন ভাগে ভাগ করা হইয়াছে।
Q. ৪।
উন্নয়নশীল অর্থনীতির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর:- উন্নয়নশীল
অর্থনীতির তিনটি বৈশিষ্ট্য হইল :-
(ক) নিম্ন
মাথাপিছু আয়।।
(খ) কৃষির
উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা।
(গ) দ্রুত
জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
Q. ৫।
উন্নয়নের মূল পরিকাঠামোসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর:- উন্নয়নের
মূল পরিকাঠামোসমূহ হইল ।
(ক) উদ্যোগ
স্থাপন,
(খ) উন্নত কৃষিব্যবস্থার প্রবর্তন,
(গ) প্রাকৃতিক সম্পদ উদঘাটন,
(ঘ) রাস্তাঘাট নির্মাণ,
(ঙ) পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার
উন্নতি,
(চ) শিক্ষার বিস্তার,
(ছ) বিদ্যুৎ উৎপাদন ও
(জ)
প্রয়োজনীয় মূলধন।
Q. ৬।
বেকারত্ব এবং অর্ধ বেকারত্বের পার্থক্য নির্ণয় কর।
উত্তর:- বেকারত্ব
হইল এমন অবস্থা যখন কাজ করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি সারা বই কাজের সুযোগ পায় না।
অন্যদিকে কোন ইচ্ছুক ব্যক্তি যদি বৎসরে কোন নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে মাঝে কাজের
সুযোগ পায় তখন ইহাকে অর্ধ বেকারত্ব বলে।
Q. ৭।
ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- স্বল্প
উন্নত দেশের কৃষি, হস্তশিল্প, খুচরা ব্যবসায় প্রভৃতিতে যে
পরিমাণ লোক কাজ করার প্রয়োজন ইহার চেয়ে অধিক লোক কাজ করে। এই অধিক সংখ্যক লোক
আপাতদৃষ্টিতে কাজে নিযুক্ত মনে করিলেও প্রকৃতপক্ষে তাহারা বেকার বা কর্মহীন। এইসকল
বেকারকে ছদ্মবেশী বেকার বলে।
Q. ৮।
উন্নয়নশীল দেশের কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত দুইটি বেকার সমস্যার উল্লেখ কর।
উত্তর:- (ক)
ঋতুভিত্তিক বেকারত্ব। (খ) ছদ্মবেশী বেকারত্ব।
Q. ৯।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- একটি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের সকল প্রকার সম্পদের সদ্ব্যবহার করিয়া নির্দিষ্ট
পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি করাকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বলে।
Q. ১০।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনার যে কোন তিনটি লক্ষ্য নির্দেশ কর।
উত্তর:- অর্থনৈতিক
পরিকল্পনার তিনটি উদ্দেশ্য হইল:-
(ক)
উন্নয়নের বাধাসমূহ দূরীকরণ।
(খ)
প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার।
(গ)
মাথাপিছু আয় ও আর্থিক উন্নতির হার বৃদ্ধি।
Q. ১১।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুইটি বাধা উল্লেখ কর।
উত্তর:- অর্থনৈতিক
উন্নয়নের দুইটি বাধা হইল:-
(ক) দ্রুত
জনসংখ্যা বৃদ্ধি। (খ) প্রাকৃতিক বিপর্যয়।।
Q. ১২।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মানবসম্পদের অপচয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।
উত্তর:- উন্নয়নশীল
দেশগুলিতে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে। এই বর্ধিত জনগণ কাজের সুযোেগ পায় না।
বেকারত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে। এই সকল দেশে মানুষের কারিগরী জ্ঞান ও কারিগরী
দক্ষতা উন্নত নহে। ফলে মানব সম্পদের ব্যবহার অতি নিম্নমানের। মানব সম্পদের অপচয়
হয়।
Q. ১৩।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে জনসংখ্যা নীতি কি রকম হওয়া উচিত সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর:- দ্রুত
জনসংখ্যা বৃদ্ধি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। অত্যধিক জনসংখ্যার
এই দেশসমূহ নানাপ্রকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হইতেছে। এই সকল
রাষ্ট্রে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নানা প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। শিক্ষার
বিস্তার ও স্ত্রীশিক্ষা সম্প্রসারণ করিতে হইবে।
Q. ১৪।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মানব শক্তি পরিকল্পনার গুরুত্ব কি?
উত্তর:- উন্নয়নশীল
রাষ্ট্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মানব সম্পদের বৰ্দ্ধিত অপচয় একটি প্রধান সমস্যা
রূপে দেখা দিয়েছে। এই সকল রাষ্ট্রের এক বৃহৎ অংশ অশিক্ষিত। উপযুক্ত শিক্ষা, দক্ষতা ও কারিগরী প্রশিক্ষণের
অভাবে মানব সম্পদের বিকাশ ও উৎপাদনশীলতা বাধাগ্রস্থ হয়। সুপরিকল্পিতভাবে
বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করিয়া উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব
সম্পদের বিকাশ সাধন করিয়া ইহার অপচয় রোধ করা সম্ভব।
Q. ১৫৷
মানুষের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ কি কি?
উত্তর:- মানুষের
মৌলিক প্রয়োজনসমূহ হইল—খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও যাতায়াত প্রভৃতি।
Q. ১৬।
সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- মানুষের
মৌলিক প্রয়োজন সমূহ পূরণ করার জন্য সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহে সমাজের বিভিন্নশ্রেণির মানুষের মধ্যে সামাজিক এবং
অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখিতে পাওয়া যায়। সাধারণ দরিদ্রতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের সঙ্গে
জড়িত সামাজিক শশাষণে সমাজজীবনের ভিত্তি দুর্বল করে। গণতান্ত্রিক সরকারে মানুষের
সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারসমূহের সংরক্ষণ করা এবং অনগ্রসর শ্রেণির অর্থনৈতিক অবস্থার
উন্নতি সাধনের জন্য যত্ন নেওয়া উচিত। সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত
আয়ের বৈষম্য দূর করা।
Q. ১৭।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার যে কোন তিনটি লক্ষ উল্লেখ কর।
উত্তর:- অর্থনৈতিক
পরিকল্পনার লক্ষ্য হইল :
(ক)
অর্থনৈতিক বিকাশ সাধন করা।
(খ) জনগণকে
আত্মনির্ভরশীল করা।
(গ)
দারিদ্র দূরীকরণ করা।
(ঘ) নিয়োগ
বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করা।
Q. ১৮।
ভারতবর্ষের সরকারী খণ্ডের যে কোন তিনটি সুবিধা লিখ।
উত্তর:- সরকারী
খণ্ডের সুবিধাসমূহ হইল:-
(ক) সরকারী
খণ্ডে উৎপাদন উন্নতমানের হয়।
(খ) সরকারী
খণ্ডে নিয়োগের সম্ভাবনা অধিক থাকে।
(গ) সরকারী
খণ্ডে সকল প্রকার সামগ্রী উৎপাদনের নিশ্চয়তা থাকে।'
Q. ১৯।
ভারতবর্ষে ১৯৯১ সালের উদারীকরণ নীতির দুইটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর:- উদারীকরণের
দুইটি বৈশিষ্ট্য হইল—
(ক) বিভিন্ন দেশের মধ্যে মূলধনের
মুক্তপ্রবাহের অনুমতি প্রদান।
(খ) বিভিন্ন
দেশের মধ্যে অবাধ আমদানি-রপ্তানি।
Q. ২০।
ভারতবর্ষের দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যে কোন চারিটি উদ্দেশ্য লিখ।
উত্তর:- দশম
পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ হইল—
(ক) রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের হার ৪
শতাংশ বৃদ্ধি।
(খ) ১৫
শতাংশ দারিদ্র হ্রাস।
(গ) সকল
ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণকরণ।
(ঘ)
স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
Q. ২১।
ভারতবর্ষের একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যেকোন চারিটি উদ্দেশ্য লিখ।
উত্তর:- একাদশ
পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক)
অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার বছরে ৮ শতাংশ হইতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
(খ)
কৃষিখণ্ডের উন্নয়ন বছরে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(গ)
অতিরিক্ত ৭ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করা।
(ঘ)
শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৫ শতাংশের নীচে হ্রাস করা।
Q. ২২।
আসামের দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যে কোন চারটি উদ্দেশ্য লিখ।
উত্তর:- আমাদের
দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) ২০০৭
সালের শেষে দারিদ্রতার অনুপাত ৩০ শতাংশ হ্রাস।
(খ)
উচ্চমানের লাভজনক নিয়োগ ব্যবস্থা।
(গ) ২০০৭
সালের মধ্যে সকল ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষাদান।
(ঘ)
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস করা।
Q. ২৩।
আসামের একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা যে কোনো তিনটি উদ্দেশ্য লিখ।
উত্তর:- আসামের
একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ হইল:-
(ক)
অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(খ)
কৃষিখণ্ডের উন্নয়ন বছরে ২ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(গ)
বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
Q. ২৪। উত্তর-পূর্ব
পরিষদের প্রধান কার্যসমূহ লিখ।
উত্তর:- উত্তর-পূর্ব
পরিষদের প্রধান কার্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) এই অঞ্চলের সম্পদ ও ঔদ্যোগিক
উন্নয়নের সম্ভাবনার বিষয় মূল্যায়ন করিয়া বিভিন্ন উন্নয়নী পরিকল্পনার জন্য
প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।
(খ) এই
অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
(গ) এই
অঞ্চলের মানব সম্পদের সদ্ব্যবহার।
(ঘ) কৃষি ও
শিল্পের উন্নয়ন।
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
রচনাধর্মী
প্রশ্নোত্তর
Q. ১।
উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির পার্থক্য লিখ।
উত্তর:- উন্নত
এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রধান পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) উন্নত
অর্থনীতির মাথাপিছু আয় উঁচুমানের। কিন্তু উন্নয়নশীল অর্থনীতির মাথাপিছু প্রকৃত
আয় অতি নিম্নমানের।
(খ) উন্নত
অর্থনীতি মূলধন সমৃদ্ধ। অন্যদিকে উন্নয়নশীল অর্থনীতি মূলধনের ক্ষেত্রে দুর্বল।
(গ) উন্নত
অর্থনীতি উদ্যোগ প্রধান অর্থনীতি। কিন্তু উন্নয়নশীল অর্থনীতি কৃষিপ্রধান।
(ঘ) উন্নত
রাষ্ট্রসমূহ জনসংখ্যার আয়তন ও ঘনত্ব কম। কিন্তু উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহের
ঘনবসতিপূর্ণ এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও ঘনত্ব অধিক।
(ঙ) উন্নত অর্থনীতিসমূহ বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তিক্ষেত্রে উন্নত। অন্যদিকে উন্নয়নশীল অর্থনীতিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির
ক্ষেত্রে অনগ্রসর।
(চ) উন্নত
অর্থনীতির উৎপাদন কৌশল অত্যাধুনিক ও অধিক উৎপাদনক্ষম। কিন্তু উন্নয়নশীল অর্থনীতির
উৎপাদন পদ্ধতি পরম্পরাগত ও নিম্নউৎপাদনক্ষম।
(ছ) আধুনিক
সমাজব্যবস্থা উন্নত দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশসমূহের
সমাজব্যবস্থা অধিক পরাম্পরাগত।
Q. ২।
উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ বর্ণনা কর।
উত্তর:- উন্নয়নশীল
অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ :
(১)
মাথাপিছু আয়ের স্বল্পতা:-
উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হইতেছে মাথাপিছু আয়ের
স্বল্পতা। স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা সত্ত্বেও
মাথাপিছু আয় উন্নত দেশগুলির তুলনায় অনেক কম।
(২) দ্রুত
জনসংখ্যা বৃদ্ধি:- দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি উন্নতশীল
অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। জনসাধারণের মধ্যে নিরক্ষরতা এবং দারিদ্র
জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে
সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না। প্রকৃতপক্ষে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাই
অর্থনৈতিক প্রগতির একটি বিরাট বাধা।
(৩) কৃষির
অগ্রগণ্যতা:- উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত
দেশগুলির কৃষির উপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা পরিদৃষ্টি হয়। স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে জাতীয়
আয়ের প্রধান উৎস হইল চিরাচিরত প্রথায় চাষ-আবাদ, উপযুক্ত জলসেচ, উন্নতমানের সার এবং কৃষিঋণের অভাবে কৃষি হইতে
প্রাপ্ত উৎপাদন উন্নত দেশগুলির তুলনায় অনেক কম।
(৪) শিল্পের অনগ্রসরতা:-
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কৃষির ন্যায় শিল্পও অনগ্রসর। মূলধন, সুদক্ষ শ্রমিকের অভাব, উৎপাদনে যন্ত্রপাতি প্রয়োগের
অভাবে শিল্পে উৎকর্ষ সাধন সম্ভব হয় না বলিয়া এই সকল শিল্পজাত দ্রব্যের
আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো চাহিদা নাই।
(৫) মূলধনের অভাবঃ-
মূলধনের অভাব উন্নয়নশীল অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। উন্নত দেশের তুলনায়
স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে মাথাপিছু আয় অনেক কম বলিয়া এই সকল দেশের জনসাধারণ তাহাদের
উপার্জিত আয়ের অধিকাংশ জীবনধারণের জন্য ব্যয় করে। ফলে উদ্বৃত্ত আয়ের অভাবে
মূলধন গঠন সম্ভব হয় না।
(৬) বেকার
সমস্যা:- উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বেকার সমস্যা স্থায়ীভাবে দেখা দেয়। কৃষিব্যবস্থার ত্রুটি, শিল্প-ব্যবসায়ের অভাব, শিক্ষাপোযোগী কর্মসংস্থানের অভাব
সর্বোপরি দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এই বেকার সমস্যার উদ্ভব ঘটে। স্বল্পোন্নত
অর্থনীতির ইহাও একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
Q. ৩।
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তর:- যেকোন
কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করিতে হইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি অনেক
ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাৰ্য্য করে। আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাসমূহ
হইল:-
প্রথমত, আর্থিক পরিকল্পনা আর্থিক
উন্নয়নের বাধাসমূহ দূরীভূত করে।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক উন্নয়নের জন্য
প্রয়োজনীয় মৌলিক সুযোগ সুবিধা বা প্রকল্প তৈরীর ক্ষেত্রে পরিকল্পনার প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পদের
সদ্ব্যবহার করা হয়।
চতুর্থত, অর্থব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন
ঘটানোর জন্য আর্থিক পরিকল প্রয়োজন।
পঞ্চমত, জনসাধারণের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ
পূরণের জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন।
অধিকন্তু
মানব সম্পদ ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক
বিকাশের জন্যও পরিকল্পনার প্রয়োজন।
Q. ৪।
ভারতের দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ লিখ।
উত্তর:- ভারতের
দশম পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হইল :
(১) দশম
পরিকল্পনাকালে (২০০২-২০০৭) মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের হার ৪ শতাংশ ধার্য করা
হইয়াছে।
(২) ২০০৭
সালের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ২০১২ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ দারিদ্রতা হ্রাস।।
(3) ২০০৩
সালের মধ্যে সকল ছেলেমেয়ের স্কুলে নাম ভর্তি এবং ২০০৭ সালের মধ্যে সকল ছেলেমেয়ের
প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণকরণ।
(৪)
স্বাক্ষরতা ও মজুরির হারের ক্ষেত্রে ২০০৭ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস
করা হইবে।
(৫) জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ২০১১
সালের মধ্যে অন্তত ১৬.২ শতাংশ হ্রাস করা।
(৬) দশম
পরিকল্পনাকালে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
(৭) শিশু
মৃত্যুর হার ২০০৭ সালের মধ্যে প্রতি হাজারে ৪৫ জন এবং ২০১২ সালের মধ্যে ২৮ জন
হ্রাস করা।
(৮)
বনাঞ্চলের পরিমাণ ২০০৭ সালের মধ্যে দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ এবং ২০১১ সালের
মধ্যে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি।
(৯) দশম
পরিকল্পনাকালে সকল গ্রামে পানীয় জলের যথেষ্ট যোগান।
(১০) ২০০৭
সালের মধ্যে সকল প্রধান নদী ও ২০১২ সালের মধ্যে সকল বিজ্ঞাপিত জলাশয়ের জল প্ৰদূষণ
রোধ করা।
উপরোক্ত
বিশেষ লক্ষ্যসমূহ প্রয়োজনবোধে সময়ে সময়ে সংশােধনযোগ্য বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে।
Q. ৫।
ভারতের একাদশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ লিখ।
উত্তর:- ভারতের
একাদশ পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হইল ঃ
(ক)
অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার বার্ষিক ৮ শতাংশ হইতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
(খ)
কৃষিখণ্ডের উন্নতি প্রতিবছর ৪ শতাংশ বৃদ্ধি।
(গ)
অতিরিক্ত ৭ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
(ঘ)
শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা ৫ শতাংশের নিম্নে হ্রাস করা।
(ঙ) অদক্ষ
শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরির হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
(চ) সাত
বছরের অধিক বয়সের মানুষের শিক্ষার হার ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
(ছ)
শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করা।
(জ) প্রতিটি
গ্রামে বিদ্যুৎ প্রদান করা।
(ঝ)
বনাঞ্চলের পরিমাণ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(ঞ) ২০১২
সালের মধ্যে সকল মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
(ট)
নদীসমূহের জল ও নগর অঞ্চলের সকল প্ৰদূষিত জলের বিশুদ্ধিকরণ করা।
Q. ৬।
আসামের দশম পবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ লিখ।
উত্তর:- আসামের
দশম পরিকল্পনা (২০০২-২০০৭)র প্রধান উদ্দেশ্য হইল মূলধন গঠনের হার বৃদ্ধির জন্য
প্রয়োজনীয় মৌলিক, আর্থিক ও
সামাজিক পরিকাঠামো সৃষ্টি করা। এই উদ্দেশ্য সামনে রাখিয়া নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহ
দ্রুত উন্নয়নের জন্য সনাক্ত করা হইয়াছে:-
(১)
বিদ্যুৎশক্তি, পরিবহন, যোগাযোগ, প্রভৃতি পরিকাঠামো।
(2) কৃষি ও
কৃষিভিত্তিক পরিসেবা (দুগ্ধদ্রব্য, মীন
পালন ও জলসেচ)।
(৩)
তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন ও
স্বাস্থ্যসেবা।
(৪) মানব
সম্পদ উন্নয়ন।
(৫)
ঔদ্যোগিক উন্নয়ন (বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প)।
দ্বিতীয়ত, জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান
উন্নয়নের জন্য নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যসমূহ গ্রহণ করা হইয়াছে—
(১) ২০০৭
সালের শেষে দারিদ্রতার অনুপাত ৫০ শতাংশ হাস।
(২) লাভজনক
উচ্চগুণমান সম্পন্ন নিয়োগ ব্যবস্থা।
(৩) ২০০৭
সালের মধ্যে সকল ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষাদান।
(৪)
স্বাক্ষরতা ও মজুরি হারের ক্ষেত্রে ২০০৭ সালের মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য অন্তত ৫০ শতাংশ
হ্রাস।।
(৫)
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চলিত দশকে হ্রাস।
(৬) দশম
পরিকল্পনাকালে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(৭) ২০০৭
সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার হাজার প্রতি ৪৫ জন হ্রাস করা।
(৮)
বনাঞ্চলের পরিমাণ ২০০৭ সালের মধ্যে রাজ্যের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা।
(৯)
পরিকল্পনাকালের মধ্যে সকল গ্রামে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা,
(১০) মাতৃ ও প্রসূতি মৃত্যুর হার
হ্রাস করা।
অধিকন্তু
পরিকল্পনাকালে জাতীয় মাথাপিছু আয়ের তুলনায় রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি
দশম পরিকল্পনার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য।
Q. ৭।
আসামের একাদশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহ লিখ।
উত্তর:- আসামে
একাদশ পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হইল:- (ক)
অর্থনৈতিক উন্নতির হার পরিকল্পনার শেষে ৮.৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি
করা।
(খ) কৃষি, ক্ষুদ্র উদ্যোগ, হস্ত-তঁত ও হস্তশিল্প প্রভৃতির
উপর গুরুত্ব আরোপ করিয়া গ্রামীণ উন্নয়নের গতি ক্ষিপ্র করিয়া ভোলা।
(গ) পরিবহন, যোগাযোগ, শক্তি ও শিল্পের সম্পদ আহরণ এবং
উচ্চমানের পযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে বেসরকারী খণ্ডের স্বীকৃতিদান করা।
(ঘ)
কৃষিখণ্ডের উন্নয়ন বার্ষিক ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা।
(ঙ)
স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানীয় জলের যোগান, পুষ্টিকরণ প্রভৃতির ক্ষেত্রে
অধিক বিনিয়োগের ব্যবস্থা করিয়া মানব উন্নয়নের মান বৃদ্ধি করা।
(চ)
উদ্যোগক্ষেত্রে হস্তাত, বস্ত্রশিল্প, রেশম, কৃষিভিত্তিক ও বনভিত্তিক উদ্যোগসমূহের
প্রতিষ্ঠার উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা।
(ছ) বন্যা ও ভূমিক্ষয় প্রতিরোধের
জন্য ব্যবস্থা অবলম্বন করা।
(জ)
বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করিয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মূলধন আকর্ষণ করা।
Q. ৮।
উত্তর-পূর্ব পরিষদের কার্যসমূহ বর্ণনা করা।
উত্তর:- উত্তর-পূর্ব
পরিষদের প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ :
(ক) সমগ্র
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সুসংহত আঞ্চলিক পরিকল্পনা প্রস্তুত
করা এবং অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করিয়া দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে অর্থনৈতিক
ব্যবধান হ্রাস করা।
(খ)
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় স্থাপন করা ও
আন্তঃরাজ্যিক পরিকাঠামো যেমন—বিদ্যুৎ
শক্তি, পরিবহন ও
যোগাযোগের উন্নতিকল্পে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দান।
(গ) উত্তর পূর্বাঞ্চলের
আন্তঃরাজ্যিক পরিবহন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতির মধ্যে
অগ্রাধিকার স্থাপন করিয়া প্রকল্প প্রস্তুত করা।
(ঘ) উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের
রূপায়ণ, সংরক্ষণ ও
এইগুলি হইতে লাভ করা সুবিধাসমূহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মধ্যে বিতরণের জন্য কার্যকরী
সমন্বয় রক্ষা করা।
(ঙ) এই অঞ্চলের সম্পদ ও ঔদ্যোগিক
উন্নয়নের সম্ভাবনার বিষয় মূল্যায়ন করিয়া বিভিন্ন উন্নয়নী পরিকল্পনার জন্য
প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।
Q. ৯।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উত্তর-পূর্ব পরিষদের কি কি ভূমিকা আলোচনা
কর।
উত্তর:- উত্তর-পূর্ব
ভারতের সাতটি রাজ্য—আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল ও নাগাল্যাণ্ড বিভিন্ন
কারণে ভারতের মূল ভূখণ্ড হইতে প্রায় বিচ্ছিন্ন হইয়া আছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারী
জনগণের ভাষা, সংস্কৃতি
ইত্যাদিও ভারতবর্ষের অন্য রাজ্যগুলি হইতে একটু আলাদা ধরনের। প্রাকৃতিক সম্পদের
প্রাচুর্যতা থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ভারতের অন্যান্য
রাজ্যের তুলনায় মন্থর। সেইজন্য ভারত সরকার এই ৯৮,০০০ বর্গমাইল ভুক্ত এই অঞ্চলের সুসংহত এবং সঠিক উন্নয়নের
জন্য ১৯৭১ সালে “উত্তর-পূর্ব
পরিষদ আইন প্রণয়ন করিয়া ১৯৭২ সালে উত্তর-পূর্ব পরিষদ-গঠন করেন। সাতটি রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালগণ ইহার সদস্য। বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল এই
পরিষদের সভাপতি।
কার্যাবলী:উত্তর-পূর্বাঞ্চলের
রাজ্যসমূহের সুসংহত এবং সঠিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই এই পরিষদের মুখ্য উদ্দেশ্য।
উত্তর-পূর্ব পরিষদের কার্যাবলী হইল—
(১) এই
অঞ্চলের সম্পদ ও উদ্যোগিক উন্নয়নের সম্ভাবনার বিষয় মূল্যায়ন করিয়া বিভিন্ন
উন্নয়নী পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।
(২) এই
অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক বিকাশের প্রারম্ভিক সুবিধাসমূহ
গঠন করিতে সাহায্য করা।
(৩) এই
অঞ্চলের মানব সম্পদের ব্যবহার এবং উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
(৪)
অঞ্চলটির কৃষিকার্যের উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
(৫)
শিল্পোন্নয়নে সাহায্য করা।
অবদান:-
উত্তর-পূর্ব পরিষদ এই অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্প উন্নয়ন রূপায়ণে উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছে। তেজপুরের ভোমরাগুড়ির নিকট ব্রহ্মপুত্রে “কলিয়া ভোমরা” সেতু নির্মাণ, ৬টি রেললাইন স্থাপন, কুপিলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন
ইত্যাদি এই পরিষদের সাফল্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। ইহা ছাড়া উত্তর পূর্ব পরিষদের
অধীনে নাগাল্যাণ্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে “দোয়াং”
এবং
“রাঙ্গানদী” প্রকল্প দুইটির কাজ আরম্ভ
হইয়াছে। যোগীঘােপাতে নরনারায়ণ সেতু” নামে
ব্রহ্মপুত্রের উপর তৃতীয় সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হইয়াছে। সুতরাং
উত্তর-পূর্ব পরিষদ এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করিতেছে।
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
অতিরিক্ত
প্রশ্নোত্তর
Q. ১।
প্রকৃত আয় বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- প্রকৃত
আয় বলিতে মুদ্রা, দ্রব্য এবং
সেবামূলক কার্যাদি হইতে বিভিন্নরূপে প্রাপ্ত সামগ্রিক আয় বা অভাব পূরণের সুবিধাকে
বুঝায়। প্রকৃত আয় অনুভবের ব্যাপার। উহার প্রত্যক্ষ পরিমাপ সম্ভব নয়। প্রকৃত
আয়ের মুদ্রামূল্য আয়কে মুদ্রামূল্য বলে। মুদ্রাগত আয়ের দ্বারা যে পরিমাণ
দ্রব্যসামগ্রী এবং সেবা ক্রয় করিতে পারা যায় তাহাই প্রকৃত আয়।
Q. ২।
রাষ্ট্রীয় আয় বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- কোন
একটি দেশের শ্রম এবং মূলধনের প্রাকৃতিক সম্পদের সাহায্যে এক বৎসরের মধ্যে যে
পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী এবং সেবা কার্য উৎপাদন করে ইহার মোট মূল্যকে রাষ্ট্রীয় বা
জাতীয় আয় বলে।
Q. ৩।
মাথাপিছু আয় বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- মাথাপিছু
আয় বলিতে সংক্ষেপে প্রত্যেক ব্যক্তির আয় বলে। রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় আয়কে দেশের
মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করিলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাহাই হইল মাথাপিছু আয়।
মাথাপিছু আয় হইল গড় আয়। ইহা দ্বারা দেশের প্রকৃত জীবনযাত্রার মান যথাযথ উপলব্ধি
করা যায়।
Q. ৪।
মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন কি?
উত্তর:- বিভিন্ন
স্থানে উৎপাদন কাজে নিযুক্ত উপাদানসমূহের এক বছরের উৎপাদিত সম্পদকে মোট রাষ্ট্রীয়
উৎপাদন বলে। মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন গণনার সময় উৎপাদিত সামগ্রীর সাম্প্রতিক
অর্থমূল্য ধার্য করিতে হয়।
Q. ৫।
প্রকৃত রাষ্ট্রীয় উৎপাদন কি?
উত্তর:- মোট
রাষ্ট্রীয় উৎপাদন হইতে সেই বৎসর উৎপাদনের অত্যাবশ্যকীয় ব্যয়, যেমন—মূলধনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ বাবদ
টাকা বিয়োগ করিলে যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহাকে প্রকৃত রাষ্ট্রীয় উৎপাদন বলে। শুদ্ধ
বা প্রকৃত রাষ্ট্রীয় উৎপাদন মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের চেয়ে বেশি হইতে পারে না।
Q. ৬।
আর্থিক পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর:- আর্থিক
পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ :
(ক) আর্থিক
পরিকল্পনা সরকারীভাবে গৃহীত আর্থিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা।
(খ)
পরিকল্পনার অধীনে পূর্ব হইতেই কতিপয় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
(গ) লক্ষ্য
পূরণ করিবার জন্য নীতি ও কাৰ্যসূচী গ্রহণ করা হয়।
(ঘ)
পরিকল্পনার লক্ষ্য ও কাৰ্যসূচীসমূহ রূপায়ণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট বা হয়।
(ঙ)
পরিকল্পনার লক্ষ্য ও কার্যসূচীসমূহ রূপায়ণের জন্য উপযুক্ত কার্যব্যবস্থা গ্রহণ
করা হয়।
Q. ৭।
ভারতের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রূপায়ণের প্রতিবন্ধকতা বা অন্তরায় উল্লেখ কর।
উত্তর:- ভারতের
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রূপায়ণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা বা অন্তরায়সমূহ হইল:-
(১) দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি,
(২) উৎপাদনের উপকরণসমূহের অভাব,
(৩) বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি,
(৪) দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা,
(৫) মুদ্রাস্ফীতির চাপ,
(৬) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যথাযথ
প্রয়োগ না হওয়া ও
(৭)
প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
Q. ৮।
ভারতের পরিকল্পনা আয়োগ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।
উত্তর:- ভারতে
পরিকল্পনা আয়োগ গঠিত হয় প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর
নেতৃত্বে ১৯৫০ সালে। প্রথম হইতেই দেশের প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা আয়োগের পদাধিকারী
সভাপতি। পরিকল্পনা আয়োগের একজন সহ সভাপতিও আছেন। ১৯৮০ সালের আগস্ট মাসে পরিকল্পনা
আয়োগ নূতনভাবে গঠন করা হয়। এই নবগঠিত আয়োগে প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মোট পাঁচজন
সদস্য আছেন। পরিকল্পনা আয়োগের সাধারণ বিভাগে সর্বমোট ১২টি বিভাগ আছে এবং প্রত্যেক
বিভাগের দায়িত্ব একজন উপদেষ্টা অথবা সচিবের হাতে ন্যস্ত থাকে।
পরিকল্পনা
আয়োগের প্রধান কার্যাবলী হইতেছেঃ-
(১) দেশের
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যকে একটি সুসংহত
রূপ প্রদান করা ;
(২) দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন এবং মানব সম্পদের পূর্ণ
ব্যবহার ;
(৩) দেশের সম্পদ সদ্ব্যবহারের
ব্যবস্থা করিয়া অপচয় বন্ধ করা ;
(৪) উৎপাদিত দ্রব্যসমূহের যথাযথ
বণ্টন;
(৫) দেশের পরিকল্পনার খসড়া
প্রস্তুত করা।
Q. ৯।
সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ ।
(ক) ঋতুগত
বেকারত্ব, (খ) চক্রাকার
বেকারত্ব, (গ) শিক্ষিত
বেকারত্ব, (ঘ) ছদ্মবেশী
বেকারত্ব।
উত্তর:- (ক)
ঋতুগত বেকারত্ব:-
যে সকল লোক
বছরের কোন কোন সময় বা ঋতুতে কাজের সুযোগ না পাওয়ার ফলে বেকার বা কর্মহীন
অবস্থায় থাকে তাহাদিগকে ঋতুগত বেকার বলে। আমাদের দেশে কৃষিকার্য প্রধানত বৃষ্টির
উপর নির্ভরশীল। বর্ষাকালেই কৃষিকার্য করা হয়। জলসেচের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায়, সারাবৎসর কৃষিকার্য সম্ভব হয়
না। ইহার ফলে বৎসরের নির্দিষ্ট সময়ে কৃষিশ্রমিক কার্যে নিযুক্ত থাকে এবং বৎসরের
অধিকাংশ সময় তাহারা বেকার বা কর্মহীন অবস্থায় থাকে।
(খ)
চক্রাকার বেকারত্ব:—
প্রধান
প্রধান শিল্পোদ্যোগে অগ্রসর দেশের অর্থাবস্থায় নিয়মিতভাবে চক্রাকার গতিতে কয়েক
বছর দ্রব্যের চাহিদা ও উৎপাদন অধিক হওয়ার পর কয়েক বছর উৎপাদন কম হয়। ইহাকে
বাণিজ্য চক্র বলে। এই বাণিজ্য চক্রের নিম্নভাগ অর্থাৎ চাহিদা ও উৎপাদন হ্রাস
হওয়ার সময় অনেক লোক বেকার বা কর্মহীন থাকে। এইরূপ বেকারত্বকে চক্রাকার বেকারত্ব
বলে।
(গ) শিক্ষিত বেকারত্ব:—
শিক্ষিত
লোকের অধিকাংশই যদি সরকারী বেসরকারী খণ্ডের প্রতিষ্ঠান বা কার্যালয়ে নিয়মিত
মজুরী থাকা কাজ করিতে বিমুখ থাকে তাহাকে শিক্ষিত বেকারত্ব বলে। ভারতের শিক্ষিত
ব্যক্তিগণ উচ্চস্তরে চাকুরীর জন্য আগ্রহী। নীচুস্তরের কাজ করিতে তাহারা আগ্রহী
নহেন। ইহার ফলে তাহারা বেকার হইয়া থাকে।
(ঘ) ছদ্মবেশী বেকারত্ব:—
স্বল্প
উন্নত দেশের কৃষি, হস্তশিল্প, খুচরা ব্যবসায় প্রভৃতিতে যে
পরিমাণ লোক কাজ করার প্রয়োজন ইহার চেয়ে অধিক লোক কাজ করে। এই অধিক সংখ্যক লোককে
আপাতদৃষ্টিতে কাজে নিযুক্ত মনে করিলেও প্রকৃতপক্ষে তাহারা বেকার বা কর্মহীন। এই
সকল বেকারকে ছদ্মবেশী বেকার বলে। সাধারণত পরিবারভিত্তিক স্বনিয়োজিত ক্ষেত্রে
এইরূপ ছদ্মবেশী বেকার অধিক থাকে। এইরূপ বেকারত্ব শহরাঞ্চলে অধিক দৃষ্ট হয়।
Q. ১০।
আর্থিক উন্নয়ন বলিতে কি বুঝ?
উত্তর:- জনসাধারণের
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, যাতায়াত, পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি দৈনন্দিন জীবনের
প্রয়োজনসমূহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ও গুণগতভাবে উন্নত। হইলে ইহাকে আর্থিক উন্নয়ন বলা
হয়।
Q. ১১।
আর্থিক উন্নয়নের সংজ্ঞা কিভাবে প্রদান করা হয়?
উত্তর:- দীর্ঘকাল
ব্যাপিয়া দেশের জনগণের মাথাপিছু প্রকৃত আয়বৃদ্ধি হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে আর্থিক
উন্নয়ন বলে।
Q. ১২।
আর্থিক উন্নয়নের আয়সূচক কি?
উত্তর:- প্রকৃত
রাষ্ট্রীয় আয়বৃদ্ধির হার অধিক হইলে উন্নয়নের হার অধিক হওয়া বুঝায়। সুতরাং
প্রকৃত রাষ্ট্রীয় আয়বৃদ্ধির হার আর্থিক উন্নয়নের এক প্রকার সূচক। ইহাকে আর্থিক
উন্নয়নের আয়সূচক বলে।
Q. ১৩।
আর্থিক উন্নয়নের অনাআয়সূচক কি উদাহরণ সহ লিখ।
উত্তর:- আর্থিক
উন্নয়নের আয়সূচক ছাড়াও কিছু পরিমাণ অনা-আয়সূচক ব্যবহার দেখা যায়। এইগুলির
মধ্যে জনসাধারণের স্বাক্ষরতার হার, প্রত্যাশিত
জীবনকাল, স্বাস্থ্যসেবার
অবস্থা, বাসগৃহ, নিষ্কাষণ ব্যবস্থা প্রভৃতি
প্রধান।
Q. ১৪।
আর্থিক পরিকল্পনা কি?
উত্তর:- একটি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের সকল প্রকার সম্পদের সদ্ব্যবহার করিয়া নির্দিষ্ট
পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি করাকে আর্থিক পরিকল্পনা বলে।
Q. ১৫।
আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজন কি সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর:- যেকোন
কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করিতে হইলে পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি অনেক
ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাৰ্য্য করে। আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাসমূহ
হইল :-
প্রথমত, আর্থিক পরিকল্পনা আর্থিক
উন্নয়নের বাধাসমূহ দূরীভূত করে।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক উন্নয়নের জন্য
প্রয়োজনীয় মৌলিক সুযোগ-সুবিধা বা প্রকল্প তৈরীর ক্ষেত্রে পরিকল্পনার প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পদের
সদ্ব্যবহার করা হয়।
চতুর্থত, অর্থব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন
ঘটানোর জন্য আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। পঞ্চমত, জনসাধারণের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ পূরণের জন্য
পরিকল্পনা প্রয়োজন।
অধিকন্তু
মানব সম্পদ ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক
বিকাশের জন্যও পরিকল্পনার প্রয়োজন।
Q. ১৬।
ভারতের আর্থিক পরিকল্পনা কখন আরম্ভ হয়? এখন পর্যন্ত সমাপ্ত হওয়া পরিকল্পনা সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর:- ভারতের
আর্থিক পরিকল্পনা ১৯৫১ সালের ১লা এপ্রিল হইতে আরম্ভ হয়। তখন পর্যন্ত সমাপ্ত হওয়া
মোট নয়টি পরিকল্পনা হইল:-
(১) প্রথম পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৫১ – ৩১শে মার্চ, ১৯৫৬)
(২)
দ্বিতীয় পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল,
১৯৫৬
৩১শে মার্চ, ১৯৬১)
(৩) তৃতীয়
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৬১ – ৩১শে মার্চ, ১৯৬৬)
(৪) চতুর্থ
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৬৯ – ৩১শে মার্চ, ১৯৭৪)
(৫) পঞ্চম
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৭৪ – ৩১শে মার্চ, ১৯৭৯)
(৬) ষষ্ঠ
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৮০ – ৩১শে মার্চ, ১৯৮৫)
(৭) সপ্তম
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৮৫ – ৩১শে মার্চ, ১৯৯০)
(৮) অষ্টম
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৯২ - ৩১শে
মার্চ, ১৯৯৭)
(৯) নবম
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ১৯৯৭ -
৩১শে মার্চ, ২০০২)
(১০) দশম
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ২০০২—৩১ শে মার্চ, ২০০৭)
(১১) একাদশ
পরিকল্পনা (১লা এপ্রিল, ২০০৭-৩১ শে
মার্চ ২০১২)
Q. ১৭।
ভারতের আর্থিক পরিকল্পনার প্রধান বিফলতাসমূহ কি কি?
উত্তর:- ভারতের
আর্থিক পরিকল্পনার প্রধান বিফলতাসমূহ হইল :-
(১) বেকার
সমস্যা বৃদ্ধি,
(২) আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধি,
(৩) কৃষিখণ্ডের সামগ্রিক নিম্ন
উন্নয়ন,
(৪) গ্রামের জনগণের মৌলিক সুযোগ
সুবিধার অভাব।
Q. ১৮।
ভারতের আর্থিক পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর:- ভারতের
আর্থিক পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপঃ
(ক)
অর্থনৈতিক বিকাশ:— ভারতের
আর্থিক পরিকল্পনার অপর মুখ্য উদ্দেশ্য হইল আর্থিক বিকাশ।
(খ) আত্মনির্ভরশীলতা:— ভারতের
আর্থিক পরিকল্পনার মুখ্য উদ্দেশ্য হিসাবে আত্মনির্ভরশীলতাকে গ্রহণ করা হইয়াছে।
(গ) নিয়োগ
বৃদ্ধি:— বেকার
সমস্যা দূরীকরণের জন্য নিয়োগ বৃদ্ধি করা আর্থিক পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য।
(ঘ) আয়ের পার্থক্য দূরীকরণ:— ভারতের
বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আয়ের পার্থক্য দূরীকরণ আর্থিক পরিকল্পনার অন্য
একটি প্রধান উদ্দেশ্য।
(ঙ)দারিদ্র্য
দূরীকরণ:— পঞ্চম
পরিকল্পনা হইতে দারিদ্র্য দূরীণ মূল লক্ষ্য। হিসাবে গ্রহণ করা হয়।
Q. ১৯।
স্বল্প উন্নত দেশে আর্থিক পরিকল্পনা যে সকল কারণে প্রয়োজন হয় সেই কারণসমূহ
আলোচনা কর।
উত্তর:- কোনো
কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করিতে পরিকল্পনার প্রয়োজন। পৃথিবীর সকল দেশেরই সরকার
পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কার্য বাস্তবায়িত করে। স্বল্প উন্নত দেশের আর্থিক
পরিকল্পনা অপরিহার্য। এই সকল দেশে নানা কারণে আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজন।
(১) আর্থিক
উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ:-
বর্তমানকালে ইংল্যান্ড, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি প্রভৃতি উন্নত
দেশগুলিতে সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় বা স্বাভাবিকভাবে আর্থিক
উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু স্বল্প উন্নত দেশগুলিতে স্বাভাবিকভাবে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব
নহে। পরিকল্পনার মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব।
(২) আর্থিক
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সুযোগ সুবিধা:- স্বল্প
উন্নত দেশে পরিবহন ব্যবস্থা,
বিদ্যুৎ
শক্তির ব্যবস্থা, ব্যাঙ্ক
ব্যবস্থা, বিত্ত
প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও
স্বাস্থ্য প্রভৃতি মৌলিক সুযোগ সুবিধা ও উন্নয়নের পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নহে। এই সকল
বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করিয়া সুসংহত আর্থিক উন্নয়নের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা
একান্ত প্রয়োজন।
(৩) সম্পদের সদ্ব্যবহারের জন্য:-
স্বল্প উন্নত দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ, সঞ্চয়, শ্রম প্রভৃতির সদ্ব্যবহার করা
হয় না। ফলে সেই সকল দেশে স্বাভাবিক আর্থিক বিকাশ সম্ভব হয় না। সুতরাং এই সকল
দেশে সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজন।
(৪) অর্থব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন
সাধন:- স্বল্প উন্নত দেশগুলি সাধারণত
অনুন্নত কৃষি, খনি
প্রভৃতি প্রাথমিক উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। আধুনিক শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে এই সকল
দেশ পশ্চাৎপদ। এই সকল মৌলিক পরিকাঠামোগত দুর্বলতা অতিক্রান্ত করিয়া আধুনিক
শিল্পোদ্যোগের দ্রুত বিকাশ সাধনের জন্য আর্থিক পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়।
(৫) জনগণের
মৌলিক প্রয়োজন পূরণ:- স্বল্প
উন্নত দেশের জনসাধারণের জীবন ধারণের মান অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের। এই সকল দেশের
জনগণ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ঔষধ, পানীয় জল, চিকিৎসার সুবিধা, শিক্ষার সুবিধা প্রভৃতি মৌলিক
প্রয়োজনগুলি হইতে বহুলাংশে বঞ্চিত। এই সকল সমস্যা দূরীকরণের জন্য আর্থিক
পরিকল্পনার প্রয়োজন।
অধিকন্তু
স্বল্প উন্নত দেশের মানব সম্পদ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য আর্থিক
পরিকল্পনার প্রয়োজন।
ভারত ও অসমের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন
সম্পর্কিত ভিন্ন প্রশ্নোত্তর
সেবা আসামের ক্লাস 10 এর জন্য
সামাজিক বিজ্ঞান
ECONOMIC
DEVELOPMENT : QUESTIONS & ANSWERS ON SOCIAL SCIENCE FOR CLASS 10 SEBA ASSAM
FOR MORE VISIT
www.smartlearningservice.com
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.