Class : 10
Warm Welcome,
SEBA / SMEBA Class 10 Geography (Social
Sciences)
Chapter 3 in Bangla
সেবা (আসাম) দশম
শ্রেণী ভূগোল (সমাজবিজ্ঞান)
তৃতীয়
অধ্যায় : পৃথিবীর
ভূগোল
1. পৃথিবীর মোট
আয়তন
প্রায়
510 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার।
2. পৃথিবীর 29% স্থলভাগ অর্থাৎ 149 নিযুত বর্গ
কিলোমিটার এবং
71% ভাগ
অর্থাৎ
361 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার।
3. মহাদেশগুলি = 7 টি। এশিয়া, ইউরোপ,
আফ্রিকা, উত্তর
আমেরিকা, দক্ষিণ
আমেরিকা, ওসেনিয়া বা
অস্ট্রেলিয়া এবং
এন্টার্কটিকা । সর্ববৃহৎ - এশিয়া
মহাদেশ।
4. মহাসাগরগুলি = 5 টি। প্রশান্ত, আটলান্টিক, ভারত,
উত্তর
ও দক্ষিণ মহাসাগর। সর্ববৃহৎ- প্রশান্ত মহাসাগর।
5. 2015 বর্ষের আনুমানিক তথ্য
অনুসারে পৃথিবীর মোট
জনসংখ্যা 730 কোটি
বা
7.3 মহা
নিযুত।
6. মহাদেশগুলোর এবং মহাসাগরগুলোর বিতরণ:
a)
মহাদেশীয় সংস্থান সূত্র (Continental
Drift Theory) অনুসারে আজ
থেকে
প্রায়
300 নিযুত
বছর
পূর্বে
একটি
মাত্র
একত্রিত স্থলমন্ডল ছিল
যার
নাম
ছিল
“পেঞ্জিয়া” (Pangaea)।
b)
স্থলমন্ডল অর্থাৎ
পেঞ্জিয়ার চারপাশে ছিল
জলমণ্ডল যাকে
বলা
হয়
প্যানথালাসা (Panthalasa) ।
c)
কিছুকাল পর
পেঞ্জিয়ার প্রায়
মাঝ
বরাবর
পূর্ব-পশ্চিমে একটি সাগরের (দীর্ঘ
ও সংকীর্ণ) সৃষ্টি হয়েছিল যাকে
বলা
হয়
টেথিস সাগর (Terhys Sea) ।
d)
টেথিস
সাগরের
সৃষ্টির ফলে
পেঞ্জিয়া উত্তর
ও দক্ষিণ এই দুই
ভাগে
বিভক্ত
হল। উত্তর অংশটিকে লরেসিয়া (Laurasia) এবং দক্ষিণ অংশকে
গন্ডোয়ানাল্যান্ড (Gondowana Land) বলা হয়
।
e)
250 নিযুত বছর
পূর্বে
লরেসিয়া এবং
গন্ডোয়ানাল্যান্ড ভূত্বকের ফাটল
ক্রিয়া এবং
মহাদেশীয় সঞ্চারনের ফলে পুনরায় বিভাজিত হয়ে
আজকের
মহাদেশগুলির সৃষ্টি
হয়।
f)
লরেসিয়া বিভাজিত হয়
উত্তর
আমেরিকা, গ্রিনল্যান্ড, ইউরও
ও এশিয়া মহাদেশের সৃষ্টি
হয়।
g)
গন্ডোয়ানাল্যান্ড বিভাজিত হয়ে
দক্ষিণ
আমেরিকা, আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, ভারত
বর্ষ,
আরব
অঞ্চল,
মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দ্বীপসমূহ, অস্ট্রেলিয়া, এন্টার্কটিকা ইত্যাদির সৃষ্টি হয়।
h)
নদ-নদী, হ্রদ, সাগর-মহাসাগরের জল বেষ্টিত বৃহৎ
অংশটি
জলমন্ডল এবং
মাটি,
পাথর,
শিলা,
মরু
বেষ্টিত বৃহৎ
অংশের
স্থলমন্ডল বলে।
i)
স্থলমন্ডলের চারটি অংশ:
i)প্রথম অংশ: এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ নিয়ে গঠিত
ii) দ্বিতীয় অংশ:
উত্তর
ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ
নিয়ে
গঠিত
iii) তৃতীয়
অংশ:
অস্ট্রেলিয়া ও বহুৎ দ্বারা ওশেনিয়া মহাদেশ
নিয়ে
গঠিত
এবং
iv) চতুর্থ
অংশ:
এন্টার্কটিকা মহাদেশ
দ্বারা
গঠিত
j)
প্রশান্ত মহাসাগর- এশিয়া,
উত্তর
আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখানে অবস্থিত।
k) আটলান্টিক মহাসাগর- উত্তর
ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ
ও আফ্রিকা মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত।
l) ভারত
মহাসাগর- এশিয়া
দক্ষিনে, আফ্রিকার পূর্বে
এবং
ওশেনিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত।
m) উত্তর
মহাসাগর- উত্তর
আমেরিকা, ইউরোপ
এশিয়া
মহাদেশের উত্তরে
অবস্থিত।
n)
দক্ষিণ
মহাসাগর- দক্ষিণ
আমেরিকা, আফ্রিকা এবং
ওশেনিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত।
o) জল
মন্ডলের বৃহৎ
অংশ
প্রায়
57% দক্ষিণ
গোলার্ধে অবস্থিত।স্থলভাগের বৃহৎ
অংশ
প্রায়
67 % উত্তর
গোলার্ধে অবস্থিত এবং
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় 90% উত্তর গোলার্ধে বাস
করে।
7. প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর দুটো
গোলার্ধেই অবস্থিত কেবল
উত্তর
মহাসাগর উত্তর
গোলার্ধে এবং
দক্ষিণ
মহাসাগর দক্ষিণ
গোলার্ধে অবস্থিত।
8. সর্ববৃহৎ মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগর এবং
ক্ষুদ্রতম মহাসাগর উত্তর
মহাসাগর।
9. মহাসাগরগুলির আয়তনের বিতরণ:
ক্রমিক নং
|
মহাসাগর গুলি
|
আয়তন
|
শতাংশ হিসাবে
|
A
|
প্রশান্ত মহাসাগর
|
165.2
নিযুত বর্গ
কিলোমিটার
|
45.8 শতাংশ
|
B
|
আটলান্টিক মহাসাগর
|
82.4 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
22.8
শতাংশ
|
C
|
ভারত মহাসাগর
|
73.4
নিযুত বর্গ
কিলোমিটার
|
20.3 শতাংশ
|
D
|
দক্ষিণ মহাসাগর
|
20.3 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
5.6
শতাংশ
|
E
|
উত্তর মহাসাগর
|
14.1
নিযুত বর্গ
কিলোমিটার
|
3.9 শতাংশ
|
10. গড় হিসাবে
মহাসাগরের গভীরতা
প্রায়
4000 মিটার।
11. মহাসাগরীয় অবয়বগুলি:- মহীসোপান, মহীঢাল,
গভীর
সমুদ্র
তল,
সমুদ্রতলীয় দ্রোনী,সামুদ্রিক শৈলশিরা ও দ্বীপ এবং
গভীর
সমুদ্রখাত।
12. উপকূলের চারপাশে প্রায়
200 মিটার
পর্যন্ত সাগর
মহাসাগরের অংশকে
মহীসোপান বলে
মহীসোপানের পরবর্তী গভীর
অংশকে
মহিঢাল বলে।
13. প্রশান্ত মহাসাগরের তলে
অবস্থিত “মারিয়ানা” বা
“চ্যালেঞ্জার” খাত
পৃথিবীর সবচাইতে গভীরতম
(প্রায়
11022 মিটার)
থাত।
14. প্রশান্ত মহাসাগরের গড়
গভীরতা
প্রায়
5000 মিটার।
15. প্রশান্ত মহাসাগরে ছোট-বড় কমেও 20000 টা সামুদ্রিক দ্বীপ
আছে। তার মধ্যে
জাপান,
তাইওয়ান, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, হাওয়াই, ইন্দোনেশিয়া উল্লেখযোগ্য।
16. প্রশান্ত মহাসাগরের খাতগুলি হল-
মারিয়ানা, এলিউসিয়ান,কীউরাইল, ফিলিপাইন, টঙ্গা,
পেরু-চিলি ইত্যাদি।
17. প্রশান্ত মহাসাগরের অন্তর্গত সাগর গুলি ক্রমে-
বেরিং
সাগর,
উখটস্ক
সাগর,
জাপান
সাগর, দক্ষিণ চীন
সাগর,
ফিলিপাইন সাগর,
আলাস্কা সাগর
ইত্যাদি।
18. আটলান্টিক মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায়
অর্ধেক
এবং
এর
আকৃতি
ইংরেজি
“S” আকৃতির
মত।
19. আটলান্টিক মহাসাগরের গড়
গভীরতা
প্রায়
3000 মিটার।
20. মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরার উত্তর
অংশকে
ডলফিন উত্থান এবং
দক্ষিণ
অংশকে
চ্যালেঞ্জার উত্থান বলে।
21. আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান দ্বীপ গুলি- আইসল্যান্ড, নিউফাউন্ডল্যান্ড, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিম
ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ (West Indies) ,ক্যানারি, ফকল্যান্ড, বারমুডা ইত্যাদি।
22. আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান খাত গুলি- পোর্তোরিকা, রোমান্স, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি।
23. আটলান্টিক মহাসাগরের অন্তর্গত সাগর গুলি- ভূমধ্যসাগর, বাল্টিক সাগর,
ক্যারিবিয়ান সাগর,
মেক্সিকো উপসাগর,
ল্যাব্রাডর সাগর,
হডসন
সাগর
ইত্যাদি।
24. ভারত মহাসাগরের গড়
গভীরতা
প্রায়
4000 মিটার।
25. ভারত মহাসাগরের প্রধান
খাত
গুলি-
চোকোত্রা-সাগোস,
সিসিলিজ, মাদাগাস্কার, ক্রোজেক্ট ইত্যাদি।
26. ভারত মহাসাগরে অন্তর্গত সাগর গুলি- আরব সাগর,
বঙ্গোপসাগর, পারস্য
সাগর,
আন্দামান সাগর,
লোহিত
সাগর
ইত্যাদি।
27. ভারত মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপসমূহ:- শ্রীলংকা, আন্দামান, লাক্ষাদ্বীপ, নিকোবর,
ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস,
সিসিলিজ, মাদাগাস্কার ইত্যাদি।
28. দক্ষিণ মহাসাগর 40 ডিগ্রি
দক্ষিণ
অক্ষাংশের দক্ষিনে অবস্থিত প্রকৃতপক্ষে ইহা
প্রশান্ত, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের বর্ধিতাংশ বরফাবৃত দক্ষিণ মহাসাগরকে এন্টার্কটিকা মহাসাগরও বলে।
29. উত্তর মহাসাগরের গড়
গভীরতা
প্রায়
3500 মিটার। উত্তর মহাসাগরকে আর্কটিক মহাসাগরও বলে।
30. উত্তর মহাসাগরের প্রধান
দ্বীপ
গ্রিনল্যান্ড।
31. প্রশান্ত মহাসাগরের চারসীমা:
উত্তরে- আলাস্কা, সাইবেরিয়া ও উত্তর মহাসাগর
দক্ষিনে- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ মহাসাগর
পূর্বে- উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাংশ
পশ্চিমে- এশিয়ার পূর্বাংশ, জাপান
ও ফিলিপাইন
32. আটলান্টিক মহাসাগরের চারসীমা:
উত্তরে- গ্রীনল্যান্ড ও উত্তর মহাসাগর
দক্ষিনে- দক্ষিণ মহাসাগর
পূর্বে- ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ
পশ্চিমে উত্তর
ও দক্ষিণ আমেরিকা
33. ভারত মহাসাগরের চারসীমা:
উত্তরে- ভারত
উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া
দক্ষিনে- দক্ষিণ
মহাসাগর
পূর্বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপসমূহ
পশ্চিমে- আফ্রিকা ও মাদাগাস্কার
34. ভূমধ্যসাগর, ইউরোপ
ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যকার সীমা।
35. এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যকার সীমা হল লোহিত
সাগর।
36. ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যকার সীমা
হলো
ইউরাল
পর্বতমালা ও ইউরাল নদী।
37. উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যকার সীমা
হলো
পানামা
খাল।
38. বিষুবীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ
ও আর্দ্র, মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চলের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ এবং
মেরু
অঞ্চলের জলবায়ু ঠান্ডা।
39. বিষুবীয় অঞ্চলে চিরসবুজ অরণ্য,
উষ্ণতা
শুষ্ক
মরু
অঞ্চলে
অরণ্যবিহীন ক্ষুদ্র ঘাস
ও কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ, আবৃত মেরু
অঞ্চলে
শৈবাল
ও ঢেকিয়া জাতীয় উদ্ভিদ পাওয়া
যায়।
40.মহাদেশগুলির আয়তনের বিতরণ:
ক্রমিক নং
|
মহাদেশের গুলি
|
আয়তন
|
শতাংশ হিসাবে
|
A
|
এশিয়া
|
44.6 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
29.9%
|
B
|
ইউরোপ
|
10.9 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
7.3%
|
C
|
আফ্রিকা
|
30.1 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
20.2%
|
D
|
উত্তর আমেরিকা
|
24.3 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
16.3%
|
E
|
দক্ষিণ আমেরিকা
|
17.8 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
11.9%
|
F
|
ওসেনিয়া
|
8.1 নিযুত বর্গ
কিলোমিটার
|
5.4%
|
G
|
এন্টার্কটিকা
|
13.2 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
8.8%
|
মোট স্থলভাগ
|
149.0 নিযুত বর্গ কিলোমিটার
|
100%
|
41. অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ
কোন
স্থায়ী জনবসতি
নাই।
42. এশিয়া মহাদেশ ও তার বৈশিষ্ট্য:
a)
আয়তন-
44.6 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার বিশিষ্ট আয়তন
ও ইহা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
b)
অবস্থিতি- উত্তরে
78° ( ° = ডিগ্রী
) উত্তর
থেকে
দক্ষিনে 1° উত্তর
অক্ষাংশ পূর্বে
170° পশ্চিম
থেকে
পশ্চিমে 25° পূর্ব
দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
c)
প্রধান
দ্বীপ-
জাপান,
তাইওয়ান, ফিলিপাইন, জাভা,
শ্রীলঙ্কা, বর্ণীও,
সুমাত্রা, আন্দামান-নিকোবর,
লাক্ষাদ্বীপ, মালদ্বীপ, বাহরেইন ইত্যাদি।
d)
চারিসীমা: উত্তরে উত্তর
মহাসাগর, দক্ষিনে ভারত
মহাসাগর, পূর্বে
বেরিং
প্রণালী ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং পশ্চিমে লোহিত
সাগর,
ভূমধ্যসাগর, কাস্পিয়ান সাগর
ইত্যাদি।
e)
জনসংখ্যা- 2014 সাল মতে
430 কোটি।
f)
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ-
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ
এভারেস্ট (8848 মিটার), K2 বা গডউইন
অস্টিন
(8611 মিটার)
এই
মহাদেশে অবস্থিত।
g)
উচ্চতম
মালভূমি- পৃথিবীর উচ্চতম
মালভূমি পামির
সহ
তিব্বত
মালভূমি, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, দাক্ষিণাত্য, আরব,
ইরান
প্রভৃতি মালভূমিও এই
মহাদেশে অবস্থিত।
h)
নদী-
দক্ষিণ
মধ্য
অংশে=
সিন্ধু,
গঙ্গা
এবং
ব্রহ্মপুত্র; উত্তর অংশে
= ইয়েনীসি, ওবি
এবং
লেনা; পূর্ব অংশে
= আমুর,
হুয়াংহু, ইয়াংজেকিয়াং এবং
সিকিয়াং; দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে = নর্মদা, তাপ্তি, মহানদী,
গোদাবরী, কৃষ্ণা,
কাবেরী,
বরাক,
মে-নাম, ইরাবতী, মেকং
ইত্যাদি অবস্থিত।
i)
হ্রদ:
বলখাস,
বৈকাল,
চিলকা,
সম্বর,
ডাল,
পুলিকট,
কল্লেরু, লোকতক,
বরাপানি, শনবিল ইত্যাদি।
j)
মরুভূমি- গোবি,
থর
এবং
আরব
মরুভূমি।
43 . ইউরোপ মহাদেশ ও তার বৈশিষ্ট্য হলো:
a)
আয়তন = 10.9 নিযুত বর্গ
কিলোমিটার
b)
অবস্থিতি = সম্পূর্ণরূপে উত্তর
গোলার্ধে অবস্থিত উত্তরে
71° উত্তর
অক্ষাংশ, দক্ষিনে 36° উত্তর
অক্ষাংশ, পূর্বে
65° পূর্ব
দ্রাঘিমাংশ ও পশ্চিমে 10° পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ।
c)
দ্বীপ
সমূহ
= ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্যাটল্যান্ড, ক্রিট,
সিসিলি,
মালটা,
সার্ভিনিয়া,কর্সিকা, বেলিয়ারিক, গটল্যান্ড, এলান্ড, নভায়া
জেমল্যা, স্যাডলবার্ড ও গ্রিনল্যান্ড।
d)
চারিসীমা: উত্তরে উত্তর
মহাসাগর; দক্ষিনে ভূমধ্যসাগর কাস্পিয়ান সাগর
ও কৃষ্ণ সাগর; পূর্বে
এশিয়া
মহাদেশ
এবং
পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর।
e)
জনসংখ্যা = 2014 সাল মতে
74 কোটি।
f)
মোট দেশের
সংখ্যা
= 44 টি।
g)
ভূপ্রকৃতি= দুই ভাগে
বিভক্ত
উত্তর
অংশটি
পশ্চিমের ফ্রান্স উপকূল
থেকে
পূর্বে
ইউরাল
পর্বত
শ্রেণী
পর্যন্ত প্রায়
সমতলভূমি আবার
দক্ষিণ
অংশটি
স্পেইন
থেকে
কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত পাহাড়-পর্বত ও মালভূমি দ্বারা
অসমতল।
h)
পর্বত
= আল্পস,
পাইরেনিজ, কার্পেথিয়ান ও ককেশাস।
i)
শৃঙ্গ
= সর্বোচ্চ ককেশাস
পর্বতের মাউন্ট
এলব্রাস (5633 মিটার) এছাড়া আল্পস
পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক (4807 মিটার)।
j)
নদী
= স্পেইনের আলব্রো,
ফ্রান্সের রুন
ও চেইন, জার্মানির রাইন
ও এলবে,পোল্যান্ডের ওভার
ও ভিস্টুলা, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার দানিয়োব, বেলারুস ও ইউক্রেইনের নিপার, ইটালির পো,
গ্রেট
বৃটেনের টেমস,
রাশিয়ার ডন,
ভলগা
ও ইউরাল।
k)
হ্রদ
= ওনেগো,
লেডোগা,
ভেনার্ণ, ও সুডস্কুয়ে ।
44. আফ্রিকা মহাদেশ ও তার বৈশিষ্ট্য গুলি:
a)
আয়তন
= 30 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার, দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ
ও পৃথিবীর 20% স্থলভাগ এর দখলে।
b)
বিষুব
রেখা
মহা
দেশটিকে দুই
ভাগে
বিভক্ত
করেছে।
c)
অবস্থিতি = উত্তরে 37° উত্তর
অক্ষাংশ থেকে
দক্ষিনে 34° দক্ষিণ
অক্ষাংশ পূর্বে
51° পূর্ব
দ্রাঘিমা থেকে
পশ্চিমে 17° পশ্চিম
দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
d)
চারি
সীমা
= উত্তরে
ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ
মহাসাগর, পূর্বে
ভারত
মহাসাগর ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর।
e)
বৃহত্তম দেশ
= আলজেরিয়া যার
আয়তন
2.5 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার।
f)
জনসংখ্যা = 2014 সাল মতে
প্রায়
11 কোটি।
g)
মোট
দেশ
= 53 টি।
h)
শৃঙ্গ
= বৃহত্তম শৃঙ্গ
কিলিমাঞ্জারো (5895 মিটার)।
i)
উচ্চভূমি = একলাস, ইথিওপিয়া, এডামায়া এবং
ড্রাংকেনসবার্ড ।
j)
নদী
= বৃহত্তম নদী
হল
নীল
এছাড়া
কঙ্গো,
নাইজার,
জাম্বেজি, অরেঞ্জ,
লিমপপো,
ভোল্টা,
সেনেগাল. চিবেওগো, লুরিঅ,
লুয়ঙ্গুয়া, কেলেডন
ইত্যাদি।
k)
হ্রদ
= ভিক্টোরিয়া, অ্যালবার্ট টাঙ্গানিকা, সাডভোল্টা, কেবোরাবাচ্চা, মালাওয়ি, টুরকানা, কিভু,
কোচ্চু
ও
এব্বেরি ।
l)
মরুভূমি = সাহারা, কালাহারি ও নামিবিয়া।
45. উত্তর আমেরিকা মহাদেশ ও তার বৈশিষ্ট্য:
a)
আয়তন
= 24.3 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার ও পৃথিবীর 16.3%।
b)
অবস্থিতি = উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত দক্ষিনে 7° উত্তর
অক্ষাংশ থেকে
উত্তরে
83° উত্তর
অক্ষাংশ ইউটুবে
50° পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ থেকে
168° পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশর পর্যন্ত বিস্তৃত।
c)
চারিসীমা: উত্তরে উত্তর
মহাসাগর, দক্ষিনে দক্ষিণ
আমেরিকা ও মেক্সিকো উপসাগর, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং
পশ্চিমে বেরিং
সাগর,
বেরিং
প্রণালী ও প্রশান্ত মহাসাগর।
d)
দেশ = মোট 23 টি
দেশ
কানাডা
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ
দেশ
ও উত্তর আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ।
e)
জনসংখ্যা = 2014 সাল মতে
565 নিযুত।
f)
উচ্চতম স্থান
= ম্যাকিনলে শৃঙ্গ
(6194 মিটার)
।
g)
নিম্নতম স্থান
= ডেথভ্যালি (86 মিটার)।
h)
ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগ ; চারটি- i) রকি পার্বত্য অঞ্চল,
ii) বিশাল
উচ্চ
সমভূমি
অঞ্চল,
iii) আপেলেশিয়ান উচ্চভূমি অঞ্চল,
এবং
iv) উপকূলীয় নিম্ন
সমতল
ভূমি
অঞ্চল।
i)
প্রধান
পর্বতশ্রেণী: কাসকেড,
সেয়েরানেভেদা,কষ্টরেঞ্জ, আপেলেশিয়ান, এলিগনি,
ব্লুরিজ ইত্যাদি।
j)
নদী
= মিসৌরি,
মিসিসিপি, য়ুকুম,
ম্যাকেঞ্জি, রিওগ্রান্ডে, রেড,
আর্কানসাস, কলোরাডো, কলম্বিয়া, স্নেক,
ওহিও,
টেনেসি,
হডসন,
সেন্ট
লরেন্স
প্রভূতি।
k)
হ্রদ
= সুপেরিয়র, হুরণ,
মিসিগান, এরি,
অন্টারিও, গ্রেট
রিয়ার,
গ্রেট
স্লেভ,
গ্রেটসল্ট ও উইনিপেগ ইত্যাদি।
l)
মরুভূমি = কোলোড ।
46. দক্ষিণ আমেরিকা ও তার বৈশিষ্ট্য:
a)
আয়তন
= 18 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার, পৃথিবীর 11.9%।
b)
অবস্থিতি = উত্তরে 12° উত্তর
অক্ষাংশ থেকে
দক্ষিনে 55° দক্ষিণ
অক্ষাংশ এবং
পূর্বে
25° পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ থেকে
পশ্চিমে 81° পশ্চিম
দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত।
c)
চারিসীমা : উত্তরে উত্তর
আমেরিকা, দক্ষিণে দক্ষিণ
মহাসাগর, পূর্বে
আটলান্টিক মহাসাগর এবং
পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর।
d)
দেশ
= মোট
দেশ
12 টি
এবং
ব্রাজিল বৃহত্তম দেশ।
e)
জনসংখ্যা: 2014 সাল মতে
407 নিযুত।
f)
পর্বত:
অন্ড্রিজ, যা
পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণী ইহা প্রায়
আট
হাজার
কিলোমিটার দৈর্ঘ্য।
g)
শৃঙ্গ:
একানকান্ডুয়া (7020 মিটার), অন্ড্রিজ পর্বতে
অবস্থিত।
h)
মালভূমি = ব্রাজিলিয়ান, ইকুয়েডর এবং
পারানা-পেটাগোনিয়া মালভূমি।
i)
নদী:
অরিনিক,
আমাজান,
পারানা,
পারাগুয়ে, উরুগুয়ে ইত্যাদি।
j)
হ্রদ:
টিটিকাকা যাহা
পৃথিবীর উচ্চতম
স্থানে
অবস্থিত একটি
বৃহৎ
হ্রদ।
k)
মরুভূমি: আটাকামা উষ্ণ মরুভূমি এবং
পেটাগোনিয়া নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমি।
47. ওসেনিয়া মহাদেশ ও তার বৈশিষ্ট্য:
a)
গঠন:
অস্ট্রেলিয়া মহাদ্বীপকে কেন্দ্র করে
নিউজিল্যান্ড, টাসমানিয়া, নিউগিনি ইত্যাদি অনেক
ছোট-বড় দ্বীপ কে
নিয়ে
ওসেনিয়া মহাদেশ
গঠিত।
b)
আয়তন
= 8 নিযুত
বর্গ
কিলোমিটার ও পৃথিবীর 5.4%।
c)
অবস্থান = দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত উত্তরে
0° বিষুব
রেখা
থেকে দক্ষিনে 48° দক্ষিণ
অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং
পূর্বে
180° দ্রাঘিমাংশ থেকে
পশ্চিমে 113° পূর্ব
দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
d)
দেশ
= মোট
14 টি
দেশ
এই
মহা
দেশে
রয়েছে
বৃহত্তম দেশ
অস্ট্রেলিয়া।
e)
চারিসীমা: উত্তরে জাভা,
সুমাত্রা ও প্রশান্ত মহাসাগর; দক্ষিনে দক্ষিণ মহাসাগর, পূর্বে
প্রশান্ত মহাসাগর এবং
পশ্চিমে ভারত
মহাসাগর।
f)
জনসংখ্যা = 2014 সাল মতে
38 নিযুত।
g)
পর্বত
= গ্রেট
ডিভাইডিং রেঞ্জ
ও স্নোবি মাউন্টেইন।
h)
নদী:
মুরে,
ডার্লিং, বেলিয়ান্ড,ফিটজরয়,
ফ্রেন্ডার্স, ভিক্টোরিয়া, সোয়ান
ইত্যাদি।
i)
হ্রদ:
আয়ার,
বার্লি,
কার্নেজি, মেকে,
কেরি
ইত্যাদি ।
j)
মরুভূমি: গ্রেট
ভিক্টোরিয়া, গ্রেট
স্যান্ডি, টানামি,
সিম্পসন, গিবসন,
লিটল
স্যান্ডি, টিরারী, প্যাদির্কা ইত্যাদি।
48. বিশ্বে সর্বমোট 197 টি
দেশ
আছে।
49. আয়তনে সর্ববৃহৎ দেশ
রাশিয়া ও ক্ষুদ্রতম দেশ ভ্যাটিকান সিটি।
50. জনসংখ্যায় চীন সর্ববৃহৎ দেশ
এবং
ভ্যাটিকান সিটি
ক্ষুদ্রতম দেশ।
51. মহাদেশের দেশগুলির বিতরণ:
মহাদেশগুলোর মধ্যে
আফ্রিকায় সবচাইতে বেশি
সংখ্যক
দেশ
রয়েছে
এবং
সবচাইতে কম
দেশ
দক্ষিণ
আমেরিকায় রয়েছে। মহাদেশ অনুসারে দেশের
সংখ্যা
এরূপ-
a)
এশিয়ায় = 51 টি (Now=51)
b)
ইউরোপে
= 44 টি (Now=51)
c)
আফ্রিকায় = 53 টি (Now=54)
d)
উত্তর
আমেরিকায় = 23 টি (Now=23)
e)
দক্ষিণ
আমেরিকায় = 12 টি
(Now=12)এবং
f)
ওসেনিয়ায় = 14 টি (Now=14)
52 . প্রত্যেকটি দেশের
রাজধানী জনসংখ্যা ও আয়তন (ভূগোল বই)পৃষ্টা 50 থেকে
58 এর
মধ্যে।
************************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.