SEBA / SMEBA Class 10 Political Science (Social Sciences) Chapter 2 in Bangla
সেবা (আসাম) দশম শ্রেণী রাজনীতি বিজ্ঞান (সমাজবিজ্ঞান)
দ্বিতীয় অধ্যায়: আন্তর্জাতিক সংস্থা - রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য
বাংলায় সংক্ষিপ্তসার / সারাংশ
দ্বিতীয় অধ্যায়: আন্তর্জাতিক সংস্থা - রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য
|
1. বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল: প্রথম -1914 সালে, দ্বিতীয় - 1939 সালে।
2. 1945 সালের 24 অক্টোবরে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে একান্নটি (51) রাষ্ট্র সনদে স্বাক্ষর করে “রাষ্ট্রসংঘ” গঠন করা হয়। তাই 24 অক্টোবর দিনটি “রাষ্ট্রসংঘ দিবস” পালন করা হয়। রাষ্ট্রসংঘকে জাতিসংঘও বলা হয়।
3. বর্তমান রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা হল 193 টি।
4. রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্দেশ্যগুলি:
a)
আন্তরাষ্ট্রীয় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।
b)
সমান অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করা।
c)
আন্তরাষ্ট্রীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলি সমাধান করা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের ব্যবস্থা করা এবং
d)
উল্লেখিত উদ্দেশ্যগুলি সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্র হিসেবে কার্য সম্পাদন করা।
5. রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতিগুলো:
a)
সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমান সার্বভৌম নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠিত হবে।
b)
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদে উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে নিয়ে সকল সদস্য রাষ্ট্রকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
c)
আন্তরাষ্ট্রীয় শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায় - এগুলিতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে সব ধরনের বিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে হবে।
d)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা করার স্বার্থে কোন সদস্যরাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না।
e)
সনদ অনুসারে রাষ্ট্রসংঘ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং কোন দেশের প্রতি শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রাষ্ট্রগুলো রাষ্ট্রসংঘকে সাহায্য করতে হবে।
f)
রাষ্ট্রসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
6. রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদে মোট 111 টি অনুচ্ছেদ আছে।
7. রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান অঙ্গ গুলি হল:-
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মোট ছয়টি প্রধান অঙ্গ রয়েছে
a)
সাধারণ সভা (General Assembly)
b)
নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
c)
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic & Social Council)
d)
ন্যাসরক্ষী পরিষদ
e)
আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয় এবং
f)
সচিবালয়
8. সাধারণ সভা: রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৃহত্তম অঙ্গ সাধারণ সভা এবং বৎসরে একবার ইহার অধিবেশন বসে। প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র 5 জন করে সদস্য পাঠাতে পারে এবং সদস্যরাষ্ট্র একটি করে ভোট প্রদান করতে।
9. নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদ। শুরুতে এই পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা 5 ও অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা ছিল 6 (ছয়)। 1963 সালে 23 নং অনুচ্ছেদের সংশোধন করে অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা 10 করা হয়। অস্থায়ী সদস্যদেরকে সাধারণ সভা নির্বাচন করে। কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এই পাঁচটি স্থায়ী সদস্য সহ মোট 9 জন সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন। স্থায়ী সদস্যের “ভেটো” ক্ষমতা রয়েছে। ভেটো প্রদান করলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়।
10. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা ছিল 18, 1965 সালে করা হয় 27, এবং 1973 সালে করা হয় 54, এই সদস্যদেরকে সাধারণ সভা নির্বাচন করে।
11. রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের 76 নং অনুচ্ছেদে ন্যাসরক্ষী পরিষদের কথা উল্লেখ আছে।
12. ন্যাসরক্ষী পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য: পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জনসাধারনকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসর করে স্বাধীনতা লাভের জন্য উপযুক্ত করে তোলা।
13. ন্যাসরক্ষী পরিষদ তিন ধরনের সদস্য নিয়ে গঠিত
a)
ন্যাস অঞ্চল পরিচালনাকারী রাষ্ট্রসমূহ
b)
ন্যাস অঞ্চলের দায়িত্বে নেই এমন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং
c)
সাধারণ সভা তিন বছরের জন্য নির্বাচন করে দেওয়া সদস্য
14. রাষ্ট্রসঙ্ঘের ন্যায়িক অঙ্গ - আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয় মোট পাঁচ জন ন্যায়াধিশ দ্বারা গঠিত।
15. রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাণকেন্দ্র স্বরূপ “ সচিবালয়” এর সচিব প্রধানকে সনদের 97 নং অনুচ্ছেদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সাধারণ সভা নির্বাচন করে।
16. সচিব প্রধান এর কার্যকাল 5 বৎসর।
17. রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রথম সচিব প্রধান ছিলেন নরওয়ের ট্রাইগভ হালভডান লি (Trygve Halvdan Lie) বর্তমানের সচিব প্রধান পর্তুগালের
অ্যান্টোনিও গুতারেস।
[জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব হিসেবে পর্তুগালের নাগরিক অ্যান্টোনিও গুতারেস ১ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ সালে বান কি মুনের প্রথম দফার মেয়াদকাল শেষ হয়। পরবর্তীতে কোনরূপ বিরোধিতা না আসায় ২১ জুন, ২০১১ সাল থেকে 2016 সাল পর্যন্ত মুন দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবরূপে দায়িত্ব পালন করছেন।]
18. রাষ্ট্রসঙ্ঘের অভিকরণ সমূহ:
a)
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংঘ (ILO = International Labour Organization)
b)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO = World Health Organizatin)
c)
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP = United Nations Development Programme)
d)
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানব অধিকার আয়োগ (UNHRC = United Nations
Human Rights Commission)
e)
রাষ্ট্রসঙ্ঘের শিশু পুঁজি (UNICEF = United Nations International Children's Emergency Fund)
f)
রাষ্ট্রসঙ্ঘের শিক্ষাবিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন (UNESCO =United Nations Educational, Scientific and
Cultural Organization )
g)
আন্তরাষ্ট্রীয় মুদ্রা নিধি (IMF = International Monetary Fund)
h)
খাদ্য এবং কৃষি সংগঠন (FAO = Food and
Agricultural Organization)
19. বিভিন্ন সংস্থার সম্পূর্ণ নাম:
a)
ILO= International
Labour Organisation
b)
WHO= World Health
Organisation
c)
UNDP= United Nations
Ddevelopment Programme
d)
UNHRC = United
Nations Human Rights Commission
e)
UNICEF= United
Nations International Children's Emergency Fund
f)
UNESCO= United Nations
Educational Scientific and Cultural Organisation
g)
IMF= International
Monetary Fund
h)
FAO= Food and
Agriculture Organisation
i)
SALT= Strategic
Arms Limitation Treaty
j)
START= Strategic Arms
Reduction Treaty
k)
CTBT=
Comprehensive Test Ban Treaty
l)
PNTBT=
Partial Nuclear Test Ban Treaty
20. রাষ্ট্রসংঘ এবং বিশ্ব শান্তি:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর 1945 সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘ সমস্যা জর্জরিত বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে, সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে। 1952 সালের জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসংঘ “নিরস্ত্রীকরণ আয়োগ” গঠন করে 1963 সালের “আংশিকভাবে আণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ চুক্তি”, 1967 সালে “বহি মহাকাশ চুক্তি”, 1968 সালের “পারমাণবিক অস্ত্র সংকোচন চুক্তি”, 1971 সালের “সাগরতল নিয়ন্ত্রণ চুক্তি”, 1972 সালের “salt-1 চুক্তি”, 1979 সালের “salt-2 চুক্তি”, 1991 সালের “স্টার্ট-1 চুক্তি”, 1993 সালের “start-2 এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি”, 1996 সালের 158 টি দেশের মধ্যে সম্পাদিত “পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি” ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও 2007 সালের জুন মাসে “প্রতিরোধমূলক কূটনীতি” গঠনের মাধ্যমে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলির সদিচ্ছা, সহযোগিতা ও আনুগত্যের উপর বিশ্ব শান্তির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
21. মানব অধিকার আয়োগ:
1946 সালের 16 ফেব্রুয়ারি তারিখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের “মানব অধিকার আয়োগ” প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আয়োগ এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের মানব সমাজের অধিকার গুলোকে সুরক্ষা দেওয়া। জন্মলগ্নে সদস্যরাষ্ট্র ছিল 18 টি। 1962 সালে ছিল 21 জন এবং 1990 সালে 53 জন সদস্য করা হয়। 1948 সালের 10 ডিসেম্বর তারিখে 48 টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে “মানবাধিকার ঘোষণাপত্র” গ্রহণ করে বলবৎ করা হয়। এই ঘোষণাপত্রে 1টি প্রস্তাবনা ও 20 টি অনুচ্ছেদ আছে। 10 ডিসেম্বর দিনটি “মানবাধিকার দিবস” রূপে পালন করা হয়। মানবাধিকার ঘোষণাপত্র কোন চুক্তি নয় যদিও মানব সমাজের সর্বাঙ্গীণ ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য সুবিধা প্রদান করেছে।
22. মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য গুলি হল:
a)
বিশ্বের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকারগুলোকে সন্নিবিষ্ট করা এবং
b)
উল্লেখিত অধিকারগুলোকে সদস্যরাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃতি প্রদান
23. ভারতের রাষ্ট্রীয় মানব অধিকার আয়োগ:
ভারতবর্ষে 1993 সালের 28 সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতের রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ মর্মে 1993 সালের 12 অক্টোবর এ ভারতের রাষ্ট্রীয় মানব অধিকার আয়োগ গঠন করা হয়। একই বছরের 18 ডিসেম্বর সংসদে একটি বিধায়ক উত্থাপিত হয়। বিধায়কটি 1994 সালের 8 জানুয়ারি তারিখে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করে ও আইনে পরিণত হয়। এই আইন “মানব অধিকার সুরক্ষা আইন -1993” নামে পরিচিত।
সদস্য ও কার্যকাল:
a)সভাপতি = উচ্চতম ন্যায়ালয় এর প্রাক্তন ন্যায়াধীশ
b)সদস্য -
i)
উচ্চতম ন্যায়ালয় এর প্রাক্তন অথবা বর্তমানের ন্যায়াধিশ = একজন
ii) উচ্চ ন্যায়ালয় এর প্রাক্তন অথবা বর্তমানের ন্যায়াধিশ = একজন
iii) মানব অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি = দুইজন
iv) রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘু পরিষদের সভাপতি
v) অনুসূচিত জাতি ও জনজাতির রাষ্ট্রীয় আয়োগ এর সভাপতি এবং
vi) রাষ্ট্রীয় মহিলা আয়োগ এর সভাপতি
a) এবং b) এর এই সকল সদস্যদেরকে ভারতের রাষ্ট্রপতি
পাঁচ বছরের জন্য নিযুক্তি দেন।
24. আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান ও তাদের মুখ্য কার্যালয়:
a)
জাতিসমূহের সংঘ - লন্ডন
b)
এনিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল -
লন্ডন
c)
উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন - ব্রুসেলস
d)
আন্তরাষ্ট্রীয় নবীকরণযোগ্য শক্তি অভিকরণ - সংযুক্ত আরব এমিরেটস
e)
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক নিয়ম - সিঙ্গাপুর
f)
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসমূহের সংস্থা - জাকার্তা
g)
আন্তরাষ্ট্রীয় ক্রিকেট পরিষদ - দুবাই
h)
আন্তরাষ্ট্রীয় ফুটবল ফেডারেশন - জুরিখ
i)
বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চ - জেনেভা
j)
আন্তরাষ্ট্রীয় হকি ফেডারেশন, লৌসেন - সুইজারল্যান্ড
k)
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা - কাঠমান্ডু
25. বিভিন্ন সংস্থার সম্পূর্ণ নাম:
a)
CN = Commonwealth of
Nations
b)
AI = Amnesty
International
c)
NATO = North
Atlantic Treaty Organisation
d)
IREA =
International Renewable Energy Agency
e)
APEC = Asia Pacific
Economic Council
f)
ASEAN = South -
East Asian Nations Association
g)
ICC =
International Cricket Council
h)
FIFA = Federation
of International Football Association
i)
WEF = World Economic
Forum
j)
IHF =
International Hockey Federation
k)
SAARC = South
Asian Association for Regional Cooperation
*************************
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE
POST IN THE COMMENT SECTION AND SHARE
THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.
হ্যালো ভিউয়ার্স, অনুগ্রহ করে পোস্ট সম্পর্কে নিচে কমেন্ট সেকশনে
আপনার মন্তব্য এবং পরামর্শ প্রেরণ করুন এবং পোস্টটি আপনার
বন্ধু চক্রের কাছে ভাগ - বিতরণ করুন।
DOWNLOAD PDF
****************************
1 Comments
Good job sir....we will always support u in everything...😍
ReplyDeleteHELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.