Class 10 Geography Chapter 2 QUESTIONS & ANSWERS
দ্বিতীয় অধ্যায়: পরিবেশ এবং পরিবেশের সমস্যা
QUESTIONS & ANSWERS
প্রশ্ন এবং উত্তর
ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর
Q.1. পরিবেশ বলতে কি বোঝ?
Ans:-: প্রাণী ও জীবের বেঁচে-বর্তে থাকার জন্য আবশ্যক জৈব ও অজৈব
উপাদানে সমৃদ্ধ চারপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে।
ভৌগলিক অর্থে পৃথিবীতে স্থলমন্ডল, জলমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল ও জীবমন্ডলের
পারস্পরিক সম্পর্কে সৃষ্ট অবস্থাকে পরিবেশ বলা হয়।
Q.3. প্রখ্যাত ভূগোলবিজ্ঞানী পিটার হেগেটের পরিবেশ সম্পর্কে
কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন?
Ans:- প্রখ্যাত
ভূগোলবিজ্ঞানী পিটার হেগেট জল,
স্থল, বায়ু ও জীবের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের পরিণতিকে পরিবেশ বলে সংজ্ঞায়িত
করেছেন।
Q.8. প্রদুষণ বলতে কি বোঝ?
Ans:- যখন অনিষ্টকারী দ্রব্য পরিবেশকে বিনষ্ট করে সেই প্রক্রিয়াকে
প্রদুষণ বলে।
Q.9. প্রদুষক কি? উদাহরণ দাও।
Ans:- মানব সৃষ্ট যে সকল দ্রব্য বা সামগ্রী অতিমাত্রায় পরিবেশে সংযোজিত হলে
জীব ও জগতের ক্ষতি সাধন করতে পারে সেই দ্রব্য গুলো কে প্রদুষক বলে উদাহরণস্বরূপ
ধূলি, ধুয়া, ছাই, দুর্গন্ধ, সিসা, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, পলিথিন,
প্লাস্টিক সামগ্রী ইত্যাদি।
Q.12. অ্যাসিড বৃষ্টিপাত বলতে কি বোঝ?
Ans:- বায়ুমন্ডলে যখন অত্যাধিক মাত্রায় সালফার ডাই অক্সাইড এবং
নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড সঞ্চিত হয় তখন অ্যাসিড বৃষ্টি পাত ঘটে জলজ উদ্ভিদ ও
প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটতে পারে।
Q.13. মরুভূমি কয় প্রকারের কি কি উদাহরণসহ লেখ।
Ans:- মরুভূমি দুই প্রকারের-
a)
উষ্ণ মরুভূমি: ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত উষ্ণ, শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন মরুভূমি
যেমন ভারতের থর মরুভূমি।
b)
শীতল মরুভূমি: মেরু অঞ্চলে অবস্থিত বরফাবৃত, অধিক জলীয়বাষ্প যুক্ত শীতল মরুভূমি।
Q.15. বায়ুমন্ডলের উত্তাপের শোষণ প্রক্রিয়ার বিতরণ উল্লেখ কর। অথবা বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠ
উত্তাপের ভারসাম্য কিভাবে রক্ষা করে?
Ans:- বায়ুমন্ডলে উত্তাপের
শোষণ:
সৌর শক্তির মোট উত্তাপের-
a)
ভাসমান মেঘ ও ভুপৃষ্ঠে = 30%
b)
বায়ুমণ্ডল = 19% এবং
c) বাষ্পীভবনের মাধ্যমে লীন হয় = 51%
এইভাবে বায়ুমণ্ডল ও
ভূপৃষ্ঠ উত্তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে।
বড় প্রশ্ন এবং উত্তর
Q.2. পরিবেশের প্রধান চারটি মন্ডল বর্ণনা কর।
Ans:- পরিবেশের প্রধান চারটি
মন্ডল:-
a)
স্থলমন্ডল: মাটি, বালি,
শিলা ইত্যাদি দ্বারা গঠিত পৃথিবীর মোট 29 ভাগ অঞ্চল যাহা পাহাড়-পর্বত, নদী
উপত্যকা, সমতল, মালভূমি, মরুভূমি ইত্যাদি দ্বারা বেষ্টিত।
b)
জলমণ্ডল: খাল-বিল,
নদ-নদী, হদ, সাগর-মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত পৃথিবী 71 ভাগ অঞ্চল যাহা জল দ্বারা আবৃত।
c) বায়ুমণ্ডল:
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 480 কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত নাইট্রোজেন,
অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন, আর্গণ ইত্যাদি গ্যাস, ধুয়া ও ধূলিকণা
মিশ্রিত এই বায়ুমণ্ডল।
d)
জীবমণ্ডল: প্রায় 1.75 নিযুত উদ্ভিদ
ও প্রাণী অধ্যুষিত পৃথিবীর উপরিভাগের অঞ্চল
সমূহ।
Q.4. “পরিবেশ পরিবর্তনশীল”- ব্যাখ্যা কর।
Ans:- পরিবেশ পরিবর্তনশীল:
পরিবেশ পরিবর্তনশীল স্থান ও কাল ভেদে পরিবেশের
পরিবর্তন ও তারতম্য ঘটে।
a)
কোন এক অঞ্চল পৃথিবীর
উপরিভাগে কোন স্থানে অবস্থিত তার উপর নির্ভর করে। ভৌগোলিক এই অবস্থানের
জন্য নদী উপত্যকার পরিবেশ মরুভূমি অঞ্চলে থাকে না।
b)
বিষুবরেখা থেকে কোন অঞ্চল
কত দূরে উত্তর ও দক্ষিনে অবস্থান করেছে তার উপর ভিত্তি করে পরিবেশ আলাদা হয়।
c) সময়ের স্রোতের জন্য 100 বছর পূর্বের পরিবেশ আজ
নুতন পরিবেশে রূপান্তরিত।
d)
জনসংখ্যার বৃদ্ধি,
শিল্পায়ন, নগরায়ন, যাতায়াত-পরিবহনের বিকাশ, প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নয়ন
ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
e)
দৈনন্দিন জীবনে
প্রয়োজনীয় অভাব, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে মানুষ পরিবেশের বিপুল পরিবর্তন সাধন করেছে।
f) প্রাকৃতিক উপায়ে নানা রকমের ক্রিয়া-বিক্রিয়ার
ফলে, পৃথিবীর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারকের মাধ্যমেও পরিবেশের পরিবর্তন হয়।
g)
একটি বৃহৎ পরিবেশের মধ্যে
থাকা একটি অঞ্চলের ছোট ছোট এক একটি অংশের পরিবেশ ভিন্ন হতে পারে এবং একটি অপরটিকে
প্রভাব বিস্তার করতেও পারে। যেমন শহরের সংলগ্ন গ্রাম।
Q.5. টীকা লেখ – “পরিবেশের সমস্যা”।
Ans:- পরিবেশের সমস্যা:
পৃথিবীর স্থলমন্ডল,
জলমন্ডল, বায়ুমণ্ডল এবং জীবমণ্ডলে প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট উপাদানগুলির মধ্যে
যদি ভারসাম্য না থাকে তাহলে নানা রকমের পরিবেশের সমস্যা উৎপন্ন হবে যেমন- বন্যা,
প্রদুষণ, মরুময়তা, গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি । ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির
উদগীরণ, ঝড়, ইত্যাদি প্রাকৃতিক সমস্যার ঊর্ধ্বে মানুষ নিজের অতি মূল্যবান
পরিবেশকে নিজের তাগিদে জ্ঞাতে এবং অজ্ঞাতে ধ্বংস করে এক পাহাড়তম পারিপার্শ্বিক
সমস্যার সৃষ্টি করিতেছে । সাম্প্রতিককালে শিল্প-কারখানা, যান-বাহন ইত্যাদিতে
বর্ধিত হারে জীবাশ্ম ইন্ধন ব্যবহার করার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড
গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে I যাহা গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধির প্রধান কারক। অরণ্য-বনাঞ্চল ধ্বংস,
ভূমিক্ষয়, মরুময়তা, ভূমিস্খলন, কৃত্রিম বন্যা, নদী-সাগর উত্থান ইত্যাদি
সমস্যাগুলির সৃষ্টি হয়েছে।
Q.6. পরিবেশের সমস্যার প্রকার সমুহ আলোচনা কর।
Ans:- পরিবেশের সমস্যার প্রকার:
a)
স্থানীয় সমস্যা:- এক একটি
ছোট এলাকায় সীমাবদ্ধ সমস্যা যেমন ভূমিস্খলন, কারখানা দ্বারা জল ও ভূমি প্রদুষণ
ইত্যাদি।
b)
আঞ্চলিক সমস্যা':- এক একটি
ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে সৃষ্টি হওয়া সমস্যা সমূহ যেমন- ব্রহ্মপুত্র ও বরাকের বন্যা,
নদী অববাহিকার ভূমিক্ষয় সমস্যা ইত্যাদি।
c) গোলকীয় সমস্যা:- সেইগুলো সমস্যা সমগ্র পৃথিবী
জুড়ে সম্পর্কিত বতার কোন ভৌগলিক সীমা থাকে না যেমন- গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি,
বরফাবৃত অঞ্চলের সংকোচন, ওজোন স্তরের ধ্বংস ইত্যাদি।
Q.7. পরিবেশের প্রধান
সমস্যা গুলি কি কি?
Ans:- পরিবেশের প্রধান সমস্যা
গুলি:-
a)
প্রদুষণ
b) মরুময়তা
c)
ভূমিস্খলন
d) ভূমিক্ষয়
e) গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি
f) কৃত্রিম বন্যা
g) নদী-সাগর পৃষ্ঠের উত্থান ইত্যাদি
Q.10. প্রদুষণের প্রকার সমুহ বিস্তারিত আলোচনা কর।
Ans:- প্রদুষণের প্রকারসমুহ:-
a)
মাটি প্রদূষণ: কোন রাসায়নিক পদার্থ, বিষাক্ত ধাতু, শিল্পীয় আবর্জনা,
তেজস্ক্রিয় পদার্থ, এসিড ইত্যাদি মাটির সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে মাটির স্বাভাবিক
গুনাগুন ও উর্বরতা নষ্ট করাকে মাটি প্রদূষণ বলে। উল্লেখযোগ্য যে
কৃষিকার্য, কারখানার প্রসার ও ক্রমবর্ধমান চলে থাকা বনাঞ্চল ধ্বংসই মাটি প্রদূষণ
এর প্রধান দায়ী।
b)
বায়ু প্রদূষণ:- বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহের এক নির্দিষ্ট উপাদান বায়ুমণ্ডলের
ভারসাম্য রক্ষা করে। বায়ুমন্ডলে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে সংযোজিত
পদার্থ যদি জীব ও জড় জগতের বিস্তর ক্ষতি সাধন করে তখন সেই বায়ুকে প্রদূষিত বায়ু
বলা হয়। প্রাকৃতিক কারকের মধ্যে আগ্নেয়গিরির উদগীরণে সময় নির্গত ধোঁয়া,
ছাই, গ্যাস বায়ু দূষণ করে বৃহৎ আকারের সংগঠিত দাবানলও (আগুন) বায়ু প্রদূষণ করে। মানব সৃষ্ট কারকের মধ্যে
কলকারখানার প্রসার, যানবাহনের বর্ধিত ব্যবহার, জীবাষ্ম ইন্ধনের অত্যাধিক ব্যবহার, আণবিক
বিস্ফোরণ ইত্যাদি কারণে বায়ু প্রদূষণ হয়।
c) জল
প্রদুষণ: রাসায়নিক পদার্থ,
অণুজীব ও বিভিন্ন প্রকারের ময়লা মিশে গিয়ে জলের স্বাভাবিক গুণের পরিবর্তন ঘটাকে
জল প্রদুষণ বলে। বসতবাড়ি, নগর ও শহরাঞ্চল, কলকারখানা, কৃষি ইত্যাদি থেকে নির্গত
বর্জিত পদার্থ ও ময়লা জল যখন নদ নদী, হ্রদ, সাগর-মহাসাগরের নির্মল জলে
মিশ্রিত হয়, তখন সমস্ত জলই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়।
d)
মরুময়তা:- মরুময়তা এমনই এক প্রক্রিয়া যা ক্রান্তীয় অঞ্চলের উৎপাদনক্ষম ভূমিকে
মরুভূমিতে পরিণত করা অর্থাৎ মরুভূমির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মরুভূমির সম্প্রসারণ
ঘটানো বুঝায়। 1977 সালে আফ্রিকার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনে
মরুময়তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল এইভাবে, “মরুময়তা
এমনই এক প্রক্রিয়া যা ভূমির জৈবিক সম্ভাবনা বা ক্ষমতা বিনষ্ট করে অবশেষে মরুসদৃশ
অবস্থার সৃষ্টি করে”। খরা, গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রাকৃতিক
কারকের জন্য মরুময়তার সৃষ্টি হয়। মানবসৃষ্ট কারকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অরণ্য
ধ্বংস, বাসস্থান ও কৃষির সম্প্রসারণ, অত্যাধিক পশুচারণ ইত্যাদি। আজ মহাদেশগুলিতে মরুময়তার
হার ক্রমে- উত্তর আমেরিকায় = 27%, দক্ষিণ আমেরিকায় = 22%, এশিয়ায় = 20%, আফ্রিকায় = 18% এবং অস্ট্রেলিয়ায় = 8%
e)
গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি: ভূপৃষ্ঠ এবং বায়ুমণ্ডল সূর্য থেকে আহরণকৃত
উত্তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু বায়ুমন্ডলে উপলব্ধ কিছু সবুজগৃহ গ্যাস (Greenhouse Gas) যেমন
কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ইত্যাদির তারতম্য
ঘটলে উত্তাপেরও তারতম্য ঘটে। এর কারণ হলো এই গ্যাসগুলোর উত্তাপ শোষণ করার
ক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রতিদিন কল-কারখানা, শিল্প-উদ্যোগ, যানবাহন প্রভৃতি থেকে নির্গত
এই গ্যাসগুলো বায়ুমন্ডলে মিশ্রিত হলে এর পরিসর বৃদ্ধি হয় এবং উত্তাপও বৃদ্ধি হয়। ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের
ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া এই উত্তাপকে গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধি বলা হয়।
Q.11. বায়ু প্রদূষণের পরিণতি কি বুঝিয়ে লেখ।
Ans:- বায়ু প্রদূষণের পরিণতি:
ক্রমবর্ধমান হারে জীবাশ্ম
ইন্ধন ব্যবহারের ফলে বায়ুমন্ডলে বর্ধিত হারে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই
অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন, প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস মিশ্রণের ফলে
পশ্চিম ইউরোপ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি অঞ্চলে অ্যাসিড বৃষ্টিপাতের
সৃষ্টি একটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই বৃষ্টি অরণ্য ধ্বংস ও খাল-বিল-নদীর জলও
প্রদূষিত করে, মানব জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন করতে সক্ষম।
Q.14. মরুময়তার পরিণাম কি বুঝিয়ে লেখ।
Ans:- মরুময়তার পরিণাম: আজ
স্থলভাগের প্রায় 35 শতাংশ ভূমি মরুময়তার কবলে পৃথিবীর প্রায় 100 টি দেশ
মরুময়তার কবলে বৃষ্টিপাতের অভাবে খরা সৃষ্টি হয়, খরা অবস্থা ভূমির উৎপাদন ক্ষমতা
নষ্ট করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, প্রসার রোধ করে ইহা মানব জাতির সঙ্গে প্রাণী জগতের
খাদ্য সমস্যা সৃষ্টি করে জীবন প্রণালীকে ব্যাঘাত করতে পারে।
Q.16. সবুজগৃহ গ্যাস বলতে কি বোঝ ব্যাখ্যা
কর?
Ans:- সবুজগৃহ গ্যাস (Greenhouse Gas):
কার্বন ডাই অক্সাইড,
মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত সৌরশক্তি
শোষণ করে বায়ুমন্ডলের তাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেজন্য এই গ্যাসগুলিকে
সবুজগৃহ গ্যাস বলে। বায়ুমণ্ডলে সবুজগৃহ গ্যাসের পরিমাণ মাত্র 0.1%। এই গ্যাস সমূহ বৃদ্ধির
সাথে সাথে উত্তাপেরও বৃদ্ধি হয়। বিগত 150 বছরে শুধু কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ
30% বেড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপ বেড়েছে
0.76 ডিগ্রী সেলসিয়াস।
Q.17. গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধির পরিনাম বর্ণনা কর।
Ans:- গোলকীয় উত্তাপ বৃদ্ধির
পরিনাম :
সবুজ গৃহ গ্যাসের পরিমাণ
বৃদ্ধির জন্যই গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গোলকীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির
ফলে সৃষ্ট সমস্যা গুলির মধ্যে মেরু অঞ্চলের বরফস্তুপের গলন, সাগর পৃষ্ঠের উত্থান,
উদ্ভিদ-শস্য উৎপাদন হ্রাস, মরুময়তা, স্বাভাবিক পরিবেশের পরিবর্তন ও নষ্ট হওয়া
ইত্যাদি পরিলক্ষিত হয়েছে। বায়ুমন্ডলের উত্তাপ 2-3 ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি
হলে দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে যাবে এবং সাগর পৃষ্ঠ এক মিটারের উপরে উঠে আসবে। এমন অবস্থায় প্রায় 5
নিযুত বর্গ কিলোমিটার উপকূল জলমগ্ন হবে, বহু দ্বীপ, ব-দ্বীপ, প্রবাল দ্বীপ জলের
নিচে বিলীন হবে।
*******************
1 Comments
অনুশিলনীর সব প্রশ্নোত্তর দিলে ভালো হত
ReplyDeleteHELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.