ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মূল কাব্যগ্রন্থ - চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
বিজয়া-দশমী
“যেয়ো না, রজনি,
আজি লয়ে তারাদলে!
গেলে তুমি দয়াময়ি, এ পরাণ
যাবে ! –
উদিলে নির্দয় রবি উদয় – অচলে
নয়নের মণি মোর নয়ন হারাবে!
বার মাস তিতি , সতি , নিত্য
অশ্রুজলে,
পেয়েছি উমায় আমি! কি সান্ত্বনা-ভাবে –
তিনটি দিনেতে, কহ , লো
তারা-কুন্তলে,
এ দীর্ঘ বিরহ-জ্বালা এ মন
জুড়াবে?
তিন দিন স্বর্ণদীপ জ্বলিতেছে ঘরে
দূর করি অন্ধকার; শুনিতেছি
বাণী –
মিষ্টতম এ সৃষ্টিতে এ কর্ণ-কুহরে!
দ্বিগুন আঁধার ঘর হবে, আমি জানি,
নিবাও এ দীপ যদি!” – কহিলা
কাতরে
নবমীর নিশা-শেষে গিরীশের রাণী।
কবি পরিচিতিঃ
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত যশোহর
জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে মধুসূদন জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত
এবং মাতা জাহ্নবী দেবী। ছাত্রজীবন থেকেই মধুসুদন অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ইংরেজি
সাহিত্যের প্রতি আর বেশি ঝোক ছিল। এই ইংরেজি সাহিত্যে তিনি এতটাই নির্বোধ ছিলেন যে
তার জন্য তিনি তাঁর অনেক মূল্যবান জিনিষ হারিয়েছেন। ইংরাজি সাহিত্যের বশবর্তী
হয়ে, সেই সাহিত্যে নিজের সুনাম অর্জন করার জন্য মধুসূদন তার
পরিবার, ধর্ম ভাষাকে ত্যাগ করে মাদ্রাজ পাড়ি দেন। সেখানে তিনি
রেবেকা নামক এক নীলকর দুহিতার পাণি গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি ইংরেজি কাব্য রচনায়
নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি রচনা কবেন ‘The Captive Lady এবং Vision of the passed'। সেখানে তার দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের ছিল না। মধুসূদনের
সংসারে যখন দারুণ অভাব অনটন দেখা দেয় সেই দুর্দিনে স্ত্রী রেবেকার সহিত হয় তার
বিবাহ বিচ্ছেদ। তিনি দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন হেনরিএটাকে। শেষ পর্যন্ত ইংরেজি
ভাষায় তার আশা পূরণ না হওয়ায় ১৮৫৬ সালে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন কলকাতায়। বাংলা
নাটকের দৈন্যতা দেখে তাৎক্ষণিক আকস্মিকভাবে তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে আত্মপ্রকাশ
করেন ১৮৫৯ খ্রি: ‘শর্মিষ্ঠা’ নামক নাটক
রচনার মাধ্যমে। ১৮৬০ খ্রিঃ মধুসুদন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বড়ো শালিকের
ঘাড়ে রো’ নামক দুটি প্রহসন এবং পদ্মাবতী নামক একটি পূর্ণাঙ্গ নাটক রচনা
করেন। বাংলা ভাষায় মধুসুদনই এই প্রথম প্রহসন রচনা করলেন এবং তিনিই প্রথম ‘অমিত্রাক্ষর
ছন্দ’, ‘পদ্মাবতী' নাটকে ব্যবহার করলেন। এ বছরই তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা
করলেন একখণ্ড কাব্য ‘তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য’। ১৮৬১ খ্রিঃ মধসূদন রচনা করেন ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ এবং বৈষ্ণব
কবিতার অনুসরণে ওড জাতীয় গাতিকাব্য ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’। এই
বছরই তিনি বিয়োগান্ত নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ ও রচনা করেন। আনুমানিক ১৮৬১ খ্রিঃ তিনি রচনা করেন বাংলাভাষায় প্রথম
কাব্য ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’। এ বছরই ব্যারিষ্টারি পড়বার উদ্দেশ্যে তিনি বিলেত চলে যান।
কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই তিনি দারুণ অর্থকষ্টে পড়ে ফরাসী দেশের ভাসাই শহরে উপনীত
হন। সেখানে অবস্থাবকালে মধুসূদন বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতাবলী রচনা করেন। ঈশ্বরচন্দ্র
বিদ্যাসাগরের সহায়তায় অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে মধুসুদন বিলেত ফিরে যান এবং ব্যারিস্টারি
পাশ করে ১৮৬৭ খ্রিঃ স্বদেশে ফিরে আসেন।
স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর মধুসুদন জীবিকা
নর্বাহে খুব একটা সফলতা লাভ করতে পারেননি। ১৮৭১ খিঃ তিনি হোমরকৃত ‘ইলিয়ড’ মহাকাব্যের
গদ্য অনুবাদ রচনা করেন। ১৮৭৩ খি এর ২৯ জুন কলকাতা জেনারেল হাসপাতালে মধুসুদন দেহ
ত্যাগ করেন। মধুসুদনের নাটক ‘বিজয়া দশমী’ সনেটটি
তার ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কাব্যগ্রন্থের
অন্তর্গত।
উৎস ও পরিচয়ঃ
কবি মাইকেল মধুসুদন ১৮৬২ তে তার স্বপ্নভূমি
ইংল্যান্ডে যান। এই সময় প্রচণ্ড অর্থাভাবে তার জীবন কাটে। কিছুদিন ফ্রান্সের
ভার্সাই শহরে থাকাকালে তিনি ইতালীয় ভাষায় সনেট বাংলায় পরিবর্তনের চেষ্টা করেন।
তার ফল ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’। যা রচিত হয় ১৮৬৬ সালে। অনেকগুলি কবিতার মধ্যে এই ‘বিজয়া দশমী’ একটি
কবিতা যার মধ্যে আছে বিজয়ার স্মৃতি।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
শব্দার্থ:
রজনি - রাত্রি। তারাদলে - নক্ষত্রমণ্ডলী। আজি - আজ। লয়ে -
নিয়ে। পরাণ - প্রাণবায়ু। উদিলে - উদিত
হলে। নির্দয় - নিষ্ঠুর, দয়াহীন।
রবি সূর্য! উদয় – অচলে পর্বদিকে উদিত হওয়া।
নয়নের - চোখের। তিতি - ভিজে। অশ্রুজলে - চোখের
জলে। উমা দেবী - পার্বতী
বা দুর্গা। কুন্তলে - এলোকেশী, দেবী পার্বতীর
এক রুপ। কুন্তল - কেশ বা চুল। স্বর্ণদীপ - সোনার প্রদীপ। কর্ণ করে - শ্রবণপণ্ঠে। আধাঁর - অন্ধকার। গিরীশের রাণী - হিমালয়ের স্ত্রী
মেনকা।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 উমা কে?
ANS:- উমা হিমালয় দুহিতা এবং শিবঘরণী দেবী দুর্গা।
Q.1 উমার
আর কী কী নাম রয়েছে?
ANS:- পার্বতী, বাসন্তী, অন্নপূর্ণা, দুর্গা ইত্যাদি।
Q.1 নবমী
নিশি শেষ হলে কী হবে?
ANS:- নবমী নিশি শেষ হলে দেবীদুর্গা (উমা) পিতৃগৃহ ছেড়ে চলে
যাবেন পতিগৃহ কৈলাসে।
Q.1 গিরীশের
রাণী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ANS:- গিরীশের রাণী বলতে হিমালয় পত্নী মেনকাকে বোঝানো হয়েছে।
Q.1 নবমী
নিশিকে কে না যেতে অনুনয় করছেন?
ANS:- হিমালয় পত্নী মেনকা।
Q.1 “বিজয়া দশমী” কবিতাটি কে
রচনা করেছেন?
ANS:- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
Q.1 বাংলা
সাহিত্যে কবি মধুসূদন কী নামে পরিচিত?
ANS:- মধুকবি নামে পরিচিত।
Q.1 ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
ANS:- ‘চতুর্দশপদী
কবিতাবলী’ কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত।
Q.1 শূন্যস্থান
পূর্ণ করো?
ক) তিন দিন ____ জ্বলিতেছে ঘরে।।
ANS:- স্বর্ণদীপ।
(খ) ____ এ সৃষ্টিতে এ কর্ণ কুহরে।
ANS:- মিষ্টতম।
(গ) নয়নের মণি মোর ____ হারাবে।
ANS:- নয়ন।
(ঘ) গেলে তুমি, ____ এ পরাণ যাবে।
ANS:- দয়াময়ি।
Q.1 “যেয়ো না, রজনি, আজি
লয়ে তারাদলে!” এখানে কোন রজনির কথা বলা হয়েছে?
ANS:- নবমী রজনির কথা বলা হয়েছে।
Q.1 “এ পরাণ যাবে।”- এখানে কার পরাণ যাবে?
ANS:- মেনকার।
Q.1 মাতা
মেনকা কতদিন পর উমাকে পেয়েছেন?
ANS:- বারমাস বা এক বছর পর।
Q.1 ‘উদিলে নির্দয় রবি উদয় অচল, - উদয় অচল এর
অর্থ কী?
ANS:- উদয় অচল এর অর্থ হলো - পূর্বদিকে উদিত হওয়া।
Q.1 মধুসূদন
দত্তের নামের আগে ‘মাইকেল’ শব্দটি কখন
যুক্ত হয়?
ANS:- ১৮৪৩ সালে।
Q.1 মধুসূদন
দত্ত কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
ANS:- খ্রীষ্টধর্ম।
Q.1 ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটিতে কীসের সুর ফুটে উঠেছে?
ANS:- কবিতাটিতে বিদায় জনিত নিশার সুর ফুটে উঠেছে।
Q.1 ‘সনেট’ বলতে কী বোঝ?
ANS:- চোদ্দটি পংক্তিতে রচিত বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্রকায় কবিতা হল
সনেট। Q.1 বাংলা
সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক কে?
ANS:- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
Q.1 বিশ্বসাহিত্যে
কে প্রথম সনেট রচনা করেন?
ANS:- ইতালিয়ান কবি পেত্রার্ক।
Q.1 সংস্কৃত
সাহিত্যে কে প্রথম সনেট রচনা করেন?
ANS:- আনন্দরাম বরুয়া।
Q.1 মাইকেল
মধুসূদনের রচিত একটি মহাকাব্যের নাম লেখো।
ANS:- মেঘনাদবধ কাব্য।
Q.1 কত
বছর বয়সে মধুসূদন হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
ANS:- ১৯ বছর বয়সে।
Q.1 বিজয়া
দশমী কবিতাটি কতটি পংক্তির?
ANS:- ১৪ পংক্তির।
Q.1 মধুসূদনের
মৃত্যু কোথায় হয়েছিল?
ANS:- একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ে।
Q.1 ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’র ইংরাজি প্রতিভাষা কী?
ANS:- সনেট।
Q.1 মধুসূদন
কটি ভাষায় অনর্গল বলতে লিখতে পারতেন?
ANS:- ১৩ টি ভাষায়।
Q.1 “তিনদিন স্বর্ণদীপ
জ্বলিতেছে ঘরে” -কার ঘরে তিনদিন স্বর্ণদীপ জ্বলছে?
ANS:- মাতা মেনকার ঘরে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 মধুসূদনের
জন্ম কবে কোথায় হয়েছিল?
ANS:- অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত যশোহর জেলার সাগরদাড়ি গ্রামে
১৮৯৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন।
Q.1 মধুসূদনের
পিতামাতার নাম কী?
ANS:- মধুসূদনের পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত এবং মাতার নাম জাহ্নবী
দেবী।
Q.1 মধুসূদনের
রচিত কয়েকটি কাব্যের নাম লেখো।
ANS:- ‘তিলোত্তমা’, ‘সম্ভব’, ‘ব্রজাঙ্গনা’, ‘বীরাঙ্গনা’, ‘চতুর্দশপদী
কবিতাবলী’ ইত্যাদি।
Q.1 মধুসূদনের
রচিত দুখানি ইংরেজী কাব্যের নাম কী?
ANS:- ‘কেপটিভ লেডি’ ও ‘ভিসনস অব দি পাষ্ট’।
Q.1 মধুসূদনের
রচিত দু'খানি নাটকের নাম লেখো।
ANS:- ‘শর্মিষ্ঠা’ ও
কৃষ্ণকুমারী।
Q.1 মধুসূদনের
রচিত দু'খানি প্রহসনের নাম লেখো।
ANS:- ‘একেই কি বলে সভ্যতা’
এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’।
Q.1 ‘গেলে তুমি, দয়াময়ী, এ পরাণ যাবে’ - কে গেলে কার
পরাণ যাবে?
ANS:- নবমীর রাত চলে গেলে দেবী উমার মা মেনকার প্রাণ চলে যাবে। Q.1 ‘নয়নের মণি মোর নয়ন হারাবে!’ - কে, কার নয়নের মণি?
ANS:- দেবী উমা মা মেনকার নয়নের মণি।
Q.1 ‘এ দীর্ঘ বিরহ জ্বালা এ মন জুড়াবে?' পংক্তিটির
তাৎপর্য লেখো।
ANS:- দীর্ঘ বিরহ জ্বালা বলতে কন্যা উমাকে অদর্শন জনিত দুঃখ, এবং অতি
অল্প শনি সে বিবহ জ্বালা কি মেটানো যায়।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 সনেটের
বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করো।
ANS:- সনেটের প্রথম আট পংক্তিকে ‘অষ্টক’ বলে। যেখানে বক্তব্যের মূলভাব প্রকাশ হয়। শেষ ছয় পংকিকে 'ষটক' বলে। যেখানে নতুন ভাবের প্রকাশ ঘটে। সীমাবদ্ধ
সুচিকে কবির হৃদয়াবেগ প্রকাশ সনেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
Q.1 মধুসূদন
রচিত পাঁচটি সনেটর নাম লেখো।
ANS:- মধুসূদন রচিত পাঁচটি সনেটর নাম হল ‘বিজয়া দশমী’, ‘বঙ্গভাষা’, ‘কপোতাক্ষ নদ’, ‘সমাপ্তে’ ও ‘বিদ্যাসাগর’।
Q.1 সনেট
হিসাবে ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটি কতখানি সার্থক আলোচনা করো।
ANS:- চৌদ্দটি পংক্তিতে বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্রকায় কবিতা হল
"বিজয়া দশমী”। চেীদ্দটি পংক্তির কবিতায় কবি মধুসূদনের আবেগ অনুভূতি
প্রকাশিত হয়েছে। কবিতাটির প্রথম আট পংক্তিতে কবির বক্তব্যের মূলভাব প্রকাশিত
হয়েছে। শেষ দুয় পংক্তিতে কবির নতুন ভাবের প্রকাশ ঘটেছে। সীমাবদ্ধ আঙ্গিকে কবির
হৃদয়াবেগ প্রকাশ পেয়েছে বলে সনেট হিসাবে ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটি সার্থক হয়েছে।
Q.1 “গেলে তুমি, দয়াময়ি, এ পরাণ যাবে” - পংক্তিটি কোন কবিতার? এখানে ‘দয়াময়ি’ কে? কার পরাণ যাবে?
ANS:- পংক্তিটি ‘বিজয়া দশমী’ কবিতার। এখানে ‘দয়াময়ি’ বলতে নবমীর
রাত্রিকে বোঝানো হয়েছে। উমার মাতা মেনকার প্রাণ যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Q.1 ‘নয়নের মণি মোর নয়ন হারাবে।’ - পংক্তিটি কোন
কবিতার? ‘নয়নের মণি’ বলতে কী বোঝ?
ANS:- পংক্তিটি ‘বিজয়া দশমী’ কবিতার।
‘নয়ন’
শব্দের অর্থ হলো চোখ। মণি হলো যা দিয়ে আমরা জগৎ সংসারের আলোকে দেখি। এখানে কন্যা
উমাকে মেনকার ‘নয়নের মণি’ রূপে কল্পনা
করা হয়েছে।
Q.1 সনেটের
কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
ANS:- সনেটের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো –
(১) সনেট চৌদ্দ অক্ষর চৌদ্দ চরণ বিশিষ্ট হয়।
(২) সনেটের দুটি ভাগ। অষ্টক এবং ষটক।
(৩) অষ্টকে কবির সমস্যা এবং ষটকে কবির
সমস্যার সমাধান থাকে।
Q.1 “তিনদিন স্বর্ণদীপ জ্বলিতেছে ঘরে।
দূর করি
অন্ধকার”। - এখানে
কোন তিনদিনের কথা বলা হয়েছে?
ANS:- এখানে শরৎকালের দুর্গোৎসবের কথা বলা হয়েছে। এই তিনদিন হলো
পূজার সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথিতে যে পূজা দেওয়া হয়।
Q.1 “দ্বিগুণ আঁধার
ঘর হবে, আমি জানি,
নিবাও এ দীপ
যদি”। তাৎপর্য নির্ণয় করো।
ANS:- এখানে বিজয়া দশমীর কথা বলা হয়েছে। একবার অপেক্ষা করে মা
মেনকা কল্যাপী দেবী উমাকে পেয়েছেন আর মাত্র তিনদিন পরই তিনি চলে যাবেন স্বামী
গৃহে। দেবীর আগমণে মোৰ গৃহ আলোকিত হয় আর উমার বিদায়ে ঘর হয় অন্ধকার। যেভাবে
বিদ্যুতের আলো চমকালে তা ক্ষণিকের জন্য আলো প্রদান করে অন্ধকার বাড়িয়ে দেয় ঠিক
সেভাবে মাত্র তিনদিনের আনন্দ মায়ের কাছে যেন দ্বিগুণ নিরানন্দ হয়ে দেখা দেবে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.1 বিজয়া
দশমী সম্পর্কে কী জান লেখো।
ANS:- ‘বিজয়া দশমী’ শব্দ দুটি
বাঙালির শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি উৎসব প্রিয়। ‘এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গ ভরা’ এই
প্রবাদেই বাঙালির মনের পরিচয় বিস্তৃত।
বছর ঘুরে গেলে কন্যা আসেন মা মেনকার ঘরে, এই মা
হলেন উমা বা দুর্গা। দুর্গোৎসব
মূলত চারদিন ধরে চলে। তবে শুরু হয় ষষ্ঠী তিথি থেকে। তারপর একে একে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও
দশমী তিথি অনুসারে দেবীর পূজা হয়ে থাকে। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন বা আগমন ঘটে ভক্তের
আঙিনায়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজাতে ভক্তজনের হৃদয় পূজার আনন্দময় আয়োজন
ও পরিবেশে আনন্দে নেচে ওঠে। হৃদয়ের সব কটি দ্বার উন্মোচিত করে দিয়ে তারা উৎসবের
আনন্দ উপভোগ করে। এই ভক্তেরা ভুলে যায় যে পরদিনই দশমী তিথিতে দেবীকে বিদায়
জানাতে হবে। তাই দশমী তিথি বিদায়ের তিথি। বিজয়া সেই অর্থে বিদায় সম্ভাষণরা
ভক্তেরা বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দেবীকে বিদায় দিয়ে নিজেদের মধ্যে মিষ্টিমুখ ও
আলিঙ্গনের মাধ্যমে দুঃখকে ভুলে থাকতে চায়।
Q.1 কবিতাটিতে
(বিজয়া দশমী) দেবী দুর্গাকে কী রূপে দেখা হয়েছে?
ANS:- বাংলা কাব্যজগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র কবি মধুসূদন দত্ত!
সুদুর ফরাসীদেশের ভার্সাই শহর থেকে বাঙালি মায়ের কন্যার অদর্শনজনিত হৃদয়ের আর্তিকে
বিজয় দশমী কবিতাটিতে যেভাবে তুলে ধরেছেন তা মানবিক দৃষ্টিতে এক অনুপম সৃষ্টি বল
যেতে পারে।
দেবী দুর্গা ভক্তের কাছে মায়ের প্রতীক, ভক্তেরা
সেখানে সন্তান তুল্য। কিন্তু
কবিতাটিতে দেবীকে বাঙালি ঘরের বিবাহিত কন্যারূপে কবি তুলে ধরেছেন। বাঙালি ঘরের
মেয়ের বিয়ের পর স্বামীর ঘরে চলে যায়। মা তার সন্তানকে স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে
নিশ্চিন্ত মনে থাকেন না। সর্বদাই আশা করেন কখন মেয়েকে পিত্রালয়ে আনবেন। মেয়ের
মুখ দেখবেন, সুখ দুখের খবর নিবেন। মনের কথা বলে বুক জুড়াবেন।
বাঙালি মেয়ের প্রতীক দেবী দুর্গা সেভাবে
বছরে একবার শরৎকালে যেন মায়ের কাছে নাইয়র আসেন। মেয়ে যেমন পিত্রালয়ে দীর্ঘদিন
থাকে না, দেবীও তেমনি চারদিনের পূজা শেষে বিদায় নেন। মেয়েকে
পুনরায় স্বামী গৃহে পাঠিয়ে মাও যেমন বেদনাতুর হয়ে পড়েন, দেবীর
ভক্তেরাও সেরূপ বেদনা বিধুর হয়ে পড়েন।
কবিতাটিতে মা মেনকা বাঙালি মায়ের এবং দেবী
দুর্গা বাঙালি ঘরের বিবাহিত কন্যার প্রতিনিধী।
Q.1 দুর্গাপূজার
তিনটি তিথি কী? উমার জন্য মায়ের কাতরতা যে ভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
ANS:- দুর্গাপুজার তিনটি তিথি হলো –
(১) সপ্তমী তিথি
(২) অষ্টমী তিথি ও
(৩) নবমী তিথি।
দেবী দুর্গা ভক্তের কাছে মায়ের প্রতীক, ভক্তেরা
সেখানে সন্তান তুল্য। কিন্তু “বিজয়া দশমী” কবিতাতে এই দেবীকে কবি মা মেনকার কন্যারূপে
তুলে ধরেছেন। এই দেবী বছর ঘুরে গেলে একবার আসেন মা মেনকার ঘরে, আবার
তিনদিন পরই কন্যা মাকে কাঁদিয়ে চলে যান কৈলাসে শিবের ঘর করতে।
কন্যা উমার আগমনে সপ্তমী, অষ্টমী ও
নবমী এ তিনদিন সমস্ত দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে থাকলেও যখনই নবমীর পূজা শেষে রাত
ঘনিয়ে আসে তখনই মা মেনকার প্রাণ বেদনায় ছটপট করতে আরম্ভ করে – এই বুঝি
নবমীর রাত চলে যায়। কারণ রাত চলে গিয়ে যখনই পূর্ব আকাশে সূর্য উকি দেবে তখনই
কন্যারত্ন উমা আর তার ঘরে থাকবেন না। একটি বছর চোখের জল ফেলে যে শূন্য হৃদয়ে যাকে
বুকের কাছে পেয়েছেন তা মাত্র তিনদিনে কীভাবে হৃদয়ে পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারে।
বিদ্যুতের আলো চমকিয়েই চলে যাওয়ার পর পথিকের চোখে যেভাবে দ্বিগুণ আধার ধরা পড়ে
শমেনকার হৃদয়ও সে আঁধার অনুভব করছে। তাই তিনি নবমীর নিশিকে কাতর অনুরোধ করছেন যেন
সে না পোহায়।
Q.1 নবমী
নিশিতে কেন মন বিষাদে আচ্ছন্ন হয় বর্ণনা করো।
ANS:- ‘পূজা’ মানেই উৎসব, আর সব উৎসবই প্রাণের সঙ্গে যুক্ত। বাঙালিরা
উৎসব প্রিয়। এত ভঙ্গ বঙ্গদেশে তবু রঙে ভরা এই প্রবাদেই বাঙালির মনের পরিচয়
বিস্তৃত।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘দুর্গাপূজা’। এই উৎসবের সময় মানুষ মনের দুঃখ-কয়, জ্বালা
যন্ত্রণা সব ভুলে গিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। সেদিন সে মুক্ত, উল্লসিত, তার কোন
চিন্তা নেই, ভাবনা নেই। এই উৎসব প্রধানতঃ চারদিনের, কিন্তু চারদিনই অনন্ত ভক্তের মনে বিরাজ করে
না। কারণ চারদিনের চরম প্রকাশ ঘটে নবমীতে। আবার নবমীর পর ভক্তের হৃদয়ে বিষাদ নেমে আসে। তার মূল কারণ, পরদিন
অর্থাৎ নবমীর রাত পোহালেই দশমী বা বিসর্জনের পালা। এ চিন্তাটা নবমীর রাতেই মনকে ভারাকান্ত
করে তুলে। তাই নবমী যেমন চরম আনন্দের উৎস, তেমনি চরম বিষাদেরও কারণ। কবি মনে করেন, নবমীর রাত না পোহালে দশমী আসত না। তাই নবমীই
যেন দশমীকে আহ্বান জানায়। এক কথায়, দশমীর দূঃখের কারণ যেন নবমী নিশি। সে অনন্ত
দীর্ঘ হলে দশমী আসত না।
উক্ত কবিতাটিতে মা মেনকা তাই নবমী নিশিকে
কাতর অনুরোধ করছেন যেন সে না পোহায়। যদি পোহায়, তা হলে যে দশমীতে মেয়ে উমাকে বিদায় জানাতে
হবে মেনকাও তাই নবমীর রাত থেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, বিষাদ।
Q.1 ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটির সারাংশ লেখো।
ANS:- সারাংশ:
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সুদুর ফ্রান্সের
ভার্সাই শহরে অবস্থানকালে তার জন্মভূমি বাংলাদেশ এবং বাঙালির কৃষ্টি সংস্কৃতিকে এক
মুহূর্তও ভুলতে পারেননি। তাই শরৎকালীন দুর্গোৎসব নিয়ে ‘বিজয়া দশমী’ নামক একটি
অন্যতম সনেট আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটি আসলে বাঙালি মায়ের কন্যা অদর্শন
জনিত একটি বিরহ বিদুর-আর্তি। বাঙালি সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিবাহিতা কন্যার জন্য
মায়ের যে আকুল অপেক্ষা, পরবর্তীতে মেয়ের স্বামী গৃহে চলে যাওয়ার আশংকা দুয়েরই
অনুরনন রয়েছে উক্ত কবিতায়।
দেবী দুর্গার পূজা চারদিন ধরে উত্থাপিত হলেও
চতুর্থ দিনটি বড়ই করুণরুপে ধরা দেয়। ভক্তজনেরা প্রথম তিনদিন মায়ের আগমনের
আনন্দে এতই মজে থাকে যে চতুর্থ দিনটির কথা ভুলেই বসে। কিন্তু নবমীর পূজা শেষে সেটা
মনে পড়তেই নবমীর রাত থেকেই বেদনাহত হয়ে পড়ে। কারণ রাত পোহালেই দশমী তিথিতে
দেবীকে বিসর্জন দিতে হবে।
এখানে ভক্তরূপী মা মেনকা মেয়েরূপী দেবীকে
দশমীতে চলে যেতে হবে ভেবে কাতর হয়ে পড়েছেন। নবমীর নিশিকে তিনি দীর্ঘ করতে
অন্যায় অনুরোধ করতেও পিছপা হননি। নবমী রজনী যদি তাৱাদল সহ বিলীন হয়, তবে দশমী
তিথি এসে যাৰে। দশমী তিথির রবির উদয়ে তার নয়নমণিকে তিনি নয়নে দেখতে পাবেন না।
বছরান্তে একবার দেখার আশায় বারো মাস তিনি দুঃখ কষ্ট সহ্য করে বুকে বাধেন শুধুমাত্র
উনার আগমনের পথ চেয়ে। এবার বিদায়ের পর আবারো দীর্ঘ বারোমাসের অপেক্ষা মেনকা আর
সহ্য করতে পারছেন না। তার মনে হল তিনাদর যে আনন্দ একদিনের বিদায়ের তুলনায়
দ্বিগুণ দুঃখ বয়ে আনবে। বিরহীর মতো তাই নবমী নিশিকে বারবার না পোহাতে কাতর অনুরোধ
করছেন।
Q.1 বিজয়া
দশমী' কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
ANS:- নামকরণ:
নামকরণ সম্বন্ধে ইংরেজ মহাকবি Shakespeare বলেছেন 'What
is name? আবার অন্যদিকে আমাদের বিশ্বকবি বলেছেন, ‘নামকে
যারা নামমাত্র মনে করেন, আমি তাদের দলে নেই।'
তবে কোন কিছু সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ধারণা
লাভের উপায় হল তার নাম। নামের প্রয়োজনীয়তা আর কিছু করুক বা না করুক, বিষয়টিকে
চিনে নিতে সাহায্য করে। সাহিত্যে নামকরণের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কোন কবিতা, কাব্য
রচনা বা গল্পের নামকরণ কেমন হবে, তার বিচার করা হয় বিষয়টিকে ভিত্তি করে, কিংবা কোন
বিশেষ চরিত্রের নামানুসারে। আমাদের আলোচ্য কবিতা ‘বিজয়া দশমী’ কবিতাটির নামকরণ অতি সাধারণ। কবির এই
কবিতাটিতে বিসর্জনের বেদনা ধ্বনিত হয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি মতে কন্যারূপিনী উমা
শরৎকালে কৈলাস থেকে মাত্র তিন দিনের জন্য আসেন ভক্তগৃহ তথা মা মেনকার গৃহে। এই
তিনদিন মাতৃগৃহ আনন্দে ভরিয়ে রাখেন। অবশেষে বিজয়া দশমীর দিনে তিনি মাকে কাঁদিয়ে
চলে যান আবার কৈলাসে শিবের ঘর করতে। তাই মাতা মেনকার বুক ফাটা আর্তনাদ দশমীর
তিথিতে এসে যাবে। দশমীর তিথির রবির উদয়ে তার নয়নমণিকে তিনি নয়নে দেখতে পারবেন
না। একবছর চোখের জল ফেলে যাকে পেয়েছেন তা, তিনদিনে তাকে হাতছাড়া করে তিনি কেমন করে
সহ্য করবেন যাতনা। এই অল্পদিনের যে আনন্দ তা একদিনের বিদায়ের তুলনায় দ্বিগুণ
দুঃখ বয়ে আনবে। বিরহী মাতা মেনকা তাই নবমীর নিশিকে না পোহাতে কাতর অনুরোধ করেছেন।
সুদূর প্রবাসে কবি মধুসূদন তার জন্মভূমি
বাংলার এবং বাঙালির সংস্কৃতিকে এক মুহুর্তও ভুলতে পারেন নি। তাই শরৎকালীন উৎসব এই
বিজয়া দশমীর স্মৃতিচারণ করেছেন এবং অন্তরের বেদনা মা মেনকার অন্তর দিয়ে প্রকাশ
করেছেন। সুতরাং কবিতাটির নামকরণ সার্থক হয়েছে একথা বলা যায়।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ব্যাখ্যা করো:
Q.1 ব্যাখ্যা করো।
“যেয়ো না, রজনি, আজি লয়ে
তারাদলে!
গেলে তুমি, দয়াময়ি, এ পরাণ যাবে।”
ANS:- আলোচ্য পংক্তিদ্বয় বাংলা কাব্য জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র
কবি মধুসূদন দত্ত রচিত ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’র অন্তর্গত ‘বিজয়া দশমী’ নামক
কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে মাতা মেনকার নবমীর রাতের না পোহাবার
কাতর অনুরোধের কথা বলা হয়েছে।
কন্যারূপী দেবী উমা বছর ঘুরে গেলে একবার আসেন
মা মেনকার ঘরে। আবার তিনদিন পরই তিনি মাকে কাঁদিয়ে চলে যান কৈলাসে শিবের ঘর করতে।
প্রথম তিনদিন মহাসমারোহে আনন্দ সাগরে ভাসলেও যখন নবমীর পূজা শেষে রাত ঘনিয়ে আসে
তখন কন্যা হারাবার বেদনায় মাতৃহৃদয় ছটপট করতে থাকে তাই মাতা মেনকা নবমীর রাত্রিকে
কাতর অনুরোধ করছেন সে রাত যেন তার তারামণ্ডলী নিয়ে চলে না যায় অর্থাৎ রাতটি যেন
দীর্ঘায়িত হয়।
Q.1 ব্যাখ্যা
করো।
“তিনটি দিনেতে, কহ, লো
তারা-কুন্তলে,
এ দীর্ঘ বিরহ জ্বালা এমন জুড়াবে?''
ANS:- আলোচ্য ব্যাখ্যানীয় অংশটুকু কবি মধুসূদন দত্ত রচিত
চতুর্দশপদী কবিতাবলীর অন্তর্গত ‘বিজয়া
দশমী’ নামক কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। এখানে কবি
বাঙালি মায়ের কন্যার অদর্শনজনিত হৃদয়ের আর্তিকে তুলে ধরেছেন।
ভক্তরূপী মা মেনকা মেয়েরূপী দেবী উমাকে
দশমীতে চলে যেতে হবে ভেবে কাতর হয়ে পড়েছেন। নবমী রজনী যদি শশী তারা বিলীন হয়, তবে দশমী
তিথি এসে যাবে। নবমীর নিশিকে তিনি আটকাতে অন্যায় অনুরোধ করতেও তিনি পিছপা হন নি।
দশমী তিথির রবির উদয়ে তার নয়নমণিকে তিনি নয়নে দেখতে পারবেন না। বৎসরান্তে একবার
দেখার আশায় বারোটা মাস তিনি দুঃখ কষ্ট সহ্য করে বুক বাঁধেন শুধুমাত্র উমার আগমনের
পথ চেয়ে। এবার বিদায়ের পর আবারও দীর্ঘ অপেক্ষা। তার মনে হলো তিনদিনের যে আনন্দ
তা একদিনের বিদায়ের তুলনায় দ্বিগুণ দুঃখ বহন করে আনবে।
Q.1 বাক্য
রচনা করো।
(ক) জটাজাল - গঙ্গাদেবী শিবের মাথার জটাজালে আবদ্ধ ছিলেন।
(খ) দ্বৈপায়ন - (ব্যাসদেব) মহাঋষি দ্বৈপায়ন
মহাভারত রচনা করেছিলেন।
(গ) সংস্কৃত - সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে।
(ঘ) তৃষ্ণায় আকুল - পথিকটি অনেক দুর হেটে তৃষ্ণায় আকুল হয়ে
পড়েছে। (ঙ) পুণ্যবান - পুণ্যবান লোকেই ধর্মকথা শুনার সৌভাগ্য লাভ করে।
Q.1 পদান্তর
করো।
(ক) ভারত - ভারতীয়।
(খ) সংস্কৃত : সংস্কৃতি।
(গ) রস - রসাল/রসিক।
(ঘ) কঠোর - কঠোরতা, কাঠিন্য।
(ঙ) গঙ্গা - গাঙ্গেয়।
(চ) তৃষ্ণা - তৃষিত, তৃষ্ণার্থ ।
Q.1 বিপরীতার্থক
শব্দ লেখো।
উত্তর। প্রভাত - সন্ধ্যা/প্রদোষ। বান্ধিল - ছাড়িল। অর্ধ - পূর্ণ। ধীর - ক্ষিপ্র।
দুবলা - সবলা। গোড়ায় - আগায়।
নারী - পুরুষ। মন্দ - ভাল। মৌন - কোলাহল। স্থল - জল। দিবস - রজনী। জনম - মরণ।
Q.1
পদান্তর করো।
প্রভাত - প্রভাতী। ধীর - ধৈর্য। ক্ষিপ্র -
ক্ষিপ্রতা। দুর্বল - দুর্বলতা। নারী - নারীত্ব দুঃখ - দুঃখিত। আনন্দ - আনন্দিত।
মেীন মৌনতা। স্থল স্থলীয়। দিবস - দিবসীয়।
হিম - হৈম। জন্ম - জন্মজাত।
Q.1 তুমি
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার জন অনুপস্থিতির কারণ দর্শিয়ে প্রধান শিক্ষককে সম্বোধন
করে একখানি আবেদন পত্র রচনা করো।
ANS:-
মাননীয় প্রধান শিক্ষক মহাশয় সমীপে,
বদরপুর হাই স্কুল বদরপুর,
জেলা – করিমগঞ্জ, অসম।
তাং- ৯ ই মার্চ ২০২০ইং
বিষয়ঃ- ছুটি মঞ্জুর করার জন্য আবেদন পত্র।
মাননীয় মহাশয়,
আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি হঠাৎ
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১লা মার্চ থেকে ৮ই মার্চ ২০২০ ইং পর্যন্ত হাসপাতালে
চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলাম। এজন্য আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।
অতএব মহোদয় সমীপে আমার বিনীত প্রার্থনা যে, অনুগ্রহ
পূর্বক উক্ত এক সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করে আমাকে বাধিত করবেন।
নিবেদন ইতি -
আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্র
ABCD, দশম শ্রেণী,
বিভাগ ‘ক’, ক্রমিক সংখ্যা ১০
বিজয়া দশমী দুর্গাপূজা
পৌরাণিক
কাহিনি অনুসারে, এই দিনেই পিতৃ-আবাস ছেড়ে দেবী পাড়ি দেন
স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। এই দিনেই তাই দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। রাজধানী শহর
দিল্লিতে যমুনা নদীতে, কোলকাতায় গঙ্গানদী অভিমুখে অসংখ্য প্রতিমা
সারি সারি নিয়ে শোভাযাত্রা চলে সারাদিন ধরে।
পুরাণে
মহিষাসুর-বধ সংক্রান্ত কাহিনিতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পরে দশম দিনে তার বিরুদ্ধে বিজয়
লাভ করেন দেবী। শ্রীশ্রীচণ্ডীর কাহিনি অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবী আবির্ভূতা হন, এবং শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর-বধ করেন। বিজয়া দশমী সেই বিজয়কেই চিহ্নিত করে।
তবে
উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই দিনে যে দশেরা উদযাপিত হয়, তার তাৎপর্য অন্য। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘দশহর’ থেকে, যা দশানন রাবণের মৃত্যুকে সূচিত করে।
বাল্মীকি রামায়ণে কথিত আছে যে, আশ্বিন
মাসের শুক্লা দশমী তিথিতেই রাবণ-বধ করেছিলেন রাম। কালিদাসের রঘুবংশ, তুলসীদাসের রামচরিতমানস, কিংবা কেশবদাসের
রামচন্দ্রিকা-য় এই সূত্রের সঙ্গে সংযোগ রেখেই বলা হয়েছে, রাবণ-বধের পরে আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ।
রাবণ-বধ
ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষেই যথাক্রমে দশহরা ও দীপাবলি পালন করা হয়ে
থাকে। আবার মহাভারতে কথিত হয়েছে, দ্বাদশ
বৎসর অজ্ঞাতবাসের শেষে আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই পাণ্ডবরা শমীবৃক্ষে লুক্কায়িত
তাঁদের অস্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং ছদ্মবেশ-মুক্ত হয়ে নিজেদের প্রকৃত পরিচয় ঘোষণা
করেন। এই উল্লেখও বিজয়া দশমীর তাৎপর্য বৃদ্ধি করে।
বিদায়ের অশ্রুজলে সব আনন্দের হয় বিসর্জন দেবী
বিসর্জনের সাথে সাথে। আবার একটি বছর ধরে চলতে থাকে প্রতীক্ষা। দুর্গাপূজা প্রবাসী বাঙালিদের সার্বজনীন।
কোলকাতা সহ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যেও এই উত্সব অতি ধূমধামের সাথে পালন করা হয়।
ভারতবর্ষ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের এই পূজার প্রচলন আছে।
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : বিজয়া দশমী
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
*****************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.