ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 9 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা
অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ
: খাই খাই
কবি
: সুকুমার রায়
খাই খাই
সুকুমার রায়
১৮৮৭
- ১৯২৩
খাই খাই কর কেন, এস বস আহারে -
খাওয়াব আজব
খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।
যত কিছু
খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,
জড় করে আনি
সব,- থাক সেই আশাতে।
ডাল ভাত
তরকারি ফলমূল শস্য,
আমিষ ও
নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও
পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায়
লোকে স্বদেশে ও বিদেশে-
খুঁজে পেতে
আনি খেতে- নয় বড় সিধে সে!
জল খায়, দুধ খায় যত পানীয়,
জ্যাঠাছেলে
বিড়ি খায়, কান ধরে টানিও।
ফল বিনা
চিঁড়ে দৈ, ফলাহার হয় তা,
জলযোগে জল
খাওয়া শুধু জল নয় তা।
ব্যাঙ খায়
ফরাসিরা (খেতে নয় মন্দ),
বার্মার 'ঙাপ্পিতে' বাপ্রে কি গন্ধ!
মান্দ্রাজি
ঝাল খেলে জ্বলে যায় কন্ঠ,
জাপানেতে খায়
নাকি ফড়িঙের ঘন্ট!
আরশুলা মুখে
দিয়ে সুখে খায় চীনারা,
কত কি যে খায়
লোকে নাহি তার কিনারা।
দেখে শুনে
চেয়ে খাও, যেটা চায় রসনা ;
তা না হলে কলা
খাও- চটো কেন? বস না-
সবে হল খাওয়া
শুরু শোন শোন আরো খায়-
সুদ খায়
মহাজনে, ঘুষ খায় দারোগায়।
বাবু যান
হাওয়া খেতে চড়ে জুড়ি-গাড়িতে,
খাসা দেখ 'খাপ্ খায়' চাপকানে দাড়িতে।
তেলে জলে মিশ
খায় শুনেছ তা কেও কি?
যুদ্ধে যে গুলি খায় গুলিখোর সেও কি?
ডিঙি চড়ে স্রোতে প'ড়ে পাক খায় জেলেরা,
ভয় খেয়ে
খাবি খায় পাঠশালে ছেলেরা ;
বেত খেয়ে
কাঁদে কেউ, কেউ শুধু গালি খায়,
কেউ খায়
থতমত- তাও লিখি তালিকায়।
ভিখারিটা
তাড়া খায়, ভিখ্ নাহি পায় রে-
'দিন আনে দিন
খায়' কত লোকে হায়ে রে।
হোঁচটের চোট
খেয়ে খোকা ধরে কান্না,
মা বলেন চুমু
খেয়ে, 'সেরে গেছে, আর না।'
ধমক বকুনি
খেয়ে নয় যারা বাধ্য,
কিলচড় লাথি
ঘূঁষি হয় তার খাদ্য।
জুতো খায়, গুঁতো খায়, চাবুক যে খায় রে,
তবু যদি নুন
খায় সেও গুণ গায় রে।
গরমে বাতাস
খাই, শীতে খাই হিম্ সিম্,
পিছলে আছাড়
খেয়ে মাথা করে ঝিম্ঝিম্ ।
কত যে মোচড়
খায় বেহালার কানটা,
কানমলা খেলে
তবে খোলে তার গানটা।
টোল খায় ঘটি
বাটি, দোল খায় খোকারা,
ঘাবড়িয়ে ঘোল
খায় পদে পদে বোকারা।
আকাশেতে কাৎ হ'য়ে গোঁৎ খায় ঘুড়িটা,
পালোয়ান খায়
দেখ ডিগবাজি কুড়িটা।
ফুটবলে ঠেলা
খাই, ভিড়ে খাই ধাক্কা,
কাশীতে প্রসাদে
খেয়ে সাধু হই পাক্কা!
কথা শোন, মাথা খাও , রোদ্দুরে যেয়ো না-
আর যাহা খাও
বাপু বিষমটি খেও না।
ফেল্ করে মুখ
খেয়ে কেঁদেছিল সেবারে,
আদা- নুন
খেয়ে লাগো পাশ কর এবারে।
ভ্যাবাচ্যাকা
খেও নাকো, যেয়ো নাকো ভড়কে,
খাওয়াদাওয়া
শেষ হলে বসে খাও খড়্কে ।
এত খেয়ে তবু
যদি নাহি ওঠে মনটা-
খাও তবে কচু পোড়া, খাও তবে ঘন্টা।
কবি পরিচিতি
১২৯৪ সালের ১৩ কার্তিক (১৮৮৭) বাংলা
সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র কবি
সুকুমার রায় কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সুকুমার রায়ের মা বিধুমুখী রায়চৌধুরী।
আদিবাড়ি বাংলাদেশের মৈমনসিংহ জেলায়, মসুয়াগ্রামে। অস্কার পুরস্কার প্রাপ্ত
চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় তাঁর পুত্র। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল, ফুর্তিবাজ এবং অত্যন্ত কৌতূহলী ছিলেন। বাংলার
শিশু সাহিত্যের দ্বিতীয় পর্বের অগ্রগামী লেখক সুকুমার রায়। সুকুমার রায় ছিলেন
কৃত্রী ছাত্র। সিটি কলেজ থেকে প্রবেশিকা পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১১ সালে
রসায়নে অনার্স-সহ বি. এস. সি. পাশ করেন। তারপর ফটোগ্রাফি ও প্রিন্টিং টেকনোলোজিতে
উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে বিলেত যান। অল্প বয়স
থেকেই তিনি পিতার অনুকরণে মুখে মুখে ছড়া আওড়াতেন। শৈশব কাল থেকে তিনি সাহিত্য
সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন। পরিবারের সাহিত্যচর্চার পরিবেশেই বড়ো হয়েছে সুকুমার
রায়। বাবার প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত সন্দেশ পত্রিকাতেই তার অধিকাংশ রচনা প্রকাশিত
হয়। বাবার পরে তিনি সন্দেশ'-এর সম্পাদনাও করেন। সুকুমার রায় রাচত
গ্রন্থের মধ্যে আবোল-তাবোল হযবরল, খাই খাই, পাগলা দাশু, লক্ষণের শক্তিশেল, শব্দ কল্পদ্রুম, অবাক জলপান
প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে কিশোর মনে
কৌতুহলের চেহারাটিকেও স্পষ্ট করে পৌঁছে দিয়েছে আজকের পাঠকের কাছেও। সেদিক থেকে এর
এতিহাসিক মূল্য অনস্বীকার্য। সুকুমার রায়ের রচনাবলীর মধ্যে আরও রয়েছে ‘দেশবিদেশের গল্প’, ‘বিবিধ কবিতা, নানা গল্প, নাটক, বর্ণপরিচয়’, হাসির ও।
নাটকীয় কবিত’, ‘জীবনী’, নানা নিবন্ধ’, ‘জীবজন্তুর কথা', দাঁড়ের ময়না’, এবং ‘সূর্যাস্তের গঙ্গা প্রভৃতি।
মাত্র ৫২ বক্স বয়সে ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ২৪
ভাদ্র (১৯২৩) তিনি পরলোক। গমন করেন।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
পাঠ-প্রসঙ্গ
কিশোর-কিশোরীদের মনে এই কবিতা হাস্য-মধুর
ভাবের সঞ্চার করবে। জীবনে কৌতুকবোধের আনন্দ নির্মল। তাতে দূর হয় মনের কলুষ। মনে প্রাণে
আসে স্নিগ্ধতা। এই উদ্দেশ্যেই পাঠটি চয়ন করা হয়েছে।
কবি সুকুমার রায়কে বলা যায় শিশু-সাহিত্যের
সম্রাট। কবিতায় শব্দ প্রয়োগে তার দক্ষতা ছিল অসাধারণ। পাঠ্য পদ্যটিতে তিনি কেবল ‘খাওয়া’ ক্রিয়াপদ
ব্যবহার করেই চমক্কার কাব্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে।
সারাংশ
এই কবিতায় কবি একজন আহার রসিককে মহাভোজে
আপ্যায়ন করেছে। বাঙালি খেতে ভালোবাসে। সেই খাওয়ার তালিকা যেমন ডাল
ভাত-তরকারি-ফল-মূল-শষ্য, আমিষ-নিরামিষ রুটি-লুচি ভাজা-ভুজি, টকঝাল মিষ্টি যা
কিছু ময়রা ও পাচকরা সৃষ্টি করেছে। সেই সবই পরিবেশন করতে চান আহার-রসিককে। সেই
সঙ্গে স্বদেশী-বিদেশী রান্নাও ; যেমন ফরাসিদের রান্না করা ব্যাঙ', বার্মার ‘ঙাম্পি’, জাপানের ফড়িঙের
ঘণ্টা’, চিনাদের ‘আরশোলা’ রান্না প্রভৃতি আজব খাওয়া পরিবেশনে। এসব
ভালো ভালো যদি মুখে না রোচে তবে শুধু কলা খেয়ে থাকতে হবে আহার-রসিককে।
উৎসঃ আলোচ্য কবিতাটি সুকুমার রায়ের রচনাবলী’ থেকে গৃহীত
হয়েছে।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
শব্দার্থ
খাই খাই-খুব খিদের ভাব, খাওয়ার লালসা।
আহার—খাওয়া। আজব-অদ্ভুত, আশ্চর্য। ভোজ—আহার, খাবার অনুষ্ঠান।
জড়ো - জমা।। আমিষ—মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় খাদ্যবস্তু। নিরামিষ - শাক-সবজী, তরিতরকারী
জাতীয় খাদ্যবস্তু। চৰ্য - চিবিয়ে খাওয়া। চোষ্য - চুষে খাওয়া।
ময়রা - মিষ্টি খাবার তৈরি করেন যারা। পাচক রাঁধুনি।
সৃষ্টি - নির্মাণ করি, সৃজন ইত্যাদি।
স্বদেশ - নিজের দেশ; জন্মভূমি। বিদেশ - পরের দেশ। খুঁজে পেতে - খোঁজ করে
পাওয়ার জন্য। সিধে - সহজ। বিনা - ব্যতীত। ফলাহার - দই, চিড়ে, মুড়কি মাখা
খাবার। জলযোগ - জলসহযোগে সামান্য আহার। ফরাসী - ফ্রান্সের
অধিবাসী। মাদ্রাজী - মাদ্রাজের অধিবাসী। ঘন্ট - পাঁচ মিশালী
তরকারী। কিনারা - সন্ধান, হিসেব, পার। রসনা - জিহ্বা। চীনা - চীনদেশের
অধিবাসী। জ্যাঠাছেলে - খুব কম বয়সে যে ছেলে বড়দের মতো আচরণ করে।
চটো কেন-রেগে যাওয়ার কারণ কি। খাসা - চমৎকার, সন্দর। মহাজনে - সুদখোরে। দারোগা - থানার বড়বাবু।
বাবু - একশ্রেণির ধনী বাঙালি। জুড়িগাড়ি - দুটি ঘোড়ায়
টানা গাড়ী। খাপ খায় - মেলে। চাপকান - এক জাতীয় বস্ত্রবিশেষ। মিশ খায়’ - খাপ খায়। গুলিখোর - বিশেষ নেশাগ্রস্ত। ডিঙি - ছোট নৌকা। পাক
খায় - ঘোরে, ঘুরতে থাকে। পাঠশালে - প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে। বেত - শাস্তি দেওয়ার
হাতিয়ার বিশেষ। থতমত - ঘাবড়ে খাওয়া। তালিকা - সারণী। গুতো - ধাক্কা। হিমসিম - ঘাবড়ে যাওয়া।
ঝিমঝিম - ধরা (মাথা)। টোল খায় - গর্ত হওয়া। ঘোল
খায় - মাথা ঘুরিয়ে দেয়। কাত হয়ে - একপেশে হয়ে।
গোত খায় - মাথা নীচু করে নেমে আসে। পালোয়ান - কুস্তিগীর।
ডিগবাজি - মাথা নীচে করে পা উপরে রেখে কসরৎ। ভড়কে - ঘাবড়ে। খাও তবে
ঘন্টা - কিছুনা খেয়েই থাক।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
টীকা লেখো
বার্মা:
বার্মা হলো ভারতবর্ষের উত্তরপূর্ব
সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র। এর প্রাচীন নাম ছিল ব্রহ্মদেশ। বর্তমানে তার নাম
ম্যায়ানমার। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক সরকার তার এই
নতুন নাম । মায়ানমার রাখে। গত ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর থেকে এই দেশের নতুন সরকারি
নাম হল রিপাব্লিক অফ দি ইউনিয়ন অফ ম্যায়ানমার। তৎসঙ্গে বার্মার রাজধানী
রেঙ্গুন-এর নাম পালটে রাখা হল ইয়াঙ্গুন।
আনুমানিক খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে (১-১০০
খ্রিস্টাব্দ) পিউ নামের উপজাতিরা ইরাবতী উপত্যকা হয়ে বার্মায় প্রবেশ করেছিল।
ত্রয়োদশ শতকে মায়ানমারে কতকগুলি ছোট ছোট রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে
উল্লেখযোগ। আভা আরাকান হানাথবথী। ১৮ শতকে ব্রিটিশরা বার্মা দখল করে। ১৯৪৮ সালে
বার্মা স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৬২ সাল থেকে বার্মায় সামরিক সরকার। শাসন ক্ষমতায়
আসে।
চীন:
চীন দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রজাতান্ত্রিক
রাষ্ট্র। ১৩০ কোটির অধিক। জনসংখ্যা ও বৃহত্তম ভাষাগোষ্ঠীর দেশ চীন এশিয়ার বৃহত্তম
রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। চীনারা তাদের দেশকে চংকও বলে ডাকে।
যার অর্থ মধ্যদেশ। চীন নামটি বিদেশীদের দেওয়া। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকের ‘ছিন’ রাজবংশের নামের
বিকৃত রূপ (উচ্চারণ) চীন। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার পাঁচভাগের এক অংশ চীন দেশে বসবাস
করে।
কাশী:
বর্তমান উত্তর প্রদেশে অবস্থিত ভারতবর্ষের
প্রাচীন শহর। গঙ্গার তীরে অবস্থিত হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। কাশীর বিশ্বনাথ
মন্দিরটি ভারতের শ্রেষ্ঠ মন্দিরগুলোর অন্যতম। আদি শঙ্করাচার্য, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ এই
মন্দির দর্শন করেছিলেন।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
ক্রিয়াকলাপ
A. অতি সংক্ষিপ্ত
উত্তর দাও :
Q.1. রুটি লুচি ইত্যাদি খাবার যে প্রস্তুত করে তাকে কী
বলে?
ANS: রুটি লুচি ইত্যাদি খাবার যে প্রস্তুত করে
তাকে পাচক বলে।
Q.2. টক, ঝাল, মিষ্টি খাবার তৈরি করে কে?
ANS: টক, ঝাল, মিষ্টি খাবার তৈরি করে ময়রা।।
Q.3. তরল খাবার কোনগুলো?
ANS: ডাল, টক, দুধ ইত্যাদি তরল খাবার।
Q.4. ‘ফলাহার' কী?
ANS: দই, চিড়ে, মুড়কি মাখা খাবার হলো ফলাহার।
Q.5. 'প্রলযোগ বলতে কী
বোঝো?
ANS: জলযোগ সহযোগে সামান্য আহারকে ‘জলযোগ’ বলে।
Q.6. ফরাসিরা খায় এমন একটি খাবারের নাম লেখো।
ANS: ফরাসিরা খায় এমন একটি খাকর হলো ব্যাং'।
Q.7. বার্মার খাবার কী?
ANS: বার্মার খাবার হলো ‘ম্পি'।
Q.8. ‘ফড়িঙের ঘন্ট' খায় কারা ?
ANS: ‘ফড়িঙের ঘন্ট’ খায় জাপানীরা।
Q.9. চীনাদের প্রিয় খাদ্য কী?
ANS: চীনাদের প্রিয় খাদ্য ‘আরশোলা'।
Q.10. ভারতের প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্রের নাম বল?
ANS: ভারতের প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্র হলো—পাকিস্তান ও
বাংলাদেশ।
Q.11. কবিতায় ব্যবহৃত একটি প্রবাদের উল্লেখ করো।
ANS: কবিতায় ব্যবহৃত একটি প্রবাদ হলো নুন খাই গুণ
গাই'।
Q.12. নুন খাই গুণ গাই'।—এরকম আরো দুটি প্রবাদ লেখো।
ANS: নুন খাই গুণ গাই’—এরকম আরো দুটি
হলো যথাক্রমে—‘দিন আনে দিন খায় এবং ‘তেল জলে মিশ
খায়।
Q.13. বোকারা কী খায়?
ANS: বোকারা কলা খায়।
Q.14. পালোয়ান কতটা ডিগবাজি খায়?
ANS: পালোয়ান কুড়িটা’ ডিগবাজি খায়।
B. শূন্যস্থান
পূর্ণ করো ?
Q.1. সুধ খায় - ঘুষ খায়
- ।
ANS: সুধ খায় মহাজনে ঘুষ খায় দারোগায়।
Q.2. বাবু যান - - ।
ANS: বাবু যান হাওয়া খেতে।
Q.3. এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে
-- ।
ANS: এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে মনটা।
Q.4. কাশীতে প্রসাদ খেয়ে -- হই পাক্কা।'
ANS: কাশীতে প্রসাদ খেয়ে সাধু হই পাক্কা।।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
C. ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও।
‘ক’ অংশ |
‘খ’ অংশ |
১. খোকারা |
ক. ডাল, ভাত খায়। |
২. ঘুড়িটা |
খ. ব্যাং খায় |
৩. বেহালা |
গ. ঘুষ খায়। |
৪. পালোয়ান |
ঘ. দোল খায় |
৫. দারোগা |
ঙ. গোত খায় |
৬. ফরাসিরা |
চ. মোচড় খায় |
৭. বাঙালি |
ছ. আরসোলা খায় |
৮. চীনারা |
জ. ডিগবাজি খায় |
৯. লোকে |
ঝ. কত কী খায় |
ANS:
‘ক’ অংশ |
‘খ’ অংশ |
১. খোকারা |
ঘ. দোল খায় |
২. ঘুড়িটা |
ঙ. গোত খায় |
৩. বেহালা |
চ. মোচড় খায় |
৪. পালোয়ান |
জ. ডিগবাজি খায় |
৫. দারোগা |
গ. ঘুষ খায়। |
৬. ফরাসিরা |
খ. ব্যাং খায় |
৭. বাঙালি |
ক. ডাল, ভাত খায়। |
৮. চীনারা |
ছ. আরসোলা খায় |
৯. লোকে |
ঝ. কত কী খায় |
D. খাই খাই পদ্যটিতে যত খাবারের কথা কবি বলেছে তার তালিকা
ANS: খাই খাই পদ্যটিতে যত
খাবারের কথা কবি বলেছে তার তালিকা –
ডাল, ভাত, তরকারি, ফলমূল, শস্য, আমিষ, নিরামিষ, চর্ব্য, চোষা, রুটি, লুচি, ভাজাভুজি, টক, ঝাল, মিষ্টি, জল, দুধ, সব পানীয়, বিড়ি, ফলাহার, জলযোগ, ব্যাং, ঙাম্পি, ঝাল, ফড়িঙ্গের ঘন্ট, আরশোলা, কলা, সুদ, ঘুষ, হাওয়া, খাপ, মিশ, গুলি, পাক, ভয়, বেত, গালি, থতমত, তাড়া, দিন, হোচট, চুমু, ধমক বকুনি, কিল, চড়, লাথি, ঘুসি, জুতো, গুতো, চাবুক, নুন, বাতাস, আছাড়, মোচড়, কানমলা, টোল, দোল, ঘোল, গোঁত, ডিগবাজি, ঠেলা, ধাক্কা, প্রসাদ, মাখা, বিষম, আদা-নুন, ভ্যাবাচাকা, খড়কে, কচুপোড়া, এবং ঘন্টা।
E. বাক রচনা করো :
মিশ খায়, দিন আনে দিন খায়, নুন খায়, হাওয়া খায়, নুন খাই, বিষম খাওয়া, মাথা খাও।
ANS: মিশ খায় - জলে তেলে মিশ খায়
না।
দিন আনে দিন খায় - গরীব লোকেরা
দিন আনে দিন খায়।
নুন খায় - নুন খাও যার গুণ গাও তার।
হওয়া খায় - বাবুরা জুড়িগাড়িতে চড়ে হাওয়া খেতে
বেরোলেন।
নুন খাই - খাবার পাতে আমরা সাধারণত নুন খাই।
বিষম খাওয়া - তাড়াতাড়ি খেও না, বিষম খাবে।
মাথা খাও - মাথা খাও, এ কথা পাঁচকান-কোরো না।
F. ‘খাই খাই' পদ্য অবলম্বনে খাওয়া ক্রিয়াপদের ব্যবহার দেখাও।
যেমন পাঠশালার ছেলেরা বেত খেয়ে খাবি খায়।
ANS: ‘খাই খাই' পদ্য অবলম্বনে
খাওয়া ক্রিয়াপদের কয়েকটি ব্যবহার:
(ক) সুদ খায় মহাজনে।
(খ) ঘুষ খায় দারোগায়।
(গ) ডাল, ভাত খায় বাঙালি।
(ঘ) আরশোলা খায় চীনারা।
(ঙ) ব্যাং খায় ফরাসিরা।
(চ) ফড়িঙের ঘণ্ট খায় জাপানীরা।
G. ‘খাই খাই’ পদ্যে ব্যবহৃত বিশিষ্টার্থক (বিশিষ্ট অর্থবোধক)
বাক্যাংশগুলি বাছাই করে বাক্য রচনা করো।
যেমন—পাক খাওয়া (দিশেহারা)—পরীক্ষার সময় কী
পড়ব দিশে পাচ্ছি না। শুধু বইখাতার মধ্যে পাক খাচ্ছি।
ANS:
(ক) মিশ খায় : তেলে-জলে মিশ খায় না।
(খ) দিন আনে দিন খায় : গরীব মানুষেরা
দিন আনে দিন খায়।
(গ) আদা নুন খেয়ে : এবার বার্ষিক পরীক্ষার
জন্য আদা নুন খেয়ে লাগো।
(ঘ) হিমসিম খাই : ট্রেনের টিকিট
জোগাড় করতে হিমসিম খেয়ে গেলাম।
(ঙ) ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ো : সে কলকাতার
পূজোর ভীড় দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
(চ) সাধু হওয়া : জটা রাখলেই
সাধু হওয়া যায় না।।
(ছ) ধাক্কা খাওয়া : ভীড় বাসে
অফিসের সময়ে ধাক্কা খেতেই হয়।
(জ) গোত খায় : আকাশেতে কাত হয়ে গোত খায় ঘুড়িটা।
(ঝ) ঘোল খায় : বোকারা পদে পদে ঘোল খায়।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
************
ব্যাকরণ
ধাতু
কোনো ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে অর্থাৎ পদটির
প্রত্যয়-বিভক্তি বিছিন্ন করলে যে মূল কাঠামোটি পাওয়া যায় তাকে বলে ‘ক্রিয়াধাতু বা ধাতুমূল’ (Verb root) বা সংক্ষেপে ধাতু (Root)। তীয় সংস্কৃত ক্রিয়াপদের মূলে রয়েছে কতকগুলি একাক্ষর
ধাতু। পাণিনি হাজার ধাতুর উল্লেখ করেছে। বাংলায় ব্যবহৃত মোট ধাতুর সংখ্যা প্রায়
লেও এদের অনেকগুলিই ব্যবহার হয় না বলে অপ্রচলিত। বাংলা র
কিছু এসেছে সংস্কৃত থেকে, অবশিষ্ট
প্রাকৃত, দেশী শব্দ,
নাম শব্দ অথবা নাক শব্দ থেকে
এসেছে। কিছু এসেছে বিদেশী শব্দ থেকে।
• ধাতুর শ্রেণিবিভাগ •
উৎপত্তি ও প্রকৃতির দিক থেকে বিচার করে ধাতুকে চারটি ভাগে
ভাগ করা যায় যেমন- ১) সিদ্ধ বা
মৌলিক ধাতু; (2) সাধিত
ধাতু; (৩)
সংযোগমূলক ধাতু; (৪)
যৌগিক বা মিশ্র ধাতু।
(১) সিদ্ধ বা মৌলিক ধাতু
যে-সব ধাতু স্বয়ংসিদ্ধ, যাদের আর বিফ দ্য যায় না তাদের সিদ্ধ বা মৌলিক ধাতু বলে।
যেমন—
খা, , যা,
দে,
ব,
গুন,
ধর,
পড়,
হাস্,
কঁা,
সর,
সহ,
দুল,
ম ইত্যাদি।
ধাতুগুলির সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদে পরিণত করলে
(সাধুভাষায়) হয়—
খা (ধা) + ইব (বিভক্তি) = খাইব (ক্রিয়াপদ) জ্ঞ (ধাতু) +
ইলাম (বিভক্তি) = করিলাম (ক্রিয়াপদ) বা (ধাতু) + ইব (বিভক্তি) = যাইব (ক্রিয়াপদ)
সিদ্ধ ধাতুর শ্রেণিবিভাগ : সিদ্ধ বা মৌলিক ধাতুকে উৎসের বিচারে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা
যায়।
যেমন –
ক. সংস্কৃত ধাতু
খ. তদ্ভব ধাতু
গ. অজ্ঞাত মূল খাঁটি বাংলা ধাতু
ঘ. সংস্কৃত
বিশেষ্য বিশেষণ থেকে উৎপন্ন ধাতু
ঙ। কবিতায় ব্যবহৃত ধাতু
চ। ধ্বন্যাত্মক ধাতু ইত্যাদি।
ক. সংস্কৃত ধাতু - চর, চল,
ভজ,
পাল,
জ্বল,
লিখ,
দুহ,
ঘট,
বাধ,
দুল,
উ,
পিস,
জ্বল,
যা,
সাধ ইত্যাদি।
খ। তদ্ভব ধাতু - কৃ >কর,
ধূ >
ধর,
দা >
দি,
মৃ >
মর,
প>
জ্ঞা >
জ্ঞা, পত্ > পড়।।
গ। অজ্ঞাতমূল খাঁটি বাংলা ধাতু - টুট,
জুড়,
ঘির,
ভাস,
ডাক্,
নড়,
হাঁট,
বাঁচ,
খাট,
ফেল,
এড়,
রখ,
ঠেল,
বল,
খুঁজ,
কাঠ ইত্যাদি।
ঘ। সংস্কৃত বিশেষ্য বা বিশেষণ থেকে উৎপন্ন ধাতু - মত্ত > মাতন গর্ত > গাড়, ভ্রষ্ট > ভড়কা, পাক > পা ইত্যাদি।
ঙ। কবিতায় ব্যবহৃত ধাতু - পাস, বধ,
ন,
বন্দু,
হের,
নেহার,
কুহর,
স্মর,
তাজ,
দহ,
প্রা + বিশ >
পশ,
বিরাজ >
বিরাজ ইত্যাদি।
চ। ধ্বন্যাত্মক ধাতু - ধুকন, ফুস, কুঁক,
ঠুক,
হাঁচ্ ইত্যাদি।
(২) সাধিত ধাতু -
যে সব ধাতুকে বিশ্লেষণ করলে মৌলিক ধাতু প্রত্যয়,
বিশেষ্য-বিশেষণ প্রত্যয় এবং
ধ্বনাত্মক শব্দ পাওয়া যায় তাকে সাধিত ধাতু বলে।
যেমন - ক + আ = করা,
হাস + আ = হাসা,
দেখ + আ = দেখা,
শোন্ + আ = শোনা,
কঁদ + আননা = কাঁদানো,
বেড় + আননা = বেড়ানো,
খেল্ + আনো = খেলানো ইত্যাদি।
কর্মবাচ্যের ধাতু : মূল ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়
যুক্ত হলে কর্মবাচ্যের ধাতু গঠিত হয়। যেমন—
দেখ + আ = দেখা, শুন্ + আ = শুনা, ক + আ = করা, বল + আ = বলা,
লেখ + আ = লেখা, হাঁটু + আ = হাঁটা, নাচ্ + আ = নাচা, খেল + আ = খেলা,
চল + আ = চলা, কঁাদ + আ = কাদা, ছোট + আ = ছেটা, মান্ + আ = মানা ইত্যাদি।
(৩) সংযোগমূলক ধাতু -
যেসব ধাতু বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়ে নানা প্রকার
বিভক্তিযোগে ক্রিয়াপদে পরিণত হয় তাকে সংযোগমূলক ধাতু বলে।
যেমন কর, হ, পা,
দে,
বা,
ব্যাস,
মার,
খা ইত্যাদি।
সংযোগমূলক ধাতুর ক্রিয়ারূপ : ডুব দেওয়া, মাথা খাওয়া, দৌড় দেওয়া, ভূতে পাওয়া, লজ্জা পাওয়া, কষ্ট পাওয়া।
(৪) যৌগিক বা মিশ্র ধাতু -
অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে পড়, ফেল, দে,
লাগ,
থাক্,
উঠ,
ইত্যাদি ধাতু যুক্ত হলে তাকে
যৌগিক বা মিশ্র ধাতু বলে।
যেমন - খেয়ে + ফেল
= খেয়ে ফেল, বলে + ফেল্
= বসে + পড় = বলে ফেল, বসে পড়।।
সেবা অসম নবম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : খাই খাই
***************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.