বাক্যের রূপান্তর খন্ড - ১ ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ


ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর
খন্ড - ১




বাক্যের রূপান্তর

বাক্যের অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতিতে পরিবর্তন করাকেই বাক্য রূপান্তর বলা হয়। অর্থাৎ, বাক্য রূপান্তর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, বাক্যের অর্থ যেন পাল্টে না যায়। বাক্যের অর্থ পাল্টে গেলে বাক্যটি অন্য বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাক্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতি তথা রূপ (Form) পরিবর্তন করতে হবে, বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।

বাক্যের শ্রেণিবিভাগ :
বাক্যকে দুটি দিক দিয়ে ভাগ করা হয়।
ক) রূপ বা গঠন অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণিবিভাগ
খ) অর্থগত দিক দিয়ে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ
ক) রূপ বা গঠন অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণিবিভাগ :
গঠনগত দিক দিয়ে বাক্য ৩ প্রকার- সরল বাক্য, যৌগিক বাক্য ও জটিল বাক্য । এছাড়াও আর একটি ভাগ হলো মিশ্র বাক্য।
সরল বাক্য :
যে বাক্যে একটি কর্তা বা উদ্দেশ্য ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
যেমন-
পুকুরে পদ্ম ফোটে। (উদ্দেশ্য- পুকুরে, সমাপিকা ক্রিয়া- ফোটে)
মা শিশুকে ভালোবাসে। (উদ্দেশ্য- মা, সমাপিকা ক্রিয়া- ভালোবাসে)
ছেলেরা মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ করে সবাই মিলে গাইতে শুরু করলে বড়োরা ওদেরকে আচ্ছামত বকে দিল। (উদ্দেশ্য- বড়োরা, সমাপিকা ক্রিয়া- (বকে) দিল) (অন্য ক্রিয়াগুলোর সবগুলোই অসমাপিকা ক্রিয়া। তাই সেগুলো বাক্যের গঠনে কোনো প্রভাব ফেলে না।)
সরল বাক্য চেনার সহজ উপায় হলো, সরল বাক্যে একটিই সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। কারণ, সরল বাক্যের ভেতরে কোন খণ্ডবাক্য বা একাধিক পূর্ণবাক্য থাকে না।
যৌগিক বাক্য : 
একাধিক সরল বাক্য কোন অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যেমন-
তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সরল বাক্য দুটি- তার বয়স হয়েছে, তার বুদ্ধি হয়নি)
সে খুব শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান। (সরল বাক্য দুটি- সে খুব শক্তিশালী, সে খুব বুদ্ধিমান)
একই রকম ভাবে-
লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ।
যৌগিক বাক্যে এবং, , আর, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি - এই অব্যয়গুলো দিয়ে দুটি সরল বাক্য যুক্ত হয়। এগুলো দেখে সহজেই যৌগিক বাক্যকে চেনা যেতে পারে। তবে কোন অব্যয় ছাড়াও দুটি সরল বাক্য একসঙ্গে হয়ে যৌগিক বাক্য গঠন করতে পারে।
জটিল বাক্য : 
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে।
জটিল বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে। এদের মধ্যে একটি প্রধান থাকে, এবং অন্যগুলো সেই বাক্যের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি খণ্ডবাক্যের পরে কমা (,) বসে। যেমন-
যে পরিশ্রম করে,/ সে-ই সুখ লাভ করে। (প্রথম অংশটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য, দ্বিতীয়টি প্রধান খণ্ডবাক্য)
যত পড়বে,/ তত শিখবে,/ তত ভুলবে। (প্রথম দুটি অংশ আশ্রিত খণ্ডবাক্য, শেষ অংশটি প্রধান খণ্ডবাক্য)
জটিল  বাক্য চেনার সহজ উপায় হল, এ ধরনের বাক্যে সাধারণত যে- সে,যদি-তবে, যত- তত, যারা- তারা, যাদের- তাদের, যখন- তখন, যেখানে-সেখানে, যেমন-তেমন ,যেহেতু-সেহেতু - এ ধরনের সাপেক্ষ সর্বনাম /অব্যয় পদ থাকে।
[একাধিক বাক্য বা খণ্ড বাক্য নিয়ে কোনো বাক্য তৈরি হলে এবং খণ্ড বাক্যগুলোর মধ্যে পরস্পর নির্ভরতা থাকলে ঐ ধরনের বাক্যকে জটিল বাক্য বলে।]
মিশ্র বাক্য :
যে বাক্য সরল, জটিল বা যৌগিক এই তিন প্রকার বাক্য কিংবা উক্ত বাক্যের প্রকারগুলির মধ্যে যে-কোনো দুটি যুক্ত হয়ে গঠিত হয় তাকে মিশ্র বাক্য বলে।
যেমনঃ
সরল+জটিল : তুমি পড়ো বলে পাঠক, যিনি লেখেন তিনি লেখক।
জটিল+সরল : যদি বৃষ্টি হয় তবে অনেকেই আসবে না কিন্তু আমি যাবই।
যৌগিক+যৌগিক : বর্ষা বলে যাই এবং শরৎ বলছে আসি--নিয়ম তাদের আনায় আর কাশের বনে ছড়ায় শুভ্র হাসি।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

সরল-জটিল-যৌগিক বাক্যের রূপান্তর
বাক্য রূপান্তর : বাক্যের অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতিতে পরিবর্তন করাকেই বাক্য রূপান্তর বলা হয়।
বাক্য রূপান্তর করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, বাক্যের অর্থ যেন পাল্টে না যায়। বাক্যের অর্থ পাল্টে গেলে বাক্যটি অন্য বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু বাক্য রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি বা গঠনরীতি তথা রূপ (Form) পরিবর্তন করতে হবে, বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।
সরল থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর :
সরল বাক্যের কোন একটি অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি খন্ডবাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং তার খণ্ডবাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত সাপেক্ষ সর্বনাম বা সাপেক্ষ অব্যয়গুলোর কোনটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
সরল বাক্য : ভাল ছেলেরা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে।
জটিল বাক্য : যারা ভাল ছেলে, তারা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে।
সরল বাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।
জটিল বাক্য : যে ভিক্ষা চায়, তাকে ভিক্ষা দাও।
সরল : ফরিয়াদী প্রসন্ন গোয়ালিনী।
জটিল : যে ফরিয়াদী, সে প্রসন্ন গোয়ালিনী।
সরল : সাক্ষীটা কী একটা গণ্ডগোল বাধাইতেছে।
জটিল : যে সাক্ষী, সে একটা গণ্ডগোল বাধাইতেছে।
সরল : আমার নিবাস নাই।
জটিল : যা নিবাস, তা আমার নাই।
সরল : তোমার বাপের নাম কী?
জটিল : তোমার যিনি বাপ, তার নাম কী?
সরল : আমি এ সাক্ষী চাই না।
জটিল : যে সাক্ষী এ রকম, তাকে আমি চাই না।
সরল : কমলাকান্ত পিতার নাম বলল।
জটিল : যিনি কমলাকান্তের পিতা, সে তাঁর নাম বলল।
সরল : কোনো কথা গোপন করিব না।
জটিল : যাহা বলিব, তাহার মধ্যে কোনো কথা গোপন করিব না।
সরল : উকিলবাবু চুপ করিয়া বসিয়া পড়িলেন।
জটিল : যিনি উকিলবাবু, তিনি চুপ করিয়া বসিয়া পড়িলেন।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

জটিল থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর :
জটিল বাক্যটির অপ্রধান/ আশ্রিত খণ্ডবাক্যটিকে একটি শব্দ বা শব্দাংশে পরিণত করে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন-
জটিল বাক্য : যত দিন বেঁচে থাকব, এ কথা মনে রাখব।
সরল বাক্য : আজীবন এ কথা মনে রাখব।
জটিল বাক্য : যদি দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
জটিল : কেহ কহিয়া দিতেছে না, তথাপি তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে।
সরল : কেহ কহিয়া না দিলেও তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে।
জটিল : শরাসনে যে শর সংহিত করিয়াছেন, আশু তাহার প্রতিসংহার করুন।
সরল : শরাসনে সংহিত শর আশু প্রতিসংহার করুন।
জটিল : যদি কার্যক্ষতি না হয়, তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন।
সরল : কার্যক্ষতি না হইলে তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন।
জটিল : ইহারা যেরূপ, এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
সরল : ইহাদের মতো রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
জটিল : তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা, তথাপি তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন।
সরল : তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা হওয়া সত্ত্বেও তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন।
সরল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর :
সরল বাক্যের কোন অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি পূর্ণ বাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং পূর্ণ বাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত অব্যয়গুলো ব্যবহার করতে হবে। যেমন-
সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
যৌগিক বাক্য : দোষ স্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। (এক্ষেত্রে তাহলেঅব্যয়টি ব্যবহার না করলেও চলতো)
সরল বাক্য : আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি।
যৌগিক বাক্য : আমি বহু কষ্ট করেছি এবং/ ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।
যৌগক থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর :
যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। অন্যদিকে সরল বাক্যে একটিই সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। তাই যৌগিক বাক্যের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রেখে বাকিগুলোকে সমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হবে। যৌগিক বাক্যে একাধিক পূর্ণ বাক্য থাকে এবং তাদের সংযোগ করার জন্য একটি অব্যয় পদ থাকে। সেই অব্যয়টি বাদ দিতে হবে। যেমন-
যৌগিক বাক্য : তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সমাপিকা ক্রিয়া- হয়েছে, হয়নি)
সরল বাক্য : তার বয়স হলেও বুদ্ধি হয়নি। (হয়েছেসমাপিকা ক্রিয়াকে হলেওঅসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে)
যৌগিক বাক্য : মেঘ গর্জন করে, তবে ময়ূর নৃত্য করে। (সমাপিকা ক্রিয়া- করে ও করে)
সরল বাক্য : মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে। (করেসমাপিকা ক্রিয়াকে করলেঅসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে)
যৌগিক : কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।
সরল : কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিলেও বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।
যৌগিক : আমি ছিলাম বর, সুতরাং বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।
সরল : আমি বর ছিলাম বলে বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।
যৌগিক : শিশিরের বয়স যথাসময়ে ষোলো হইল; কিন্তু সেটা স্বভাবের ষোলো।
সরল : শিশিরের বয়স যথাসময়ে ষোলো হইলেও সেটা ছিল স্বভাবের ষোলো।
যৌগিক : তোমাকে এই কটি দিন মাত্র জানিলাম, তবু তোমার হাতেই ও রহিল।
সরল : তোমাকে এই কটি দিন মাত্র জানিলেও তোমার হাতেই ও রহিল।
জটিল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর :
জটিল বাক্যে কয়েকটি খণ্ডবাক্য থাকে, এবং সেগুলো পরস্পর নির্ভরশীল থাকে। জটিল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে এই খণ্ডবাক্যগুলোর পরস্পর নির্ভরতা মুছে দিয়ে স্বাধীন করে দিতে হবে। এজন্য সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলো তুলে দিয়ে যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত অব্যয়গুলোর মধ্যে উপযুক্ত অব্যয়টি বসাতে হবে। পাশাপাশি ক্রিয়াপদের গঠনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
জটিল বাক্য : যদি সে কাল আসে, তাহলে আমি যাব।
যৌগিক বাক্য : সে কাল আসবে এবং আমি যাব।
জটিল বাক্য : যদিও তাঁর টাকা আছে, তবুও তিনি দান করেন না।
যৌগিক বাক্য : তাঁর টাকা আছে, কিন্তু তিনি দান করেন না।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

যৌগিক থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর :
যৌগিক বাক্যে দুইটি পূর্ণ বাক্য কোন অব্যয়ের দ্বারা যুক্ত থাকে। এই অব্যয়টি তুলে দিয়ে সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়ের প্রথমটি প্রথম বাক্যের পূর্বে ও দ্বিতীয়টি দ্বিতীয় বাক্যের পূর্বে বসালেই জটিল বাক্যে রূপান্তরিত হবে।
তবে, সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলোর পূর্ণ বাক্য দুটির প্রথমেই বসাতে হবে, এমন কথা নেই; উপযুক্ত যে কোন জায়গাতেই বসানো যেতে পারে। যেমন-
যৌগিক বাক্য : দোষ স্বীকার কর, তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
জটিল বাক্য : যদি দোষ স্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
যৌগিক বাক্য : তিনি অত্যন্ত দরিদ্র, কিন্তু তার হৃদয় অত্যন্ত মহৎ।
জটিল বাক্য : যদিও তিনি অত্যন্ত দরিদ্র, তবুও তার হৃদয় অত্যন্ত মহৎ।
যৌগিক বাক্য : এ গ্রামে একটি দরগাহ আছে, সেটি পাঠানযুগে নির্মিত।
জটিল বাক্য : এ গ্রামে যে দরগাহটি আছে, সেটি পাঠানযুগে নির্মিত।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

অর্থের দিক দিয়ে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ :
অর্থের দিক দিয়ে বাক্যে সাত প্রকার। যথা-
1)
বিবৃতিসূচক বা নির্দেশাত্মক বাক্য
2)
প্রশ্নসূচক বাক্য
3)
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
4)
বিস্ময়সূচক বাক্য
5)
প্রার্থনাসূচক বা ইচ্ছাবাচক বাক্য
6)
সন্দেহবাচক বাক্য
7)
শর্তসাপেক্ষ বা কার্যকারণাত্মক বাক্য
বিবৃতিমূলক বাক্য :
কোন কিছু সাধারণভাবে বর্ণনা করা হয় যে বাক্যে, তাকে বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। বিবৃতিমূলক বাক্য ২ প্রকার।
ক) ইতিবাচক বাক্য / হাঁ বাচক বাক্য / অস্ত্যর্থক বাক্য:
যে বাক্যে সমর্থনের মাধ্যমে কোন কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে ইতিবাচক বাক্য বা হাঁ বাচক বলে।
যে বাক্যে হাঁ বাচক শব্দ থাকে, তাকে হাঁ বাচক বা ইতিবাচক বাক্য বলে।
যেমন- তুমি কালকে আসবে।
আমি কলকাতা যাব।
[সদর্থক বা ইতিবাচক বাক্য : এতে কোনো নির্দেশ, ঘটনার সংঘটন বা হওয়ার সংবাদ থাকে। যেমন :
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত জিতেছে।
আজ দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
খ) নেতিবাচক বাক্য /নঞর্থক বাক্য/ না বাচক বাক্য :
যে বাক্যে অসমর্থনের মাধ্যমে কোন কিছু বর্ণনা করা হয়, তাকে নেতিবাচক বাক্য বা না বাচক বলে।
যে বাক্যে না বাচক শব্দ থাকে, তাকে নেতিবাচক বাক্য বা না বাচক বাক্য বলে।
যেমন- তুমি কালকে আসবে না।
আমি কলকাতা যাব না।
[নেতিবাচক বা নঞর্থক বাক্য : এ ধরনের বাক্যে কোন কিছু হয় না বা ঘটছে না- নিষেধ, আকাঙ্ক্ষা, অস্বীকৃতি ইত্যাদি সংবাদ কিংবা ভাব প্রকাশ করা যায়। যেমন :
আজ ট্রেন চলবে না।
আপনি আমার সঙ্গে কথা বলবেন না।
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য :
যে বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ ইত্যাদি অর্থ প্রতীয়মান হয় তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলে ।
যেমন :
ওঠো, জাগো, সাহস অবলম্বন করো।(আদেশ)
আমাকে এক গ্লাস জল দাও।(অনুরোধ)
একদম রোদে- রোদে ঘুরবি না।(নিষেধ)
অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের রূপ দুপ্রকার।যথা-
ক) বর্তমান অনুজ্ঞা , খ) ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা
ক) বর্তমান অনুজ্ঞা :
যে বাক্যে অনুজ্ঞার অর্থ বর্তমান কালকে বোঝায় তাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলে।
যেমনঃ
এসো মন দিয়ে পড়ো।
বইপত্র নাও।
দুঃখ ভুলে যাও।
খ) ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা :
যে বাক্যে অনুজ্ঞার অর্থ ভবিষ্যৎ কালকে বোঝায় তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা বলে । যেমনঃ সদা সত্য কথা বলবে।
বিস্ময়সূচক বাক্য :
যে বাক্যে আশ্চর্য হওয়ার অনুভূতি বা আবেগ, উচ্ছ্বাস, শোক, বিস্ময় প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে।
যেমন-
সে কী ভীষণ ব্যাপার!
আহা ! কী অপরূপ দৃশ্য !
আহা! কী দদেখিলাম জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না!
সত্য সেলুকাস ! কী বিচিত্র এই দেশ !
ইচ্ছাসূচক বা প্রার্থনাসূচক বাক্য :
যে বাক্যে শুভেচ্ছা, প্রার্থনা, আশীর্বাদ, আকাঙক্ষা প্রকাশ করা হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে।
যেমন-
তোমার মঙ্গল হোক।
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করেন।
ভালো থেকো।
ঈশ্বর তোমার বাসনা যেন অপূর্ণ না রাখেন।
সন্দেহবাচক বাক্য :
যে ধরণের বাক্যের মাধ্যমে সন্দেহ , দ্বিধা, সংশয় ইত্যাদি প্রকাশিত হয় তাকে সন্দেহবাচক  বাক্য বলে।
যেমন :
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে।
মনে করি আমর তুমি, বুঝি নও আমার।
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
শর্তসাপেক্ষ  বা কার্যকারণাত্মক বাক্য :
যে বাক্যের একটি অংশে কারণ এবং অন্য অংশে কার্য , ফল বা পরিণাম থাকে তাকে কার্যকারণাত্মক  বা শর্তসাপেক্ষ বাক্য বলে।
যেমন :
ভালোভাবে লেখাপড়া করলে ভালো রেজাল্ট করবে।
যদি বৃষ্টি হয় তবে মাটি ভেজে।
যদি তুমি আসো তবে আমি যাব।
শর্তসাপেক্ষ বাক্য মাত্রেই জটিল বাক্য।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

বাক্যের রূপান্তর :
ইতিবাচক- নেতিবাচক বাক্যের রূপান্তর :
ইতিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল :
ক) বিশেষণ পদের বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে অনেক অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন-
ইতিবাচক বাক্য : তুমি খুব ভাল।
নেতিবাচক বাক্য : তুমি মোটেও খারাপ নও। (ভাল- খারাপ)
খ) না করলেই নয়’, ‘না করে পারবো নাইত্যাদি বাক্যাংশ যোগ করে অনেক ইতিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন-
ইতিবাচক বাক্য : তুমি কালকে আসবে।
নেতিবাচক বাক্য : তুমি কালকে না আসলেই নয়।
ইতিবাচক বাক্য : টার্গেট  বাংলা ওয়েবসাইটটি এতো ভাল, তুমি আবার ঢুকবেই।
নেতিবাচক বাক্য : টার্গেট বাংলা ওয়েবসাইটটি এতো ভাল, তুমি আবার না ঢুকে পারবেই না।
গ) নতুন কোন বিপরীতার্থক বা নঞর্থক (না বোধক) শব্দ যোগ করে। যেমন-
ইতিবাচক বাক্য : সে বইয়ের পাতা উল্টাতে থাকল।
নেতিবাচক বাক্য : সে বইয়ের পাতা উল্টানো বন্ধ রাখলো না।
নেতিবাচক বাক্যকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল
ক) বিশেষণ পদের বিপরীত শব্দ ব্যবহার করে অনেক নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন-
নেতিবাচক বাক্য : সে ক্লাশে উপস্থিত ছিল না।
ইতিবাচক বাক্য : সে ক্লাশে অনুপস্থিত ছিল।
খ) নেতিবাচক বাক্যের না বোধক বাক্যাংশকে কোন বিপরীতার্থক বিশেষণে রূপান্তর করেও অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়। যেমন-
নেতিবাচক বাক্য : দেবার্চনার কথা তিনি কোনদিন চিন্তাও করেন নি।
ইতিবাচক বাক্য : দেবার্চনার কথা তার কাছে অচিন্ত্যনীয় ছিল।
নেতিবাচক বাক্য : এসব কথা সে মুখেও আনতে পারত না।
ইতিবাচক বাক্য : এসব কথা তার কাছে অকথ্য ছিল
গ) নতুন কোন ইতিবাচক বিপরীতার্থক শব্দ যোগ করে। যেমন-
নেতিবাচক বাক্য : মা জেগে দেখে খোকা তার পাশে নেই।
ইতিবাচক বাক্য : মা জেগে দেখে খোকা তার পাশে অনুপস্থিত।
প্রশ্নসূচক বাক্য :
যে বাক্যে কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা প্রকাশিত হয়, তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে।
যেমন-
তুমি কেমন আছ?
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুতুমি কি বেসেছ ভালো ?
মৃত্যুতেই কি জীবনের পরিসমাপ্তি ?
প্রশ্নবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের কৌশল :
মূলত প্রশ্নবাচক বাক্যকে ইতিবাচক থেকে সরাসরি নেতিবাচক বাক্যে পরিণত করলেই নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরিত হয়ে যায়। কেবল প্রশ্নবাচক বাক্যকে ইতিবাচক হিসেবে কল্পনা করতে হয়। আর যেগুলো সরাসরি অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরিত হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে ইতি-নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের নিয়মে নেতিবাচক করতে হয়। যেমন-
প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে?
নেতি : তুমি কালকে স্কুলে আসোনি।
প্রশ্ন : বাংলা শিক্ষার সোপান ওয়েবসাইটটি কি পড়াশোনা করার জন্য খারাপ?
নেতি : বাংলা শিক্ষার সোপান ওয়েবসাইটটি পড়াশোনা করার জন্য খারাপ না।
প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখোনি?
নেতি : তুমি ছবিটা না দেখে পারোনি।
প্রশ্নবাচক বাক্যকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর :
কিছু প্রশ্নবাচক বাক্যকে স্বাভাবিকভাবে সরাসরি অস্তিবাচক থেকে প্রশ্নবাচকে রূপান্তরিত করা যায়। আর যেগুলো সরাসরি রূপান্তর করলে নেতিবাচক হয়, সেগুলোকে নেতি থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরের নিয়মে অস্তিবাচক করতে হয়। যেমন-
প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখোনি?
ইতি : তুমি ছবিটা দেখেছো।
প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে?
ইতি : তুমি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে।
ইতি-নেতিবাচক (বিবৃতিমূলক) বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তর
বিবৃতিমূলক বাক্যে প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে সেগুলোকে বিপরীত বাক্যে (অস্তি হলে নেতি এবং নেতি হলে ইতিবাচকে) সরাসরি রূপান্তর করলেই বাক্য রূপান্তর সম্পন্ন হয়। যেমন-
বিবৃতি : তুমি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে।
প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে?
প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে উপস্থিত ছিলে?/ তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে?
বিবৃতি : তুমি ছবিটা দেখোনি।
প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি ছবিটা দেখোনি?
প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখেছো ?

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

বাক্য রূপান্তরের কতিপয় উদাহরণ
'
অস্তিবাচক' বাক্য থেকে 'নেতিবাচক'বাক্যে পরিবর্তন 

অস্তিবাচক: মিথ্যাবাদীকে সবাই ঘৃণা করে ।
     
নেতিবাচক: মিথ্যাবাদীকে কেউ ভালোবাসে না ।
অস্তিবাচক:কাপুরুষেরা মৃত্যুকে ভয় করে ।
     
নেতিবাচক: কাপুরুষ ছাড়া অন্য কেউ মৃত্যুকে ভয় করে না ।
অস্তিবাচক: জন্মভূমিকে সবাই ভালোবাসে ।
     
নেতিবাচক: এমন কেউ নেই যে জন্মভূমিকে ভালোবাসে না ।
অস্তিবাচক: শিশুরা দূষণমুক্ত পরিবেশ চায় ।
     
নেতিবাচক: শিশুরা দূষিত পরিবেশ চায় না ।
অস্তিবাচক: পরোপকারেই পূণ্য লাভ হয় ।
     
নেতিবাচক: পরোপকার ব্যতীত পুণ্য লাভ হয় না ।
অস্তিবাচক: উদ্যানলতা,সৌন্দর্য গুণে ,বনলতার নিকট পরাজিত হল।
     
নেতিবাচক: উদ্যানলতা সৌন্দর্য গুণে  বনলতার নিকট পরাজিত না হয়ে পারল না।
অস্তিবাচক: আমারও এদের উপর সহোদর স্নেহ আছে।
     
নেতিবাচক: আমারও  যে এদের উপর সহোদর স্নেহ নেই ,তা নয়।
অস্তিবাচক: এ জন্যেই তোমাকে সকলে প্রিয়ংবদা বলে ।
     
নেতিবাচক: এ জন্যেই তোমাকে সকলে প্রিয়ংবদা না বলে পারে না।
অস্তিবাচক: প্রিয়ংবদা যথার্থ বলেছে।
     
নেতিবাচক: প্রিয়ংবদা অযথার্থ বলেনি।
অস্তিবাচক: বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল।
     
নেতিবাচক: বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা আবশ্যক ছিল না।
অস্তিবাচক: হৈমন্তি চুপ করে রইলো ।
       
নেতিবাচক: হৈমন্তি কিছু বলল না ।
১২।অস্তিবাচক: তার মন একেবারে কাঠ হয়ে গেল।
     
নেতিবাচক: তার মন একেবারে কাঠ না হয়ে পারল না

 'নেতিবাচক' বাক্য থেকে 'অস্তিবাচক' বাক্যে পরিবর্তন

নেতিবাচক: মাছ পাওয়া যায় তো তেল পাওয়া যায় না
   
অস্তিবাচক: মাছ পাওয়া যায় তো তেল দুর্লভ।
নেতিবাচক: তুমি ন্যায় কাজ কর নি ।
   
অস্তিবাচক: তুমি অন্যায় কাজ করেছো।
নেতিবাচক: ওকে চেনাই যায় না ।
     
অস্তিবাচক: ওকে চেনাই কঠিন।
নেতিবাচক: অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা যায় না ।
     
অস্তিবাচক: অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা  বড় কঠিন ।
নেতিবাচক: আমরা যুদ্ধে জিততে পারলাম না ।
   
অস্তিবাচক: আমরা যুদ্ধে হেরে গেলাম ।
নেতিবাচক: তোমার চেয়ে সে বেশি চতুর নয় ।
     
অস্তিবাচক: তোমার চেয়ে সে কম চতুর ।
নেতিবাচক: এখন খাঁটি জিনিস সহজে পাওয়া যায় না ।
     
অস্তিবাচক: এখন খাঁটি জিনিস দুর্লভ।
নেতিবাচক: তার আদর্শ বিস্মরণযোগ্য নয় ।
     
অস্তিবাচক: তার আদর্শ অবিস্মরণীয় ।
নেতিবাচক: সে কেবল কাঁদল না ।
     
অস্তিবাচক: সে ছাড়া অন্য সবাই কাঁদল।
নেতিবাচক: পঞ্জিকার পাতা উল্টানো বন্ধ রহিল না ।
       
অস্তিবাচক: পঞ্জিকার পাতা উল্টাইতে থাকিল।
নেতিবাচক: তাহারা নির্দয় নহে।
       
অস্তিবাচক: তাহারা দয়ালু।
নেতিবাচক: পাজী লোক ছাড়া কেউ এ কাজ করতে পারে না ।
       
অস্তিবাচক: কেবল পাজী লোকই এ কাজ করতে পারে ।
নেতিবাচক: এ পদের জন্য তিনি অযোগ্য নন।
       
অস্তিবাচক: এ পদের জন্য তিনি যোগ্য।
নেতিবাচক: আমি এখানে আর কখনো আসব না ।
       
অস্তিবাচক: আমি এখানে শেষ বারের মত এসেছি।
নেতিবাচক: এমন কেউ নেই যে সুখী হতে চায় না ।
       
অস্তিবাচক: সবাই সুখী হতে চায় ।
নেতিবাচক: এ আশ্রমমৃগ ,বধ করবেন না।
       
অস্তিবাচক: এ আশ্রমমৃগ,বধ করা থেকে বিরত হোন।
নেতিবাচক: না মহারাজ,তিনি আশ্রমে নেই।
       
অস্তিবাচক: মহারাজ,তিনি আশ্রমের বাইরে আছেন।
নেতিবাচক: এরূপ রূপবতী-রমণী আমার অন্তপুরে নেই।
       
অস্তিবাচক: আমার অন্তপুরে এরূপ রূপবতী-রমণী -বিবর্জিত।
নেতিবাচক: দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তার আস্থা ছিল না ।
       
অস্তিবাচক: দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তার অনাস্থা ছিল ।
নেতিবাচক: হৈম তার অর্থ বুঝল না ।
       
অস্তিবাচক: হৈম তার অর্থ বুঝতে ব্যার্থ হলো ।
নেতিবাচক: এসব কথা সে মুখে আনতে পারত না ।
       
অস্তিবাচক: এসব কথা তার মুখে আনা অসম্ভব ছিল ।
নেতিবাচক: দেখি,সে বিছানায় নাই।
       
অস্তিবাচক: দেখি, সে বিছানার বাইরে ।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

সরল থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর :
সরল বাক্যের কোন একটি অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি খন্ডবাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং তার খণ্ডবাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত সাপেক্ষ সর্বনাম বা সাপেক্ষ অব্যয়গুলোর কোনটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
সরল বাক্য : ভাল ছেলেরা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে।
জটিল বাক্য : যারা ভাল ছেলে, তারা কম্পিউটারে বসেও ইন্টারনেটে পড়াশুনা করে।
সরল বাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।
জটিল বাক্য : যে ভিক্ষা চায়, তাকে ভিক্ষা দাও।
সরল বাক্য :চুল পাকলেও তার বুদ্ধি পাকে নি ।
জটিল বাক্য: যদিও তার চুল পেকেছে ,তথাপি তার বুদ্ধি পাকে নি।
সরল বাক্য : মিথ্যা বলার জন্য তার পাপ হবে ।
জটিল বাক্য: যেহেতু তুমি মিথ্যা বলেছ,তাই তোমার পাপ হবে ।
সরল বাক্য : আপনি গেলে আর ভাবনা কি।
জটিল বাক্য: যদি আপনি যান,তাহলে আর ভাবনা কি?
সরল বাক্য : ভিক্ষুককে দান কর ।
জটিল বাক্য: যে ভিক্ষা করতে আসে ,তাকে দান কর ।
সরল বাক্য : কেহ কহিয়া না দিলেও তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে ।
জটিল বাক্য: যদিও কেহ কহিয়া দেয় নাই,তথাপি তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে ।
সরল বাক্য : ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয় ।
জটিল বাক্য: যারা ধনী,তারা প্রায়ই কৃপণ হয় ।
সরল বাক্য : পরোপকারীকে সবাই শ্রদ্ধা করে ।
জটিল বাক্য: যিনি পরোপকারী তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে ।
সরল বাক্য : বিদ্বান হলেও তার অহঙ্কার নেই ।
জটিল বাক্য: যদিও তিনি বিদ্বান ,তথাপি তাঁর অহঙ্কার নেই।
সরল বাক্য :  সুখবরটা পেয়ে সে আনন্দ পেয়েছে ।
জটিল বাক্য: যখন সে সুখবরটা পেয়েছে,তখন সে আনন্দ পেয়েছে।
সরল বাক্য : রাত্রি প্রভাত হলে পাখিরা গান গেয়ে ওঠে।
 
জটিল বাক্য: রাত্রি যখন প্রভাত হয়,পাখিরা তখন গান গেয়ে ওঠে।
সরল বাক্য : যত্ম না করিলে রত্ম পাইবে না ।
জটিল বাক্য: যদি যত্ম না কর,তবে রত্ম পাইবে না ।
সরল বাক্য : এত সাধ্য সাধনা
সরল : সত্যবাদীকে সকলে ভালবাসে।
জটিল : যে সত্য কথা বলে তাকে সকলে ভালবাসে।
সরল : অসহ্য গরম।
জটিল : এমন গরম যে সহ্য করা যায় না।
সরল : আমি তার জন্ম তারিখ জানি।
জটিল : আমি জানি যে কবে সে জন্মেছে।
সরল : উদ্যোগী পুরুষেরাই লক্ষ্মীলাভ করে।
জটিল : যে সকল পুরুষ উদ্যোগী কেবল তারাই লাভ করে।
সরল : মিথ্যাবাদীকে সকলে ঘৃণা করে।
জটিল : যে মিথ্যা কথা বলে তাকে সকলে ঘৃণা করে।
সরল : তুমি না এলে আমি যাব।
জটিল : তুমি যদি না আস তবে আমি যাব।
সরল : ধর্মহীন মিত্রতা অস্থায়ী।
জটিল : যে মিত্রতায় ধর্ম নেই তা অস্থায়ী।
সরল : বিবেচক ব্যক্তি এরূপ কথা বলতে পারেন না।
জটিল : যার বিবেচনা আছে তিনি কখনো এরূপ কথা বলতে পারেন না। সরল : রমেন এই কাজটি করেছে।
জটিল : যে এই কাজটি করেছে তার নাম রমেন।
সরল : সে না এলে আমি যাব।
জটিল : যদি সে না আসে তবে আমি যাব।
সরল : পূর্বের ঘটনা তার মনে নেই।
জটিল : পূর্বে যে ঘটনা ঘটেছে তা তার মনে নেই।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

জটিল থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর :
জটিল বাক্যটির অপ্রধান/ আশ্রিত খণ্ডবাক্যটিকে একটি শব্দ বা শব্দাংশে পরিণত করে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হয়। যেমন-
জটিল বাক্য : যত দিন বেঁচে থাকব, এ কথা মনে রাখব।
সরল বাক্য : আজীবন এ কথা মনে রাখব।
জটিল বাক্য : যদি দোষ স্বীকার কর তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
জটিল বাক্য: যারা নির্বোধ ,তারা এই কথা বিশ্বাস করে ।
সরল বাক্য : নির্বোধেরাই এই কথা বিশ্বাস করে ।
জটিল বাক্য: যারা ধার্মিক ,তারা সুখী।
সরল বাক্য : ধার্মিক ব্যক্তিরা সুখী।
জটিল বাক্য: যার গুন আছে ,সে বিনয়ী হয়।
সরল বাক্য : গুণী লোক বিনয়ী হয়।.
জটিল বাক্য: যদি দোষ স্বীকার কর ,তোমার কোন শাস্তি হবে না ।
সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমার কোন শাস্তি হবে না ।
জটিল বাক্য: যেখানে হেতু এসে মুরুব্বি হয়ে বসে,সেখানেই সৃষ্টি মাটি হয়।
সরল বাক্য : হেতু এসে মুরুব্বি হয়ে বসলেই সৃষ্টি মাটি হয়।.
জটিল বাক্য: যদি তুমি না খাও,তবে আমিও খাব না।
সরল বাক্য : তুমি না খেলে আমিও খাব না ।
জটিল বাক্য: আমরা আনন্দিত হয়েছি যে,তিনি পি-এইচ.ডি.ডিগ্রি লাভ করেছেন।
সরল বাক্য : তার পি-এইচ.ডি.ডিগ্রি লাভে আমরা আনন্দিত হয়েছি ।
জটিল বাক্য: যার বুদ্ধি আছে ,সে কখনো এ কাজ করবে না।
সরল বাক্য : বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনো এ কাজ করবে না।
জটিল বাক্য: যে মিথ্যা কথা বলে ,তাকে কেউ পছন্দ করে না।
সরল বাক্য : মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না।
জটিল বাক্য: যে ব্যক্তি আশ্রয় গ্রহণ করেছে ,তাকে রক্ষা করা উচিত।
সরল বাক্য : আশ্রিত ব্যক্তিকে রক্ষা করা উচিত।
জটিল বাক্য: সে যা বলল,তার এক বর্ণও সত্য নয়।
সরল বাক্য : তার কথার এক বর্ণও সত্য নয়।
জটিল বাক্য: যে সকল জন্তু বনে থাকে ,তাদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড়।
সরল বাক্য : বনের জন্তুদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড়।
জটিল বাক্য: যখন তার বয়স চব্বিশ বছর ,তখন তিনি বিলাত যান।
সরল বাক্য : চব্বিশ বছর বয়সে তিনি বিলাত যান।
জটিল বাক্য: যে সত্য কথা বলে ,সবাই তাকে ভালোবাসে।
সরল বাক্য : সত্যবাদীকে সবাই ভালোবাসে।
জটিল বাক্য: যতদিন বেঁচে থাকব,ততদিন তোমার উপকারের কথা মনে রাখব
সরল বাক্য : তোমার উপকারের কথা আজীবন মনে রাখব।
জটিল বাক্য: যে সব পশু মাংস খায়,তারা অত্যন্ত বলবান।
সরল বাক্য : মাংসাশী পশু অত্যন্ত বলবান।
জটিল : যারা পরিশ্রম করেন তারাই জীবনে সাফল্য লাভ করেন।
সরল : পরিশ্রমীরাই জীবনে সাফল্য লাভ করেন।
জটিল : যতদিন জীবন থাকিবে ততদিন তোমার উপকারের কথা মনে রাখবো
সরল : বিজ্ঞান তোমার উপকারের কথা মনে রাখব।
জটিল : যার বৃদ্ধি আছে সে কখনো এ কাজ করবে না।
সরল : বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনো এ কাজ করবে না।
জটিল : আমি যতদিন বাচব ততদিন তার মুখ দর্শন করবো না।
সরল : আমি এ জীবনে তার মুখ দর্শন করবো না।
জটিল : যদি জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে চাও, তবে কঠোর পরিশ্রম করো
সরল : কঠোর পরিশ্রম করলে জীবনযুদ্ধে জয়ী হবে
জটিল : যার বিদ্যা আছে, তাকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
সরল : বিদ্বানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
জটিল : যদি মাঘের শেষে বৃষ্টি হয় তবে ফসল ভালো হয়।
সরল : মাঘের শেষে বৃষ্টি হলে ফসল ভালো হয়।
জটিল : তোমার যা কিছু বলার আছে তা পরিষ্কার করে বলো।
সরল : তোমার বক্তব্য স্পষ্ট করে বলো
জটিল : যখন সূর্য উঠবে তখন অন্ধকার দূর হবে।
সরল : সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হবে।
জটিল : যদি গাছ-গাছালি থাকে তবেই মানুষের সভ্যতা থাকিবে।
সরল : গাছ-গাছালি থাকিলে মানুষের সভ্যতা থাকিবে।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

সরল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর :
সরল বাক্যের কোন অংশকে সম্প্রসারিত করে একটি পূর্ণ বাক্যে রূপান্তরিত করতে হয় এবং পূর্ণ বাক্যটির সঙ্গে মূল বাক্যের সংযোগ করতে উপরোক্ত অব্যয়গুলো ব্যবহার করতে হবে। যেমন-
সরল বাক্য : দোষ স্বীকার করলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
যৌগিক বাক্য : দোষ স্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না। (এক্ষেত্রে তাহলেঅব্যয়টি ব্যবহার না করলেও চলতো)
সরল বাক্য : আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি।
যৌগিক বাক্য : আমি বহু কষ্ট করেছি এবং/ ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।
সরল : সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তার ঘুম ভাঙে।
যৌগিক : সূর্য ওঠে এবং তার ঘুম ভাঙে।
সরল : সে বাড়িতে এসে পড়তে বসল।
যৌগিক : সে বাড়ি এল এবং পড়তে বসল।
সরল : রমেন দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে পড়ল।
যৌগিক : রমেন দীর্ঘশ্বাস ফেলল এবং উঠে পড়ল।
সরল : মিথ্যাবাদী রমেনকে কেউ বিশ্বাস করে না।
যৌগিক : রমেন মিথ্যাবাদী, তাই কেই তাকে বিশ্বাস করে না।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

যৌগক থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর :
যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। অন্যদিকে সরল বাক্যে একটিই সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। তাই যৌগিক বাক্যের একটি সমাপিকা ক্রিয়াকে অপরিবর্তিত রেখে বাকিগুলোকে সমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হবে। যৌগিক বাক্যে একাধিক পূর্ণ বাক্য থাকে এবং তাদের সংযোগ করার জন্য একটি অব্যয় পদ থাকে। সেই অব্যয়টি বাদ দিতে হবে। যেমন-
যৌগিক বাক্য : তার বয়স হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি হয়নি। (সমাপিকা ক্রিয়া- হয়েছে, হয়নি)
সরল বাক্য : তার বয়স হলেও বুদ্ধি হয়নি। (হয়েছেসমাপিকা ক্রিয়াকে হলেওঅসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে)
যৌগিক বাক্য : মেঘ গর্জন করে, তবে ময়ূর নৃত্য করে। (সমাপিকা ক্রিয়া- করে ও করে)
সরল বাক্য : মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে। (করেসমাপিকা ক্রিয়াকে করলেঅসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়েছে)
[সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া; ক্রিয়াপদ]
যৌগিক : রমেন মিথ্যাবাদী, তাই সকলেই তাকে অবিশ্বাস করে।
সরল : মিথ্যাবাদী রমেনকে সকলেই অবিশ্বাস করে।
যৌগিক : সে অসুস্থ ছিল, তাই গতকাল স্কুলে যেতে পারেনি।
সরল : অসুস্থতার জন্য গতকাল সে স্কুলে যেতে পারেনি।
যৌগিক : রাজু দোষ করেনি, তথাপি তার শাস্তি হল।
সরল : বিনা দোষেই রাজুর শাস্তি হল।
যৌগিক : সময় থাকতে চেষ্টা করো, নতুবা ফল পাবে না।
সরল : সময় থাকতে চেষ্টা না করলে ফল পাবে না।
যৌগিক : এমন পাত্র যে তাকে কোনমতেই হাত ছাড়া করা যায় না।
সরল : এমন পাত্র কোনমতেই হাত ছাড়া করা যায় না।
যৌগিক : লোকটি রোগা এবং দুর্বল।
সরল : যেহেতু লোকটি রোগা সেহেতু সে দুর্বল।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

জটিল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর :
জটিল বাক্যে কয়েকটি খণ্ডবাক্য থাকে, এবং সেগুলো পরস্পর নির্ভরশীল থাকে। জটিল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে এই খণ্ডবাক্যগুলোর পরস্পর নির্ভরতা মুছে দিয়ে স্বাধীন করে দিতে হবে। এজন্য সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলো তুলে দিয়ে যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত অব্যয়গুলোর মধ্যে উপযুক্ত অব্যয়টি বসাতে হবে। পাশাপাশি ক্রিয়াপদের গঠনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
জটিল বাক্য : যদি সে কাল আসে, তাহলে আমি যাব।
যৌগিক বাক্য : সে কাল আসবে এবং আমি যাব।
জটিল বাক্য : যদিও তাঁর টাকা আছে, তবুও তিনি দান করেন না।
যৌগিক বাক্য : তাঁর টাকা আছে, কিন্তু তিনি দান করেন না।
জটিল : যেহেতু লোকটি লজ্জাবোধ করল সেহেতু সে কথা বলতে পারল না।
যৌগিক : লোকটি লজ্জাবোধ করল, তাই সে কথা বলতে পারল না।
জটিল : যদিও ছেলেটি খুব গরিব তবু সে সৎ।
যৌগিক : ছেলেটি খুব গরিব, কিন্তু সে সৎ।
জটিল : যেহেতু সে অন্যায় করেছে সেহেতু তাকে শাস্তি পেতে হবে ।
যৌগিক : সে অন্যায় করেছে, অতএব তাকে শাস্তি পেতে হবে।
জটিল : আকাশে মেঘ নেই বলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
যৌগিক : আকাশে মেঘ নেই, সুতরাং বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জটিল : যদি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে চাও তবে সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত শ্রেণির উন্নতি সাধন করো।
যৌগিক : সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে হলে সমাজের দরিদ ও অবহেলিত শ্রেণির উন্নতি সাধন করো।
জটিল : তারা কথা না বললেও সবই জানে।
যৌগিক : তারা কথা বলে না, কিন্তু জানে সবই।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

যৌগিক থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর :
যৌগিক বাক্যে দুইটি পূর্ণ বাক্য কোন অব্যয়ের দ্বারা যুক্ত থাকে। এই অব্যয়টি তুলে দিয়ে সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়ের প্রথমটি প্রথম বাক্যের পূর্বে ও দ্বিতীয়টি দ্বিতীয় বাক্যের পূর্বে বসালেই জটিল বাক্যে রূপান্তরিত হবে।
তবে, সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলোর পূর্ণ বাক্য দুটির প্রথমেই বসাতে হবে, এমন কথা নেই; উপযুক্ত যে কোন জায়গাতেই বসানো যেতে পারে। যেমন-
যৌগিক বাক্য : দোষ স্বীকার কর, তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
জটিল বাক্য : যদি দোষ স্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কোন শাস্তি দেব না।
যৌগিক বাক্য : তিনি অত্যন্ত দরিদ্র, কিন্তু তার হৃদয় অত্যন্ত মহৎ।
জটিল বাক্য : যদিও তিনি অত্যন্ত দরিদ্র, তবুও তার হৃদয় অত্যন্ত মহৎ।
যৌগিক বাক্য : এ গ্রামে একটি দরগাহ আছে, সেটি পাঠানযুগে নির্মিত।
জটিল বাক্য : এ গ্রামে যে দরগাহটি আছে, সেটি পাঠানযুগে নির্মিত।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

অতিরিক্ত আলোচনা
গঠন অনুযায়ী বাংলা বাক্য কে চার ভাগে ভাগ করা যায় –
1.  সরল বাক্য
2. যৌগিক বাক্য 
3. জটিল বাক্য
4. মিশ্র বাক্য
সরল বাক্য
একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া দ্বারা যেসব বাক্য গঠিত হয়, তাদের সরল বাক্য বলা হয়।
উদাহণস্বরূপ:
1.  অভিনাশ ভাত খাচ্ছে। (বর্তমান কাল)
2. তুমি নদী থেকে জল এনেছিলে? (অতীত কাল)
3. তুমি এখন এখানে বসবে। (ভবিষ্যৎ কাল)
4. আমার নাম রুপম। (বর্তমান কাল)
উপরের প্রথম তিনটি বাক্যে একটা করে সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে। সেগুলি হল 'খাচ্ছে' 'এনেছিলে' এবং 'বসবে'বাক্যটিতে 'হয়'এই চতুর্থ সমাপিকা ক্রিয়াপদটি উহ্য আছে। তাই এইগুলি সরল বাক্য।
সরল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
1.  সরল বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। তার বেশিও নয়, কমও নয়। তবে সমাপিকা টি উহ্যও থাকে।
2. সরল বাক্যে ক্রিয়া, বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ- তিনটি কালেরই হয়।
3. সরল বাক্যে বিভিন্ন অর্থেরও হতে পারে। প্রথম চতুর্থ বাক্যটি যেমন ইতিবাচক নির্দেশক বাক্য, দ্বিতীয় টি প্রশ্নবোধক এবং তৃতীয় টি অনুজ্ঞাবাচক বাক্য।
4. বাংলা ভাষায় ক্রিয়াহিন সরল বাক্যের বহুল ব্যবহার। কেবল 'হওয়া' বা 'থাকা' ক্রিয়ায় বাক্যে উহ্য রাখা হয়। যেমন ওপরের উদাহরণের চতুর্থ বাক্যটিতে 'হয়' ক্রিয়া উহ্য।
5. সরল বাক্যে এক বা একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতে পারে। যেমন- মাঠে ছেলেরা ঘুড়ি উড়ানো দেখে আরোলোকেরও ঘুড়ি উড়াতে ইচ্ছা করছিল।- এই বাক্যটিতে দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া ( দেখে, ওড়াতে)
6. সরল বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া নাও থাকতে পারে। উদাহরণের চারটি বাক্যে যেমন কোন অসমাপিকা ক্রিয়া নেই।
7. সরল বাক্যে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক উপাদানের সমাবেশ ঘটে থাকে।
নিম্নে উদাহরণ দেওয়া রয়েছে-
  1. মা দিচ্ছেন(কর্তা +অকর্মক ক্রিয়া)
  2. মা ভাত দিচ্ছেন(কর্তা+মুখ্যকর্ম+সকর্মক ক্রিয়া)
  3. মা রূপমকে ভাত দিচ্ছেন(কর্তা+গৌণকর্ম+মুখ্যকর্ম+সকর্মক ক্রিয়া)
  4. মা রান্নাঘরে রূপমকে ভাত দিচ্ছেন(কর্তা+স্থানবাচক পদ+মুখ্যকর্ম+সকর্মক ক্রিয়া)
  5. মা রান্নাঘরে সকালবেলায় রূপমকে ভাত দিচ্ছেন(কর্তা+স্থানবাচক পদ+কালবাচক পদ+মুখ্যকর্ম+সকর্মক ক্রিয়া)
  6. মা রান্নাঘরে বসে সকালবেলায় রুপমকে ভাত দিচ্ছেন(কর্তা+স্থানবাচক পদ+অসমাপিকা+কালবাচক ক্রিয়া+মুখ্যকর্ম+সকর্মক ক্রিয়া)
যৌগিক বাক্য
একাধিক সরল বাক্য যখন নিজেদের স্বাধীন অর্থপ্রাধান্য অক্ষুন্ন রেখে উপস্থিত বা উহ্য এক বা একাধিক সংযোজক অব্যয় দ্বারা মিলিত হয়ে একটি মাত্র বাক্য গঠন করে, তখন সে বাক্যকে যৌগিক বাক্য বলা হয়। 
যেমন- তার তখন মনের অবস্থা বলা কঠিন তবে আন্দাজ করা অন্যায় নয়।
যৌগিক বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
1.  ক্রিয়াহীন সরল বাক্য যেমন বাংলা ভাষায় সম্ভব, তেমনই সম্ভব ক্রিয়াহীন যৌগিক বাক্য। যেমন - ওরা চারজন, কিন্তু আমি একা এখানে প্রকৃতপক্ষে দুটি স্বাধীন সরল বাক্য।
2. শুধুমাত্র ক্রিয়ার দ্বারা যৌগিক বাক্য গঠন এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যেমন-এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।
3. অনেক যৌগিক বাক্যে অব্যয় উহ্য থাকে।
যেমন- ক. কখন সে গেছে ,এখনোও এলো না। খ. আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু। এক্ষেত্রে, প্রথম বাক্যের মাঝে 'অথচ'এবং দ্বিতীয় বাক্যের মাঝে 'এবং' অব্যয় উহ্য বা অনুপস্থিত।
একটিমাত্র অব্যয় দ্বারা গঠিত যৌগিক বাক্যের ব্যবহার আমরা বেশি দেখি।
উদাহরণস্বরূপ-
   I.     সে দেখতে সুন্দর কিন্তু তার মন উদার নয়।(অব্যয়=কিন্তু)
  II.     কোথাও জলে থইথই করছে কোথাও খরাই মানুষ মরছে।(অব্যয়=কোথাও)
 III.     অনেক যৌগিক বাক্যে একাধিক অব্যয় থাকে। কখনো একটি অব্যয় দুবাই ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ-
IV.     কখনও  জীব বাইরে শক্তি গ্রহণ করে কখনও ভিতরের শক্তি দিয়ে প্রতিহত করে। (অব্যয়= কখনও, কখনও)
 V.     হয় তুমি পড়তে বসবে না হয় আমাকে সাহায্য করবে। (অব্যয়= হয়, না হয়)
VI.     হয় খেটে পড়াশোনা করো নতুবা তুমি চাকরির চেষ্টা করো। (অব্যয়= হয়, নতুবা)
তবে এই জাতীয় যৌগিক বাক্যে অনেক সময়ই দুটি অব্যয় এর মধ্যে একটি উহ্য থাকতে পারে। যেমন প্রথম বাক্যে 'কখনও' বা শেষ বাক্যে 'হয়' অব্যয় উহ্য থাকলেও ক্ষতি হয় না অর্থের।

জটিল বাক্য:-

একটি প্রধান খন্ড বাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ড বাক্য দ্বারা যে দীর্ঘ ও সম্পূর্ণ বাক্য গঠিত হয় কাকে বলে জটিল বাক্য।
সুতরাং প্রতিটি জটিল বাক্য থাকে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য (principal clause) এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বা আশ্রিত বা অধীন খন্ডবাক্য
নিম্নে উদাহরণ দেওয়া রইল-
1.  বারান্দা থেকে দেখলাম যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে
2. তুমি যদি হাসতাহলে আমি রেগে যাব
উপরের বাক্য দুটিতে স্বাধীন খণ্ডবাক্য দুটি হল যথাক্রমে- 'বারান্দা থেকে দেখলাম' এবং 'তাহলে আমি রেগে যাব'আরঅধীন খন্ডবাক্য দুটি হল যথাক্রমে- 'যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, এবং 'তুমি যদি হাস'

জটিল বাক্যের বৈশিষ্ট্য:

জটিল বাক্য একটি প্রধান খন্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ড বাক্য থাকে। জটিল বাক্য অন্তত দুটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। প্রধান খন্ডবাক্য যেমন বাক্যের শুরুতে থাকতে পারে, তেমনি বাক্যের শেষে ও থাকতে পারে। যেমন-
1.  বারান্দা থেকে দেখলাম যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। (প্রধান খন্ডবাক্য বাক্যের শুরুতে)
2. তুমি যদি হাস তাহলে আমি রেগে যাব। (প্রধান খন্ডবাক্য বাক্যের শেষে)
যৌগিক বাক্য যেমন একটি মাত্র অব্যয় কিংবা একাধিক অব্যয় দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে, জটিল বাক্যও তেমনি একটি কিংবা একাধিক অব্যয় দ্বারা গঠিত হতে পারে। যেমন-
1.  আমি তাকে বলব যে আমি আর বেশিদিন নেই।
2. যদি কাউকে ভালবাসতে পারোতবে সাফল্য সুনিশ্চিত।
এখানে প্রথম বাক্যে একটিমাত্র অব্যয় 'যে' এবং দ্বিতীয় বাক্যে দুটি অব্যয় 'যদি' এবং 'তবে' ব্যবহৃত হয়েছে।
যৌগিক বাক্যের মতো জটিল বাক্য উহ্য থাকতে পারে। যেমন-
1.  'আমি চাই _____ তুমি ভালো হয়ে থাকবে'
2. '_____ ভালো করে পড়াশোনা করো, _____ বাবা খুশি হবেন'
এক্ষেত্রে প্রথম বাক্যে 'যে' এবং দ্বিতীয় বাক্যে 'যদি' 'তবে' অব্যয় উহ্য হয়েছে।
জটিল বাক্যের শ্রেণীবিভাগ:
বিশেষ্যবাচক জটিল বাক্য: 
যে জটিল বাক্যের অধীন খন্ড বাক্যটি প্রধান খন্ড বাক্যের অন্তর্গত কোন পদের বিশেষ গুচ্ছ হয়ে অবস্থান করে, তাকে বিশেষ্যবাচক জটিল বাক্য বলে।
বিশেষণবাচক জটিল বাক্য: 
যে জটিল বাক্যের প্রথমে অবস্থিত অপ্রধান খন্ড বাক্যটি পরে অবশ্য প্রধান খন্ড বাক্যের অন্তর্গত কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ কে বিশেষিত করে এবং যে বাক্যে সাধারণত জোড়া সাপেক্ষ বা প্রতি নির্দেশক (correlative) সর্বনাম দ্বারা খন্ডবাক্য দুটি যুক্ত থাকে, তাকে বিশেষণবাচক জটিল বাক্য বলে।
ক্রিয়াবিশেষণ বাচক জটিল বাক্য: 
যে জটিল বাক্যে পরে অবস্থিত অপ্রধান খন্ড বাক্য টি প্রথমে অবস্থিত প্রধান খন্ড বাক্যের ক্রিয়ার প্রকৃতি, অবস্থা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে এবং সাধারণত প্রধান খন্ড বাক্যের সঙ্গে 'যদি' অব্যয় এবং অপ্রধান বাক্যের সঙ্গে 'তবে', 'তাহলে', 'না হয়', 'সেক্ষেত্রে' ইত্যাদি কোন অব্যয় ব্যবহৃত হয়, তাকে বিশেষণবাচক জটিল বাক্য বলে।

মিশ্র বাক্য:

ভিন্ন জাতীয় বা সমজাতীয় সরল ও যৌগিক বা সরল ও জটিল বা যৌগিক ও যৌগিক বা যৌগিক ও জটিল কিংবা জটিল ও জটিল বাক্য যুক্ত হতে মিশ্র আকারের বৃহত্তর কোনো জটিল বা যৌগিক বাক্য সৃষ্টি করলে, তাকে মিশ্র বাক্য বলে।

মিশ্র বাক্যের শ্রেণীবিভাগ:

যৌগিক + সরল = জটিল:
রামনাথ এই যে টাকা আনিয়াছিলেন এবং কন্যার নিষেধে সে টাকা না দিয়াই চলিয়া গিয়াছেনসে কথা গোপন রহিল না 
সরল + জটিল = যৌগিক:
আমরা বাড়ি এলোম আর বাবাও এলেন এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে, যে বাবার অফিসে চাকরি করে
যৌগিক + যৌগিক = জটিল:
আমি যে নিজেই রান্না করি এবং ভাত বেড়ে খাই, তা দাদার ভালো লাগেনা অথচ আমাকে কখনো সাহায্য করে না
যৌগিক + জটিল = যৌগিক:
খোকাবাবু ডাক্তার লোক, কিন্তু ডাক্তারি করেন নাকলম চালানো হলো তার পেশা, যা তাকে ডাল ভাতের সংস্থানটুকু করে দেয়
জটিল + জটিল = যৌগিক:
ছোড়দা, যার কথা তোমায় বলেছিলাম, বড্ড ঠোঁটকাটা সেজন্য মা উঠতে বসতে বকেন, যদিও স্নেহ করেন আমাদের চেয়ে বেশি ছোড়দাকে

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ

বাক্যের রূপান্তর

 

বাক্যের রূপান্তর বা বাক্য পরিবর্তনের পদ্ধতি :-

বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে বাক্য পরিবর্তনে ভাষারীতি ও ক্রিয়ার কালের কোনো পরিবর্তন হবে না ।
(1) সরল বাক্য থেকে জটিল বা যৌগিক বাক্যে পরিবর্তনের কয়েকটি নিয়ম বা বৈশিষ্ট্য আছে । সেগুলি হল
(ক) সরল বাক্যের অসমাপিকা ক্রিয়া যৌগিক ও জটিল বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত হবে । যেমন
সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর
(i) মন দিয়ে পড়লে পাস করবে (সরল বাক্য)। যদি মন দিয়ে পড়, তবে পাস করবে (জটিল বাক্য) ।
(ii) নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল (সরল বাক্য)। যখন নতুন মেসোকে দেখল তখন তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল(জটিল বাক্য) ।
সরল থেকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
(i) আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি হচ্ছে না (সরল বাক্য)। আকাশে মেঘ আছে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না (যৌগিক বাক্য)।
(ii) ধনী হলেও তাঁর অহংকার নেই (সরল বাক্য)। তিনি ধনী ছিলেন, তবু তাঁর অহংকার নেই (যৌগিক বাক্য)।
(2) জটিল বা যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তরের নিয়ম :- 
জটিল বা যৌগিক বাক্যে যে সমাপিকা ক্রিয়াগুলি থাকে তার মধ্যে প্রধান সমাপিকা ক্রিয়াকে রেখে বাকি ক্রিয়াগুলিকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় পরিণত করতে হবে । যেমন
(i) তিনি দরিদ্র ছিলেন কিন্তু তিনি সৎ ছিলেন (যৌগিক বাক্য)। তিনি দরিদ্র হলেও সৎ ছিলেন (সরল বাক্য)।
(ii) যখন তুমি ফিরবে তখন তোমায় টাকা দেব (জটিল বাক্য)। তুমি ফিরলে পর তোমাকে টাকা দেব (সরল বাক্য)।
(iii) যিনি তপনের নতুন মেসো মশাই তিনি একজন লেখক (জটিল বাক্য)। তপনের নতুন মেসো মশাই একজন লেখক (সরল বাক্য)।
(iv) ওঁর শান্ত গলা শুনে ওদের চিন্তা হল (সরল বাক্য)। ওঁর শান্ত গলা শুনল এবং ওদের চিন্তা হল ( যৌগিক বাক্য )। যখন ওঁর শান্ত গলা শুনল তখন ওদের চিন্তা হল ( জটিল বাক্য )।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর

অর্থগত শ্রেণীবিভাগের ক্ষেত্রে বাক্যের পরিবর্তন :-
এক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে বাক্যের অর্থের কোনো পরিবর্তন করা যাবে না, ভাষারীতির পরিবর্তন হবে না এবং ক্রিয়ার কালেরও পরিবর্তন হবে না। এখন বাকি নিয়মগুলি কি আছে তা দেখা যাক।
(1) ইতিবাচক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর এক্ষেত্রে নেতিবাচক বাক্যে না, নয়, নহে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়, আর ইতিবাচক বাক্যের ক্ষেত্রে বিপরীত শব্দের ব্যবহার হয়। যেমন
(i) তোমার আগে আসা উচিত ছিল (ইতিবাচক বাক্য) । তোমার দেরি করে আসা উচিত হয়নি (নেতিবাচক বাক্য) ।
(ii) এ জগতে কেউ অমর নয় (নেতিবাচক বাক্য) । এ জগতে সকলেই মরণশীল (ইতিবাচক বাক্য) ।
(২) নির্দেশক বাক্য থেকে প্রশ্নবাচক বাক্যে পরিবর্তনএক্ষেত্রে বাক্যটি ইতিবাচক থাকলে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে এবং প্রশ্নসূচক শব্দ কী, কি, কে, কেন ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করতে হবে এবং প্রশ্ন চিহ্ন (?) ব্যবহার করতে হবে । যেমন
(i) চোরকে কেউ বিশ্বাস করে না (নির্দেশক বাক্য) ।  চোরকে কে বিশ্বাস করে ? (প্রশ্নবাচক বাক্য )
(ii) ভালো শিক্ষক পাওয়া নিতান্ত সৌভাগ্যের কথা (নির্দেশক বাক্য) । ভালো শিক্ষক পাওয়া কি সৌভাগ্যের কথা নয় ? (প্রশ্ন বাচক বাক্য) ।

প্রশ্নবাচক বাক্য থেকে নির্দেশক বাক্যে পরিবর্তন
(i) কে না ভুল করে? (প্রশ্নবাচক বাক্য) ভুল সকলেই করে (নির্দেশক বাক্য)।
(ii) সত্য কথা বলতে দোষ কী? (প্রশ্নবাচক বাক্য)। সত্য কথা বলতে দোষ নেই (নির্দেশক বাক্য)।
(iii) আমরা কি সরকারের লোক নই? (প্রশ্নবাচক বাক্য)। আমরা তো সরকারের লোক (নির্দেশক বাক্য)।

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 8-10 BENGALI GRAMMAR
সেবা অসম অষ্টম-দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ
বাক্যের রূপান্তর
************

CONTINUE........... খন্ড – ২

Post a Comment

0 Comments