ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা ব্যাকরণ বাগধারা

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

 

 

 

বিষয় : বাগধারা

 

বাগধারা

বাক্যও বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিস্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানি অখ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে উঠে। যেমন : অন্ধকারে ঢিল ছোড়াকথাটি দিয়ে বোঝানো হয়  আন্দাজে কিছু করা এর সংঙ্গে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার বাস্তব কোন সম্পর্ক নেই ।

বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরী হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে।

যে পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফল অভিধানিক অর্থের বাইরে আলাদা অর্থ প্রকাশ করে , তাকে বলা হয় বাগধারা।

বাগধারা সাহায্যে আমরা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করি।ভাবের ইঙ্গিত ময় প্রকাশ ঘটিয়ে বক্তব্যকে রসমধুর করে উপস্হাপনের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে বাগধারায়।বাগধারার মাধ্যমে সমাজের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনার উদ্ভাসিত হয়।এদিক থেকে বাগধারা বাংলা সাহিত্যের বিশেষ সম্পদ।

বাগধারা গঠনে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহারকে শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগও করা হয়। একে বাগবিধি ও বলা হয়ে থাকে।

Example: 1

বাক্যে বাগধারা প্রয়োগের  উদাহরণ :

অকাল কুষ্মান্ড (অকেজো):

অকাল কুম্মান্ড লোকটা গতকালও কাজটা শেষ করতে পরেনি ।

অকালপক্ব(ইঁচড়ে পাকা):

এমন অকালপক্ব ছেলেকে যে শিক্ষকরা প্রশ্রয় দেবে না তাতে সন্দেহ নেই।

অকূল পাথার (মহাবিপদ):

ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পেরে অনেক ছাত্র অকূল পাথারে পড়েছে।

অক্কা পাওয়া (মরে যাওয়া):

যে কোন দিনই থুত্থুড়ে বুড়োটা অক্কা পেতে পারে।

অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি):

মোড়ল সাহেব অগাধ জলের মাছ,তাঁকে বোঝা বড় কঠিন।

অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা):

২০০৭ সালে বংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলংকা সফর ছিল অগ্নিপরীক্ষা।

অগ্নিশর্মা (খুবই রাগান্বিত):

লোকটাকে বেয়াববি দেখে বাবা রেগে অগ্নিশর্মা হলেন।

অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা):

অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।

অনধিকার চর্চা(অজানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ):

আমি ব্যবসায়ী মানুষ,সাহিত্যের আলোচনা আমার জন্যে অনধিকার চর্চা।

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা(অনুরোধে কষ্ট স্বীকার):

অনুরোধে অনেক ঢেঁকি গিলেছি,এথন আর পারছি না।

অন্ধের যষ্টি/নড়ি(অক্ষম লোকের একমাত্র অবলম্বন):

একমাত্র নাতিটি বুড়ির অন্ধের যষ্টি।

অন্ধকার দেখা (বিপদে সমাধানের উপায় না দেখা):

বাবার অকাল-মৃত্যুতে মেয়েটা চোখে অন্ধকার দেথতে লাগল।

অন্ধকারে ঢিল ছোড়া(আন্দাজে কিছু করা):

অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে আসল ঘটনাটা জেনে এসো।

অমবস্যার চাঁদ(দুর্লভ ব্যক্তি বা বস্তু):

আপনি দেখেছি অমবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছেন।আপনার দেখাই মিলছে না।

 

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

Example:2

 

অরণ্যে রোদন(নিষ্ফল অনুনয়):

লোকটা হাড়কৃপণ,ওর কাছে কিছু চাওয়া আর  অরণ্যে রোদন একই কথা।

অর্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা):

দারোয়ান উটকো লোকটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিলেন।

আকাশকুসুম(অবাস্তব ভাবনা):

শহরের সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া অনেকের জন্য এখন আকাশকুসুম ব্যাপার।

আকাশ থেকে পড়া(স্তম্বিত হওয়া):

পাপিয়ার কথা শুনে তাসলিমা যেন আকাশ থেকে পড়ল।

আকাশ-পাতাল(সীমাহীন):

শহর ও গ্রামের জীবনযাত্রায় এখনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।

আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদে পড়া):

বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।

আকাশে তোলা(অতিরিক্ত প্রশংসা করা):

কেউ কেউ স্বার্থ হাসিলের জন্য কমকর্তাদের আকাশে তোলে।

আকাশের চাঁদ(দুর্লভ বস্তু):

সেরা কলেজে ভর্তি হতে পেরে ভাইয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন

আক্কেল গুডুম(হতবুদ্ধি অবস্হা):

ছেলেটার কথাবার্তা শুনে তো আমার আক্কেল গুডুম।

আক্কেল সেলামি(বোকামির দন্ড):

ধাপ্পাবাজ লোকটার পাল্লায় পড়ে টাকাগুলো আক্কেল সেলামি দিতে হল।

আখের গোছানো(ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া):

দুর্নীতিবাজরা আখের গুছিয়ে নিলেও পার পাচ্ছে না।

আঙুল ফুলে কলা গাছ(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া):

শেয়ারের ব্যবসায় কুদ্দুস সাহেব এখন আঙুল ফুলে কলা গাছ।

আট কপালে (হতভাগ্য):

আট কপালে লোকের ক্ষেত্রে চাকরি জোটা মুশকিল।

আঠারো মাসে বছর(ঢিলেমি):

আমার মতামা সব কাজে দেরি করেন।সবাই বলেন তার নাকি আঠার মাসে বছর।

আদাজল খেয়ে লাগা(উঠে পড়ে লাগা):

পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মাহমুদ আদাজল খেয়ে লেগেছে।

আদায় কাঁচকলায়(শত্রুভাবাপন্ন্):

ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে আদায় কাঁচকলায় সম্পক,কেউ কাউকে সাহায্য করে না।

আবোলতাবোল(এলোমেলো কথা):

আসল ঘটনাটা লুকুতে গিয়ে সে আবোলতাবোল বকে চলছে।

আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অকেজো লোক):

ও একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি,ওকে দিয়ে কাজটা হবে না।

আমলে আনা(গুরুত্ব দেওয়া):

পুলিশ দারোআনের কোন কথাই আমলে আনল না।

আলালের ঘরের দুলাল(বড় লোকের আদুরে ছেলে):

এই আলালের ঘরের দুলালটিকাজ দেখলে ভয় পায়।

আষাঢ়ে গল্প (বানানো কথা):

সময়মত কাজে আসোনি, তার জন্য আষাঢ়ে গল্প বলার দরকার কি?

আসমান-জমিন ফারাক (বিপুল ব্যবধান):

ধনী ও গরিবের জীবনযাত্রায় আসমান জমিন ফারাক।

আস্তানা গড়া(সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা):

বানভাসি লোকগুলো বাঁধের ওপর আস্তানা গেড়েছে।

আহলাদে আটখানা(আনন্দে আত্নহারা):

মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে সে আহলাদে আটখানা।

ইঁচড়ে পাকা (অল্প বয়সে পেকে গেছে এমন):

ওই ইঁচড়ে পাকা ছেলেটাকে পাত্তা দিলেই ঘাড়ে চেপে বসবে।

 

Example: 3

 

ইতর বিশেষ (সামান্য পার্থক্য):

ফলাফলে একই গ্রেড প্রাপ্তদের মধ্যে ইতর বিশেষ করা মুশকিল।

উড়ে এসে জুড়ে বসা(বিনা অধিকারে এসে সর্বেসর্বা হয়ে বসা):

উনি উড়ে এসে জুড়ে বসে মাতব্বরি করবেন,তা পুরোনোরা মানবেন কেন?

উত্তম-মধ্যম (প্রচন্ড মার):

ছিনতাইকারীকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল।

উভয় সংকট(দু দিকেই বিপদ):

বিজ্ঞান না বাণিজ্য,কোনটা পড়ব এ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছি।

উলুবনে মুক্তো ছড়ানো(অপাত্রে মুল্যবান কিছু প্রদান):

ওকে জ্ঞান দেওয়া আর উলোবনে মুক্তো ছড়ানো এখই কথা।

এঁটে উঠা(সমানে পাল্লা দিতে পারা):

তোমার সঙ্গে এঁটে উঠা কঠিন।

এক কথার মানুষ(কথা রাথে এমন):

আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন,আমি এক জকথার মানুষ।

একচোখা(পক্ষপাতদুষ্ট):

একচোখা লোকের কাছে কখনো সুবিচার আশা করা যায় না।

এলাহি কান্ড(বিরাট আয়োজন):

সওদাগর সাহেবের মেয়ের বিয়ে,এলাহি কান্ড তো হবেই।

একাই একশ(যথেষ্ট সমথ):

ঐ পুঁচকো ছোঁড়াকে মোকাবেলার জন্য আমি একাই এক শ।

এসপার ওসপার(যেকোনভাবে মীমাংশা):

ঝামেলাটা আর সহজ হয় না।এবার এসপার ওসপার করতেই হবে।

ওত পাতা(সুযোগের অপেক্ষা থাকা):

বিড়ালটা মাছ চুরি করার জন্য ওত পেতে রয়েছে।

কড়ায় গন্ডায় (সূক্ষ্ম হিসেব অনুযায়ী):

ও তাঁর পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে এসেছিল।

কথার কথা(হালকা কথা):

আমি কথার কথায় একটি মন্তব্য করেছি আর তাতেই রাজু ক্ষেপে গেল।

কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ):

ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা- চাচির কপাল ফিরেছে।

কলুর বলদ(অন্যের জন্য একটানা খাটুনি):

সংসারের হাল ধরতে ছোট মামা কলুর বলদের মত ঘানি টানছেন।

কাঁচা পয়সা(অল্প আয়াসে নগদ উপার্জন):

দুর্নীতি করে অনেকে কাঁচা পয়াসা কামাই করছে।

কাঁঠালের আমসত্ব(অসম্ভব বস্তু):

বাংলায় ১০০-তে ১০০ নম্বর পাওয়া কাঁঠালের আমসত্বের মতো।

কাছাঢিলা(অগোছালো স্বভাবের):

যেমন কাছাঢিলা লোক তুমি,ছাতা তুমি হারাবে না তো কে হারাবে।

কাঠখড় পোড়ানো(নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম):

কাজটা হাসিলের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল।

কাঠের পুতুল(নির্জীব, অসার লোক):

কোন কোন মন্ত্রী হয়ে যান কাঠে পুতুল,সব কাজ চালান তাঁর সচিব।

কান খাড়া করা(মনোযোগী হওয়া):

আদালতে কী রায় হয় তা শোনার জন্য আইনজীবিরা কান খাড়া করে রইল।

কান পাতলা(বিশ্বাসপ্রবণ):

বড় সাহেব এমন কান পাতলা যে তার অধীন কাজ করাই মুশকিল।

কান ভারী করা(কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি):

তুমি নাকি আমার বিরূদ্ধে বড়কর্তার কান ভারী করেছ?

কুল কাঠের আগুন(তীব্র মন:কষ্ট):

লাঞ্ছনা অপমানে তার মনের মধ্যে কুল কাঠের আগুন জ্বলতে লাগল।

কূপমন্ডূক(সংকীর্ণমনা লোক):

আমাদের সমাজে কূপমন্ডূক লোকের অভাব নেই।

কেউকেটা (নিন্দার্থে গণ্যমান্য লোক):

আপনি যে এমন কেউকেটা যে আপনার কথা শুনতেই হবে!

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

 

 

Example: 4

 

কেঁচে গন্ডূষ করা(পুনরায় প্রথম থেকে শুরূ করা):

পুরো হিসাবটাই ভুল হয়েছে।আবার কেঁচে গন্ডূষ করতে হবে।

কেঁচো খুঁড়তে সাপ(সামান্য ঘটনার সূত্রে গুরুতর ঘটনা প্রকাশ):

জাল টাকা তদন্ত করতে গিয়ে বিরাট জালিয়াতি চক্র ধরা পড়লএ যে কেঁচো খুঁড়তে সাপ!

কোমর বাঁধা(কাজে উঠে পড়ে লাগা):

পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য তাহমিনা কোমর বেঁধে পড়াশুনায় লেগেছে।

খন্ড প্রলয়(তুমুল কান্ড):

মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে পাশের বাসায় একটি খন্ড প্রলয় ঘটে গেছে।

খয়ের খাঁ(খোশামোদকারী,চাটুকার):

ক্ষমতাসীনদের চারপাশে খঁয়ের খাঁ লোকদের ভিড় জমে যায়।

খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা):

খুঁটির জোর আছে বলেই বারবার বদলি ঠেকায়।

গড্ডালিকা প্রবাহ(অন্ধের মতো অনুসরণ):

বিত্তের মোহে সমাজের অনেক লোক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়।

গন্ডারের চামড়া(অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন):

ওর বোধ হয় গন্ডারের চামড়া,তাই শত অপমানেও কোনো ভাবান্তর নেই।

গদাই লশকারি চাল(ঢিলিমি):

এমন গদাই লশকরি চালে চললে কাজটা এ মাসে ও শেষ হবে না।

গলগ্রহ(দায় বা বোঝা):

অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।

গাছে তুলে মই কাড়া(কাজে নামিয়ে সরে পড়া):

তোমার ভরসায় এত বড় কাজে হাত দিয়েছি।এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিচ্ছ যে।

গায়ে পড়া(অযাচিত ঘনিষ্ঠতা):

অমন গায়ে পড়া লোককে চেয়ারম্যান সাহেব পাত্তা দিবেন বলে মনে হয় না।

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো(কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করা):

ও নেবে দায়িত্ব?গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোই যে ওর স্বভাব।

গোঁয়ার গোবিন্দ(নির্বোধ ও একগুঁযে লোক):

কাজটা বুঝে শুনে করবে।গোঁয়ার গোবিন্দের মতো করলে চলবে না।

গোড়ায় গলদ (মূল কিংবা শুরুতে ভুল):

বিয়ের আয়োজনে গোড়ায় গলদ ছিল বলে এত বিশৃঙ্থলা।

গোবর গণেশ (বোকা,অকর্ণন্য লোক):

ছেলেটার না আছে বুদ্ধি, না পারে কোন কাজ ও একেবারে গোবর গণেশ।

গোল্লায় যাওয়া(উচ্ছন্নে যাওয়া):

বাবা  মায়ের আদরের ঠেলায় ছেলেটা গোল্লায় গেছে।

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া(উদ্বেগউৎকন্ঠা খেকে স্বস্তি):

ছেলেটা ঘরে ফিরে আসায় সবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।

ঘাস কাটা(বাজে কাজে সময় নষ্ট করা):

অণ্যেরা কাজ করবে আর তুমি বসে বসে ঘাস কাটবে ?তা হবে না।

ঘোড়া রোগ(উৎকট বাতিক):

ভাত জোটে না,বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করতে চায় গরিবের ঘোড়ারোগ আর কি!

 

Example: 5

 

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া(ওপরওয়ালাকে এড়িয়ে কাজ হাসিল):

সরকারি অফিসে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া কঠিন।

গোড়ার ডিম (অস্তিত্বহহীন বস্তু):

ও তোকে বইটা দেবে?ঘোড়ার ডিম দেবে।

চাঁদের হাট(সুখের সংসার):

অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতি সন্তানদের নিযে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।

চোখে চোখে রাখা(সতর্ক নজরদারি):

অজানাঅচেনা কেউ এলে তাকে চোখে চোখে রাখা দরকার।

চোখে ধুলো দেওয়া(ফাঁকি দেওয়া):

পুলিশের চোথে ধুলো দিয়ে অপরাধী গা ঢাকা দিয়েছে।

চোখের বালি(চক্ষুশূল,ক্রোধ বা বিরক্তির কারণ):

মামরা ছেলেটা কত শান্ত,তবু সে তার সৎ-মায়ের চোখের বালি।

ছিনিমিনি খেলা(বেহিসাবি খরচ):

উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনেক ছিনিমিনি থেলা হয়েছে।

ছেঁকে ধরা (ঘিরে ধরা):

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সবাই কারখানার মালিককে ছেঁকে ধরেছে।

ছেলের হাতের মোয়া (সহজপ্রাপ্য জিনিস):

ভালো ফলাফল ছেলের হাতের মোয়া নয়,এর জন্য যথেষ্ট পড়াশুনা দরকার।

জগাখিছুড়ি(অবাঞ্ছিত জটিলতা):

তোমার জগাখিছুড়ি কাজ দেখলে আমার  মাথা গরম  হয়ে উঠে।

জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি):

ওর মনে যে এত জিলিপির প্যাঁচ তা বুঝব কি করে।

ঝোপ বুঝে কোপ মারা(সুযোগ বুঝে কাজ করা):

ঝোপ বুঝে কোপ মারতে না পারলে ব্যাবসায়ে টেকা মুশকিল।

টনক নড়া(চৈতন্য হওয়া):

ব্যবসায় লাঠে উঠতেই তার টনক নড়ল ।

ঠাঁট বজায় রাথা(অভাব লুকানো):

জমিদরি নেই,কিন্তু চৌধুরী বংশ এখন ও জমিদারি ঠাঁট বজায় আছে।

ঠোঁট কাটা(স্পষ্টবাদী):

ঠোঁট কাটা লোক অনেকেরই অপছন্দ।

ডুমুরের ফুল(অদৃশ্য ব্যক্তি বা বস্তু):

কী ব্যাপার ! তুমি হঠাৎ ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলে যে?

ঢিমে তেতালা(খুবই মন্থর গতি):

এমন ঢিমে তেতালাভাবে পড়াশুনা করলে সিলেবাস শেষ হবে না।

তালকানা (তালজ্ঞান বর্জিত):

উনি তালকানা লোক।ওর কাছে পরিপাটি কাজ আশা করছ কেন?

থ বনে যাওয়া(বিস্ময়ে হতবাক হওয়া):

লোকটার কান্ড দেখে সবাই থ বনে গেল।

তাসের ঘর (ভঙ্গুর ):

ওদের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মত ভেঙে গেছে।

তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব):

তামার বিষে ওরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।

দাকুমড়ো (নিদারুণ শত্রুতা):

ভাইয়ে ভাইয়ে এখন একেবারে দা-কুমড়ো সম্বন্ধ।

দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু):

ধনীর দুলাল ছেলেটাকে দুধের মাছিরা ঘিরে রেখেছে।

দুমুখো সাপ(দু রকম আচরণকারী,ক্ষতিকর লোক):

লোকটা আস্ত দুমুখো সাপ,তোমাকে বলেছে একরকম আমাকে অন্যরকম।

ধরাকে সরা জ্ঞান করা(অতিরিক্ত দম্ভে কিছুই গ্রাহ্য না করা):

পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করল।

ননির পুতুল (অল্প শ্রমে কাতর):

ফারিহা তো ননির পুতুল,এত পরিশ্রমের কাজ ওকে দিতে হবে না।

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

 

 

Example: 6

 

নাক গলানো(অনধিকার চর্চা):

যে-কোন ব্যাপারে নাক গলানো কারো কারো স্বভাব।

নেই আাঁকড়া(নাছোড়বান্দা):

কী যে নেই আাঁকড়া লোকের পাল্লায় পড়েছি!রেহাই মিলছে না।

পটল তোলা(মারা যাওয়া):

চাঁদাবাজরা পটল তুলছে শুনে এলাকার লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

পথে বসা(সর্বস্বান্ত হওয়া):

বন্যায় সব হারিয়ে অনেকে এবার পথে বসেছে।

পালের গোদা(দলের চাঁই,সর্দার):

পুলিশ পালের গোঁদোকে কোর্টে চালান দিয়েছে।

পুকুর চুরি(বড় রকম চুরি):

রাস্তা মেরামত না করেই ঠিকাদার ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে, এ যে রীতিমতো পুকুর চুরি।

ফাঁকফোকর(দোষত্রুটি):

আইনের ফাঁক-ফোকর গলে সন্ত্রাসীরা জামিনে খালাস পেয়ে যাচ্ছে।

ফেঁপে উঠা(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া):

চোরাচালানি করে কেউ কেউ রাতারাতি ফেঁপে উঠেছে।

ফোঁড়ন কাটা(টিপ্পনী কাটা):

কথার মাঝখানে ফোঁড়ন কাটা ওর স্বভাব।

ফোপড়দালালি(নাক গলানো আচরণ):

সব ব্যাপারে ওর ফোপড়দালালি করার অভ্যাস।

বকধার্মিক(ভন্ড):

সমাজে বকধার্মিক লোকের অভাব নেই।

বর্ণচোরা আম(কপট লোক):

লোকটা একটা বর্ণচোরা আম ।বাইরে থেকে ওকে বোঝা মুশকিল।

বাঁ হাতের ব্যাপার(ঘুষ দেওয়া-নেওয়া):

এ অফিসে বাঁ হাতের ব্যাপার ছাড়া ফাইল নড়ে না।

বাজিয়ে দেখা(পরখ করা):

সে ঘটনাটা জানে কিনা একটু বাজিয়ে দেখতে হবে।

বাপের বেটা(সাহসী):

শাবাশ! বাপের বেটার মতই করছিস কাজটা।

বালির বাঁধ(ক্ষণস্হায়ী):

বড়লোকের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বালির বাঁধ একই কথা।

বিড়ালতপস্বী(ভন্ড সাধু):

সমাজে মাঝে মাঝে বিড়াল তপস্বীদের তৎপরতা বেড়ে যায়।

বিদ্যার জাহাজ(মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক):

যে নিজে বিদ্যার জাহাজ সে অন্যকে কী শেখাবে?

বুকের পাটা(সাহস):

মাস্তানটার বিরুদ্ধে তুই অভিযোগ করছিস!তোর বুকের পাটা আছে বলতে হবে।

বুদ্ধির ঢ়েঁকি(নির্বোধ):

এই কাজের জন্য চাই চালাক-চতুর লোক,বুদ্ধির ঢেঁকি দিয়ে একাজ হবে না।

ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত):

ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।

ভরাডুবি(সর্বনাশ):

আদমজি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটচাষিদের এবার ভরাডুবি হয়েছে।

ভূতের বেগার(অযথা শ্রম দান):

সরাক্ষণ ভুতের বেগার খাটছি, লাভ কিছুই হবে না।

মামাবাড়ির আবদার(চাইলেই পাওয়া যায় এমন):

গতকাল ১০০ টাকা নিলে।আজ আবার ২০০ টাকা চাইছ।একি মামাবাড়ির আবদার নাকি?

মিছরির ছুরি(আপাতত মধুর হলেও শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক):

তোমার কথাগুলো ঠিক যেন মিছরির ছুরি।

যক্ষের ধন(কৃপণের কড়ি):

পৈতৃক ভিটেটা সে যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছে।

রুইকাতলা(প্রভাবশালী):

সমাজের রুইকাতলাদের দাপটে চুনোপুঁটিদের আবস্হা এখন কাহিল।

লেফাফা দুরস্ত(বাইরের ঠাঁট ষোল আনা):

ঘরে যে এমন টানাটানি,তা ওর লেফাফা ভাব দেখে কে বুঝবে?

রাশভারি(গম্ভীর):

আমাদের প্রধান শিক্ষক রাশভারি লোক।সবাই ওকে ভয় পায়।

শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ):

আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন । এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।

 

Example: 7

 

সেয়ানে সেয়ানে(দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে):

দুজনের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে অনেকদিন।

সোনায় সোহাগা(সার্থক মিল):

পরীক্ষায় পাস করতে নাকরতেই এমন ভালো চাকরি পাওয়া,এ যে সোনায সোহাগা!

হ-য-ব-র-ল(উল্টোপাল্টো):

অনুষ্ঠানের হ-য-ব-র ল দেথে চলে এসেছি।

হাড়-হাভাতে(একেবারে নি:স্ব):

হাড়-হাভাতে ছেলেটাযে কীভাবে এই সংসারে এসে জুটল বলতে পারবে না।

হাতটান(ছেটখাট চুরির অভ্যাস):

ছেলেটা কাজে-কর্মে বেশ ওস্তাদ।তবে দোষের মধ্যে হাতটান আছে।

হাতের পাঁচ(শেষ সম্বল):

হাতের পাঁচ হিসাবে হাজারখানেক টাকা আছে।তোমাকে ধার দেব কেমন করে?

হলে পানি পাওয়া(কাজ হাসিলের উপায় না পাওয়া):

সে বড় কাজে হাত দিয়েছে,কিন্তু হালে পানি পাচ্ছে না।

 

বাগধারা

QUESTION & ANSWER 

অনুশীলনী

প্রয়োগমূলক নমুনা প্রশ্ন

১. নিচের বাগধারাগুলোর প্রত্যেকটির অর্থ লেখ ও বাক্য রচনা কর :

ক)

অমবস্যার চাঁদ

আকাশের চাঁদ

আকাশ কুসুম

কাঁচা পয়সা

ফাঁকফোকর

খ)

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা

অন্ধকারে ঢিল ছোড়া

,আকাশে তোলা

কাঠখড় পোড়ানো

কান খাড়া করা

গ)

অগাধ জলের মাছ

এক চোখা

কাঠরে পুতুল

কেউকেটা

বিড়াল-তপস্বী

ঘ)

আক্কেল গুড়ুম

ইঁচড়ে পাকা

কান পাতলা

খয়ের খাঁ

দুমুখো সাপ

ঙ)

আখের গোছানো

আমলে আনা

টনক নড়া

পথে বসা

বাজিয়ে দেখা

 ২. অর্থ ও পর্থক্য দেকিয়ে বাক্য রচনা কর :

ক)

অন্ধকার দেখা

অন্ধকারে ঢিল ছোড়া

খ)

আকাশ-কুসুম

আকাশ-পাতাল

গ)

আক্কেল গুড়ুম

আক্কেল সেলামি

ঘ)

কান খাড়া করা

কান ভারী করা

ঙ)

গায়ে পড়া

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো

 

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

 

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দাওঃ

1 অকূল পাথারশব্দের প্রায়োগিক অথ কোনটি ?

ক.সীমাহীন সাগর

খ. মহাবিপদ

গ.বিশাল প্রস্তরখন্ড

ঘ. গোমেদ পাথর

2 অক্কা পাওয়াকথাটির অর্থ কি?

ক.আঘাত পাওয়া

খ. মরে যাওয়া

গ.কষ্ট পাওয়া

ঘ. দু:খ পাওয়া

3. ভাগ্য বিড়ম্বনা বোঝাতে কোনটি ব্যবহৃত হয় ?

ক. কপাল পেরা

খ. ফেঁপে ওঠা

গ. অদৃষ্টের পরিহাস

ঘ. আঙুল ফুলে কলাগাছ

4. আকাশকুসুমবলতে কী বোঝায়?

ক. অতিরিক্ত প্রশংসা

খ. অবাস্তব ভাবনা

গ. হতবুদ্ধি হওয়া

ঘ. বিস্তার ব্যবধান

5. বোকামির দন্ডঅর্থে কোন বাগধারাটি ব্যবহৃত হয়?

ক. আক্কেল সেলামি

খ. অর্ধচন্দ্র

গ. আক্কেল গুডুম

ঘ. তামার বিষ

6. খন্ড প্রলয়প্রবাদটি কোন অর্থ প্রকাশ করে?

ক. মহা ঝড়-ঝাপটা

খ. তুমুল কান্ড

গ. ছোটখাটো কথা কাটাকাটি

গ. ভয়ংকর ঘটনা

7.কুল কাঠের আগুনবাগধারাটির অর্থ কোনটি?

ক. তীব্র মন:কষ্ট

খ. অগ্নিশর্মা

গ. কাঠখড় পোড়ানো

ঘ. অগ্নিকান্ড

8.একগুঁয়েভাবটি কোন প্রবাদে প্রকাশ পায়?

ক. উড়নচন্ডী

খ. গেঁফখেজুরে

গ. রাঘব বোয়াল

ঘ. গোঁয়ার গোবিন্দ

9.গোল্লায় যাওয়া বাগধারাটি কোন অর্থ বহন করে?

ক. উচ্ছনে যাওয়া

খ. ঘর ছাড়া

গ. চোরাবালি

ঘ. বালির বাঁধ

10. কোন বাগধারাটি তাসের ঘরবাগধারার সমার্থক?

ক.ঘরের ঢেঁকি

খ. ঘর ভাঙানো

গ. চোরাবালি

ঘ. বালির বাঁধ

11. তামার বিষকথাটির অর্থ কি ?

ক. অহংকার

খ. বিষদ্রব্য

গ. অর্থের কুপ্রভাব

ঘ. বিষাক্ত তামা

12.দুধের মাছিবাগধারাটি কী অর্থ বহন করে ?

ক. চালবাজ

খ. সুসময়ের বন্ধু

গ. ভন্ড সাধু

ঘ. দুর্দিনের সাথী

13.বাইরের ঠাঁট বজায় রেথে চলেএমন ভাব বোঝাতে কোন বাগধারা প্রচলিত ?

ক. ব্যাঙের আধুলি

খ. ঠেঁটকাটা

গ. লেফাফা দুরস্ত

ঘ. ভিজে বেড়াল

14.অনিষ্টে ইষ্ট লাভবোঝাতে কোন বগিধারাটি ব্যবহৃত হয় ?

ক. আহলাদে আটখানা

খ. তামার বিষ

গ. শাপে বর

ঘ. হিতে বিপরীত

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

 

অন্যান্য আরও উদাহরণ

 

বাগধারা

অর্থ

অ আ ক খ

প্রাথমিক জ্ঞান

অকাট মূর্খ

জড়বুদ্ধিসম্পন্ন

অকাল কুষ্মাণ্ড

অপদার্থ, অকেজো

অকালপক্ব

বয়সের তুলনায় বেশি পাকা

অকূল পাথার

ভীষণ বিপদ

অকূলে কূল পাওয়া

নিরুপায় অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া

অক্কা পাওয়া

মারা যাওয়া

অক্ষরে অক্ষরে

সম্পূর্ণভাবে

অগস্ত্য যাত্রা

চিরদিনের জন্য প্রস্থান

অগাধ জলের মাছ

সুচতুর ব্যক্তি

অগ্নিপরীক্ষা

কঠিন পরীক্ষা

অগ্নিশর্মা

নিরতিশয় ক্রুদ্ধ

অঘটন ঘটন পটিয়সী

অসাধ্য সাধনে পটু

অচলায়তন

গোঁড়ামিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান

অজমূর্খ

নিরেট বোকা

অতি চালাকের গলায় দড়ি

বেশি চালাকির পরিণাম

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট

অতিরিক্ত লোভ করলে সব হারাতে হয়

অথই জল

ভীষণ বিপদ

অদৃষ্টের পরিহাস

ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা

অনধিকার চর্চা

সীমার বাইরে পদক্ষেপ

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা

অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি জ্ঞাপন

অন্ধকার দেখা

দিশেহারা হয়ে পড়া

অন্ধকারে ঢিল মারা

আন্দাজে কাজ করা

অন্ধকারে থাকা

কিছু না জানা

অন্ধের যষ্টি/ ষষ্ঠি/ নড়ি

একমাত্র অবলম্বন

অন্নের সংস্থান

জীবিকার উপায়

অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা

পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যক্রম গ্রহণ

অমাবস্যার চাঁদ

দুর্লভ বস্তু

অরণ্যে রোদন

নিষ্ফল আবেদন

অর্ধচন্দ্র

গলাধাক্কা

অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী

সামান্য বিদ্যার অহঙ্কার

অশ্বডিম্ব

অসম্ভব বস্তু

অষ্টরম্ভা

কিছুই না পাওয়া

অস্থি-চর্মসার

শীর্ণ দেহ

অহিনকুল সম্বন্ধ

ভীষণ শত্রুতা

অয় বট[৩]

প্রাচীন ব্যক্তি

আঁকুপাঁকু করা

ছটফট করা

আঁতিপাঁতি

সবজায়গায়

আঁধার ঘরের মানিক

প্রিয় বস্তু

আকাশ কুসুম

অসম্ভব কল্পনা

আকাশ থেকে পড়া

অপ্রত্যাশিত

আকাশ পাতাল

প্রচুর ব্যবধান

আকাশ পাতাল ভাবনা

উদ্দেশ্যহীন চিন্তা

আকাশ ভেঙে পড়া

ভীষণ বিপদে পড়া

আকাশে তোলা

অতিরিক্ত প্রশংসা করা

আকাশের চাঁদ

দুর্লভ বস্তু

আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া

দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি

আক্কেল গুড়ুম

হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত

আক্কেল সেলামি

নির্বুদ্ধিতার দণ্ড

আখের গোছানো

ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া

আগড়ম বাগড়ম

অর্থহীন কথা

আগুন নিয়ে খেলা

ভয়ঙ্কর বিপদ

আগুন লাগা সংসার

নষ্ট হচ্ছে এমন সংসার

আগুনে ঘি ঢালা

রাগ বাড়ানো

আঙুল ফুলে কলাগাছ

হঠাৎ বড়লোক

আটকপালে

হতভাগ্য

আঠারো আনা

বেশি সম্ভাবনা

আঠারো মাসে বছর

দীর্ঘসূত্রতা

আতে ঘা

মনে ব্যথা দেওয়া

আদা জল খেয়ে লাগা

প্রাণপণ চেষ্টা করা

আদার ব্যাপারী

সামান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ব্যক্তি

আদায় কাঁচকলায়

শত্রুতা

আদ্যিকাল

সেকেলে

আপন কোলে ঝোল টানা

নিজের স্বার্থ দেখা

আপন পায়ে কুড়োল মারা

নিজের অনিষ্ট করা

আবোল তাবোল

এলোমেলো কথা

আমলে আনা

গুরুত্ব দেওয়া

আমড়া কাঠের ঢেঁকি

অপদার্থ

আমড়াগাছি করা

তোষামোদ করা

আমতা আমতা করা

ইতস্তত করা, দ্বিধা করা

আলালের ঘরের দুলাল

অতি আদরে বড়লোকের নষ্ট পুত্র

আষাঢ়ে গল্প

আজগুবি কেচ্ছা

আষ্টেপৃষ্ঠে

সর্বাঙ্গে

আসমান জমিন ফারাক

অনেক প্রভেদ

আসর গরম করা

সভাজনদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি

আসরে নামা

কাজে অবতীর্ণ হওয়া

আসলে মুষল নেই, ঢেঁকিঘরে চাঁদোয়া

ঠিকমতো ব্যবস্থা গ্রহণের অভাব

আস্তানা গাড়া

সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা

আহ্লাদে আটখানা

অত্যন্ত খুশি

আড়ি পাতা

লুকিয়ে কথা শোনা

ইঁচড়ে পাকা

অকালপক্ব

ইঁদুর কপালে

নিতান্ত মন্দ ভাগ্য

ইতর বিশেষ

পার্থক্য

ইতিউতি

এদিক ওদিক

ইনিয়ে বিনিয়ে

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে

ইলশে গুড়ি

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ইলাহি কাণ্ড

বিরাট আয়োজন

ঈদের চাঁদ

আকাঙ্ক্ষিত বস্তু

উঁচু ঘর

স্বচ্ছল পরিবার

উজানের কই

সহজলভ্য

উঠতে বসতে

যখন তখন

উঠতি বয়স

যৌবনের প্রথমদিক

উঠবস করা

অপরের ওপর বন্ধুত্ব দেখানো

উঠে পড়ে লাগা

দৃঢ় সংকল্প

উত্তম মধ্যম (দেওয়া)

প্রহার, পিটুনি

উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে

একের দোষ অপরের ওপর চালানো

উনিশ বিশ

সামান্য পার্থক্য

উভয় সঙ্কট

দুইদিকেই বিপদ

উলুখাগড়া

নিরীহ প্রজা

উলুবনে মুক্তা ছড়ানো

অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান

উড়নচণ্ডী

অমিতব্যয়ী

উড়ু উড়ু করা

অস্থির ভাব

উড়ে এসে জুড়ে বসা

অনধিকারীর অধিকার

উড়ো কথা

গুজব

উড়োচিঠি

বেনামী পত্র

ঊনপাঁজুরে

দুর্বল, মন্দভাগ্য

এঁটে ওঠা

সমানে পাল্লা নিতে পারা

এক কথার মানুষ

কথা রাখে এমন

এক গোয়ালের গরু

এক শ্রেণিভুক্ত

এক ঢিলে দুই পাখি মারা

এক প্রচেষ্টায় উভয় উদ্দেশ্য সাধন করা

এক বনে দুই বাঘ

প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী

এক মাঘে শীত যায় না

বিপদ একবারই আসে না

এক হাত লওয়া

প্রতিশোধ

একক্ষুরে মাথা মুড়ানো

একই স্বভাবের

একচোখা

পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট

একতাই বল

সম্মিলিত শক্তি

একাই একশ

অসাধারণ কুশলী

একাদশে বৃহস্পতি

সৌভাগ্যের বিষয়

এলাহি কাণ্ড

বিরাট আয়োজন

এলোপাতাড়ি

বিশৃঙখলা

এসপার ওসপার

মীমাংসা

ওজন বুঝে চলা

আত্মসম্মান রক্ষা করা

ওত পাতা

সুযোগের অপেক্ষায় থাকা

ওলট পালট

বিশৃঙখলা

ওষুধ পড়া

যথাযোগ্য প্রভাব পড়া

ওষুধে ধরা

প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া

[সম্পাদনা]

ঔষধ ধরা

কাঙ্ক্ষিত ফললাভ

ঔষধ পড়া

প্রভাবে পড়া

ক অক্ষর গোমাংস

বর্ণপরিচয়হীন মূর্খ

কংস মামা

নির্মম আত্মীয়

কচু বনে কালাচাঁদ

অপদার্থ

কচ্ছপের কামড়

যা সহজে ছাড়ে না

কত ধানে কত চাল

হিসাব করে চলা

কথার কথা

গুরুত্বহীন কথা

কথায় চিঁড়ে ভেজা

ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন

কপাল কাটা

অদৃষ্ট মন্দ হওয়া

কপাল ফেরা

সৌভাগ্য লাভ

কম্বলের লোম বাছা

অকাজ করা

কর্তার ইচ্ছাই কর্ম

প্রভুর নির্দেশে কাজ

কলকাঠি নাড়া

কুপরামর্শ দেওয়া

কলমের খোঁচা

অসৎভাবে সাধিত আদেশ

কলুর বলদ

একটানা খাটুনি

কল্কে পাওয়া

পাত্তা পাওয়া

কড়ায় গণ্ডায়

সম্পূর্ণ, পুরোপুরি

কাঁচা পয়সা

নগদ উপার্জন

কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা

অল্প বয়সে বিগড়ানো

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা

শত্রু দ্বারা শত্রু নাশ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

অসম্ভব বস্তু

কাকজোছনা

ক্ষীণ চন্দ্রালোক

কাকতালীয়

আকস্মিক যোগাযোগ

কাকভূষণ্ডী

দীর্ঘজীবী ব্যক্তি

কাকস্নান

সংক্ষিপ্ত গোসল

কাগজে কলমে

লিখিতভাবে

কাছা ঢিলা

অসাবধান

কাজের কথা

প্রয়োজনীয়

কাজের কাজি

কর্মদক্ষ

কাঞ্চনমূল্য

অগ্নিমূল্য

কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা

যন্ত্রণায় নতুন মাত্রা যোগ করা

কাঠখড় পোড়ানো

নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম

কাঠের পুতুল

নির্জীব, অসার

কাণ্ডজ্ঞান

উচিত অনুচিত বোধ

কান খাড়া করা

মনোযোগী হওয়া

কান পাতলা

সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ

কান ভারী করা

কুপরামর্শ দান

কানকাটা

নির্লজ্জ

কানামাছি খেলা

শিশুদের খেলা

কানে আঙুল দেওয়া

না শোনার চেষ্টা করা

কানে মন্ত্র দেওয়া

কুপরামর্শ দান

কাপড়ে বাবু

বাহ্যিক সভ্য

কুঁড়ের বাদশা

ভয়ানক অলস

কুনোব্যাঙ

সীমিত জ্ঞান সম্পন্ন

কুপোকাত

পরাজিত

কুলকাঠের আগুন

তীব্র জ্বালা

কূপমণ্ডুক

ঘরকুনো, সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন

কেঁচে গণ্ডুষ

পুনরায় আরম্ভ

কেঁচো খুঁড়তে সাপ

সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি

কেউকেটা

সামান্য

কেতাদুরস্ত

পরিপাটি

কেল্লা ফতে করা

কঠিন কাজে সফল হওয়া

কৈ মাছের প্রাণ

যা সহজে মরে না

কোণঠাসা করা

বেকায়দায় ফেলা

কোমর বাঁধা

দৃঢ়সংকল্প

খণ্ড প্রলয়

তুমুল কাণ্ড, ভীষণ ব্যাপার

খয়ের খাঁ

চাটুকার

খাতির জমা

নিরুদ্বিগ্ন

খাল কেটে কুমির আনা

বিপদ ডেকে আনা

খিচুড়ি পাকানো

জটিল করা

খুঁটির জোর

পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা

খোশগল্প

আনন্দের কথাবার্তা

গড্ডলিকা প্রবাহ

অন্ধ অনুকরণ

গণেশ উলটানো

উঠে যাওয়া, ফেল মারা

গণ্ডারের চামড়া

অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন

গদাই লস্করি চাল

অতি ধীর গতি, আলসেমি

গভীর জলের মাছ

ধূর্ত

গরজ বড় বালাই

প্রয়োজনেই জিনিসের গুরুত্ব বোঝা যায়

গরিবের ঘোড়ারোগ

অবস্থার অতিরিক্ত চাওয়া

গরু খোঁজা করা

তন্নতন্ন করে খোঁজা

গলগ্রহ

পরের বোঝাস্বরূপ থাকা

গা-ঢাকা দেওয়া

আত্মগোপন করা

গা তোলা

নড়েচড়ে ওঠা

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল

প্রাপ্তির পূর্বেই ভোগের আয়োজন

গাছে তুলে মই কাড়া

আশা দিয়ে আশ্বাস ভঙ্গ করা

গায়ে পড়া

অযাচিত

গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো

কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা

গায়ের ঝাল ঝাড়া

শোধ লওয়া

গুড়ে বালি

আশায় নৈরাশ্য

গোঁফ খেজুরে

নিতান্ত অলস

গোঁয়ার গোবিন্দ

নির্বোধ অথচ হঠকারী

গোকুলের ষাঁড়

বেকার, ভবঘুরে

গোদের ওপর বিষফোঁড়া

বিপদের ওপর বিপদ

গোবর গণেশ

মূর্খ

গোবরে পদ্মফুল

অস্থানে ভালো জিনিস

গোবেচারা

নিরীহ ও বোকা

গোলক ধাঁধা

জটিল বিষয়

গোল্লায় যাওয়া

নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া

গোড়ায় গলদ

শুরুতে ভুল

গৌরচন্দ্রিকা

ভূমিকা

গৌরবে বহুবচন

গর্ব করার সুযোগ তৈরি হলে তখন সেই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত বা একাত্ম হয়ে ওঠার প্রবণতামূলক ভণ্ডামি

ঘর থাকতে বাবুই ভেজা

সুযোগ থাকতে কষ্ট

ঘর ভাঙানো

সংসার বিনষ্ট করা

ঘরপোড়া গরু

বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি

ঘরের শত্রু বিভীষণ

অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আপনজনের শত্রু হওয়া

ঘাটে এসে তরি ডোবা

কাজের শেষ দিকে এসে বিফল হওয়া

ঘাটের মড়া

অতি বৃদ্ধ

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে স্বস্তি

ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি

বড় বিপদ

ঘুণাক্ষর

আভাস ইঙ্গিত

ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া

মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা

(ঘোড়ার) ঘাস কাটা

বাজে কাজে সময় নষ্ট করা

ঘোড়ার ডিম

অস্তিত্বহীন বস্তু

ঘোড়ারোগ

সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ

চক্ষু চড়কগাছ

বিস্মিত হওয়া

চক্ষু ছানাবড়া

অতিশয় বিস্মিত

চশমখোর

নির্লজ্জ

চাঁদের হাট

আনন্দের প্রাচুর্য

চিনির বলদ

ভারবাহী তবে ফল লাভের অংশীদার নয়

চোখে অন্ধকার দেখা

দিশেহারা হয়ে পড়া

চোখে চোখে রাখা

সতর্ক নজরদারি

চোখে ধুলা দেওয়া

ফাঁকি দেওয়া

চোখে সরষে ফুল দেখা

বিপদে দিশেহারা হওয়া

চোখে সাঁতার পানি

অতিরিক্ত মায়া কান্না

চোখের পর্দা

লজ্জা

চোখের বালি

চক্ষুশূল

ছকড়া নকড়া

সস্তা দর

ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো

অকাজের জন্য অবহেলিত ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা

ছাইচাপা আগুন

সুপ্ত প্রতিভা

ছাপোষা

অত্যন্ত গরিব

ছিঁচকাঁদুনে

অল্পতেই কান্নাকাটি করা

ছিনিমিনি খেলা

নষ্ট করা

ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা

সামান্য লাভে দুর্নাম কুড়ানো

ছেঁকে ধরা

ঘিরে ধরা

ছেঁড়া চুলে খোঁপা বাধা

বৃথা চেষ্টা

ছেলের হাতের মোয়া

সহজলভ্য বস্তু

জগদ্দল পাথর

গুরুভার

জগাখিচুড়ি

বিশৃঙখল

জগাখিচুড়ি পাকানো

গোলমাল বাধানো

জমজমাট

সরগরম

জলে কুমির ডাঙায় বাঘ

উভয় সংকট

জিলাপির প্যাঁচ

কুটিলতা

ঝাঁকের কই

দলভুক্ত

ঝোপ বুঝে কোপ মারা

সুযোগ মত কাজ করা

টইটম্বুর

পরিপূর্ণ

টনক নড়া

চৈতন্যোদয় হওয়া, বুঝে ওঠা

টাকার কুমির

প্রচুর অর্থের মালিক

টাকার গরম

বিত্তের অহঙ্কার

ঠাঁট বজায় রাখা

অভাব চাপা রাখা

ঠাণ্ডা লড়াই

মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ

ঠুঁটো জগন্নাথ

অকর্মণ্য

ঠেলার নাম বাবাজি

চাপে পড়ে কাবু হওয়া

ঠোঁটকাটা

বেহায়া, স্পষ্টবাদী

ডান হাতের কাজ

খাওয়া

ডুমুরের ফুল

দুর্লভ বস্তু

ঢাক ঢাক গুড় গুড়

গোপন রাখার চেষ্টা

ঢাকের কাঠি

মোসাহেব

ঢি ঢি পড়া

দুর্নাম রটা

ঢিমে তেতালা

খুবই মন্থর গতি

তামার বিষ

অর্থের কু-প্রভাব

তালকানা

বেতাল হওয়া

তালপাতার সেপাই

অত্যন্ত রোগা

তাসের ঘর

ক্ষণস্থায়ী বস্তু

তিলকে তাল করা

তুচ্ছ ব্যাপারকে বড় করে দেখানো

তিলে তিলে

একটু একটু করে

তীরে এসে তরী ডোবা

কাজের শেষ দিকে এসে বিফল হওয়া

তীর্থের কাক

সাগ্রহে প্রতীক্ষাকারী

তুলসী বনের বাঘ

ভণ্ড

তুষের আগুন

দুঃসহ যন্ত্রণা

তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠা

প্রচণ্ড রাগান্বিত হওয়া

থ বনে যাওয়া

স্তম্ভিত হওয়া

থই থই

পরিপূর্ণ

দহরম মহরম

ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

দা-কুমড়া

ভীষণ শত্রুতা

দিনকে রাত করা

মিথ্যাকে সত্য ও সত্যকে মিথ্যা বানানো

দিনে দুপুরে ডাকাতি

প্রকাশ্যে ঠকানো

দিল্লি দূর অস্ত

লক্ষ্য থেকে অনেক দূর, লক্ষ্যে পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব

দুধকলা দিয়ে সাপ পোষা

না বুঝে কৃতঘ্ন লোকের উপকার করা

দুধে ভাতে থাকা

সচ্ছল থাকা

দুধের মাছি

সুসময়ের বন্ধু

দুমুখো সাপ

দুজনকে দুরকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী

ধরাকে সরা জ্ঞান করা

সকলকে তুচ্ছ ভাবা

ধরি মাছ না ছুঁই পানি

কৌশলে কার্যোদ্ধার

ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির

ভণ্ড

ধামাধরা

চাটুকারীতা

ধান ভানতে শিবের গীত

অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য

ধুন্ধুমার

তুমুল কাণ্ড

ধোপদুরস্ত

বাবুয়ানি

ননীর পুতুল

শ্রমবিমুখ

নয়ছয়

অপচয়

নয়নের মণি

পরম আদরের

নাক গলানো

অনধিকার চর্চা

নাক সিঁটকানো

অবজ্ঞা করা

নাকে খত দেওয়া

প্রায়শ্চিত্ত করা

নাড়ির টান

মমত্ববোধ

নেই আঁকড়া

একগুঁয়ে

পগার পার

পলায়ন করা

পটল তোলা

মারা যাওয়া

পটের বিবি

বিলাসী ও নিষ্কর্মা মেয়ে

পথে বসা

সর্বস্বান্ত হওয়া

পদ্মপাতার জল

ক্ষণস্থায়ী

পরের ধনে পোদ্দারি

অন্যের সম্পদ নিজের কাজে ব্যবহার

পাকা ধানে মই দেওয়া

বড় ধরনের ক্ষতি করা

পালের গোদা

দলপতি

পায়াভারী

অহংকারী

পুঁটিমাছের প্রাণ

ক্ষুদ্র প্রাণ

পুকুরচুরি

বড় রকমের চুরি

পেটে পেটে বুদ্ধি

দুষ্ট বুদ্ধি

পোয়াবারো

সৌভাগ্য

ফপর দালালি

অতিরিক্ত চালবাজি

ফাঁক ফোকর

দোষত্রুটি

ফুটি-ফাটা

চৌচির হওয়া

ফেঁপে ওঠা

হঠাৎ বিত্তবান হওয়া

ফোঁড়ন কাটা

টিপ্পনি কাটা

বক ধার্মিক

ভণ্ড সাধু

বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো

অসার আস্ফালন

বর্ণচোরা/ বর্ণচোরা আম

কপট ব্যক্তি

বসন্তের কোকিল

সুসময়ের বন্ধু

বাঁ হাতের খেল / কাজ / ব্যাপার

সহজ কাজ; অন্য অর্থে, ঘুষ গ্রহণ

বাগে পাওয়া

আওতার মধ্যে পাওয়া

বাঘের দুধ/ চোখ

দুঃসাধ্য বস্তু

বাজিয়ে দেখা

পরখ করা

বাপের বেটা

সাহসী

বামন হয়ে চাঁদে হাত

অসম্ভব আশা পোষণ

বালির বাঁধ

অস্থায়ী বস্তু

বিদ্যার জাহাজ

মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক

বিনা মেঘে বজ্রপাত

হঠাৎ বিপদে পড়া

বিষবৃক্ষ

অনিষ্টকারী

বিসমিল্লায় গলদ

শুরুতেই ভুল

বিড়াল তপস্বী

ভণ্ড সাধু

বুকের পাটা

সাহস

বুদ্ধির ঢেঁকি

নিরেট মূর্খ

ব্যাঙের আধুলি

সামান্য সম্পদ

ব্যাঙের সর্দি

অসম্ভব ঘটনা

ভরাডুবি

সর্বনাশ

ভাবের ঘরে চুরি

আসল উদ্দেশ্য পণ্ড করে শুধু বাইরের ঠাঁট বজায় রাখার প্রবণতা

ভিজে বেড়াল

কপটাচারী

ভিটেয় ঘুঘু চড়ানো

সর্বস্বান্ত করা

ভুঁইফোড়

হঠাৎ বড়লোক

ভুষণ্ডির কাক

দীর্ঘজীবী

ভূতের বেগার

অযথা শ্রম

মগের মুল্লুক

অরাজক দেশ

মণিকাঞ্চন যোগ

উপযুক্ত মিলন

মন না মতি

অস্থির মানব মন

মশা মারতে কামান দাগা

সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন

মরার ওপর খাড়ার ঘা

কষ্টের ওপর কষ্ট

মাছের মায়ের পুত্র শোক

কপট বেদনাবোধ

মাটির মানুষ

সরলপ্রাণ

মামাবাড়ির আবদার

চাইলেই পাওয়া যায় এমন

মিছরির ছুরি

মুখে মধু অন্তরে বিষ

মুখে ফুলচন্দন পড়া

সুসংবাদের জন্য ধন্যবাদ

মৌচাকে ঢিল মারা

বিপজ্জনক স্থানে আঘাত করা

যক্ষের ধন

কৃপণের কড়ি

যত গর্জে তত বর্ষে না

আয়োজনের তুলনায় কম কাজ হওয়া

রাঘব বোয়াল

সর্বগ্রাসী ক্ষমতাসীন ব্যক্তি

রাবণের চিতা

চির অশান্তি

রাশভারী

গম্ভীর প্রকৃতির

রুই কাতলা

পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি

লঙ্কাকাণ্ড

তুমুল ঝগড়া

লজ্জার মাথা খাওয়া

নির্লজ্জতা

লেজে গোবরে অবস্থা

নাজেহাল হওয়া

লেফাফা দুরস্ত

বাইরের ঠাট বজায় রেখে চলেন যিনি

শক্তের ভক্ত নরমের যম

সবলকে ভয় ও দুর্বলকে অত্যাচার করে এমন

শাঁখের করাত

উভয় সংকট

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা

দোষ চাপা দেওয়ার ভুল পদ্ধতি

শাপে বর

অনিষ্টে ইষ্ট লাভ

শিবরাত্রির সলতে

একমাত্র সম্বল

ষণ্ডামার্কা

গুণ্ডা প্রকৃতির

ষোল আনা

সম্পূর্ণ

ষোল কলা

পুরোপুরি

সর্ষে ফুল দেখা

বিপদে দিশেহারা হওয়া

সাক্ষী গোপাল

নিষ্ক্রিয় দর্শক

সাপে-নেউলে

শত্রুতা

সুখের পায়রা

সুসময়ের বন্ধু

সেয়ানে সেয়ানে

দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে

সোনার পাথরবাটি

অসম্ভব বস্তু

সোনায় সোহাগা

উপযুক্ত মিলন

হ-য-ব-র-ল

উল্টোপাল্টা

হস্তীমূর্খ

নিরেট মুর্খ

হাটে হাঁড়ি ভাঙা

গোপন কথা প্রকাশ করা

হাতটান

চুরির অভ্যাস

হাতের পাঁচ

শেষ সম্বল

হালে পানি পাওয়া

সুবিধা করা

হাড় হাভাতে

হতভাগ্য

হাড়ে বাতাস লাগা

স্বস্তি পাওয়া

 

ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI GRAMMAR

সেবা অসম দশম শ্রেনী বাংলা বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা

 

***********

 

Post a Comment

0 Comments