ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ মুজতবা আলী
(১৯০৪-১৯৭৪)
ASSAM SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ মুজতবা আলী
লেখক পরিচিতি :
সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা
গদ্য সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। নামকরা এই শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ১৯০৪ সালের
১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীহট্ট জেলার করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ সিকন্দর
আলী পেশায় একজন সাব রেজিষ্ট্রার ছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতক
ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্বভারতীতে (শান্তিনিকেতন) তিনি বহু ভাষা শেখার সুযোগ লাভ
করেন। শান্তিনিকেতনে পড়াশুনা করে আফগানিস্থানের কাবুলে গিয়ে সেখানকার শিক্ষা
বিভাগে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অধ্যাপনা করেন। ১৯২৮ সালে তিনি জার্মানিতে যান এবং
সেখানে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন।
কর্মসূত্রে তিনি বিশ্বের
বহুস্থানে ভ্রমণ করেছিলেন। বহু ভাষাবিদ এই সাহিত্যিক আরবি, ফরাসি, হিন্দি, সংস্কৃত, মারাঠি, গুজরাটি, উর্দু, ইতালিয়ান, জার্মান
সহ ১৫টি ভাষা জানতেন। গল্প, উপন্যাস ও রম্যরচনায় তার
অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল - চাচাকাহিনী, দেশ
বিদেশে, পঞ্চতন্ত্র, ধূপছায়া, বড়বাবু
প্রভৃতি। ১৯৭৪ সালে তাঁর দেহান্তর ঘটে।
সারাংশ :
ইরান দেশের এক সদাগর এক
ভারতীয় তোতাকে বাঁচায় বন্দি কর রেখেছিলেন। সেই তোতা জ্ঞানে, পাণ্ডিত্যে, রূপে, রসে
অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী ছিল। তাই সদাগর অবসর পেলেই সেই তোতার সঙ্গে তত্ত্বালোচনা
ও রসালাপ করে নিতেন।
হঠাৎ একদিন সদাগর খবর
পেলেন ভারতবর্ষে চড়াদামে কার্পেট বিক্রি হচ্ছে। তখনই তিনি মনস্থির করে ফেলেন
ভারতবর্ষে গিয়ে কার্পেট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করবেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি
ভারতবর্ষে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সেরে ফেলেন। হিলম্বন থেকে ফেরার সময় সবার জন্য
কিছু উপহার আনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তাই তিনি সকলের কাছে জানতে চান কার কী ধরনের
উপহার পছন্দ। তোতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে জানায় যে হিন্দুস্থানে তার
জাতভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে তার বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় জেনে আসাই হবে তার
উপহার।
ভারতবর্ষ থেকে ফেরার সময়
এক ঝাক উড়ন্ত তোতা দেখে সদাগর ইরান দেশের খাঁচায় বন্দি ভারতীয় তোতার মুক্তির
উপায় জিজ্ঞেস করলেন। দুঃসংবাদ শোনামাত্র একটি পাখি ধপ করে মাটিতে পড়ে মরে গেল।
পাখিটির মৃত্যুর জন্য সদাগর নিজেকেই দায়ী করেন। বাড়ি ফিরে সদাগর তোতার সঙ্গে দেখা
করেন না। কিন্তু হঠাৎ একদিন ভুল করে তাতার ঘরে ঢুকে পড়েন! তোতা তার উপহার অর্থাৎ
মুক্তির উপায় জানতে চাইলে সদাগর নীরব থাকেন। সদাগরের এই নির্লিপ্ততা তাকে আঘাত
করে। বাধ্য হয়ে সদাগর হিন্দুস্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ব্যক্ত করেন। একথা শোনামাত্র
তোতাটিও ধপ করে গড়ে মরে যায়। বন্ধুর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে
খাঁচা থেকে তাকে বের করে সদাগর বাড়ির আঙ্গিনায় ছুঁড়ে ফেলেন। মুহূর্তে সে উড়ে
গিয়ে বাড়ির ছাদের উপর বসে। সদাগরের উদ্দেশ্যে বলে, হিন্দুস্থানের তোতাটি আসলে
মরেনি, মরার ভান করে খাচা থেকে
তার মুক্তির উপায় জানিয়েছিল। সদাগর শেষ তত্ত্ব জানাবার অনুরোধ করলে তোতা তাকে
বলেছিল মরার আগে মরতে পারলেই মোক্ষ লাভ সম্ভব হয়।
তারিফ - প্রশংসা। মৌলানা - উচ্চতর শ্রেণির
মুসলমান পণ্ডিত। সদাগর - বণিক। ফুরসত - অবকাশ। তত্তাললোচনা - দার্শনিক জ্ঞান সম্বন্ধে
চর্চা। আক্র মহার্ঘ। সওগাত - উপটৌকন বেরাদরি - বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা। ইয়ারগিরি -
রসিকতা/বয়ম্যভাব। বেবাক - সম্পূর্ণ দরাজ - উদার।
বেইমান অকৃতজ্ঞ। ওয়াদা - প্রতিশ্রুতি।
কলিজা – বুক আপসোস - পরিতাপ। ফায়দা
- লাভ। আস্তাবল - যেখানে ঘোড়া থাকে। তাজ্জব
- অবাক। মোক্ষ - মুক্তি।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 তোতা কাহিনী' গল্পটি
কার লেখা?
ANS:- সৈয়দ
মুজতবা আলীর।
Q.2 মৌলানা জালাল উদ্দিন রুমী কোন
দেশের কবি ছিলেন?
ANS:- পারস্য
দেশের।
Q.3 তোতাটি জ্ঞানে কার মতন ছিল?
ANS:- বৃহস্পতির
মতন।
Q.4 ‘হুজুরের আগমন
শুভ হোক’ - কে কাকে একথা বলেছিলেন?
ANS:- খাঁচায়
বন্দি ভারতীয় তোতা সদাগরকে বলেছিল।
Q.5 ‘তোতা কাহিনী’ পাঠটি
কোন্ গ্রন্থের অন্তর্গত?
ANS:- মৌলানা
জালাল উদ্দিন রুমী রচিত আধ্যাত্মিক গ্রন্থ ‘মসনবি’ - এর অন্তর্গত।
Q.6 ‘গোপীজন বল্লভ’ বলতে
কাকে বোঝানো হয়েছে?
ANS:- শ্রীকৃষ্ণকে।
Q.7 তোতাটি কোন্ দেশের খাঁচায়
বন্দি ছিল?
ANS:- ইরান
দেশের।
Q.8 সদাগরের দিলের দোস্ত কে?
ANS:- তোতা।
Q.9 তার মুক্তির উপায় বলে দিতে
পারো?''- কে, কাকে
এ প্রশ্ন করেছেন?
ANS:- ইরান দেশের
সদাগর, ভারতবর্ষের এক ঝাক তোতাকে
এ প্রশ্ন করেছিলেন।
Q.10 তোতার পাণ্ডিত্যকে লেখক কার
সঙ্গে তুলনা করেছেন?
ANS:- ম্যাক্সমুলারের
পাণ্ডিত্যের সঙ্গে।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 সঠিক উত্তরটি বেছে নাওঃ
(ক) কোরান কোন ভাষায় রচিত?
(১)
ফরাসি, (২) ফার্সি, (৩) আরবি (৪) ইংরেজি।
ANS:- আরবি।
(খ) সদাগর কোন দেশের লোক ছিলেন?
(১)
ইতালি (৭) ইরাক (৩) ইরান (৫) ভারতবর্ষ।
ANS:- ইরান।
Q.2 মৌলানা রুমী সম্বন্ধে পারস্য
দেশের জ্ঞানী গুণীর কী মনোভাব পোষণ করতেন?
ANS:- পারস্য
দেশের জ্ঞানী গুণীরা মৌলানা রুমী সম্পর্কে বলতেন, আল্লা
যদি আরবি ভাষায় কোরান প্রকাশ না করে ফার্সি ভাষায় প্রকাশ করতেন, তবে
মৌলানা জালাল উদ্দিন রুমীর ‘মসনবি’ গ্রন্থটিকে
কোরান নাম দিয়ে চালিয়ে দিতেন। এ ধরনের প্রশংসা আর কোনো দেশের লোকেরা তাদের কবির
জন্য করেননি। এই ভাবেই সেই দেশের নানা শুণীরা তাদের কবিকে সম্মান জানাতেন।
Q.3 সদাগর ভারতীয় তোতার কীভাবে
বর্ণনা করেছেন?
ANS:- ইরান দেশের
সদাগরের ভারতীয় তোতা জ্ঞানে বৃহস্পতি, রসে কালিদাস, সৌন্দর্যে
রুডলফ ভেলান্টিনা, পাণ্ডিত্যে ম্যাক্সমুলারের
সমতুল্য ছিল। তাই সদাগর একটু অবকাশ পেলেই তার সঙ্গে তত্ত্বালোচনা ও রসালাপ করে
নিতেন।
Q.4 সদাগরের প্রশ্নে তোতা
হিন্দুস্থান থেকে কোন উপহার আনার কথা জানিয়েছিলেন?
ANS:- সদাগর
হিন্দুস্থান থেকে ফেরার সময় সবার জন্য কিছু উপহার আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তোতাকে
এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় তোতা জানিয়েছিল যে হিন্দুস্থানে তার জাতভাইয়ের সঙ্গে দেখা
হলে তার বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় জেনে আসাই হবে তার উপহার।
Q.5 তার মুক্তির উপায় বলে দিতে
পারো?' – কে, কোন
প্রসঙ্গে, কাকে এ প্রশ্ন করেছেন?
ANS:- সদাগর তার
বাড়িতে খাঁচায় বন্দি এক ভারতীয় তোতার মুক্তির উপায় প্রসঙ্গে ভারতবর্ষ থেকে
ফেরার সময় এক ঝাক ভারতীয় তোতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন করেছিলেন।
সদাগর কার্পেট বিক্রি করে
অর্থ উপার্জন করতে ইরান থেকে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ভারতে আসার আগে সদাগর তোতাকে
জিজ্ঞেস করেছিলেন সে কী উপহার চায়। সে সময় তোতা সদাগরকে বলেছিল যে, তার
জাতভাইয়ের কাছ থেকে তার বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় জেনে আসার জন্য। তাই সদাগর
এক ঝাক ভারতীয় তোতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন করেছিলেন।
Q.6 “বুঝেছি, কিন্তু
বন্ধু যাবার আগে আমাকে শেষ তত্ত্ব বলে যাও"- এখানে বন্ধু কে? বন্ধুর
শেষ তত্ত্বই বা কী ছিল?
ANS:- এখানে
বন্ধু হল সদাগরের খাচা থেকে মুক্ত ভারতীয় তোতা।
বন্ধুর শেষ তত্বটা ছিল -
মরার আগে মরতে পারলেই মোক্ষ লাভ হয়। মরার ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা
নেই, কামনা-বাসনা নেই, মান
অপমান বোধ নেই। এক কথায় জগতের স মোহ-মায়ার থেকে বন্ধনমুক্ত। তখন তার মোক্ষ লাভ
অনিবার্য। তাই প্রকৃত মৃত্যুর আগ বন্ধনমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Q.1 টীকা লেখো : মসনবি, ম্যাক্সমুলার,
কোরান, আরবি, রুডলফ
ভেলেন্টিননো, কালিদাস, ।
ANS:-
মসনবি :
মসনবি হল মৌলানা
জালালউদ্দিন রুমী রচিত আধ্যাত্মিক গ্রন্থ। এটি ফারসি ভাষায় রচিত। মৌলানা রুমী
নিজের অর্জিত আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাসমূহ গল্পাকারে বর্ণিত আছে।
ম্যাক্সমুলার :
১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে
জার্মানিতে ম্যাক্সলারের জন্ম হয়। তিনি একজন লেখক ও অগাধ পভিত্যের অধিকারী ছিলেন।
তাঁর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়েছে ব্রিটেনে। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে গ্লাসগো
বিশ্ববিদ্যালবের অধ্যাপক পদে আসীন হন। তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের অনুরাগী ছিলেন।
সংস্কৃত ভাষা ও ঋকবেদ সম্বদ্ধে চর্চা করেন। ১১০০ বিস্টাব্দের ২৮ অন্তু
তিনি পরলোক গমন করেন।
কোরান :
মুসলমানদের পবিত্র
ধর্মগ্রন্থ। কোরান আরবি ভাষায় রচিত।
আরবি :
আরব দেশের ভাষ্য। সেমিটিক
বা সামি ভাষা পরিবারে অন্তর্গত। এই ভাষা বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশে প্রচলিত।
রুডলফ ভেলেন্টিননো :
রুডলফ ভেলেন্টিনো (১৮১৫
১৯২৬)বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেতা। তার জন্ম ইতালিতে। তার মা ম্যারি বার্টা
গেব্রিয়েল জাতিতে ফরাসি এবং বাবা একজন ইতালিয়ান ছিলেন। ভেলেন্টিনোর এগারো বছর
বয়সে তার বাবা মারা যান। চরম দারিদ্রের মধ্যে তিনি জিওনাতে কৃষিবিদ্যা শিক্ষা
করেন। তাঁর অভিনীত বিখ্যাত প্রধান ছবিগুলি হল The
Four Horsemen of the Apocalypse, The Sheik, Blood and Sand, The Eagle ইত্যাদি
কালিদাস :
প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ
মহাকবি কালিদাস। তার ব্যক্তিগত জীবন ও আবির্ভাব কাল নিয়ে বিশেষ কিছু জানা সম্ভব
হয়নি। উজ্জয়িনী, কলিঙ্গ এমনকী কাশ্মীরকেও
তার উন্মস্থান বলে ধরা হয়।
কথিত আছে যে প্রথম জীবনে
কালিদাস খুব বুদ্ধিমান ছিলেন না। পরবর্তী জীবনে তার
অসামান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের সভায় অন্যতম রত্নে ছিলেন
কালিদাস। সেই হিসাব অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি
বর্তমান ছিলেন বলে অনুমান করা হয়। তার রচিত বিখ্যাত তিনটি নাটক হল ‘অভিজ্ঞানম
শকুন্তলম’, 'বিক্রমোবর্শীয়’ এবং
'মালবিকাগ্নিমিলন'। ‘রঘুবংশ’
তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। ‘মেঘদূত’ ও
‘ঋতুসংহার’ তার
রচিত দুটি বিখ্যাত খণ্ডকাব্য।
Q.2 “তোতা
এবারে পাচার মত গভীর ষষ্ঠ বললো” - তোতা গম্ভীর কণ্ঠে কাকে কি বললো ।
ANS:- তোতা পাসার
মতো গম্ভীর কণ্ঠে সদাগরকে বললো, হিন্দুস্থানে
যে তোতা তার দূর্ভাগ্যের খবর পেয়ে মারা যায়, সে
কিন্তু আসলে মরেনি! সে মঝার ভান করে তাকে খাঁচা থেকে মুক্ত
হওয়ার উপায় জানিয়েছে।
Q.3 “কিন্তু এ তো
ঘুঘু।“ -কার সম্বন্ধে কেন এ কথা বলা
হয়েছে?
ANS:- এখানে সদাগরের
এক ভারতীয় তোতার সম্বন্ধে বলা হয়েছে। কারণ
সাগর তোতার নিকট অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন যে হিন্দুস্থানে তোতার জাতভাইদের ন তার
মুক্তির উপায় জেনে আসবেন। কিন্তু হিন্দুস্থানে ঘটা তোতার
মৃত্যুর কথা না বলার দৃশ্য তোতার নিকট প্রকট করলেন না। একদিন
ভুল করে তোতার ঘরে প্রবেশ করা মাত্র তোতা তাকে সওগাতের জন্য পাকড়াও করে। সেহেতু
তিনি তোতাকে ঘুঘুর সাথে তুলনা করেন। কারণ ঘুঘু ফান্দিবাজ ও ধূর্ত। তোতা নিরীহ পাখি
হলেও স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদগ্রীব।
Q.4 কিভাবে তোতা খাঁচা থেকে
মুক্তি পেল?
ANS:- সদাগর হিন্দুস্তানি তোতার মরে যাওয়ার ঘটনাটি শেষমেষ তার বন্ধু তোতাকে
বলেই ফেললেন।
কথাটি শুনা মাত্র তুতা ধপ করে পড়ে মরে গেল। বন্ধুর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে খাঁচা
থেকে তাকে বের করে সদাগর আঙ্গিনায় ছুড়ে ফেললেন। মুহূর্তে উড়ে গিয়ে বাড়ির ছাদের উপর বসে এভাবেই তোতা
বুদ্ধি খাটিয়ে খাঁচা থেকে মুক্তি পেল।
Q.5 “একই ভুল দুবার করলাম”।
কে, কেন একথা বলেছেন? এখানে ভুলটা কি?
ANS:- সদাগর এ কথা বলেছেন।
সওদাগর ভারতে একাধিক তোতাকে দেখে তাদের কাছে
ইরানে বন্দি তোতার মুক্তির উপায় জিজ্ঞেস করেন। একথা শুনা মাত্র ওই ঝাঁক থেকে একটি পাখি ধপ করে মাটিতে
পড়ে মারা যায়। পাখিটির মৃত্যুর জন্য
সদাগর নিজেকেই দায়ী করেন। তাই ভারত থেকে বাড়িতে ফিরে এসে আর তোতার ঘরে জাননি। একদিন ভুল করে তোতার ঘরে ঢুকে পড়েন এবং বাধ্য হয়ে শেষমেষ
হিন্দুস্তানি ঘটা ঘটনাটি বলে ফেলেন। শুনামাত্র খাঁচায় বন্দী করে রাখা তোতা ধপ করে মাটিতে পড়ে
মরে যায়। এই ঘটনার জন্যও তিনি
নিজেকেই দায়ী করেন।
তাই তিনি বলেন একই ভুল দুবার করলেন।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.1 তোতাকে বন্দি করে রাখার কারণ
বিশ্লেষণ করো।
ANS:- ইরন দেশের
এক সাগর এক ভারতীয় তোতাকে খাঁচায় বন্দি করে নিজের ঘরে রেখেছিলেন। এই বন্দি তোতা
জ্ঞানে বৃহস্পতি, রসে কালিদাস, রূপে
রুডলফ ভেলেন্টিনো, ও পাণ্ডিত্যে
ম্যাক্সমুলারের সমতুল্য ছিল। সদাগর একটু সময় পেলেই তার সঙ্গে রসালাপ করে নিতেন।
তাই এই জ্ঞান ও রসের আনন্দ পাওয়ার জন্যে সদাগর তোতাকে বন্দি করে রেখেছিলেন।
Q.2 ব্যাখ্যা করো।- “সদাগর
ফাটা বাঁশের মধ্যিখানে।"
ANS:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘তোতা কাহিনী’ গল্প
অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ফাটা বাঁশের মধ্যিখানে বলতে উভয় সংকটের কথা বলা
হয়েছে।
সদাগর ভারতবর্ষে এক ঝাক তোতা
দেখে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করেন, 'তোমাদের এক বেরাদর ইরাণ দেশের
খাঁচায় বন্ধ হয়ে দিন কাটাচ্ছে। তার মুক্তির উপায় কে বলে দিতে পারবে? এই
সংবাদটি শোনামাত্র একটি পাখি ধপ করে মাটিতে পড়ে মরে যায়। সদাগর তার মৃত্যুর জন্য
নিজেকেই দায়ি করেন। তাই বাড়িতে ফিরে এসে তিনি তোতার ঘরে আর যাননি, পাছে
তোতা তার কাছে উপহার চেয়ে বসে। কিন্তু একদিন ভুল করে তোতার ঘরে ঢুকে পড়েন। আর যাবেন
কোথায়? তোতা তার উপহার চেয়ে বসলো
অর্থাৎ মুক্তির উপায় জানতে চাইল। তখন সদাগর উভয় সংকটে
পড়ে গেলেন। হিন্দুস্থানে ঘটে যাওয়া
ঘটনাটি বললে যদি বন্দি তোতাটি মরে যায়, তাহলে দ্বিতীয় বার তিনি
একই ভুল করবেন। আর না বললে তোতার কাছে দেওয়া প্রতিজ্ঞাও ভঙ্গ হতে বসেছে। তাই তিনি
বলতেও পারছেন না, আবার ঘটনা চেপে যেতেও
পারছেন না। এরুপ অবস্থা বোঝাতে
উদ্ধৃত কথাটি বলা হয়েছে। ফাটা বাঁশের মধ্যিখানে মানে উভয় সংকটে পড়া।
Q.3 ব্যাখ্যা করো।- “ঘোড়া
চুরির পর আস্তাবলে তালা মেরে কি লাভ।”
ANS:- আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত “তোতাকাহিনী” থেকে
গৃহীত। এখানে ঘর থেকে সম্পদ চুরি যাওয়ার পর তাতে তালাচাবি মেরে রাখা অর্থহীন তাই
বলা হয়েছে। এ আস্তাবল থেকে ঘোড়া চুরি হওয়ার পর শূন্য আস্তাবলে তালাচাবি মেরে
কোন লাভ নেই। সদাগরের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। হিন্দুস্থানের তোতার
পরিণতির কথা সদাগর তার বাড়িতে খাঁচায় বন্দি তোতাকে শোনানোর পর বন্দি তোতাটি
হিন্দুস্থানের তোতার মতো ধপ করে পড়ে মরে যায়। কিন্তু এ ভুল করার পর সদাগর ভাবলেন
মৃত তোতার জন্য দুঃখ করে কী লাভ আর হবে। আগে ব্যবস্থা নিলে তোতাকে হয়তো বাঁচানো
যেত। তাই মৃত তোতাকে আর খাঁচায় বন্দি রেখে কোন লাভ নেই। তাই এ প্রসঙ্গে আলোচ্য
উদ্ধৃতাংশটির অবতারণা করা হয়েছে।
Q.4 ব্যাখ্যা করো।– “মরার আগেই
যদি মরতে পারো, তবেই মোক্ষ লাভ।”
ANS:- উদ্ধৃতাংশটি
সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘তোতা কাহিনী’ থেকে
নেওয়া হয়েছে। এখানে সদাগরের অনুরোধক্রমে, বন্দিদশা থেকে মুক্ত তোতার
শেষ তত্ব সম্পর্কে বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
তোতার শেষ তত্ত্বটা ছিল – ‘মরার আগে
যদি মরতে পারো, তবেই মোক্ষ লাভ।’ সদাগরের
উদ্দেশ্যে তোতার এই বক্তব্যের মমার্থ হল - কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, মান
অপমান বোধ ত্যাগ করে মানুষ যদি মোহ-মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সৎ পথ অবলম্বন
করে মরার মতো চলতে পারে তবেই সে মোক্ষ লাভ করতে পারে। কারণ মরার ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা
নেই, মান-অপমান বোধ নেই। সে সব
বন্ধন থেকে মুক্ত, সে নির্বাণ, মম
সবই পেয়েছে। তাই মরার আগে মরার চেষ্টা অর্থাৎ সকল মোহ-মায়া ত্যাগ করা উচিত।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর
Q.1 ‘তোতাকাহিনী’ নামকরণের
সার্থকতা আলোচনা করো।
ANS:- যে কোন
গল্পের নামকরণ সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নামকরণের সাহায্যে গল্পের
বিষয়বস্তু সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। আলোচ্য গল্পের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে তোতাকেই
গল্পের সর্বাংশে পাই। গল্পে ইরান দেশের এক সদাগর এক ভারতীয় তোতাকে খাঁচায় বন্দি
করে রেখেছিলেন। সে তোতা জ্ঞানে বৃহস্পতি, রসে কালিদাস, সৌন্দর্যে
রুডলফ ভেলেন্টিনো আর পাণ্ডিত্যে ম্যাক্সমুলারের সমতুল্য। তাই সদাগর একটু অবসর
পেলেই তার সঙ্গে রসালাপ ও তত্ত্বালোচনায় মেতে উঠতেন। ভারতবর্ষে চড়াদামে কার্পেট
বিক্রি হচ্ছে জেনে সদাগর মনস্থির করেন ভারতবর্ষে গিয়ে কার্পেট বিক্রি করে অর্থ
উপার্জন করবেন। হিন্দুস্থান থেকে ফেরার সময় সবার জন্য কিছু উপহার আনার ইচ্ছাও
প্রকাশ করেন। তোতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বলে হিন্দুস্থানে তার জাতভাইয়ের
সঙ্গে দেখা হলে সদাগর যেন তার বন্দিদশা থেকে মুক্তির উপায় জেনে আসে। আর তা-ই হবে
তার উপহার। ভারতবর্ষ থেকে ফেরার সময় একঝাক উড়ন্ত তোতা দেখে সদাগর জিজ্ঞেস করলেন, তাদের
এক জাতভাই ইরান দেশের খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে। তার মুক্তির উপায় কী? দুঃসংবাদটি
শোনামাত্র একটি পাখি ধপ করে মাটিতে পড়ে মরে যায়। পাখিটির মৃত্যুর জন্য সদাগর
নিজেকেই দায়ি মনে করেন। তাই বাড়িতে ফিরে এসে তিনি তোতার সঙ্গে দেখা করেননি।
কিন্তু একদিন ভুল করে তোতার ঘরে ঢুকে পড়েন এবং বাধ্য হয়ে হিন্দুস্থানের ঘটনাটি
বলেন। একথা শোনামাত্র তোতাটিও ধপ করে পড়ে মরে যায়। তখন দুঃখিত ও মর্মাহত হয়ে
তিনি মৃত তোতাটিকে খাঁচা থেকে বের করে ছুঁড়ে উঠোনে ফেলেন। মুহূর্তে সে উড়ে গিয়ে
বাড়ির ছাদের উপর বসে। সদাগরের উদ্দেশ্যে সে বলে, হিন্দুস্থানের তোতটি আসলে
মরেনি, মরার ভান করে খাচা থেকে
মুক্তির উপায় জানিয়েছিল। সদাগর শেষ তত্ব জানাবার অনুরোধ করায় তোতা বলেছিল মরার
আগে মরতে পারলেই মােক্ষ লাভ হয়। তোতাকাহিনী গল্পের আলোচ্য বিষয় তোতাকে কেন্দ্র
করেই আবর্তিত হয়েছে। তাই এই গল্পের নামকরণ যথার্থ সার্থক হয়েছে।
Q.2 প্রবাসের বন্দি জীবন থেকে তোতা
কীভাবে মুক্তি পেল পাঠ অবলম্বনে আলোচনা করো।
ANS:- মৌলানা
জালাল উদ্দিন রুমী তার আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা ‘মসনবি’তে বর্ণনা করেছেন। বেশির ভাগই গল্পচ্ছলে বর্ণনা করেছেন। ‘তোতাকাহিনী’ গল্পটি তারই একটি।
ইরান দেশের এক সদাগরের
একটি ভারতীয় তোতা ছিল। তোতাটি জ্ঞানে বৃহস্পতি, রসে কালিদাস, সৌন্দর্যে
রুডলফ ভেলোন্টিনো এবং পাণ্ডিত্যে ম্যাক্স মুলারের সমতুল্য ছিল। একটু অবকাশ পেলেই
সদাগর তার সঙ্গে রসালাপ ও তত্ত্বালোচনা করে নিতেন।
একদিন সদাগর খবর পেলেন
ভারতবর্ষে কার্পেট চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে। তখনই তিনি মনস্থির করে ফেলেন ভারতে
গিয়ে কার্পেট বিক্রি করে অর্থোপার্জন করবেন। সকলের কাছে জানতে চান ভারত থেকে
তাদের জন্য কী নিয়ে আসবেন। তোর কাছেও জানতে চান, তার জন্য কী উপহার নিয়ে
আসবেন। তোতা বলে যদিও সদাগরের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব বহুদিনের তবুও খাচা থেকে মুক্ত
হতে কোন পাখি না চায়। তাই হিন্দু স্থানে যদি তার কোনো জাতভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়
তবে তার অবস্থার কথা বর্ণনা করে সদাগর যেন মুক্তির উপায় জেনে নেন। সদাগর ভারতবর্ষে
বহু টাকা উপার্জন করেন এবং অনৈক উপহার কেনেন। কিন্তু তোতার কথা একেবারেই ভুলে যান। হঠাৎ
একদিন বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তির তোতা দেখে তার দেশের বন্দি তোতার
কথা মনে পড়ে। তখনই তিনি চেচিয়ে বলেন যে তাদের এক জাতভাই ইরান দেশের খাঁচায়
বন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে। তিনি তার মুক্তির উপায় জানতে চান। কোনো পাখিই সদাগরের
কথা খেয়াল কবনি। দুঃসংবাদটা কেবল একটি পাখির উপর এমন আঘাত হানল যে সে তৎক্ষণাৎ ফস করে
মাটিতে পড়ে মরে গেল। পাখিটির মৃত্যুর জন্য সদাগর নিজেকে দায়ি করলেন। বাড়ি
ফিরে সদাগর সবাইকে উপহার দেন। কেবল তোতার ঘরে তিনি যান নি। তিনি হিন্দুস্থানের
ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু একদিন ভুল করে তিনি তোতার ঘরে ঢুকে পড়েন
এবং বাধ্য হয়ে তোতাকে হিন্দুস্থানে ঘটা ঘটনাটি বলে ফেলেন। শোনামাত্র তোতা ধপ করে
পড়ে মরে গেল। বন্ধুর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে মর্মাহত হয়ে খাঁচা থেকে তাকে বের করে
আঙ্গিনায় ছুঁড়ে ফেলে দেন। মুহূর্তে তোতাটি উড়ে গিয়ে বাড়ির ছাদের উপর বসে।
সদাগরের উদ্দেশ্যে বলে, হিন্দুস্থানে যে তোতাটি
তার দুর্ভাগ্যের কথা শুনে মারা যায়, সে আসলে মরেনি। মরার ভান
করে খাঁচা থেকে মুক্তির উপায় জানিয়েছিল। এভাবেই তোতা খাঁচার বন্দিদশা থেকে
মুক্তি পেয়েছিল।
Q.3 সদাগরের চরিত্র বর্ণনা করো।
ANS:- ‘তোতা
কাহিনী’ গল্পে সদাগর ছিলেন ইরান
দেশের বাসিন্দা। সদাগরের তোতাটি ছিল ভীষণ জ্ঞানী, পণ্ডিত, সৌন্দর্য
প্রিয় এবং রসিক প্রকৃতির। তাই সদাগর একটু অবসর পেলেই তার সঙ্গে রসালাপ ও তত্ত্বালোচনা
করে নিতেন। এর থেকে বোঝা যায় যে সদাগর জ্ঞানচর্চা, রসালাপ করতে ভালোবাসতেন।
তিনি সৌন্দর্যের পিপাসু এবং পতিদেরও ভালোবাসতেন। সদাগর
ভালো ব্যবসাও জানতেন। তাই ভারতবর্ষে চড়া দামে কার্পেট বিক্রির সংবাদ পেয়ে
কার্পেট বিক্রি করে মুনাফা অর্জনের জন্য ভারতে এসেছিলেন। আত্মীয়পরিজনদের প্রতিও
সদাগর দায়িত্বশীল ছিলেন। তাই ভারতে আসার আগে সকলের
পছন্দ জানতে চেয়েছেন। এমনকী তার তালিকা থেকে তোতাও বাদ পড়েনি। সদাগর স্নেহপ্রবণও
ছিলেন। তিনি আত্মীয়পরিজনদের ভালোবাসতেন। তোতাকে বন্ধুর মতো ভালোবাসতেন। তাছাড়া
তিনি খুবই অনুভূতিশীল ছিলেন। হিন্দুস্থানে এক বাক তোতার মধ্যে থেকে একটি পাখি মারা
যাওয়ায় তিনি আফসোস করেছেন এবং তার মৃত্যুর জন্য নিজেকেই দায়ি করেছেন। তাই তিনি
স্থির করেছিলেন দ্বিতীয় বার আর এরকম মূৰ্খামি করবেন না। তাই তোতার ঘরে যাননি।
কারণ তোতা যদি তাঁর কাছে তার উপহার চেয়ে বসে। কেননা তোতাকে তার জাতভাইয়ের মৃত্যুর
খবর দিলে হয়তো সেও মারা যেতে পারে। কিন্তু একদিন ভুল করে তোতার ঘরে ঢুকে পড়েন
এবং বাধ্য হয়ে হিন্দুস্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বলে ফেললেন। এ দুঃসংবাদ শোনামাত্র
বন্দি তোতাও ধপ করে পড়ে মরে যায়। প্রাণের বন্ধু তোতার মৃত্যুতে সদাগর হাউ মাউ
করে কেঁদে উঠেন। এর থেকে এট্যই উপলব্ধি করা যায় যে তিনি তোতাকে ভীষণ ভালোবাসতেন।
Q.4 ব্যাখ্যা করো।– “কালিদাস, সৌন্দর্যে
রুডলফ ভেলেন্টিননো, পাণ্ডিত্যে ম্যাক্সমলার।"
ANS:- আলোচ্য
উদ্ধতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘তোতাকাহিনী’ গল্পাংশ
থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে
তোতার জ্ঞানের মাত্রা, রসবোধ, সৌন্দর্যবোধ ও অসাধারণ পাণ্ডিত্য়বোধের কথা
ব্যক্ত করা হয়েছে।
তোতাটি জ্ঞানে বৃহস্পতি, রসে কালিদাস,
সৌন্দর্যে রুডলফ ভেলোন্টিনো এবং পাণ্ডিত্যে ম্যাক্স মুলারের সমতুল্য
ছিল। তাই তিনি এরকম একটি জ্ঞানী, গুণী, সৌন্দর্যবান
রসিক তোতাকে ছাড়তে চাননি। সে জন্য তাকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছিলেন। আর সময়
পেলেই তিনি তার সঙ্গে রসালাপ ও তত্ত্বালোচনায় মেতে উঠতেন!
Q.5 ব্যাখ্যা করো।– “গোঁফ কামানোর পরও হাত ওঠে
অজানতে চাড়া দেবার জন্য।”
ANS:- উদ্ধৃতাংশটি
সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘তোতা কাহিনী’ গল্পাংশ
থেকে গৃহীত। এখানে অভ্যাসজনিত কারণে নিজের অজানতে কোন কাজের পুনরাবৃত্তি করার কথা
বলা হয়েছে।
গোঁফ কামানোর পরও হাত ওঠে
অজানতে গোঁফ চাড়া দেবার জন্য। অনেক কিছু আছে যা আমরা করতে চাই না কিন্তু
অসাবধানবশত তা হয়ে যায়। সদাগরের ক্ষেত্রেও এমন-ই একটি অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছিল।
বাড়িতে বন্দি তোতাকে হিন্দুস্থানের তোতার করুণ কাহিনির কথা বলতে চাইত না বলে সে তোতার
ঘরে ঢুকত না। কিন্তু একদিন ভুল করে অসাবধানে তোতার ঘরে সে ঢুকে পড়ে এবং বিবেকের
তাড়নায় সবকথা তাকে বলতে বাধ্য হয়।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
পাঠ অনুসরণে
Q.1 শূন্যস্থান পূর্ণ করো।
(ক) রুমী তার আধ্যাত্মিক
অভিজ্ঞতা _____ বর্ণনা করেছেন।
ANS:- রুমী তার
আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা মসনবিতে বর্ণনা করেছেন।
(খ) সে তোতা _____ বৃহস্পতি, _____ কালিদাস।
ANS:- সে তোতা জ্ঞানে
বৃহস্পতি, রসে কালিদাস।
গ) ঘোড়া চুরির পর আর _____ তালা মেরে
কি লভ্য!
ANS:- ঘোড়া
চুরির পর আর আস্তাবলে তালা মেরে কি লভ্য!
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
পাঠভিত্তিক ব্যাকরণ
Q.1 বাংলা ভাষায় প্রয়োগ হয় এমন
কিছু বিদেশী শব্দের উদাহরণ দাও।
ANS:- বাংলা শব্দ
ভাণ্ডারে বিদেশী শব্দ অনেক আছে। যেমন - ফারসি, আরবি, ইংরাজি, পর্তুগিজ
ইত্যাদি।
বিদেশী শব্দের উদাহরণ -
তারিফ - আরবি শব্দ। অফিস : ইংরাজি শব্দ। কেরানি - পর্তুগিজ শব্দ। আলমারি -
পর্তুগিজ শব্দ। হুজুর - আরবি শব্দ। দিল - ফারসি শব্দ।
Q.2 কোন্ শব্দের অন্তর্গত লেখো : [ ফুরসৎ; খবর; সওদা; বেয়াদবি; ইয়ারগির; চিড়িয়া; সওগাত; বেবাক; আপ সোস; বেমক্কা; বেইমান; দোষ; আক্কেল; কেরামূতি; তাজ্জব; বদনসিব
দরাজ।]
ANS:-
ফুরসৎ - আরবি। আপসোস -
ফারসি। খবর - ফারসি। বেমক্কা - আরবি। সওদা - ফারসি। বেইমান - তুর্কি। বেয়াদবি -
ফারসি। দোস্ত - ফারসি। ইয়ারগিরি - তুর্কি। আক্কেল - আরবি। চিড়িয়া - হিন্দি।
কেরামতি - আরবি। সওগাত - তুর্কি। তাজ্জব - আরবি। বেবাক - ফারসি। বদনসিব -ফারসি।
দরাজ - ফারসি।
Q.3 পদ পরিবর্তন করো।
দেশ; জ্ঞান; সৌন্দর্য; পাণ্ডিত্য; মুক্তি; প্রতিকুল; পাগল; জল; বন্ধু; তত্ত্ব:
স্থির ক্ষুধা;
ANS:- দেশ -
দেশীয়। জ্ঞান - জ্ঞানী। সৌন্দর্য - সুন্দর।
মুক্তি - মুক্ত। প্রতিকূল - প্রতিজ্ঞতা।
পাগল - পাগলামি। জল - জলীয়। বন্ধু - বন্ধুত্ব।
পাণ্ডিত্য - পণ্ডিত। স্থির - স্থিরতা।
ক্ষুধা - ক্ষুধিত। মান - মানী। তত্ত্ব -তাত্বিক।
Q.1 বাক্য পরিবর্তন করো।
(১)
সদাগর ভারতবর্ষে এসে মেলা পয়সা কামালেন। (যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করো।)
(২) যাবার আগে আমাকে শেষ তত্ব
বলে যাও। (জটিল বাক্যে পরিবর্তন করো।)
ANS:-
(১) সদাগর ভারতবর্ষে এলেন
এবং মেলা পয়সা কামালেন।
(২) যখন তুমি যেতে চাও তখন
আমাকে শেষ তত্ব বলে যাও।
ASSAM
SEBA/SMEBA CLASS 10 BENGALI QUESTIONS & ANSWERS
সেবা দশম শ্রেনী বাংলা প্রশ্ন এবং উত্তর
পাঠ : তোতাকাহিনী
সৈয়দ
মুজতবা আলী
****************
0 Comments
HELLO VIEWERS, PLEASE SEND YOUR COMMENTS AND SUGGESTION ON THE POST AND SHARE THE POST TO YOUR FRIEND CIRCLE.